Dr. Bashir Mahmud Ellias's Blog

Know Thyself


Leave a comment

Quotations of prophet Mohammad (pbuh)

মহানবীর (দঃ) নিবার্চিত বাণী

☼ নিশ্চয়ই জানিবে , আল্লাহর নিকট কৃতকর্মের ফল তাহার নিয়ত অনুসারে হয়ে থাকে । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

☼ হযরত হারেস ইবনে হিশাম (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে জিজ্ঞেস করেছিলেন, “হে আল্লাহর রাসুল (সাঃ) ! আপনার নিকট প্রত্যাদেশ কিভাবে আসে ?” তিনি বললেন- “কোন সময় এমন হয় যে, আমি একটি টুনটুন শব্দ শুনতে পাই । এই ধরনের ওহী আমার জন্য বড়ই পীড়াদায়ক হয়ে থাকে । আবার কখনো কখনো ফেরেশতা মানুষের আকৃতিতে আমার নিকট আসেন এবং আল্লাহর বাণী আমাকে বলে দেন । আমি তাহা মুখস্থ করে লই”। প্রচণ্ড শীতের সময়ও রাসুলুল্লাহ (সাঃ)-কে ওহী অবতরণ কালে ঘামে সিক্ত হতে দেখেছি। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) ‍ঃ)

☼ আরবদের অধঃপতনে ইসলামের অধঃপতন হবে। কেয়ামতের নিকটবর্তী সময়ে আরবদের ধ্বংস নেমে আসবে। আর ধ্বংসের কারণ হবে নির্লজ্জতা। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)

☼ আনসারদের প্রতি ভালবাসা পোষণ করা ঈমানের নিদর্শন আর তাদের সাথে শত্রুতা পোষণ করা কপটতার আলামত। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))

☼ “আমার উম্মতের উপর এমন একটা দুঃসময় আসবে যখন দুনিয়ার সমস্ত বৈরী শক্তিগুলি পরস্পর যোগ-সাজশ করে তাদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়বে, যেমন করে দাওয়াতের মজলিসে খাবার সাজিয়ে একে অন্যকে ডেকে ডেকে খাওয়ার পালা শুরু করে ”। একজন সাহাবী জিজ্ঞাসা করলেন ,“ ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! তখন কি আমরা সংখ্যায় খুবই নগণ্য হবো ?” রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , “না , বরং সংখ্যায় তোমরা থাকবে বিপুল । কিন্তু প্রাণের মায়া এবং দুনিয়ার আরাম-আয়েশের নেশা তোমাদিগকে একেবারে বোধশক্তিহীন জড় পদার্থে পরিণত করে ফেলবে ”। (আল হাদীস)

☼ আমার উম্মতের মধ্যে যে বিষয়গুলির ভয় আমি বেশী করি তা হলো ঃ ভুঁড়ি হয়ে যাওয়া, বেশী বেশী ঘুমানো, অলসতা এবং বিশ্বাসের দুবর্লতা। – আল হাদীস (দারাকুতনী)
☼ এমন কোন নবী নেই যিনি ছাগলের রাখাল ছিলেন না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা আমার সাহাবীদের সমালোচনা করিও না । তোমাদের কেহ ওহুদ পাহাড় সমান স্বর্ণ আল্লাহর রাস্তায় দান করিলেও আমার সাহাবীদের এক মুঠো দান করার সমান হইতে পারিবে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ একদিন তোমাদের মধ্যে যোগ্য নেতৃত্ব ও ন্যায় প্রতিষ্ঠাতারূপে মরিয়ম পুত্র ঈসা (আঃ) আগমণ করিবেন । তিনি ক্রুশ ধবংসের অভিযান চালাইবেন এবং শুকর নিধন অভিযান পরিচালনা করিবেন এবং যুদ্ধ-হানাহানির অবসান ঘটাবেন । সেই সময় ধন-দৌলতের আধিক্য হবে। এমনকি দান গ্রহণকারী কোন ব্যক্তি পাওয়া যাবে না । তখন একটি মাত্র সেজদা সমগ্র পৃথিবী ও তার সমস্ত সম্পদ হইতে উত্তম গণ্য হবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ (মহাপ্রলয়ের লক্ষণ হইল ) সময় সংকীর্ন হয়ে যাবে, কাজ অল্প হয়ে যাবে, কৃপণতা শুরু হবে, বিপদাপদ বৃদ্ধি পাবে এবং হত্যাকান্ড বৃদ্ধি পাবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যার মধ্যে এই তিনটি গুণ আছে সে ঈমানের স্বাদ লাভ করে। যথা- (১) অন্য সবকিছুর চাইতে আল্লাহ্ ও রাসুল (দঃ) এর প্রতি সবচেয়ে বেশী ভালবাসা পোষণ করা, (২) কাহাকেও ভালবাসিলে তা একমাত্র আল্লাহ্র উদ্দেশ্যে হওয়া এবং (৩) বিশ্বাসী জীবনে ফিরে যাওয়াকে অগ্নিকুণ্ডে নিক্ষিপ্ত হওয়ার ন্যায় ভয় করা । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ) ‍ঃ)
☼ শেষ জমানায় ভয়াবহ ফেতনা শুরু হবে। সে সব ফেতনায় মুনাফেক-কাফেরদের থেকে ঈমানদারগণ আলাদা হয়ে যাবেন । তাঁদের সংখ্যা নিতান্তই সীমিত হয়ে পড়বে। তবে তাদের ঈমান আগের তুলনায় অনেক বেশী মজবুত হবে। সুতরাং তোমরা শাম (ইরাক) অঞ্চলের লোকদের মন্দ বলো না । কেননা, তাদের ভেতর আল্লাহর অলিগণও রয়েছেন । এমন একটা সময় আসবে যখন শামবাসীগণ খুবই দুর্বল হয়ে পড়বে। একটার পর একটা নানান বিপদ তাদেরকে এমনই দুর্বল করে দিবে যে, শৃগালে হামলা করেও তাদেরকে পরাস্ত করে দিতে সক্ষম হবে। তাদের এই চরম দুর্দশার সময়ে একজন আদর্শ নেতার আবির্ভাব ঘটবে। তিনি নবী করীম (দঃ)-এর বংশধরদের মধ্য থেকে হবেন । অন্ততঃপক্ষে তিনটি বাহিনী বিপুল সামরিক শক্তি নিয়ে তাঁকে সাহায্য করতে এগিয়ে আসবে। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানরা মুসলমানদের এই নেতাকে নিশ্চিহ্ন করতে অগ্রসর হবে। কিন্তু ইমাম মাহদীর ক্ষুদ্র বাহিনীর হাতে তারা সবাই ধ্বংস হয়ে যাবে। যোগ্য নেতার নেতৃত্বে উদ্বুদ্ধ তখনকার মুসলমানদের মধ্যকার পারস্পরিক ভ্রাতৃত্ব ও সহমর্মিতা অনুকরণীয় । তাদের মধ্যে এমন সমৃদ্ধির সৃষ্টি হবে যা ইতিপূর্বে আর কোথাও দেখা যায়নি। – আল হাদিস
(মজমাউয যাওয়ায়েদ)
☼ সবচেয়ে কম শাস্তিপ্রাপ্ত জাহান্নামীকে কেবল দুটি আগুনের জুতো পড়িয়ে দেওয়া হবে, যাতে তার মাথার মগজ টগবগ করে ফুটতে থাকবে এবং পেটের নাড়ী-ভুড়ি গলে পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে আর সে মনে করবে তাকেই হয়ত সবচেয়ে বেশী শাস্তি দেওয়া হচেছ । – আল হাদিস
☼ তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এজন্য ধ্বংস হয়েছে যে, তাদের মধ্যকার ক্ষমতাবান ও অভিজাত লোকেরা চুরি করলে তাদের ছেড়ে দিত আর দুর্বল ও সাধারণ লোকেরা চুরি করলে তাদের শাস্তি দিত। আল্লাহর কসম, আমার মেয়ে ফাতেমাও যদি চুরির অপরাধে ধরা পড়ত, তবে আমি তার হাত কেটে দিতাম । (আল হাদীস)
☼ জান্নাতবাসীগণ যখন যা আকাংখা করবে তখনই তা লাভ করবে। কেহ জান্নাতে ভ্রমণের নিমিত্তে ঘোড়ার প্রত্যাশা করলে তাকে দ্রুতগামী ঘোড়া দেওয়া হবে। এভাবে কেহ চাষাবাদের ইচছা প্রকাশ করলে তাকে হাতিয়ারের ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে। ভূমি কর্ষণের সাথে সাথেই বীজ বপন করা হবে এবং চারাগাছ সমূহ উঠতে থাকবে। সঙ্গে সঙ্গেই ফসল কাটা হবে এবং তা পাহাড়ের মতো স্তুপ হয়ে যাবে। অতঃপর আল্লাহ পাক বলবেন, “হে আমার বান্দা ! তোমার যতটুকু ইচছা ততটুকু গ্রহন কর। তবে জেনে রেখো, কোনো জিনিসেই তোমাদের তৃপ্তি মিটবে না । – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
☼ জ্ঞানী ব্যক্তির চেহারা দেখাও ইবাদত স্বরূপ। – আল হাদীস (দাইলামী)
☼ ট্যাক্স আদায় কারী ব্যক্তি জান্নাতে প্রবেশ করবে না । (আবু দাউদ শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি সারা বৎসর রোজা রাখে, জাহান্নামে তার জন্য কোন স্থান হবে না । (আল হাদিস)
☼ সর্বাপেক্ষা সহজ মৃত্যু যন্ত্রণার দৃষ্টান্ত এরূপ মনে করতে পার, যেমন একটি ত্রিধার ট্যাটা কারো পায়ে এমন ভাবে বিঁধে গেল এবং এমনভাবে ভিতরে ঢুকেছে যে, অনেক টানাটানি এবং চেষ্টা করেও তাহা খোলা সম্ভব হইতেছে না । (আল হাদিস)
☼ হযরত হারেসা (রাঃ) একদিন রাসুলে মাকবুল (দঃ) কে বললেন ঃ ইয়া রাসুলাল্লাহ ! আমি সত্যিকারের মু’মিন হইতে পারিয়াছি । নবী করিম (দঃ) তাকে বললেন ঃ ইহার প্রমাণ কি ? হারেসা (রাঃ) উত্তরে বললেন ঃ আমার অন্তর দুনিয়ার মোহজাল ছিন্ন করে এমনভাবে পলায়ন করেছে যে, আমার দৃষ্টিতে এখন স্বর্ণ এবং পাথরের মধ্যে কোনই পার্থক্য নাই । উভয় বস্তুই আমার নিকট সমান তুচছ বলে মনে হয় । বেহেশত এবং দোযখকে আমি যেন নিজের চোখে দেখতে পাচিছ । রাসুলাল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ ঈমানের যে অবস্থা তোমার অর্জন করা প্রয়োজন ছিল তা তুমি যথার্থই লাভ করেছ । এখন ইহাকে সযত্নে রক্ষা কর । (আল হাদিস)
☼ (মহামহিম আল্লাহ তা’আলা বলেন) আমার গৌরবের কসম, আমি কখনও মানুষের মধ্যে দুই ভয় ও দুই অভয় একত্রিত করি না । যে বান্দা ইহকালে আমার ভয়ে ভীত থাকিবে পরকালে তাকে আমি নির্ভয় রাখিব। আর যে ব্যক্তি ইহলোকে আমার ব্যাপারে নির্ভয় থাকিবে পরলোকে তাকে আমি ভীত-সন্ত্রস্ত রাখিব। (আল হাদিস)
☼ (হে আয়শা !) কেয়ামতের দিন তুমি যদি আমার সঙ্গে থাকিতে বাসনা রাখ, তবে দরিদ্রের ন্যায় জীবন যাপন করিতে থাক। ধনী লোকের সঙ্গে চলাফেরা হইতে দূরে সরে থাক। তালি লাগাইয়া পরিধান করা ব্যতিত কোন পুরনো কাপড় ফেলে দিও না । (আল হাদিস)
☼ তিনটি জিনিস আমার প্রিয় – নামাজ, সুগন্ধি আর পুণ্যবান স্ত্রী। (আল হাদীস)
☼ যে ব্যক্তি অন্যকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য জ্ঞানের মাত্র একটি অধ্যায়ও নিজে শিক্ষালাভ করবে, নিশ্চয় তাকে সত্তরজন নবী ও সিদ্দিকীনের সমান সওয়াব দেওয়া হবে। – আল হাদীস (দাইলামী)
☼ রাসুলুল্লাহ (দঃ) কোন সাহায্য প্রার্থীর জবাবে কখনও ‘না’ বলেন নি। (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ মানুষ স্বর্ণ ও রৌপ্যের খনি তুল্য। যে সব লোক অন্ধকার যুগে শ্রেষ্ট ছিল, ধর্মীয় জ্ঞানে পারদর্শী হলে ইসলামের যুগেও শ্রেষ্ট। (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ আবু হোরায়রা, তুমি যোগ্য পাত্রে করুণা করবে, অন্যথায় তুমি নিজেই করুণার পাত্রে পরিণত হবে। (আল হাদিস)
☼ তুমি জ্ঞান অর্জন করো ; কেননা জ্ঞান অর্জন করা আল্লাহ ভীতি এবং জ্ঞান অনুসন্ধান করা ইবাদতস্বরূপ। জ্ঞান শিক্ষাদান তাসবিহ এবং তার আলোচনা হলো জিহাদ। জ্ঞানহীন ব্যক্তিকে জ্ঞানদান করা দান-খয়রাতস্বরূপ। যোগ্য পাত্রে তা’ ব্যয় করা হলো হৃদ্যতা বা বন্ধুত্বস্বরূপ। জ্ঞান নিঃসঙ্গতায় সঙ্গি, সফরে সহযাত্রী, নির্জন্তায় বাক্যালাপকারী, ধর্মের ক্ষেত্রে পথপ্রদর্শক, অভাবে স্বচছলতার প্রদীপ, বন্ধু-সমাজে নেতৃত্ব, অপরিচিত জনের সাথে সম্পর্ক স্থাপনকারী, শত্রুর মোকাবেলায় ধারালো হাতিয়ার এবং বেহেশতের পথে আলোক স্তম্ভ। -(আল হাদিস)
☼ একবার হযরত রাসুলে করীম (দঃ) হযরত জিব্রাঈল (আঃ)-কে জাহান্নাম ও জাহান্নামীদের সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন, “হে প্রিয় বন্ধু ! জাহান্নামের প্রথম দরজার নাম ‘হাবিয়া’ এবং এতে মুনাফিক, ফেরাউনের গোষ্টি, আসহাবে মায়েদার কাফেরগণ থাকবে। দ্বিতীয় দরজা ‘লাজ্জা’তে ইবলিশ, শয়তান, তার দলবল ও অগ্নিপূজকরা অবস্থান করবে। তৃতীয় দরজা ‘হোতামা’ তে ইহুদীগণ থাকবে। চতুর্থ দরজা ‘ছায়ীরে’ খ্রীস্টানগণ থাকবে। পঞ্চম দরজা ‘সাকারে’ নক্ষত্র পূজারীরা থাকবে। ষষ্ট দরজা ‘জাহিমে’ কাফের-পৌত্তলিকরা থাকবে। সপ্তম দরজা ‘জাহান্নাম’ বলে জিব্রাঈল (আঃ) চুপ হয়ে গেলে মহানবী (দঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, “হে বন্ধু , আপনি চুপ করলেন কেন ? শীঘ্রই তার অধিবাসীদের কথা আমাকে বলুন !’’ হযরত জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, “হে বন্ধু ! উম্মতে মোহাম্মদীর মধ্যে যারা কবিরা গোনাহ করে তওবা ব্যতিত মৃত্যুবরণ করবে, তারা এতে অবস্থান করবে।’’ এতদ্ শ্রবণে হযরত রাসুলে করীম (দঃ) বেহুশ হয়ে পড়লে হযরত জিব্রাঈল (আঃ) তাঁর মস্তক কোলে তুলে নিলেন এবং রাসুলুল্লাহ (দঃ) চেতনা লাভ করে বললেন, “হে জিব্রাঈল, আমার উম্মতের জাহান্নামে নিক্ষেপ এবং দুর্দশার কথা আমাকে মর্মাহত এবং ব্যথিত করেছে। আমার দুশ্চিন্তা ও ভয় কিছুতেই হ্রাস পাচেছ না ।’’ হযরত জিব্রাঈল (আঃ) বললেন, “হ্যাঁ, আপনার পাপী উম্মতদেরকে জাহান্নামে নিক্ষেপ করা হবে।’’ এতদ্‌শ্রবণে নুরনবী (দঃ) অঝোর ধারায় কাঁদতে লাগলেন । হযরত জিব্রাঈল (আঃ)ও নিজেকে সম্বরণ করতে না পেরে কাঁদতে লাগলেন । হযরত রাসুলে করীম (দঃ) বললেন, ‘‘হে বন্ধু, আপনি কাঁদতেছেন ? আপনি ‘রহুল আমিন, আল্লাহর অনুগত।’’ তিনি বললেন, “যদি হারুত-মারুত ফেরেশতাদ্বয়ের ন্যায় আমাকেও পরীক্ষা করা হয়, সেই ভয়ে ক্রন্দন করতেছি।’’ তখন আল্লাহ পাক বললেন, “হে মোহাম্মদ (দঃ) এবং জিব্রাঈল (আঃ) ! আমি আপনাদেরকে জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিয়েছি। সুতরাং আমার কৃতজ্ঞতার নিমিত্তে কাঁদতে থাকুন ।’’ -(আল হাদিস)
☼ যে ব্যক্তি মানুষের কাছ থেকে কোন উপকারী বিষয়কে লুকিয়ে রাখে, কেয়ামতের দিন তার মুখে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেয়া হবে। (আল হাদীস)
☼ (নষ্ট) আলেমকে এমন ভয়ঙ্কর শাস্তি দেওয়া হবে যে, জাহান্নামীরা তার শাস্তি দেখে (বিস্মিত হয়ে) চারপাশে দাঁড়িয়ে থাকবে। (আল হাদিস)
☼ একদিন রাসুলে করিম (দঃ) ‘মাথা ব্যথা’য় ভুগতেছেন উল্লেখ করলে উপস্থিত জনৈক বেদুঈন বলেছিল–ইয়া রাসুলুল্লাহ ! মাথা ব্যথা তো দূরের কথা, জীবনে আমার কোন রোগই হয় নাই । এতদ্ব শ্রবণে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন ঃ তুমি আমার সামনে থেকে দূর হও । তোমরা কেহ যদি জাহান্নামী লোক দেখতে চাও, তবে এই বেদুঈন লোকটিকে দেখে নাও । (আল হাদিস)

☼ আল্লাহ তা’আলা যখন কোন মানুষকে খুব ভালবাসেন, তখন তার ওপরে নানাবিধ বিপদ-আপদ চাপিয়ে দেন । আর যাদেরকে চরম মাত্রায় ভালবাসেন তাদেরকে ‘একতেনা” করে দেন । সাহাবায়ে কেরাম ‘একতেনা’ শব্দের অর্থ জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন ঃ কাহারো ধন-সম্পদ সম্পূর্ণরূপে বিনষ্ট করে দেওয়া এবং পরিবার-পরিজনকে সমূলে খতম করে দেওয়াকে ‘একতেনা’ বলা হয় । (আল হাদিস)

☼ যে ব্যক্তি আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে ভালবাসে, আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে শত্রু জ্ঞান করে , আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে দান করে এবং আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যেই কাউকে বঞ্চিত করে, সে নিজের ঈমানকে পূর্ণতা দিয়েছে। – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)

☼ যদি তুমি সবর্দা আল্লাহকে স্মরণ কর, তবে তিনি তোমাকে সকল অবস্থায় রক্ষা করবেন । আল্লাহকে স্মরণ করলে তাঁকে তোমার সম্মুখেই পাবে । কিছু চাইতে হলে তাঁর কাছেই চাইবে । জেনে রেখো , সমগ্র মানবজাতি মিলেও যদি তোমার কোন উপকার করতে চায় তথাপি তোমার ভাগ্যে আল্লাহ যা নির্দিষ্ট করে রেখেছেন, তার বাইরে কোন উপকার করতে কখনও সক্ষম হবে না । আবার সমগ্র মানবজাতি মিলেও যদি তোমার কোন ক্ষতি করতে চায়, তবুও আল্লাহ তোমার জন্য যা নির্ধারিত করে রেখেছেন তার বাইরে কোন ক্ষতি করতে পারবে না । কারণ ভাগ্যের কলম তুলে নেওয়া হয়েছে এবং কাগজ শুকিয়ে গেছে । – আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ ‍ঃ)

☼ তোমার যদি লজ্জাই না থাকে, তবে তুমি যা ইচছা তাই করতে পারো । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)

☼ আমরা যাদের কাজ দেই, তাদের খাওয়া-পরার জন্য অর্থও দিয়ে থাকি। ইহার বাইরে তারা যাকিছু গ্রহন করবে, তা হবে স্রেফ চুরি। -আল হাদীস
☼ পরনিন্দাকারী জান্নাতে প্রবেশ করবে না । (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ )

☼ ইসলাম হইল আল্লাহ ব্যতিত কোন প্রভু নেই এবং মুহাম্মদ (সাঃ) আল্লাহর রাসুল বলে সাক্ষ্য দেওয়া, নামায কায়েম করা, যাকাত আদায় করা, রমযানের রোজা রাখা এবং সামর্থ থাকলে কাবা শরীফে হজ্জ করা। (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ হযরত জাবের (রাঃ) বলেন , একদিন আমি জিজ্ঞাসা করলাম-ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ)! সকল বস্তু সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ্‌পাক কোন বস্তু সৃষ্টি করেছিলেন ? মহানবী (দঃ) বললেন, হে জাবের ! সবকিছু সৃষ্টির পূর্বে আল্লাহ্‌পাক নিজের নুর হতে তোমার নবীর নুরকে সৃষ্টি করেছিলেন । অতঃপর সেই নুর আল্লাহ্ পাকের ইচছা অনুসারে বিচরণ করতে ছিল। সেই সময় লাওহে মাহফুজ, কলম, জান্নাত, জাহান্নাম, ফেরেশতা, আসমান, জমীন, চন্দ্র, সূর্য, জ্বীন ও মানুষ কিছুই ছিল না । ছিলেন কেবল আল্লাহ্ পাক এবং নুরে মোহাম্মদী (দঃ) আল্লাহর নির্দেশে ভ্রমণরত ছিলেন । – আল হাদীস
☼ তোমাদের মধ্যকার যে ব্যক্তি সেহ্‌রী খাওয়া বর্জন করবে, তার স্বভাব ইহুদীদের মতো হয়ে যাবে। কমপক্ষে দু’এক লোকমা হলেও সেহরী খাবে। কেননা এতেও অসংখ্য সওয়াব লাভ হবে। – আল হাদীস
☼ না, ইহার ব্যতিক্রম হতে পারে না । তোমাদেরকে অবশ্যই সৎকর্মের আদেশ দিতে হবে, তোমাদের অবশ্যই অন্যায় কাজে বাধা দিতে হবে। অবশ্যই অনাচারীদের দু’হাত চেপে ধরতে হবে। অন্যায়কারীদেরকে অবশ্যই ন্যায়ের পথে চলতে বাধ্য করতে হবে। অন্যথায় আল্লাহ তোমাদের উভয়ের অন্তকরণ অভিন্ন করে দিবেন । অতঃপর তোমাদের পরিণত করবেন অভিশপ্ত জাতিতে, যেভাবে তিনি ইহুদীদের পরিণত করেছেন অভিশপ্ত জাতিতে। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি তার ভাইয়ের অনুপসি’তিতে তার মান-ইজ্জত রক্ষা করল, তার দোষ ঢেকে রাখল; আল্লাহ তাকে জাহান্নাম থেকে বাঁচিয়ে দেবেন । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ তোমরা অন্যের দোষ অন্বেষণ করো না, গুপ্তচরবৃত্তি করো না, পরস্পর কলহ করো না, হিংসা-বিদ্বেষ পোষণ করো না, একে অপরকে ঘৃণা করো না, অন্যের ক্ষতিসাধনের ফন্দি করো না বরং আল্লাহর প্রকৃত বান্দা এবং পরস্পর ভাই ভাই হয়ে যাও । (বোখারী, মুসলিম)
☼ আমি তোমাদেরকে কবরের নিকট যেতে নিষেধ করেছিলাম । আচছা এখন থেকে তোমরা কবরের নিকট যেও । কেননা এতে অন্তর নরম হয়, চক্ষু অশ্রুপূর্ণ হয়, পরকালকে স্মরণ করায় এবং বাজে কথা থেকে বিরত রাখে। – আল হাদীস
☼ পরনিন্দা করা ব্যভিচার চাইতেও মারাত্মক। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি রমযানের শেষ দশ দিন এতেকাফ করবে, তাকে দুই হজ্জ এবং দুই ওমরার সওয়াব দেওয়া হবে। — আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ ইসলামে বৈরাগ্যের কোনো স্থান নেই । – আল হাদীস
☼ নবী করীম (দঃ) কখনও কখনও শিশুদের কান্নার আওয়াজ শুনলে নামায সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন এবং বলতেন , ‘আমি চাই না যে তার মায়ের কষ্ট হোক’। -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ তুমি যা বললে তা যদি তার মধ্যে থেকে থাকে, তবেই তা হবে পরনিন্দা। আর তা যদি না-ই থাকে তবে তা হবে মিথ্যা অপবাদ। (আবু দাউদ , নাসাঈ)
☼ আল্লাহ যাকে ধন-সম্পদ দিয়েছেন সে যদি তার যাকাত আদায় না করে, তবে কিয়ামতের দিন সেই ধন-সম্পদ একটি বিষধর অজগরের রূপ ধারণ করবে যার দুই চোখের ওপরে দু’টি কালো ফোটা থাকবে এবং সেই অজগরকে তার গলায় পড়িয়ে দেওয়া হবে। সাপটি তার মুখের দুই পাশে ছোবল মারতে থাকবে আর বলবে আমিই তোমার সম্পদ , আমিই তোমার সঞ্চিত ধন । – আল হাদীস
☼ অপ্রয়োজনীয় বিষয়কে বর্জন করাই হলো ইসলামের সৌন্দর্য । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ জনৈক বেদুঈন একবার রাসুলুল্লাহ (দঃ)-কে বললেন, আমাকে এমন আমলের কথা বলুন যাতে আমি জান্নাতে যেতে পারি। নবী করীম (দঃ) বললেন, তুমি আল্লাহর ইবাদত করবে এবং তাঁর সাথে কাউকে শরীক করবে না, ফরজ নামায আদায় করবে, ফরজ যাকাত প্রদান করবে এবং রমজানের রোজা পালন করবে। লোকটি বলল, সেই সত্ত্বার কসম যার হাতে আমার প্রাণ, আমি ইহার চাইতে একটু বেশীও করব না, একটু কমও করব না । বেদুঈন লোকটি চলে যাওয়ার সময় রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, কেউ যদি কোনো জান্নাতী লোক দেখতে চায়, সে যেন এই ব্যক্তিকে দেখে নেয় । -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ উত্তম স্বভাব হলো পূণ্য আর পাপ হলো তাই যা তোমার মনকে সন্দেহের দোলায় ফেলে দেয় এবং যা লোকে জানুক তা তুমি পছন্দ কর না । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ ফেরেশতারা ঈমানদার বান্দার রূহ নিয়ে অন্যান্য ঈমানদার বান্দার রূহের নিকট পৌছলে সে সব রূহ আনন্দিত হন । দুনিয়ার জীবনে দুরদেশে বসবাসকারী আত্মীয়-স্বজনরা বেড়াতে আসলে মানুষ যেমন খুশী হয়, মোমিনদের রূহও তেমনি আনন্দিত হয়ে থাকে । এমনকি তার চাইতেও অধিক আনন্দিত হয়ে থাকে । তারা জিজ্ঞেস করে যে, অমুকের অবস্থা কি, অমুক কেমন আছ ? তাছাড়া ঈমানদারদের রূহ আগন্তুক রূহকে কিছুক্ষণ বিশ্রামের সময়ও দিয়ে থাকেন । কেননা নবাগত রূহ দুনিয়ায় ফেলে আসা আত্মীয়-স্বজনদের কথা ভেবে ব্যথিত হয়ে থাকে । পরে একে একে উত্তর দিয়ে থাকেন । যদি কারো সম্পর্কে বলা হয় যে, অমুক ইন্তেকাল করেছে, তখন ঈমানদারদের রূহ বলে যে, সে ইন্তেকাল করল অথচ আমাদের নিকট আসল না, নিশ্চয় তাকে জাহান্নামে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। (নাসায়ী শরীফ)
☼ তোমরা সহধর্মিনীদের প্রতি শুভাকাঙখী হও । -(নাসায়ী শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি রোগাক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছে , সে শহীদ রূপে গণ্য হবে। – আল হাদীস
☼ মসজিদে নববীতে এক রাকাত নামায পঞ্চাশ হাজার রাকাত নামাযের চাইতে উত্তম । -(ইবনে মাজাহ শরীফ)
☼ খারাপ কাজ হইতে দেখেও যদি লোকেরা তা প্রতিহত করতে চেষ্টা না করে, তবে তারা যেন আল্লাহর পক্ষ থেকে আপতিত শাস্তির অপেক্ষা করতে থাকে । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ সমাজে যখন ব্যাপক হারে অনাচার চলতে থাকে এবং যাদের বাধা দেওয়ার ক্ষমতা আছে তারা যদি প্রতিবাদ না করে, তবে আল্লাহ সেখানে পাইকারী হারে গযব নাজিল করেন যার হাত থেকে ভাল-মন্দ কেউ নিস্তার পায় না । -আল হাদীস
☼ আল্লাহ পাকের নিরানব্বইটি নাম রয়েছে । যে তা মুখস্ত করবে, সে নিশ্চয় বেহেশতে প্রবেশ করবে। – আল হাদীস
☼ সন্দেহযুক্ত বিষয়কে পরিত্যাগ করে সন্দেহমুক্ত বিষয়কে গ্রহন কর । – আল হাদীস (নাসায়ী আহমদ)
☼ হে লোকেরা ! তোমরা ধীরে-সুস্থে চল। কেননা উটকে দৌড়িয়ে নিয়ে যাওয়া কোন সওয়াবের কাজ নয় । – আল হাদীস
☼ আমার পূর্বেকার রাসুলগণ কেবল নিজের জাতির পথ প্রদর্শনের জন্য প্রেরিত হতেন, আর আমি প্রেরিত হয়েছি সমগ্র মানবজাতির জন্য । (আল হাদিস)
☼ কাউকে খারাপ কাজ করতে দেখলে তাকে হাত দিয়ে বাঁধা দাও । তা না পারলে মুখে প্রতিবাদ কর। যদি তাও না পারো তবে অন্তর দিয়ে ঘৃণা কর । আর এটা হলো দুর্বলতম ঈমানের পরিচয় । (আল হাদিস)
☼ আমার বান্দাদের স্বভাব কতই না বিচিত্র ! এরা পাপ করার পর আমার নিকট ক্ষমা চায়, আমি তাদেরকে ক্ষমা করে দেই । ক্ষমা পাবার পর এরা একই পাপ পুণরায় করে ফেলে এবং আমার নিকট ক্ষমা চায় । আমি আবারো তাদের ক্ষমা করে দেই । হতভাগারা গোনাহ করাও ছাড়তে পারে না আবার আমার করুণা থেকেও নিরাশ হয় না । হে ফেরেশতারা ! তোমরা সাক্ষী থাক, আমি তাদেরকে ক্ষমা করেই যাব । (হাদীসে কুদসী)
☼ আমি শেষ নবী, আমার পরে আর কোনো নবী আসবে না । (আল হাদিস)
☼ নবী করীম (দঃ)-এর নিকট এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল, কোন্ মহিলা উত্তম ? তিনি বললেন, সেই নারী যার প্রতি তার স্বামী দৃষ্টিপাত করলে সে সন্তুষ্ট হয়, যে স্বামীর কথা মতো চলে, নিজের ব্যক্তিগত ব্যাপারে স্বামীর বিরুদ্ধাচরণ করে না এবং স্বামীর ইচছার বিরুদ্ধে তার সম্পদ খরচ করে না । – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
☼ কেউ যদি আল্লাহর পুরস্কারের আশায় যাকাত আদায় করে, তবে তাকে পুরস্কৃত করা হবে। কিন্তু যে ব্যক্তি যাকাত দিতে অস্বীকার করবে তার কাছ থেকে জোর পূর্বক যাকাত আদায় করতে হবে এবং আল্লাহর নির্দেশ অনুযায়ী তার অর্ধেক সম্পত্তিও নিয়ে নেওয়া হবে। (নাসাঈ শরীফ , বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ ঈমানের সত্তরটিরও অধিক শাখা রয়েছে যার শ্রেষ্টটি হলো এই সাক্ষ্য দেওয়া যে আল্লাহ ব্যতিত কোনো উপাস্য নেই এবং ক্ষুদ্রতমটি হলো রাস্তা হতে কষ্টদায়ক বস্তু অপসারণ করা আর লজ্জাও ঈমানের একটি শাখা। – আল হাদীস
☼ উত্তম চরিত্রের পূর্ণতা বিধানের জন্যেই আমি প্রেরিত হয়েছি। – আল হাদীস
☼ তোমাদের কেহ পূর্ণ মোমিন হতে পারবে না যে পযর্ন্ত না আমি তার নিকট তার পিতা , তার সন্তান এবং অন্য সকল মানুষের চাইতে বেশী প্রিয় হই । (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ তিন শ্রেণীর মানুষের সাথে হাশরের দিন আল্লাহপাক কথা বলবেন না , তাদের কোন ডাকেই সাড়া দিবেন না , তাদের প্রতি করুণার দৃষ্টি দিবেন না এবং তাদেরকে কঠিন শাস্তি আস্বাদ করাবেন ঃ (১) বৃদ্ধ ব্যভিচারী (২) মিথ্যুক শাসক (৩) অহঙ্কারী দরিদ্র ব্যক্তি । (আল হাদীস)
☼ আল্লাহর ইচছা অনুযায়ী যথা সময়ে জান্নাত সৃষ্টি হয়েছে। নভোমন্ডল ও ভূ-মন্ডলের বিস্তৃতির সমানুপাতে উহার প্রস্থ নির্ধারণ করা হয়েছে। দৈর্ঘ্য সমন্ধে কেহই অবগত নহে। কেয়ামতের পরে উহার বিস্তৃতি আরো বাড়ানো হবে যাতে জান্নাতবাসীগণ তাতে পরমানন্দে বসবাস করতে পারে। বেহেশতের দরজা থাকবে একশত যার একটি হতে অন্যটির দূরত্ব হবে পাঁচশত বছরের পথের সমান । তাতে কুলকুল রবে ঝর্ণা প্রবাহিত হবে। বেহেশতের কোন্ বৃক্ষটি এমন আছে যার কান্ডটি স্বর্ণ নির্মিত নয় ! জান্নাতের বৃক্ষসমূহের শাখা-প্রশাখা কখনও শুষ্ক হয় না কিংবা তার পত্রসমূহ কখনও ঝরে পড়ে না । বৃক্ষের ফলগুলি নাগালের মধ্যে ঝুলে থাকবে যাতে জান্নাতবাসীরা স্বচছন্দে খেতে পারে। তথায় থাকবে ডাগর নয়না পবিত্র রমণীরা (হুর)। আল্লাহ্ তাদেরকে স্বীয় নুর দ্বারা সৃষ্টি করেছেন । তারা ইয়াকুত ও মারজান তুল্য লাবণ্যময়ী সুন্দরী হবে। তারা স্বীয় স্বামী ভিন্ন অন্য কারো প্রতি দৃষ্টিপাত করবে না এবং স্বীয় স্বামী ভিন্ন অন্য কারো দ্বারা স্পর্শিত হবে না । তাদের সাথে যতই সঙ্গম করা হবে ততই তাদেরকে নতুন এবং কুমারী মনে হবে। তাদের দেহে বিভিন্ন রঙের সত্তরটি অলংকার থাকবে এবং সেগুলি একটি পশমতুল্যও ভারি হবে না । তাদের কেশগুচছ হবে ইয়াকুত ও মুক্তা খচিত। -(আল হাদিস)
☼ হে মুসলিম নারীগণ ! কোনো নারী যেন তার প্রতিবেশী নারীকে উপহার দেওয়াকে তুচছ মনে না করে, যদিও তা একটি বকরীর খুর হোক না কেন । (বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
☼ আমার উম্মতের মধ্যকার যারা ভাগ্যে বিশ্বাস করে না, তারা অগ্নিপূজক সমতুল্য। এদের কেউ অসুস্থ হলে তোমরা তাদের দেখতে যাবে না । এদের কেউ মৃত্যুবরণ করলে তাদের জানাযায় যাবে না । – আল হাদীস
☼ নিশ্চয়ই মানুষের শরীরে এমন একটি অংশ আছে যা পবিত্র থাকলে গোটা দেহটাই সুস্থ থাকে আর তা কলুষিত হলে গোটা দেহটাই অসুস্থ হয়ে পড়ে । জেনে রেখো তার নাম হলো অন-করণ। – আল হাদীস
☼ যে রাতে আমাকে উর্ধ্ব ভ্রমণ করানো হলো সে রাতেই আমি জান্নাত পরিদর্শন করেছিলাম । জান্নাতে আমি চারটি নদী দেখেছিলাম যার একটি পানির , একটি দুধের , একটি পবিত্র শরাবের এবং একটি মধুর। – আল হাদীস
☼ আল্লাহর কসম, সেই ব্যক্তি ঈমানদার নয় । (এভাবে তিনবার বললেন) জিজ্ঞেস করা হলো- হে আল্লাহর রাসুল (দঃ) , কে ঈমানদার নয় ? তিনি বললেন, সেই ব্যক্তি যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশীরাও রেহাই পায় না । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ আল্লাহ জ্ঞানকে মানুষের নিকট হইতে বলপূর্বক কেড়ে নিবেন না বরং জ্ঞানীদেরকে উঠিয়ে নিয়ে জ্ঞানকে উঠিয়ে নিবেন । যখন পৃথিবীতে কোন জ্ঞানী ব্যক্তি থাকবে না , তখন মানুষেরা মূর্খদেরকে নিজেদের নেতা নিযুক্ত করবে এবং তাদের নিকটই সব কিছু জানতে চাইবে । তারা অজ্ঞতার কারণে ভুল ফতোয়া দিয়ে নিজেরাও পথভ্রষ্ট হবে এবং অপরকেও পথভ্রষ্ট করবে । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ কেউ কোন সমপদের মালিক হলে বছরানেত তার উপর যাকাত ফরজ হবে । যাকাত ছাড়াও দেয় আছে । (তিরমিযী , মুসলিম)
☼ আমি যদি মানুষকে নির্দেশ দিতাম কাউকে সেজদা করার জন্য তাহলে অবশ্যই স্ত্রীকে নির্দেশ দিতাম তার স্বামীকে সেজদা করার জন্য । – আল হাদীস (তিরমিযী)
তোমরা শিশুদের ভালবাস এবং তাদের প্রতি মমতা প্রদর্শন কর। তাদেরকে কোনো প্রতিশ্রুতি দিলে তা পূরণ কর। কেননা তারা তোমাদেরকে তাদের রিজিকদাতা মনে করে থাকে । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ এক মজলিসে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , যে ব্যক্তির অনতরে সরিষার দানা পরিমাণ অহঙ্কার থাকবে সে জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে না । এক ব্যক্তি দাঁড়িয়ে জিজ্ঞাসা করলেন , “ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) ! আমি পরিচছন্ন জামা-জুতো পরিধান করতে পছন্দ করি । এটাও কি অহঙ্কারের পর্যায়ে পড়ে ”? রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বললেন , “ না । আল্লাহ সুন্দর , তিনি সৌন্দর্য পছন্দ করেন এবং বান্দাদের যে নেয়ামত দান করেছেন , তার কিছূটা বহিঃপ্রকাশও তিনি দেখতে চান । সমপদ থাকা সত্ত্বেও হত-দরিদ্রের বেশ ধরে থাকাকে তিনি পছন্দ করেন না । প্রকৃতপক্ষে অহঙ্কার হলো অন্যকে তুচছ জ্ঞান করা । যে ব্যক্তি নিজ হাতে জুতা পরিস্কার করে , প্রয়োজনে নিজের পোষাকে তালি লাগায় এবং সময়মত আল্লাহকে সেজদা করে , (ধরে নেওয়া যায়) সে অহঙ্কার থেকে মুক্ত । (আল হাদীস)
☼ কোন ব্যক্তি ততক্ষণ পযর্ন্ত ঈমানদার হতে পারবে না যতক্ষণ পযর্ন্ত না সে চারটি বিষয়ের প্রতি ঈমান আনবে। যথা-(১) আল্লাহ ব্যতিত কোন উপাস্য নেই- বলে সাক্ষ্য দেওয়া এবং ঘোষণা করা। (২) আমি যে আল্লাহর রাসুল এবং তিনি আমাকে সত্যসহ প্রেরন করেছেন । (৩) মৃত্যু এবং পুনঃরুত্থানের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। (৪) তকদীরের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করা। – আল হাদীস
☼ সবচেয়ে বড় মিথ্যা হলো কোনো ব্যক্তির এমন বস্তু প্রদর্শন করা যা তার চক্ষুদ্বয় দর্শন করেনি। — আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি ধর্মীয় জ্ঞান অন্বেষণে লিপ্ত থাকে , আল্লাহ স্বয়ং তার জীবিকার দায়িত্ব গ্রহণ করেন । (কানযুল উম্মাল)
☼ হে লোকেরা ! বাকশক্তিহীন প্রাণীদের সম্পর্কে আল্লাহকে ভয় কর। (আল হাদীস)
☼ তোমাদের কেহ পূর্ণ মোমিন হতে পারবে না যে পর্যন- না সে নিজের ভাইয়ের জন্য তাই পছদে করবে , যা সে নিজের জন্য পছন্দ করে। (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ যদি এমন কারো উপরে তোমাদের দৃষ্টি পড়ে যে সম্পদ এবং সৌন্দর্যের দিক থেকে তোমাদের চাইতে শ্রেষ্ট তাহলে সে যেন এমন ব্যক্তির দিকে দৃষ্টিপাত করে যে এই বিষয়ে তার চাইতে নিকৃষ্ট । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
কেউ যদি একটি গাছের চারা লাগায় আর তা থেকে কোন মানুষ বা অন্য কোন সৃষ্টজীব কিছু খায় তবে তা সেই ব্যক্তির জন্য দান হিসাবে গণ্য হবে । (আল হাদিস)
☼ জ্ঞান হলো কর্মের নেতা এবং কর্ম হলো জ্ঞানের অনুসারী । (মিনহাজুল আবেদীন)
☼ ব্যভিচারী ব্যক্তি যখন ব্যভিচার করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , চোর যখন চুরি করে তখন সে ঈমানদার থাকে না , মদ্যপ যখন মদ পান কবে তখন সে ঈমানদার থাকে না । (বোখারী ,মুসলিম )
☼ প্রতিটি বিষয়ই ভাগ্যলিপি অনুযায়ী সংঘটিত হয়ে থাকে , এমনকি অক্ষমতা এবং বুদ্ধিমত্তাও । (মেশকাত)
☼ তোমাদেব কেউ যেন নিজের স্ত্রীকে ভৃত্যের ন্যায় প্রহার না কবে। কারণ দিনের শেষে সে তো আবার সেই স্ত্রীর সাথেই সঙ্গম করবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ দুনিয়া ধ্বংস প্রাপ্ত হবে না যে পযর্ন্ত না আমার খান্দানের এক ব্যক্তি সমগ্র আরব ভূ-খন্ডের অধিপতি না হবে। তাঁর নাম হবে আমার নামে। — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা কবরের নিকট আসা-যাওয়া করিও । এদ্বারা হিংসা রোগ দূর হয়ে যায় এবং বিরাট উপদেশ লাভ হয় । – আল হাদীস
☼ তোমরা দু’টি অভিশাপযোগ্য কাজ থেকে দূরে থাকবে, যথা- লোকের চলাচলের রাস্থায় এবং গাছের ছায়ায় বিশ্রাম গ্রহণের স্থানে মল-মুত্র ত্যাগ করা। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ প্রকৃত সম্পদশালীতা ধন-সম্পদের প্রাচুর্যে উপর নির্ভরশীল নয় বরং প্রকৃত ধনাঢ্যতা হলো অন-রের বড়ত্ব। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তুমি মোমিন ব্যতিত কারো সঙ্গ লাভ করো না এবং তোমাদের নিমন্ত্রণের খাবার যেন ধার্মিক লোক ভিন্ন কেহ আহার না করে। – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ আল্লাহর নিকট বৈধ কাজসমূহের মধ্যে তালাক হইল সর্বাপেক্ষা ঘৃণ্য। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ নবী করীম (দঃ)-এর নেতৃত্বাধীন কোন যুদ্ধে এক মহিলাকে নিহত অবস্থায় পাওয়া গেল। এতে নবী করীম (দঃ) খুবই মর্মাহত হলেন এবং নারী ও শিশুদের হত্যা করতে নিষেধ করে দিলেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ কোনো ব্যক্তির মৃত্যুর সময় যদি তার কপাল ঘর্ম সিক্ত হয় , চক্ষু থেকে অশ্রু বের হয় এবং নাকের ছিদ্র প্রসারিত হয় , তবে তা রহমতের লক্ষণ। পক্ষান্তরে গলা থেকে যদি উটের গলা টিপার ন্যায় আওয়াজ আসতে থাকে এবং চেহারা মলিন হয়ে মুখ থেকে ফেনা বের হতে থাকে , তবে তা আজাবের লক্ষণ। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি ঋতুস্রাব অবস্থায় স্ত্রীসহবাস করল , স্ত্রীর গুহ্যদ্বারে সহবাস করল কিংবা কোন জ্যোতিষীর কাছে গেল , সে মোহাম্মদ (সাঃ) এর ধর্মকে অস্বীকার করল । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ কেয়ামতের দিন তোমাদের কেউ যেন এই অবস্থায় আমার নিকট না আসে যে তার ছাগল তার ঘাড়ের ওপর চাপানো থাকবে আর তা ভ্যাঁ ভ্যাঁ করতে থাকবে এবং সে আমাকে (সাহায্যের জন্য) ডাকতে থাকবে। আমি বলবো , তোমার জন্য আজ আমি কিছুই করতে পারবো না । আমি তো আল্লাহর আদেশ-নির্দেশ তোমাকে পৌছে দিয়েছিলাম । – আল হাদীস
☼ আমি সুদীর্ঘ দশ বৎসর রাসুলুল্লাহ (দঃ)-এর সেবা করেছি। এই দীর্ঘ সময়ে তিনি একদিনও আমাকে বলেননি যে একাজটি কেন করলে বা ঐকাজটি কেন করলে না । (আল হাদীস)
☼ আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বৎসর পূর্বেই আল্লাহ সকল সৃষ্টজীবের ভাগ্য লিপিবদ্ধ করে রেখেছেন । তখন আল্লাহর সিংহাসন ছিল পানির উপর। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ কোনো মহিলা যদি পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে , রমজানের রোজা রাখে , নিজের সতীত্ব রক্ষা করে চলে এবং স্বামী আদেশ মেনে চলে , তবে সে যে দরজা দিয়ে ইচছা জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
☼ তোমরা জীবনের সকল স্বাদ বিনষ্টকারী মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ করো। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আল্লাহর নিকট শহীদদের ছয়টি পুরস্কার রয়েছে ঃ-(১) রক্তের প্রথম ফোটা মাটিতে পড়ার সাথে সাথে তাকে ক্ষমা করে দেওয়া হয় এবং জান্নাতে তাকে তার ঠিকানা দেখিয়ে দেওয়া হয় । (২) কবরের আজাব হতে মুক্তি দেওয়া হয় । (৩) ইস্রাফিলের সিঙ্গার ফুৎকারের সময়কার ভীতিকর অবস্থা হতে মুক্ত থাকবে। (৪) তার মাথায় মর্যাদার মুকুট পড়ানো হবে যার প্রতিটি ইয়াকুত দুনিয়া ও তার মধ্যকার যাবতীয় সমপদ হতে অধিকতর মূল্যবান । (৫) তাকে বাহাত্তর জন আয়তলোচনা হুর দেওয়া হবে। (৬) সত্তরজন আত্মীয়ের জন্যে তার সুপারিশ গ্রহন করা হবে। – আল হাদীস
☼ যদি কোনো ব্যক্তি এই উদ্দেশ্যে জ্ঞানার্জন করে যে তা দিয়ে জ্ঞানীদের সাথে মতবিরোধ করবে কিংবা বোকাদের সাথে বিতর্ক করবে কিংবা মানুষকে নিজের দিকে আকর্ষণ করবে , আল্লাহ তাকে আগুনে নিক্ষেপ করবেন । (মিনহাজুল আবেদীন)
☼ যখন তোমার প্রতিবেশীকে বলতে শুনবে যে তুমি খারাপ কাজ করেছ , তখন প্রকৃতই তুমি খারাপ কাজ করেছ । আর যখন তুমি বলতে শুনবে যে তুমি ভাল কাজ করেছ, তখন তুমি প্রকৃতই ভাল কাজ করেছ । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ আমি আদম সন্তানের সরদার , আমিই নবীগণের মধ্যে সর্বশেষ নবী। (আল হাদীস)
☼ আমার অনুসারীগণ যখন ১৫টি কাজে লিপ্ত হবে , তখন তাদের উপর বিপদ-আপদ , রোগ-শোক আসতে থাকবে । ১। যুদ্ধলব্ধ সমদেকে যখন ব্যক্তিগত সম্পদ গন্য করা হবে। ২। আমানতকে যখন আত্মসাত করা হবে । ৩। যাকাত দেওয়াকে অপচয় মনে করা হবে। ৪। লোকেরা যখন স্ত্রীদের অনুগত এবং মায়ের অবাধ্য হবে। ৫। যখন বন্ধু-বান্ধবদের সহিত সদ্‌ব্যবহার করা হবে । ৬। পক্ষান-রে পিতার সাথে দুর্ব্যবহার করা হবে। ৭ । মসজিদে যখন চেচামেচি করা হবে। ৮। সমাজের নিকৃষ্ট লোকেরা যখন নেতত্বে করবে। ৯। যখন লোকেরা অত্যাচারের ভয়ে কাউকে সম্মান করবে। ১০। যখন প্রকাশ্যে মদ্যপান করা হবে। ১১। পুরুষেরা যখন রেশমী বস্ত্র পরিধান করবে। ১২। যখন গায়িকা-নর্তকীর ব্যবস্থা করা হবে । ১৩। যখন বাদ্যযন্ত্র সহজ লভ্য হবে । ১৪। যখন সাহাবীদের ও তাবেয়ীদের সমালোচনা করা হবে , তখন তোমরা আল্ল াহর শাস্তির অপেক্ষা করো । যেমন- ঘূর্ণিঝড় , ভূমিধ্বস , চেহারা বিকৃতি প্রভৃতি । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ সেই আল্লাহর কসম যার হাতের মুঠোয় আমার প্রাণ- যে গনিমতের মাল থেকে একটি কম্বল তুলে নিয়েছে অথচ সেটা তাকে সরকারীভাবে বিতরণ করা হয়নি-তবে ঐ কম্বল তার দেহে আগুন হয়ে জ্বলবে। -আবু দাউদ
☼ তোমরা মুমূর্ষূ ব্যক্তির সন্নিকটে থাক এবং তাকে ‘লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ’ পড়ে শোনাও এবং তাকে জান্নাতের সুসংবাদ শোনাও । কেননা সেই সময় বিচক্ষণ নর-নারীরাও ভয় পেয়ে যায় আর শয়তান খুব সক্রিয় থাকে । সেই সত্ত্বার কসম, আজরাইলকে দেখা হাজার তরবারির আঘাত অপেক্ষাও বেশী কষ্টদায়ক । – আল হাদীস
☼ আকাশ এবং পৃথিবী সৃষ্টির পঞ্চাশ হাজার বছর পূর্বে আল্লাহতা’য়ালা প্রতিটি সৃষ্টির ভাগ্য লিপিবদ্ধ করেছেন । তখন তাঁর আরশ ছিল পানির উপর । (মেশকাত)
☼ যে ব্যক্তি মৃত্যুকে অধিক পরিমাণে স্মরণ করে এবং সৎকর্মের দ্বারা আখেরাতের পুঁজি তৈরী করে , সেই ব্যক্তি সর্বাপেক্ষা জ্ঞানী। – আল হাদীস
☼ আল্লাহ্ তা’য়ালা সর্বপ্রথম যা সৃষ্টি করেছেন তা হলো আমার নুর । আমাকে অতীত ও ভবিষ্যতের সমস্ত জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে। (আল হাদীস)
☼ জ্ঞান অর্জন করা প্রত্যেক মুসলিম নর-নারীর উপর ফরজ (কর্তব্য) । {বায়হাকী শরীফ ‍ঃ}
☼ নিশ্চিতভাবেই ধর্মীয় জ্ঞান হচেছ ধর্মের ভিত্তিস্বরূপ। অতএব লক্ষ্য রেখো যে, কাদের নিকট থেকে তা গ্রহণ করছ । (মুসলিম , তিরমিযী)
☼ চোখের মাধ্যমেও ব্যভিচার হয় , পায়ের দ্বারাও ব্যভিচার হয় এবং লজ্জাস্থান দ্বারা ব্যভিচার পূর্ণতা লাভ করে। — আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ আমাকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এমন যে , আমি মানুষের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করব যে পযর্ন্ত না তারা সাক্ষ্য দেবে যে, আল্লাহ ছাড়া কোনো প্রভু নেই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রাসুল এবং নামায কায়েম করবে ও যাকাত আদায় করবে। – আল হাদীস
☼ কর্ম যাকে পিছিয়ে দেয় বংশ তাকে এগিয়ে দিতে পারে না । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা তোমাদের শিশুদেরকে সাত বছর বয়সেই নামাযের আদেশ কর, দশ বছর বয়সে নামাযের জন্য শাস্তি বিধান কর এবং তাদের বিছানা পৃথক করে দাও । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ প্রবীণ মুসলমান , সৎপন্থী জ্ঞানী ব্যক্তি এবং ন্যায়পরায়ণ শাসকের প্রতি সম্মান প্রদর্শন স্বয়ং আল্লাহর প্রতি সম্মান প্রদর্শনের অন-র্ভুক্ত । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ আগুন দ্বারা শাস্তি প্রদান করার অধিকার কেবল মাত্র আল্লাহর জন্যই নির্ধারিত । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ আপনজনদের সাথে উত্তম আচরণের পুরস্কার আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন , অন্যকোন কর্মের পুরস্কার এত দ্রুত দেন না । পক্ষান্তরে আপনজনদের সাথে সমপর্কচেছদের শাস্তিও আল্লাহপাক যত দ্রুত দিয়ে থাকেন আর কোন পাপের শাস্তি এত দ্রুত দেন না । (আল হাদীস)
☼ তোমরা অপরিচিত নারীদের নিকট যাতায়াত করা থেকে বিরত থাক। জিজ্ঞাসা করা হলো – দেবর সম্পর্কে কি বিধান ? তিনি বললেন, দেবর হচেছ (নারীদেব জন্য ) মৃত্যুর সমতুল্য । (বোখরী)
☼ যে ব্যক্তি আমার নামে এমন কথা প্রচার করবে যা আমি বলি নাই, তবে সে যেন নিজের ঠিকানা জাহান্নামে নির্ধারণ করে নেয় । (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ আমার এই মসজিদে এক রাকাত নামায মসজিদুল হারাম ব্যতিত অন্যান্য মসজিদে এক হাজার রাকাত নামায অপেক্ষা উত্তম । -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ সবচেয়ে বড় প্রতারণা হলো তোমার ভাইকে এমন কথা বলা যা সে বিশ্বাস করে ফেলে অথচ তুমি তাকে মিথ্যে বলেছ । — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি রমযান মাসের সাতাইশ তারিখের রজনীকে জীবিত রাখবে, তার আমলনামায় মহান আল্লাহ সাতাইশ হাজার বৎসর ইবাদতের সমতুল্য সওয়াব দান করবেন এবং জান্নাতে অগণিত মনোরম বালাখানা তৈরী করবেন যার সংখ্যা আল্লাহ ব্যতিত কেউ জানে না । -(আল হাদিস)
☼ হে আলী ! তিনটি বিষয়ে কখনো বিলম্ব করবে না ঃ-(১) নামাযের যখন সময় হয়ে যাবে, (২) জানাযা যখন উপস্থিত হয়ে যাবে, (৩) কুমারী মেয়ের জন্য যখন সুপাত্র পাওয়া যাবে। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ কোনো ব্যক্তি রমযান মাসে যদি কোনো রোজাদারকে ইফতার করায়, তবে তার সমস্ত গুনাহ মাফ হয়ে যায় এবং সে ব্যক্তি জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি লাভ করবে। – আল হাদীস
☼ আমি নামায আদায় করি আবার ঘুমিয়েও থাকি, রোজা রাখি আবার ছেড়েও দিই এবং বিয়েও করি। যে ব্যক্তি আমার আদর্শকে বর্জন করবে সে আমার অনুসারী নয় । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ সাবধান ! তোমরা মেয়েদের মোহরানার ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করবে না । (কারণ) আমার জানা নেই যে , রাসুলুল্লাহ (দঃ) তাঁর কোন পত্নীকে বিয়ে করার সময় কিংবা তাঁর কোন কন্যাকে বিয়ে দেওয়ার সময় বার ‘‘উকিয়া’’(পাঁচশত দিরহাম)-এর অধিক মোহরানা ধার্য করেছেন । (তিরমিযী , মুসনাদে আহমদ)
নিশ্চয়ই আল্লাহ পাক আমার পরেই তোমাদেরকে শামের উপর বিজয় দান করবেন । উহার সীমানা হলো আরশী হতে ফোরাত পযর্ন্ত। সেখানকার নারী , পুরুষ এবং তাদের বংশধরগণ কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে রত থাকবে। সুতরাং তোমাদের যে কেহ শামের অথবা বায়তুল মোকাদ্দাসের কোন অঞ্চলে বসবাস করবে, সে কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদে লিপ্ত থাকবে। – আল হাদীস
☼ তোমরা ইহুদীদের বিপরীত কাজ করতে সেহ্‌রী খাও । যেহেতু ইহুদীরা রোজা রাখে কিন্তু সেহ্‌রী খায় না । সুতরাং যে সেহ্‌রী খেয়ে রোজা রাখবে সে ইহুদীদের সংখ্যা অনুপাতে সওয়াব লাভ করবে। – আল হাদীস
☼ মিতব্যয় জীবিকার অর্ধেক, উত্তম প্রশ্ন শিক্ষার অর্ধেক এবং লোকজনকে ভালবাসা জ্ঞানের অর্ধেক। – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ একদা রাসুলুল্লাহ (দঃ) এক যুবকের নিকট উপস্থিত হলেন । সেই সময় ঐ যুবক মুমূর্ষু অবস্থায় ছিল। তিনি যুবককে জিজ্ঞেস করলেন–‘‘তোমার অবস্থা কি ?’’ সে বলল–‘‘আল্লাহর নিকট থেকে ক্ষমার আশা করছি আবার পাপের কারণে ভয়ও পাইতেছি।’’ রাসুলে করীম (দঃ) বললেন–‘‘মৃত্যুর সময় যার মধ্যে এ দুটি জিনিস পাওয়া যায় আল্লাহ তার আশা পূরণ করবেন এবং তাকে ভয়-ভীতি থেকে নিরাপদ রাখবেন ।’’ – আল হাদীস
☼ তোমরা সাতটি বিষয়ের পূর্বে সৎকর্মের প্রতিযোগিতায় এগিয়ে থাকতে সচেষ্ট হও । তোমরা কি অপ্‌ক্েষায় আছো এমন কঠিন দারিদ্র্যের- যা সবকিছু ভুলিয়ে দেয় । এমন ধনী হওয়ার- যা দাম্ভিক বানিয়ে দেয় । এমন রোগের-যা জীবনের শানিত-শৃঙখলা বিনষ্ট করে দেয় । এমন বার্ধক্যের- যা জ্ঞান-বুদ্ধি লোপ করে দেয় । ঐ মৃত্যুর- যা সহসা দুয়ারে এসে হানা দেয় । অথবা দাজ্জালের- সে তো জঘন্য অপেক্ষার জিনিস কিংবা কেয়ামতের – যে কেয়ামত অতি ভয়ানক আর তিক্ততর। (তিরমিযী , হাকিম)
☼ যে কোন মুসলমানের জীবনে রোগ-শোক-দুঃখ-কষ্ট আসতে পারে, তার বিনিময়ে মহান আল্লাহ সেই ব্যক্তির পাপসমূহকে এমনভাবে দূর করে দেন, যেভাবে বৃক্ষ তার পাতাগুলি ঝরিয়ে থাকে । (বোখারী শরীফ, মুসলিম শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করবে, সে জাহান্নামেও একইভাবে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করতে থাকবে। যে অস্ত্র দিয়ে আত্মহত্যা করে, সে জাহান্নামেও এভাবে নিজেকে হত্যা করতে থাকবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা কি জান প্রতিবেশীর হক কি ? সে তোমার সাহায্য চাইলে তাকে অভয় দিবে। সে রোগাক্রানত হলে তার সেবা করবে। সে ঋণ চাইলে তাকে ঋণ দিবে। সে দরিদ্র হলে তাকে দান করবে। তার মৃত্যু হলে তার জানাযাতে যোগ দিবে । তার সুখবরে সন্তুষ্টি প্রকাশ করবে। তার অনুমতি ব্যতিত তোমার দালান এত উচুঁ করবে না যাতে বাতাসের অভাবে তার কষ্ট হয় । তার বিপদে সহানুভুতি প্রকাশ করবে। যখন কোন ফলমূল ক্রয় করবে, তা থেকে তাকে কিছু দিবে। অন্যথায় গোপনে ঘরে আনবে এবং তোমার সন্তানরা তার সন্তানদের বিরক্ত করতে যাতে বাইরে না যায় । (মেশকাত)
☼ সেই মহা বিশৃঙখলার পূর্বেই তোমরা সৎকর্ম করে নাও, যা ঘোর অমানিশার ন্যায় সবকিছুকে ছেয়ে ফেলবে। সকাল বেলার ঈমানদার সন্ধ্যা বেলায় কাফের, আবার সন্ধ্যা বেলার ঈমানদার সকাল বেলায় বেঈমান হয়ে যাবে। তারা পার্থিব তুচছ স্বার্থে ধর্ম বিক্রি করে দেবে। (মুসলিম, তিরমিযী , আহম্দ)
☼ (আল্লাহ্ বলেন) কেউ যদি আমার নির্ধারিত ভাগ্যলিপির উপর সন্তুষ্ট না হয় এবং বিপদে ধৈর্য ধারণ না করে তবে সে যেন আমি ছাড়া অন্য কাউকে প্রভু বানিয়ে নেয় । (মেশকাত)
☼ (আল্লাহ্ বলেন) আমি ছিলাম একটি গুপ্ত ভান্ডারস্বরূপ। অতঃপর আমি পরিচিত হওয়ার বাসনা করলাম । তাই সর্বপ্রথম এমন একজনকে সৃষ্টি করলাম যার নাম রাখলাম আমি ‘মোহাম্মদ’। (আল হাদীস)
☼ যে ব্যক্তিকে কোন বিষয় সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলো এবং সে ব্যক্তি বিষয়টি সম্পর্কে পূর্ণ অবগত, তথাপি সে তা গোপন করল; কিয়ামতের দিন উক্ত ব্যক্তির মুখে আগুনের লাগাম পরিয়ে দেওয়া হবে। – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি বড় ইদুর এক আঘাতে মেরে ফেলে তাহার জন্য একশত সওয়াব লেখা হয়, দুই আঘাতে মারলে সওয়াব কম এবং তিন আঘাতে মারলে সওয়াব আরও কম লেখা হয় । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা মমতাময়ী , অধিক সন্তানপ্রসবা নারীকে বিয়ে করো। কেননা আমি তোমাদের সংখ্যাধিক্য নিয়ে অন্যান্য উম্মতের ওপর গর্ব করবো। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি নিজের গোঁফ ছোট করে রাখে না, সে আমাদের দলভুক্ত নয় । -(নাসাঈ শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি কেবলমাত্র আমার জিয়ারতের উদ্দেশ্যে আমার নিকট আসে এবং এছাড়া তার অন্য কোন কাজ না থাকে, তবে কেয়ামতের দিন আমি তার জন্য সুপারিশকারী হব। – আল হাদীস
☼ যে মুমুর্ষূ ব্যক্তির শিয়রে সুরায়ে ইয়াসীন পাঠ করা হয়, আল্লাহ পাক তার মৃত্যু সহজ করে দেন । – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি শত্রুর সাথে লড়াই করেছে এবং তাতে অটল থাকা অবস্থায় নিহত বা বিজয়ী হয়েছে, তাকে কবরের আজাব দেয়া হবে না । -(নাসায়ী ,তিবরানী)
☼ তোমরা প্রস্রাব হতে পবিত্র থেকো, কারণ অধিকাংশ কবরের আজাব এই কারণে হয়ে থাকে । – আল হাদীস
☼ যে ধর্মীয় জ্ঞান দ্বারা মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন করা যায়, তা যদি কেহ ধন-দৌলত অর্জনের নিয়তে শিক্ষা করে, তবে সে বেহেশতের গন্ধও পাবে না । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ আল্লাহ পাক মমতাকে সৃষ্টি করিয়া ৯৯ ভাগ নিজের ব্যবহারের জন্য রেখেছেন এবং মাত্র একভাগ সৃষ্টিজগতে বিতরণ করেছেন । উহারই ফলশ্রুতিতে সৃষ্টিজগত পরস্পরের প্রতি দয়া-মায়া প্রদর্শন করিয়া থাকে । এমনকি একটি ঘোড়াও তার বাচচা পদতলে পিষ্ঠ হওয়ার আশংকায় পা উঠিয়ে রাখে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ কেয়ামতের দিন আল্লাহর নিকট সর্বাধিক নিকৃষ্ট মানুষ হবে সেই ব্যক্তি, যে স্বামী-স্ত্রীর গোপন কথা ফাঁস করে দেয় । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি বিনা কারণে তিনটি জুমুআর নামায ছেড়ে দেয়, তার নাম মুনাফিকদের তালিকায় লিপিবদ্ধ করা দেয়া হয় । – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ পরস্পর পরস্পরকে উপহার দিবে। কেননা উপহার হৃদয়ের ঈর্ষা দূর করে থাকে । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ ধিক্ ! তাদের প্রতি যারা টাকা-পয়সার গোলাম, পোষাক-পরিচেছদের গোলাম । এই সব পাইলেই খুশী আর না পাইলেই অসন্তুষ্ট। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমাদের মধ্যে কেহ যেন বিপদ-আপদে পতিত হয়ে নিজের মৃত্যু কামনা না করে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা ক্ষুধার্তকে খাদ্য দাও, অসুস্থকে দেখতে যাও এবং বন্দীকে মুক্ত করতে চেষ্টা কর। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি (দুঃখে) কপাল চাপড়ায়, গায়ের পোষাক ছিড়েঁ ফেলে এবং অন্ধকার যুগের ন্যায় হায় ! হায় !! করে, সে আমাদের দলভুক্ত নয় । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ আল্লাহ বলেন – বান্দার নিকট থেকে আমি যখন কোন প্রিয় বস্তু কেড়ে নেই তখন যদি সে পূণ্যের আশায় ধের্য্য ধারণ করে , তবে ইহার বিনিময়ে সে আমার নিকট থেকে জান্নাত পাবেই । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি কোন বিপদগ্রস’ মানুষের প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করল, সেও ঐ বিপদগ্রস’ ব্যক্তির ন্যায় সমান পুরষ্কার লাভ করবে । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ আল্লাহর রাসতায় একদিন একরাত ইসলামী রাষ্ট্রের সীমানা পাহাড়া দেওয়া এক মাস নফল রোজা রাখা এবং রাতে নফল নামায আদায়ের চাইতে উত্তম । দ্বায়িত্ব পালনরত অবস্থায় যদি সে মারা যায় তবে যে আমল সে করছিল তার সওয়াব অব্যাহত রাখা হবে এবং তার রিজিক অব্যাহত রাখা হবে। কবরের আজাব হতে তাকে মুক্তি দেওয়া হবে। – আল হাদীস
☼ জীবিকা অর্জনের দশভাগের নয়ভাগই ব্যবসা-বাণিজ্যের মধ্যে নিহিত আছে। (মিশকাত )
☼ তোমরা কবরস্থান পরিদর্শন কর, কেননা এটা পরকালের কথা স্মরণ করিয়ে দেয় । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ যার বয়স ষাট অতিক্রম করেছে, তার কোন অজুহাত আল্লাহর নিকট গৃহীত হবে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি ভাগ্যলিপি সম্পর্কে বিতর্ক করবে পরকালে তাকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি এ সম্পর্কে বিতর্ক করবে না তাকে সে সম্পর্কে প্রশ্ন করা হবে না । (মেশকাত)
☼ যে ব্যক্তি প্রতিদিন কুড়ি বার মৃত্যুকে স্মরণ করবে, তার হাশর হবে শহীদদের সাথে। – আল হাদীস
☼ তোমরা সেই মৎস আহার কর যা সাগর থেকে নিক্ষিপ্ত হয় কিংবা সাগরের পানি নেমে গেলে ধরা পড়ে। আর সে মৎস আহার করো না যা সাগরের পানিতে মরে ভেসে ওঠে। (আল হাদিস)
☼ জান্নাত বাসীগণ কেশবিহীন , দাঁড়িবিহীন ও সুরমা দেওয়া চক্ষুবিশিষ্ট ত্রিশ বা তেত্রিশ বৎসর বয়সী রূপে জান্নাতে প্রবেশ করবে। — আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)
☼ যার হাতের মুঠায় আমার জীবন তাঁর কসম , (পরকাল সম্পর্কে) আমি যা জানি তা যদি তোমরা জানতে, তবে কাঁদতে বেশী এবং হাসতে কম । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ স্বামী যখন সত্রীকে আহ্বান করে তখন তার সে ডাকে সারা দেওয়া উচিত যদিও সে রান্না ঘরে থাকে । – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
মানুষ তাহার দীর্ঘ আশা নিয়েই পড়ে থাকে কিন্তু সেই পর্যন- পৌঁছার পূর্বেই তার বিদায় ঘণ্টা বেজে ওঠে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ জলে এবং স’লে যেখানেই কোন সম্পদ বিনষ্ট হয়, তা হয়ে থাকে কেবল যাকাত আদায় না করার কারণে। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
অধিকাংশ লোক দুটি সম্পদ হেলায় হারিয়ে থাকে – (১) সুস্বাস’্য এবং (২) অবসর। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ কোন ব্যক্তি যেন তার ভাইয়ের বিয়ের প্রস্থাবের উপর প্রস্থাব না দেয় । যতক্ষণ পর্যন- না সে (অন্যত্র) বিয়ে করে নেয় কিংবা প্রস্থাব প্রত্যাহার করে নেয় । (বোখারী , মুসলিস)
☼ উপরের হাত নীচের হাতের চেয়ে উত্তম । (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি মক্কায় হজ্জ শেষে আমার উদ্দেশ্যে যাত্রা করে আমার মসজিদে আসে তার জন্য দুইটি মকবুল হজ্জের সওয়াব লিখিত হয় । – আল হাদীস
☼ নিশ্চয়ই আল্লাহ্ পাক দুনিয়ার রাত্রিসমূহকে শবে ক্বদরের রাত্রির দ্বারা সৌন্দর্যমন্ডিত করেছেন । – আল হাদীস
☼ প্রত্যেক জাতিরই একটি বিপদ রয়েছে। আমার উম্মতের বিপদ হলো ধন-সম্পদ। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আল্লাহ বলেন- মানুষ সময়কে গালি দিয়ে থাকে, অথচ আমিই হলাম সময় । দিন এবং রাত্রি আমারই নিয়ন্ত্রণে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি আমাকে এই প্রতিশ্রুতি দেবে যে, সে মানুষের কাছে কোন কিছুর জন্য হাত পাতবে না, আমি তাকে বেহেশতের প্রতিশ্রুতি দিব। (আবু দাউদ , নাসায়ী )
☼ আত্মীয়তার সমর্কে ছিনকোরী বেহেশতে প্রবেশ করবে না । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ মানুষ এক টুকরা রুটি দান করে আর আল্লাহর নিকট তা বৃদ্ধি পেয়ে উহুদ পাহাড় সমান হয়ে যায় । (মুসলিম )
☼ কেহ যেন অপরকে কাফের ও ফাসেক না বলে। কেননা যাকে বলা হল সে যদি তা না হয়, তবে তা নিজের উপর ফিরে আসবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ হে ঈমানদারগণ ! তোমরা সেহ্‌রী খাও । কেননা এই পানাহারের কোনো হিসাব দিতে হবে না । – আল হাদীস
☼ তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা এই সম্পর্কে (ভাগ্য) বিতর্কে লিপ্ত হয়ে ধ্বংস হয়ে গেছে। আমি তোমাদেরকে কসম দিয়ে বলছি, আবারো কসম দিয়ে বলছি, এ বিষয়ে তোমরা কখনো বিতর্কে লিপ্ত হইও না । (মেশকাত)
☼ মানুষ বুড়ো হয় কিন্তু তার দুটো জিনিসের যৌবন থাকে – সম্পদের লোভ এবং বাঁচার লোভ। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ মানুষ তার বন্ধুর ধর্মের ওপর প্রতিষ্টিত। -(আল হাদিস)
☼ জাহান্নামীদের মুখমন্ডল কালো এবং চক্ষু অন্ধ হবে। তাদের মাথা পাহাড়ের মতো বিশাল, শরীর কামারের ফাপরের ন্যায় বিশ্রী, চক্ষুদ্বয় টিলার ন্যায় উচচ এবং চুল বাঁশ ঝাড়ের মত হবে। তারা জাহান্নামে থাকবে না জীবিত না মৃত অবস্থায় । তাদের শরীর সত্তরটি চামড়ায় ঢাকা থাকবে এবং প্রত্যেক দুই চামড়ার মধ্যে সত্তর স্তর আগুন থাকবে। -(আল হাদিস)
☼ সাত প্রকার লোককে মহান আল্লাহ সেদিন তাঁর আরশের ছায়ায় স্থান দিবেন, যেদিন তাঁর ছায়া ভিন্ন কোন ছায়াই থাকবে না ঃ- (১) ন্যায় পরায়ণ শাসক , (২) যে যুবক বয়স থেকে আল্লাহর ইবাদতে লিপ্ত , (৩) সে-ই ব্যক্তি যার হৃদয় মসজিদের সাথে মিশে আছে , (৪) এমন দুই ব্যক্তি যারা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যে পরস্পরকে ভালবাসে , (৫) সে-ই ব্যক্তি যাকে সম্ভ্রান- সুন্দরী কোন মহিলা ব্যভিচারের আহ্বান জানালে সে বলে যে, আমি আল্লাহকে ভয় করি , (৬) এমন দানশীল ব্যক্তি যার বাম হাত জানে না তার ডান হাত কি দান করল এবং (৭) সে-ই ব্যক্তি যে একাকী নির্জনে বসে আল্লাহর ভয়ে অশ্রুপাত করে। – আল হাদীস (বোখারী রীফ)
☼ মৃত ব্যক্তির গুণাবলী নিয়ে আলোচনা করিও এবং দোষসমূহের ব্যাপারে চুপ করে থেকো। – আল হাদীস
☼ মৃত্যুর পর সব মানুষই আফসোস করে। মৃত ব্যক্তি যদি পুণ্যবান হয় তবে আফসোস করবে যে কেন আরো বেশী পুণ্যের কাজ করলাম না । পক্ষান্তরে যদি পাপী হয় তবে আফসোস করবে কেন পাপের কাজে বিরত থাকলাম না । – আল হাদীস
☼ সুদ খাওয়ার মধ্যে সত্তরটি গুণাহ রয়েছে। ইহার মধ্যে সবচেয়ে ছোট গুণাহটি হল নিজের মায়ের সাথে ব্যভিচার করার সমতুল্য। (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ , ইবনে মাজাহ )
☼ আমার উম্মতের সবাই বেহেশতে যাবে কিন্তু যে অস্বীকার করেছে সে ছাড়া। জিজ্ঞাসা করা হলো, ‘কে আপনাকে অস্বীকার করেছে’ ? তিনি বললেন, যে আমাকে অনুসরণ করেছে, সে বেহেশতে যাবে আর যে আমার অবাধ্যতা করেছে, সে ব্যক্তি আমাকে অস্বীকার করেছে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ আবু মাসউদ! এই দাসের ওপর তোমার যতটুকু অধিকার আছে তোমার ওপরও তোমার মালিকের (আল্লাহর) তারচেয়ে অনেক বেশী অধিকার আছে। (আল হাদীস)
☼ জিব্রাঈল (আঃ) আমাকে প্রতিবেশীর অধিকার সম্পর্কে এত বেশী তাগিদ করতে লাগলেন যে, আমার আশংকা হইতে লাগল হয়তো প্রতিবেশীকে আমার উত্তরাধিকারী গণ্য করা হইবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ কোনো লোক যখন বিয়ে করল সে তার ধর্মকর্মের অর্ধেকটাই পূর্ণ করল। অতএব সে যেন বাকী অর্ধেকের ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করে। – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি ইচছাকৃত ভাবে নিজের পিতার পরিবর্তে অন্যকে পিতা বানায়, তার জন্যে জান্নাত হারাম । -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ জিমাম ইবনে সালাবা (রাঃ) রাসুলুল্লাহ (দঃ)-কে বললেন, আপনার প্রতিনিধি বলছেন যে, আমাদের সমপদের যাকাত দিতে হবে। রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, সে সত্য বলেছে। তখন উক্ত সাহাবী বললেন, যে আল্লাহ্ আপনাকে রাসুলরূপে প্রেরণ করেছেন তাঁর কসম দিয়ে বলছি, আল্লাহ্ কি আপনাকে এই নির্দেশ দিয়েছেন ? রাসুলুল্লাহ্ (দঃ) বললেন , হ্যাঁ। – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ পাপিষ্ট ব্যক্তির লাশ যখন আত্মীয়-স্বজনরা কবরস্থানের দিকে নিয়ে যাইতে থাকে তখন সে চিৎকার করে বলতে থাকে-“হায় ! হায় !! তোমরা আমাকে কোথায় নিয়ে যাচেছা ?’’ তার এই আওয়াজ মানুষ ভিন্ন সকলেই শুনতে পায় । মানুষরা যদি শুনতে পেত তবে তারা বেহুঁশ হয়ে পড়ত। – আল হাদীস
☼ পৃথিবীতে যে খ্যাতি ও গৌরবের নিমিত্তে পোষাক পরিধান করবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ্ তাকে অপমান এবং লাঞ্ছনার পোষাক পড়াবেন । -(ইবনে মাজাহ শরীফ)
☼ সত্য মানুষকে মুক্তি দেয় আর মিথ্যা মানুষকে ধ্বংস করে। (আল হাদিস)
☼ পরকালের জন্যে প্রার্থিব আরাম-আয়েশ ত্যাগ কর, আল্লাহ তোমাকে ভালবাসবেন । মানুষের নিকট যাকিছু আছে তার প্রতি নির্লোভ হও, মানুষ তোমাকে ভালবাসবে। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ যে ব্যক্তি পবিত্র অবস্থায় আল্লাহর সাথে সাক্ষাত করতে ইচছুক, সে যেন কোনো মুক্ত নারীর সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয় । -(ইবনে মাজাহ শরীফ)
☼ জান্নাতবাসী পুরুষদেরকে অত্যধিক সঙ্গম শক্তি প্রদান করা হবে। প্রত্যেক ব্যক্তিকে একশত পুরুষের শক্তি দান করা হবে। তাদের যৌবন কখনও শেষ হবে না এবং কাপড়ও পুরনো হবে না । — আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)
☼ দান সম্পদকে হ্রাস করে না, ক্ষমার দ্বারা আল্লাহ কেবল মানুষের সম্মানই বৃদ্ধি করেন, কেউ বিনয় অবলম্বন করলে আল্লাহ তার মর্যাদা উন্নত করেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ যার সৎ কাজ তাকে আনন্দ দেয় এবং অসৎ কাজ তাকে পীড়া দেয়, তবে সেই ব্যক্তি প্রকৃত মু’মিন । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ যে বিবাহ অনুষ্ঠানে কেবল ধনীদেরকে নিমন্ত্রণ করা হয় অথচ গরীব-নিঃস্বদেরকে নিমন্ত্রণ করা হয় না, তা হলো সর্ব নিকৃষ্ট । যে ব্যক্তি নিমন্ত্রণ গ্রহণ করের না অথবা নিমন্ত্রণে যায় না, সে আল্লাহ ও তার রাসুলের অবাধ্য। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ কেয়ামতের দিন এক ব্যক্তিকে আল্লাহর সম্মুখে হাজির করা হবে যার পাপের পরিমাণ পূণ্যের চাইতে অধিক হবে। এই কারণে তাকে জাহান্নামে নিক্ষেপের হুকুম দেওয়া হবে। আল্লাহ পাক তখন হযরত জিব্রাঈল (আঃ) কে বলবেন, “হে জিব্রাঈল ! তাকে জিজ্ঞেস কর, সে কি কোন আলেমের মজলিসে বসেছিল ? তবে তাকে আলেমের সুপারিশে মাফ করে দেব।’’ তাকে জিজ্ঞেস করলে সে জবাবে বলবে যে সে কোন দিন বসে নাই । হযরত জিব্রাঈল (আঃ) বলবেন, “হে আল্লাহ ! তোমার বান্দা সম্পর্কে তুমিই ভাল জান ।’’ আল্লাহ পাক আবার বলবেন, “তাকে জিজ্ঞাসা করো, কোনো আলেমের সাথে সে ভালবাসা রেখেছিল কিনা ?’’ বান্দা বলবে, না রাখেনি। আবার জিজ্ঞেস করা হবে, “সে কি কোনো আলেমের সাথে বসে আহার করেছিল ?’’ বান্দা উত্তরে বলবে, না । পুণরায় তাকে জিজ্ঞেস করা হবে, “সে কি কোনো আলেমের গৃহে বাস করেছে ?’’ বান্দা উত্তর করবে, না । তাকে আবার জিজ্ঞাসা করা হবে, “সে কি কোন আলেমের নামে তার ছেলের নাম রেখেছিল” ? তাতেও তাকে মাফ করে দিব।’’ তাও পাওয়া যাবে না । আবারো জিজ্ঞেস করা হবে, “সে কি এমন কোন লোককে ভালবেসেছে যে কিনা কোনো আলেমকে ভালবাস্ত ?’’ এবার বান্দা জবাবে বলবে , হ্যাঁ। তখন আল্লাহ নির্দেশ দিবেন, “তাকে জান্নাতে পৌছে দাও । কারণ দুনিয়াতে সে আলেমের প্রিয়পাত্রকে ভালবেসেছে।’’ – আল হাদীস
☼ তখনই কেয়ামত হবে যখন পৃথিবীতে আল্লাহ্ আল্লাহ্ বলার মতো কোন লোক থাকবে না । – আল হাদীস
☼ দুনিয়াতে উত্তম পরহেজগারী হলো মৃত্যুকে স্মরণ করা আর উত্তম ইবাদত হলো পরকালের চিন্তা করা। মৃত্যুর চিন্তা যেই ব্যক্তিকে পেরেশান করে ফেলে, সে তার কবরকে বেহেশতের একটি বাগানরূপে দেখতে পাবে। – আল হাদীস
☼ এক সাহাবী জিজ্ঞাসা করল, ইয়া রাসুলুল্লাহ (দঃ) ! আমাদের ওপর আমাদের সত্রীদের কি কি অধিকার রয়েছে ? জওয়াবে রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, তুমি যা খাবে তাকেও তা খেতে দেবে, তুমি যা পড়বে তাকেও তা পড়তে দেবে, তার মুখের ওপর প্রহার করবে না, অশ্লীল গালি দেবে না এবং অন্য ঘরে থাকতে বাধ্য করবে না । -(আবু দাউদ শরীফ)
☼ তিনটি দোয়া রয়েছে যার গৃহীত হওয়ার ব্যাপারে কোন সন্দেহের অবকাশ নেই- (১) পিতার দোয়া , (২) মুসাফিরের দোয়া , (৩) নির্যাতিতের দোয়া । (তিরমিযী , আবু দাউদ)
☼ যে ব্যক্তি প্রত্যেক ফরজ নামাযের পর আয়াতুল কুরসী পড়ে থাকে, আল্লাহ তাকে কৃতজ্ঞ অন-করণ দান করবেন, সিদ্দিকদের ন্যায় আমল করার তওফিক দিবেন, নবীদের ন্যায় সওয়াব দিবেন, তার ওপর স্বীয় রহমত বর্ষণ করবেন আর জান্নাতে প্রবেশের ক্ষেত্রে তার একমাত্র বাঁধা হলো মৃত্যু। – আল হাদীস
☼ হে আল্লাহ ! আমাকে অভাবী জীবন দান কর , দরিদ্র অবস্থায় আমার মৃত্যু দান কর এবং গরীবদের সাথে আমার হাশর কর । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ দান-খয়রাত আল্লাহর ক্রোধকে প্রশমিত করে এবং অপমৃত্যু রহিত করে । – আল হাদীস (তিরমিযী) ☼
☼ যে ব্যক্তি ইসলামে উত্তম রীতি-নীতির প্রবর্তন করবে, সে তার সওয়াব তো পাবেই অধিকন্তু তা যারা পালন করবে তাদের সওয়াবেরও একটা অংশ তাকে প্রদান করা হবে। যদিও তাতে আমলকারীদের সওয়াব একটুও হ্রাস করা হবে না । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ প্রত্যেকটি ঝণ-ই একটি দানস্বরূপ। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ হাশরের দিন অহঙ্কারী লোকদেরকে পিপিলিকার আকৃতিতে তৈরী করা হবে। সর্বপ্রকার অপমান ও লাঞ্ছনা তাদেরকে ঘিরে ফেলবে এবং তাদেরকে জাহান্নামের বাওলাস কয়েদখানার দিকে হাঁকিয়ে নেওয়া হবে। তখন লেলিহান অগ্নিশিখা তাদেরকে ঢেকে ফেলবে আর তাদেরকে জাহান্নামীদের দেহ নির্গত গলিত পদার্থ পান করানো হবে যাকে ভিনাতুল খাব্বাল বলা হয় । -(মিশকাত শরীফ)
☼ উর্ধ্ব গমনের রাত্রে আমি জান্নাতে এই বাণীটি লিখা দেখেছি ঃ দানের পুরষ্কার দশ গুণ আর ঋণদানের পুরষ্কার আঠার গুণ । (ইবনে মাজাহ , বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ হে ঈমানদারগণ ! তোমরা সেহ্‌রী খাও । কেননা, সেহরীর প্রতি লোকমার পরিবর্তে আল্লাহ্ পাক এক বৎসরের ইবাদতের সওয়াব দান করবেন । – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি অন্য কোনো জাতির অনুসরণ করবে, সে তাদেরই দলভুক্তরূপে গণ্য হবে। -(আবু দাউদ শরীফ)
☼ কোন মহিলাকে বিয়ে করার পূর্বে চারটি বিষয় বিবেচনা করা উচিত- তাহার ধন-সম্পদ, তাহার সৌন্দর্য, তাহার বংশ এবং তাহার ধর্মপরায়ণতা। তোমার ধার্মিক মহিলাই বিয়ে করা উচিত, অন্যথায় তুমি ক্ষতিগ্রস্থ হবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যখন অযোগ্য ব্যক্তিকে দায়িত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হবে তখন কেয়ামতের অপেক্ষা করো। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ প্রশাসনিক কাজে ঘুষ গ্রহন কুফরী সমতুল্য। (আল হাদিস)
☼ মৃত্যুকে বেশী বেশী স্মরণ কর। কেননা এতে গোনাহ সাফ হয়ে যায় এবং দুনিয়ার লোভ কমে যায় । মৃত্যুকে যদি সুখের সময় স্মরণ কর তবে মৃত্যু তোমাকে গোনাহ থেকে বাঁচাবে আর যদি অভাবের দিনে স্মরণ কর তবে মৃত্যু তোমাকে অল্পে তুষ্ট থাকায় অভ্যস্থ করে দিবে। – আল হাদীস
☼ মানুষের কাছে যদি সম্পদের দুটো পাহাড় থাকে তাহলেও সে তৃতীয় আরেকটা চাইবে। (কবরের) মাটি ছাড়া অন্য কিছুতে মানুষের পেট ভরতে পারবে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ দরিদ্রকে দান করা কেবলই দান । আর আত্মীয়কে দান করলে তার মধ্যে দু’টি দিক থাকে ঃ- দান এবং আত্মীয়তার অধিকার আদায় । (মুসনাদে আহমদ , তিরমিযী)
☼ যে ব্যক্তি হজ্জ করল এবং আমার মৃত্যুর পর আমার রওজা জিয়ারত করল, সে যেন জীবদ্দশাতেই আমার সাথে সাক্ষাত করল। – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
☼ বুদ্ধিমান ঐ ব্যক্তি যে নিজের প্রবৃত্তিকে শরীয়তের অনুগত করে রেখেছে এবং প্রবৃত্তির কাছ থেকে জবাবদিহি আদায় করে আর এমন কাজ করে যা মৃত্যুর পরে কাজে আসবে। পক্ষান্তরে বেকুব ঐ ব্যক্তি যে নিজের খেয়াল-খুশী মতো চলেও আল্লাহর কাছ থেকে পুরষ্কারের আশা করে। – আল হাদীস
☼ পরিচছন্ন্তা ঈমানের অর্ধেক। (মেশকাত)
☼ সেদিন তোমাদের আনন্দের সীমা থাকবে না যেদিন ঈসা (আঃ) আকাশ থেকে নেমে আসবেন আর তোমাদের নেতা তোমাদের ভেতর থেকেই একজন হবেন । (- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ পাঁচটি অবস্থার পূর্বে অন্য পাঁচটি বিষয়ের সদ্ব্যবহার করো – তোমার বার্ধক্যের পূর্বে তোমার যৌবনের, তোমার অসুস্থতার পূর্বে তোমার সুস্থতার, তোমার অভাবের পূর্বে তোমার স্বচছলতার, তোমার ব্যস্থতার পূর্বে তোমার অবসরের এবং তোমার মৃত্যুর পূর্বে তোমার জীবনের। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ সবচেয়ে বরকতময় বিয়ে হচেছ সেই বিয়ে, যাতে খরচ খুব কম করা হয়ে থাকে । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি অবৈধ সম্পদ অর্জন করে দান করে দিল তাতে তার কোন পূণ্য হবে না । বরং ইহার পাপ তার উপর-ই বর্তাবে। (ইবনে খোজায়মা)
☼ কেয়ামতের দিন মানুষকে যখন একটি ময়দানে একত্রিত করা হবে তখন একজন ঘোষক ঘোষনা করবেন – সেই সব লোক কোথায় যারা আরামের বিছানা থেকে নিজেদের পৃষ্টকে পৃথক করে রেখেছিল ? তখন অল্প কিছু লোক উঠে দাড়াবে এবং তারা বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। তারপর বাকী লোকদেরকে জওয়াবদিহি করার নির্দেশ দেওয়া হবে। – আল হাদীস
☼ তোমরা তোমাদের পিতা-মাতার সাথে ভাল ব্যবহার কর, তাহলে তোমাদের সন-ানরা তোমাদের সাথে ভাল আচরণ করবে। তোমরা সৎচরিত্রের উপর প্রতিষ্টিত থাক, তাহলে তোমাদের স্ত্রীরাও তাদের সতিত্ব রক্ষা করে চলবে। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ এক ব্যক্তি জিজ্ঞাসা করল -‘‘হে আল্লাহর রসুল! অধীনস’দের কত বার ক্ষমা করব ?’’ নবী করিম (দঃ) কিছুক্ষণ নীরব রইলেন । পূণরায় জিজ্ঞাসা করলে বললেন – ‘‘প্রতিদিন অন-ত সত্তর বার।’’ – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ তোমাদের কেউ নিদ্রা থেকে ওঠে তিনবার হাত না ধুয়ে পানির পাত্রে হাত প্রবেশ করাবে না । কেননা নিদ্রিত অবস্থায় তার হাত কোথায় ছিল তা তার জানা নাই । (মেশকাত)
☼ বিধবা নারী এবং দরিদ্রদের জন্যে উপার্জনকারী ব্যক্তি আল্লাহর পথে জিহাদরত ব্যক্তির ন্যায় । (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ বেহেশতের অধিবাসীরা কোন জিনিসের ব্যাপারেই আফসোস করবে না কেবল সেই মুহূর্তটির জন্য যা আল্লাহকে স্মরণ ছাড়াই অতিবাহিত হয়েছে। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ একজন ধর্মশাসেত্র জ্ঞানী ব্যক্তি শয়তানের মোকাবেলায় একহাজার (জ্ঞানহীন) ইবাদতকারী অপেক্ষা অধিক শক্তিশালী। — আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ আমার উম্মতের আলেমগণ বনী ইসরাঈলের নবীদের সমতুল্য। (আল হাদীস)
☼ তোমরা জিহাদ কর, গনীমত ও প্রাচুর্য লাভ করবে। রোজা রাখ, সুস্থ থাকবে। (বিদেশ) ভ্রমণ কর, ধন-দৌলতের অধিকারী হবে। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ একদা সকালে মহানবী (দঃ) হযরত ফাতেমা (রাঃ)-এর ঘরের পাশ দিয়ে যাচিছলেন এমন সময় হযরত হুসাইন (রাঃ)-এর ক্রন্দনের আওয়াজ তাঁর কানে এলো। বিষয়টি তাঁর পছন্দ হলো না । তিনি ফাতেমাকে তিরস্কারের সুরে বললেন, তুমি কি জান না যে, তাঁর ক্রন্দন আমাকে কষ্ট দেয় । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ যারা চলাচলের পথকে নোংরা করে, আল্লাহ তাদের পছন্দ করেন না । (আল হাদীস)
☼ যে ব্যক্তি নিজের ধর্ম পরিবর্তন করে ফেলে, তাকে তোমরা হত্যা করে ফেল। – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ মুনকার-নকীরের প্রশ্নের জবাবে কাফের ব্যক্তি যখন বলে যে, হায় ! হায় ! আমি জানি না ; তখন অদৃশ্য হতে বলা হয় যে–সে মিথ্যা বলছে, তার নীচে আগুন বিছিয়ে দাও, তাকে আগুনের শিকল পরিয়ে দাও এবং তার দিকে জাহান্নামের একটি জানালা খুলে দাও । অতঃপর জানালা খুলে দেওয়া হয় আর তা দিয়ে জাহান্নামের উত্তাপ আসতে থাকে । কবর এত ছোট করে দেওয়া হয় যে তার পাঁজরের একদিকের হাড় অন্যদিকে ঢুকে যায় । তাকে শাস্তি দেওয়ার নিমিত্তে তখন অন্ধ ও বধির ফেরেশতা নিযুক্ত করা হয় । তাদের হাতে থাকে লোহার মুগুর যার দ্বারা কোন পাহাড়কে আঘাত করলেও তা মাটির সাথে মিশে যেত। সেই মুগুর দিয়ে একবার আঘাতের ফলে কাফের ব্যক্তির গগণবিদারী চিৎকার পূর্ব হতে পশ্চিম পযর্ন্ত জ্বীন ও মানুষ ব্যতিত সবাই শুনত পায় । একবার মাটিতে মিশে গেলে পুণরায় তাকে জীবিত করা হবে। – আল হাদীস
☼ ব্যবসায়ীদেরকে কেয়ামতের দিন পাপিষ্টরূপে উপস্থিত করা হবে, তবে যারা আল্লাহভীতি, ন্যায় এবং স্ততা অবলম্বন করে (তারা ব্যতিত) । {ইবনে মাজাহ , তিরমিযী}
☼ রোজা এবং কুরআন বান্দার জন্য সুপারিশ করবে। রোজা বলবে, হে প্রভু ! আমি তাকে দিনের বেলা পানাহার ও যৌনাচার থেকে বিরত রেখেছি। তার সম্পর্কে আমার সুপারিশ গ্রহন করুন । কুরআন বলবে, আমি তাকে রাতের নিদ্রা থেকে বিরত রেখেছি। তার সম্পর্কে আমার সুপারিশ কবুল করুন । তখন উভয়ের সুপারিশ গ্রহন করা হবে। – আল হাদীস
অত্যাচারী শাসকের সামনে সত্য কথা বলা সর্বোত্তম জিহাদ । (আবু দাউদ , তিরমিযী)
☼ যদি আমার উম্মতের জন্য কষ্টকর না হতো তবে প্রত্যেক নামাযের সময় আমি দাঁতমাজা বাধ্যতামুলক করে দিতাম । (মা’রিফুস সুনান)
☼ যে ব্যক্তি রোজা রেখে মিথ্যা কথা বলা ও পাপ কাজ ছাড়তে পারল না, তার উপবাসে আল্লাহর কোন প্রয়োজন নেই । – আল হাদীস (বোখারী রীফ)
☼ যে ব্যক্তি শবে ক্বদরের রাত পাবে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার মর্যাদা অত্যধিক বৃদ্ধি করে দেবেন । – আল হাদীস
☼ কোন মুসলমান অন্য মুসলমানকে বসত্র দান করলে যে পযর্ন্ত তার শরীরে ঐ বসেত্রর কিছু অংশও অবশিষ্ট থাকবে সে পযর্ন্ত দাতা আল্লাহপাকের হেফাজতে থাকে । (আল হাদীস)
☼ তোমরা সাতটি ধ্বংসাত্বক পাপের কাজ থেকে দূরে থাকবে। তা হলো–(১) আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করা (২) যাদু শেখা এবং প্রয়োগ করা (৩) কাউকে অন্যায় ভাবে হত্যা করা (৪) সূদ খাওয়া (৫) ইয়াতীমের সমপদ আত্মসাৎ করা (৬) জিহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা এবং (৭) সতী নারীর উপর মিথ্যা অপবাদ দেওয়া। – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ নারী জাতিকে পাঁজরের হাড় দিয়ে তেরী করা হয়েছে। তাই তাদের স্বভাব কখনও সম্পূর্ণ সোজা হবে না । সুতরাং তাদের দ্বারা যদি তুমি উপকৃত হতে চাও, তাহলে কিছুটা বক্রতাকে স্বীকার করেই উপকৃত হতে হবে। আর তুমি যদি তাদেরকে সম্পূর্ণ সোজা করতে চাও, তাহলে তাদেরকে ভেঙ্গে ফেলবে। আর ভেঙ্গে ফেলার অর্থ হলো বিবাহ-বিচেছদ। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি (মানুষকে কষ্ট দেওয়ার জন্যে ভোগ্যপণ্য) গুদামজাত করে রাখে, সে পাপিষ্ট। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ যে নীরব থাকে সে মুক্তি পায় । (মুসনাদে আহমদ , তিরমিযী)
☼ নামাযের চাবি হলো পবিত্রতা। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ নবী-রাসুলদের সুন্নাত হলো চারটি ঃ- লজ্জাবোধ করা, সুগন্ধি ব্যবহার করা, মেসওয়াক করা এবং বিবাহ করা। — আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)
☼ তিনটি অভিশাপ যোগ্য কাজ থেকে বিরত থাকবে, যথা- পানির ঘাটে, চলাচলের পথে এবং বৃক্ষের ছায়ায় মল-মুত্র ত্যাগ করা। (মেশকাত)
☼ যে ব্যক্তি বিয়ে করার সামর্থ রাখে সে যেন বিয়ে করে নেয় । কেননা এটা দৃষ্টিকে নিরাপদ রাখে আর লজ্জাস্থানকে পবিত্র রাখে। আর যে বিয়ে করতে অক্ষম সে যেন রোজা রাখে। কেননা রোজা তার কুপ্রবৃত্তিকে নিয়ন্ত্রণকারীস্বরূপ। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি আমার কবর জিয়ারত করল, তার জন্য সুপারিশ আমার জন্য অত্যাবশ্যক হয়ে যায় । (ইবনে খোযায়মা)
☼ কোন পিতা তার সন-ানকে উন্নত নৈতিক শিক্ষা দানের চাইতে উত্তম কোন জিনিস দান করতে পারে না । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ সেই বিয়ে সর্বাপেক্ষা কল্যাণকর যাতে খরচ কম হয়ে থাকে । -(বায়হাকী শরীফ ‍ঃ শরীফ)
☼ যখন কোনো মুসলমান অজু করে আর সে তার মুখ ধোয় তখন অজুর পানির ফোটার সাথে সাথে তার চেহারা থেকে সব গুনাহ ঝরে যায় যেগুলো সে দুইচোখ দিয়ে করেছিল। যখন সে তার দুইহাত ধৌত করে, তখন অজুর পানির ফোটার সাথে সাথে তার হাত থেকে সব গুনাহ ঝরে যায় যেগুলো সে দুইহাত দিয়ে করেছিল। এভাবে শেষ পযর্ন্ত সে তার সমস্ত গুনাহ্ থেকে পবিত্র হয়ে যায় । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ তোমরা সকাল সকাল জীবিকার সন্ধানে বেরিয়ে যাও । কেননা, সকালে গৃহ ত্যাগ করা সৌভাগ্য এবং সাফল্যের লক্ষণস্বরূপ । (তিবরানী , মুসনাদে বাযযার)
☼ যে ব্যক্তি মিথ্যা শপথ করে কোন মুসলমানকে অধিকার বঞ্চিত করবে, আল্লাহ তার জন্য জাহান্নাম অবধারিত এবং জান্নাত নিষিদ্ধ করে দেবেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমাদের মধ্যে সেই ব্যক্তিই উত্তম যে তার সত্রীর নিকট উত্তম । — আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি কোরআন পড়ল এবং একে মেনে চলল, কেয়ামতের দিন তার পিতা-মাতাকে এমন মুকুট পড়িয়ে দেয়া হবে যার উজ্জ্বল্য সূর্যের আলোর চাইতে বেশী হবে। সুতরাং যে ব্যক্তি স্বয়ং কোরআন মেনে চলল, তাঁর ব্যাপারে তোমাদের কি ধারণা ? (আবু দাউদ)
☼ যে ব্যক্তি বিশুদ্ধ নিয়তে এবং ঈমানদারির সাথে সওয়াবের উদ্দেশ্যে এতেকাফ করবে, তার পূর্ববর্তী সকল গুনাহ মার্জনা করে দেওয়া হবে। -(দায়লামী)
☼ আমার উম্মতের একটি দল সত্য ও ন্যায় প্রতিষ্টার লক্ষ্যে কেয়ামত পযর্ন্ত জিহাদরত থাকবে। শেষ পযর্ন্ত ঈসা ইবনে মরিয়ম আকাশ থেকে নেমে আসবেন । কিন্তু আল্লাহ্‌পাক এই উম্মতকে যে মর্যাদা এবং শ্রেষ্টত্ব দান করেছেন, সেই কারণেই নেতৃত্ব এই উম্মতেরই একজনের হাতে থাকবে। হযরত ঈসা (আঃ) কেবলমাত্র এই উম্মতকে সাহায্য-সহযোগিতা করবেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ ন্যায় পরায়ণ ব্যবসায়ীরা নবী, সিদ্দিক এবং শহীদদের সাথে (স্বর্গে) থাকবে। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ সে জাতি কখনো সাফল্য লাভ করতে পারে না যারা তাদের নেতৃত্ব কোন মহিলার হাতে তুলে দিয়েছে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি জেনে শুনে চুরির মাল ক্রয় করল, সে তার লাঞ্ছনা এবং পাপের অংশীদার হয়ে গেল। – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি ক্রেতাকে না জানিয়ে কোন ত্রুটিযুক্ত জিনিস বিক্রি করল, সে সর্বদা আল্লাহর ক্রোধে নিপতিত থাকবে। – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ নবী করীম (দঃ) দু’টি কবরের পাশ দিয়ে যাচিছলেন এমন সময় বললেন ঃ এই দু’জন মৃতব্যক্তিকে শাস্তি দেওয়া হচেছ , কোন কঠিন পাপের জন্য নয় । এদের মধ্যকার একজন প্রস্রাব করার পর ভালো ভাবে পবিত্র হতো না । (মেশকাত)
☼ তোমরা শ্রমিকের ঘাম শুকানোর পূর্বেই তার পারিশ্রমিক দিয়ে দাও । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি মিতব্যয়িতা অবলম্বন করবে আল্লাহ তাকে ধনী করে দেবেন, যে ব্যক্তি অপব্যয় করবে আল্লাহ তাকে দরিদ্র বানিয়ে দেবেন, যে ব্যক্তি নম্রতা অবলম্বন করবে আল্লাহ তার মর্যাদা বৃদ্ধি করে দেবেন এবং যে ব্যক্তি অহংকার করবে আল্লাহ তাকে লাঞ্ছিত করে দেবেন । (কানযুল উম্মাল)
☼ রাসুলুল্লাহ (দঃ) নিজের ইচেছ মতো কিছুই বলেন না ; তিনি তা-ই বলেন যা তাঁর ওপর প্রত্যাদেশ করা হয় । (আল হাদিস)
☼ মানুষ যখন ঝণ গ্রস্থ হয়ে পড়ে তখন কথা বললে মিথ্যা বলে এবং ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ পাপ কম কর, আরামে মরতে পারবে। ঋণ কম কর, স্বাধীন্তা এবং সম্মান নিয়ে বাঁচতে পারবে। ( বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা নারীদেরকে কেবল দৈহিক সৌন্দর্যের কারণে বিয়ে করো না । কেননা তাদের এই সৌন্দর্যই হয়তো তাদের ধ্বংসের কারণ হতে পারে। তাদের ধন-সম্পদ দেখেও তাদের বিয়ে করো না । কারণ, এই ধন-সম্পদই হয়তো তাদেরকে অবাধ্য এবং দাম্ভিক বানিয়ে ফেলতে পাবে। বরং তোমরা ধর্মভীরুতা দেখে বিয়ে করো। – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ যদি কেউ মৃত্যুর সময় কোন সম্পদ রেখে যায়, সেটা তার উত্তরাধিকারীরা পাবে। আর যদি কেউ ঋণ রেখে মৃত্যু বরণ করে, তবে তার দ্বায়িত্ব আমার (রাষ্ট্রপতির)। -(আবু দাউদ শরীফ)
☼ আমার উম্মতের মধ্যে যার দু’টি সন্তান মারা যাবে আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করবেন । হযরত আয়েশা সিদ্দিকা (রাঃ) জিজ্ঞাসা করলেন, যদি কারো একটি মারা যায়? তিনি বললেন, একটি হলেও । – আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি অজু করার সময় দুরূদ শরীফ পাঠ করবে না, তার অজু পরিপূর্ণ হবে না । – (আল হাদীস)
☼ যার ঘরে কোন কন্যা সন-ান জন্ম গ্রহন করল আর সে তাকে কষ্ট দিল না, অপমান করল না এবং পুত্রদেরকে তার উপর প্রাধান্য দিল না, ইহার বদলে আল্লাহ তাকে জান্নাতে স্থান দিবেন । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ আল্লাহ তোমাদের শরীরের আকৃতি এবং ধন-দৌলতের প্রতি দৃষ্টিপাত করেন না । বরং তিনি দেখেন তোমাদের অন-র এবং তোমাদের কর্মকে । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ কোন বিচারক যেন ক্রুদ্ধ অবস্থায় দুই ব্যক্তির মধ্যে ফায়সালা না দেয় । (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ যখন কোন ব্যক্তি অনতর থেকে “আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রভু নাই” বলে, তার জন্যে আকাশের দরজাসমূহ খুলে যায়, এমন কি আরশ পযর্ন্ত পৌছে যায়, যতক্ষণ পযর্ন্ত সে মহাপাপ থেকে বিরত থাকে । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ যার অন-করণে কোরআনের কোন অংশ নেই, তা একটি ভুতুড়ে বাড়ির ন্যায় । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ হে আল্লাহর বান্দাগণ! তোমরা চিকিৎসা করাও, কেননা বার্ধক্য ব্যতিত আল্লাহ এমন কোন রোগের সৃষ্টি করেননি যার ঔষধ তিনি সৃষ্টি করেননি। – আল হাদীস
☼ প্রিয় বৎস ! সব সময় অজুর সাথে থাকতে চেষ্টা করবে। কেননা, অজু অবস্থায় যার মৃত্যু হবে, তাকে শহীদের মর্যাদা দান করা হবে। (আবু ইয়ালা)
☼ যে ব্যক্তি আমার উপর একবার দরুদ পাঠ করবে, আল্লাহ তাকে দশটি পূণ্য দান করবেন, তার দশটি পাপ ক্ষমা করবেন এবং তার মর্যাদা দশ গুণ বাড়িয়ে দেওয়া হবে। – আল হাদীস (নাসায়ী আহমদ)
☼ যে ব্যক্তি শয্যা গ্রহনের পর আয়াতুল কুরসী পাঠ করবে, আল্লাহপাক তার গৃহে, তার প্রতিবেশীর গৃহে এমনকি আশেপাশের সকল গৃহে শানিত ও নিরাপত্তা বজায় রাখবেন । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ প্রত্যেক মানুষের জন্যে আসমানে দুটি দরজা রয়েছে যার একটি দিয়ে তার আমল উপরে উঠে এবং অন্য দরজা দিয়ে তার জীবিকা অবতরণ করে। কোনো ঈমানদার বান্দা যখন মৃত্যুবরণ করে তখন আসমানের উভয় দরজা তার জন্যে ক্রন্দন করে থাকে । – আল হাদীস
☼ এক ব্যক্তি নবী করীম (দঃ)-এর নিকট এসে বলল, “ইয়া রাসুলুল্লাহ! বুঝতে পারিনা মৃত্যু কেন আমার নিকট প্রিয় মনে হয় না ?’’ মহানবী (দঃ) বললেন, ‘‘মনে হয় তোমার নিকট ধন-সমপদ রয়েছে।’’ লোকটি বলল, ‘‘জি , হ্যাঁ।’’ নবী করীম (দঃ) বললেন, ‘‘প্রথমে ঐগুলোকে আল্লাহর পথে ব্যয় করে এসো। কেননা মোমেনের অনতর তার মালের সাথে থাকে । সে যদি তার মালকে প্রথমে আল্লাহর নিকট পাঠিয়ে দেয় তবে সে নিজেও দুনিয়া ত্যাগ করতে ইচছুক হয় । – আল হাদীস
☼ (আল্লাহ বলেন) আমার বান্দাদের মধ্যে যাদেরকে আমি ক্ষমা করতে ইচছা করি তাদের গোনাহসমূহকে দেহের রোগ-ব্যাধি , দারিদ্রের নিষেপষণ কিংবা দুঃখ-কষ্টে নিপতিত করার মাধ্যমে দূর করে থাকি। তারপরও যদি কিছু গোনাহ অবশিষ্ট থেকে থাকে, তবে তার মৃত্যুকষ্ট কঠিন করে দেই যাতে সে নিষপাপ অবস্থায় আমার সাথে সাক্ষাত করতে পারে। পক্ষান্তরে আমার বান্দাদের মধ্যে যাদের গোনাহ আমি ক্ষমা করতে চাই না, তাদেরকে এই পৃথিবীতে তাদের পুণ্যকর্মের প্রতিদানস্বরূপ সুস্থ-সবল ও আনন্দ-মুখর এবং প্রচুর ধন-সমপদ প্রদান করে সুখ-শানিততে বিভোর রাখি। তারপরও যদি তাদের পুণ্য কিছুটা অবশিষ্ট থাকে, তবে তার মৃত্যুকষ্ট লাঘব করে থাকি। – আল হাদীস
☼ যার অত্যাচার থেকে প্রতিবেশী রেহাই পায় না, সে জান্নাতে প্রবেশ করবে না । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা জেনে রেখো, যে ব্যক্তি কোনো অমুসলিম নাগরিকের ওপর অত্যাচার করবে কিংবা তার ওপর সাধ্যের অতিরিক্ত বোঝা চাপিয়ে দিবে অথবা তার কোনো জিনিস বলপূর্বক নিয়ে যাবে; কেয়ামতের দিন আল্লাহর দরবারে আমি নিজে সেই মুসলমানের বিরুদ্ধে নালিশ জানাব। -(আবু দাউদ শরীফ)
☼ প্রেরিত নবীগণের মধ্যে ৩১৫ রাসুল ছিলেন । হযরত নূহ (আঃ) সর্বপ্রথম শরীয়ত ধারী নবী ছিলেন । — আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ যে যুবক কোন বৃদ্ধ লোককে তার বয়সের কারণে সম্মান করল, আল্লাহ পাক তার জন্যে এমন লোক ঠিক করে রাখবেন, যারা তার বৃদ্ধ বয়সে তাকে সম্মান করবে। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আল্লাহ সেই ব্যক্তির উপর দয়া করেন না যে মানুষের উপর দয়া কবে না । (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি অনতর থেকে “আল্লাহ্ ছাড়া কোন প্রভু নাই” বলবে, সে অবশ্যই জান্নাতে প্রবেশ করবে যদিও সে ব্যভিচার ও চুরি করে থাকে । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ হে আনাস ! তুমি ফরজ গোসল করার সময় খুব ভাল করে গোসল করবে। যদি উত্তমরূপে গোসল কর, তবে গোসলখানা থেকে তুমি এমন অবস্থায় বের হবে যে, তোমার সমস্ত ছোট গোনাহসমূহ ক্ষমা করা হয়েছে। (আল হাদীস)
☼ কোন মুসলমান যদি কোন বৃক্ষ রোপন করে অথবা ফসল ফলায় আর তা থেকে মানুষ কিংবা পশু-পাখি কিছু আহার করে, তবে তা দান হিসেবে গন্য হবে। (বোখরী , মুসলিম)
☼ রোজা একানতই আমার জন্য এবং ইহার পুরস্কারও আমি স্বয়ং দান করব। – আল হাদীস
☼ তোমরা জাহান্নামের শাস্তি থেকে বাঁচতে চেষ্টা কর, তা যদি একটি খেজুরের অর্ধাংশ দান করেও হয় । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তুমি (আলাপরত) দু’ব্যক্তির নিকট গিয়ে তাদের অনুমতি ছাড়া বসে যাবে না । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ যখন তিনজন লোক একত্রে থাকে তাদের একজনকে বাদ দিয়ে অন্য দু’জন যেন কানে কানে কথা না বলে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা ঘুমানোর সময় তোমাদের ঘরে আগুন জ্বালিয়ে রেখো না । (বোখারী শরীফ , মুসলিম শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি এই বিষয়টি পছন্দ করে যে, লোকজন তার সম্মানে দাঁড়িয়ে থাকুক, তবে সে যেন জাহান্নামে তার স্থান ঠিক করে নেয় । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ তোমাদের মধ্যকার সেই ব্যক্তিই উত্তম যে নিজে কোরআন শিখে এবং অন্যকে শিক্ষা দেয় । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ যার দুর্ব্যবহারের কারণে লোকেরা তার নিকট আসতে ভয় পায় আল্লাহর নিকট সে ব্যক্তি সর্বাধিক নিকৃষ্ট। (আল হাদীস)
☼ আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে যে, আমি যেন কথা সংক্ষেপে বলি। কেননা, সংক্ষিপ্ত বক্তব্যই উত্তম । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ মুসলমানকে গালি দেয়া পাপ এবং তাকে হত্যা করা আল্লাহর বিরু্‌দ্েধ বিদ্রোহ। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা যখন চাটুকারদের দেখবে তখন তাদের মুখে ধুলি নিক্ষেপ করবে। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ মোমিন ব্যক্তি নিন্দুক হয় না, অভিসম্পাতকারী হয় না, নোংরা স্বভাবের হয় না এবং অশ্লীল ভাষীও হয় না । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ যে জাতির মধ্যে প্রতারণা বৃদ্ধি পাবে, আল্লাহ্ তাদের অন-রে শত্রুদের ভয় সৃষ্টি করে দেবেন । আর যে সমপ্রদায়ের মধ্যে ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে, তাদের মৃত্যুর হার বেড়ে যাবে। আর যে সমপ্রদায়ের লোকেরা ওজনে কম দেবে, তাদের জীবিকা হ্রাস পাবে। আর যে সমাজে অবিচার বৃদ্ধি পাবে, সেখানে খুন-খারাবি বৃদ্ধি পাবে। আর যারা প্রতিশ্রুতি ভঙ্গ করবে, আল্লাহ্ তাদের উপরে শত্রুদের বিজয়ী করে দেবেন । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা রাতের খাবার খেয়ে নাও যদি তা সামান্য শুকনো খেজুরও হয় । কেননা রাতে অভুক্ত থাকা বার্ধক্যকে ত্বরাণ্বিত করে। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ (ইসলামের বদৌলতে) এমন একদিন আসবে যে একজন পর্দানশীন যুবতী নিরাপদে এবং নির্বিঘ্নে হিরা হতে হাজরামাউত পযর্ন্ত দীর্ঘ পথ একাকী ভ্রমণ করতে পারবে। (আল হাদিস)
☼ চুপচাপ থাকার স্বভাবটি ষাট বৎসর উপাসনার চেয়েও উত্তম । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ কোন কোন কবিতা জ্ঞানগর্ভ হয়ে থাকে । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ নিশ্চয় আল্লাহ পাক এই উম্মতের জন্য প্রত্যেক শতাব্দীর শুরুতে এক ব্যক্তিকে প্রেরণ করেন যিনি ইসলামের সংস্কার করে থাকেন । -(আল হাদিস)
☼ মুনাফিকের চিহ্ন তিনটি – (১) কিছু আমানত রাখলে তার খেয়ানত করবে (২) কথা বললে মিথ্যা বলবে এবং (৩) কোনো ওয়াদা করলে তা ভঙ্গ করবে। -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ তুমি তোমার ভাইয়ের সাথে ঝগড়া করবে না, তার সাথে ঠাট্রা করবে না এবং তাকে প্রতিশ্রুতি দিয়ে তা ভঙ্গ করবে না । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আমি কি তোমাদেরকে এমন একটি সময়ের কথা বলব না জান্নাতের সময়ের সাথে যার সাদৃশ্য রয়েছে ? সেই সময় হলো সূর্যোদয় ও সূর্যাসেতর পূর্বক্ষণ। কিন্তু তা দুনিয়ার ছায়ার ন্যায় ক্ষণস্থায়ী হবে না । তা যেমন চিরস্থায়ী তেমনি আরামদায়ক। জান্নাতে এমন একটি বৃক্ষ আছে যার ফল মাখনের চেয়েও নরম, মধুর চেয়েও মিষ্টি এবং কস’রির চেয়েও সুগন্ধময় হবে। কিন্তু নামাযী লোক ব্যতিত কেউ তার স্বাদ গ্রহন করতে পারবে না । – (আল হাদীস)
☼ যে ব্যক্তি স্বেচছায় আমার রওজা জিয়ারত করবে, কেয়ামতের দিন সে আমার পাশে থাকবে। – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
☼ সৃষ্টির ক্ষেত্রে আমিই সর্বপ্রথম মানব এবং পৃথিবীতে নবীরূপে প্রেরিত হওয়ার ক্ষেত্রে আমিই সর্বশেষ নবী। (আল হাদীস)
☼ তোমাদের কেউ যেন তার বাম হাতে কিছু না খায় এবং বাম হাতে কিছু না পান করে। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ মুক্তি লাভের তিনটি পন্থা রয়েছে ঃ- ১। ক্রোধ ও সন্তুষ্টি উভয় অবস্থায় ন্যায় বিচার করা, ২। অভাব ও স্বচছলতা উভয় অবস্থায় দান করা এবং ৩। গোপন ও প্রকাশ্য উভয় অবস্থায় আল্লাহকে ভয় করা । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ সর্বোত্তম রীতি হলো গৃহকর্তা তার অতিথিকে ঘরের দরজা পর্যন- এগিয়ে দিয়ে আসবে। – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ বেহেশতবাসীগণ পরমানন্দে পানাহার করবেন এবং নানা প্রকার ফল-মুলও ভক্ষণ করবেন কিন্তু সে সকল খাবার পেটে পৌছা মাত্র হাওয়া হয়ে বেরিয়ে যাবে। সেই বাতাসে থাকবে মেশক ও কাফুরের সুগন্ধ। মাতৃগর্ভে শিশুরা যেভাবে পায়খানা-প্রস্রাব না করেই বেঁচে থাকে । -(আল হাদিস)
☼ আমার পাপী উম্মতেরা ষাট হাজার বছর আজাব ভোগের পর মুক্তি লাভ করবে ; (১) যারা হারাম খাবারে শরীর মোটা করেছে এবং ইবাদতে অনাগ্রহী ছিল (২) যারা কাপড় পরিধান সত্ত্বেও বাহ্যত নগ্ন ছিল (৩) যারা হালাল-হারাম বিচার না করে অর্থ উপার্জন করেছে (৪) যারা দুনিয়ার ব্যাপারে সচেতন ছিল অথচ আখেরাতের ব্যাপারে অজ্ঞতার ভান করত ; তাদের জন্যে জাহান্নামের সাতটি দরজাই খোলা থাকবে। – (আল হাদিস)
☼ কোন ব্যক্তি যদি এমন কোন মহিলার বিছানায় বসে যা স্বামী অনুপসি’ত, তবে কেয়ামতের দিন আল্লাহ তার জন্যে একটি বিষাক্ত সাপ নিয়োগ করবেন । (তারগীব)
☼ কোন ভ্রমনে যদি তিনজন মানুষও থাকে তারা যেন তাদের একজনকে নেতা নির্বাচন করে নেয় । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ রেশমী কাপড় এবং স্বর্ণের ব্যবহার আমার উম্মতের পুরুষদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়েছে কিন্তু মহিলাদের জন্য তা বৈধ। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ তোমরা পাগড়ি ব্যবহার কর, কেননা এটা হল ফেরেশতাদের প্রতীক। আর তোমরা ইহার প্রান-ভাগ মাথার পেছনে ঝুলিয়ে দাও । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি চল্লিশ দিন যাবৎ আন্তরিকতার সহিত দুনিয়া-সংসার বর্জন করে আল্লাহর ইবাদতে মশগুল থাকবে, আল্লাহ পাক তার অনতরে প্রজ্ঞার ঝর্ণা ধারা চালু করে দেবেন । – আল হাদীস
☼ যার চুল আছে সে যেন তার যত্ন নেয় । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা পৌত্তলিকদের বিরোধিতা কর ঃ দাড়ি বড় করে রাখ আর গোঁফ ছোট করে রাখ। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ পাঁচটি জিনিস স্বভাবের অন-র্ভুক্ত ঃ খতনা করা, নাভীর নীচের পশম কেটে ফেলা, গোঁফ ছোট করে রাখা, নখ কাটা এবং বগলের চুল পরিষ্কার করা। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ নিশ্চয় মানুষ যদিও নামায পড়ে, রোজা রাখে, যাকাত দেয় এবং হজ্জ্ব ও উমরা পালন করে এবং অন্যান্য সৎকার্য করে থাকে, তথাপি সে তার জ্ঞান ও প্রজ্ঞা অনুসারে পুরষকৃত হবে। (মেশকাত)
☼ হাট-বাজারে পানাহার করা এক ধরনের নোংরামী। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ যে ব্যক্তি জিহাদ না করে এবং অন-রে জিহাদের বাসনা না রেখে মারা গেল, সে কপট প্রকৃতি নিয়ে মারা গেল। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা চিকিৎসা করাও । কেননা, আল্লাহ এমন কোন রোগ সৃষ্টি করেন নি যার ঔষধ তিনি দেননি। তবে একটি রোগ ইহার ব্যতিক্রম – সেটি হলো বার্ধক্য। – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহর কর্তব্য ঃ (১) স্বাধীন্তা পিয়াসী ক্রীতদাস – যে তার রক্তমুল্য আদায় করতে ইচছুক , (২) পবিত্রতার নিমিত্তে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ ব্যক্তি এবং (৩) আল্লাহর পথে জিহাদকারী। – (আল হাদীস)
☼ (হে মু’আজ) তুমি আহলে কিতাবদের একটি সমপ্রদায়ের নিকট যাচছ । তুমি তাদের “আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নাই এবং মুহাম্মদ (দঃ) আল্লাহর রাসুল” এই সাক্ষ্য দানের জন্য দাওয়াত দিবে। তারা যদি তা মেনে নেয় তবে তবে তাদের জানাবে যে , আল্লাহ্ দিন-রাতে তাদের ওপর পাঁচ ওয়াক্ত নামায ফরজ করেছেন । তারা সেটা মেনে নিলে তাদের জানাবে যে , আল্লাহ্ তাদের (সম্পদের) ওপর যাকাত ফরজ করেছেন যা তাদের ধনীদের কাছ থেকে আদায় করে দরিদ্রদের মধ্যে বন্টন করা হবে। আর এ কথা মেনে নিলে তাদের সমপদের উত্তম অংশ গ্রহন করার ব্যাপারে তুমি স্তর্ক থাকবে। আর মজলুমের বদদোয়াকে অবশ্যই ভয় করে চলবে। কেননা, তার ও আল্লাহর মাঝে কোনো পর্দা নেই । -(তিবরানী ও বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি কোন ধনীকে তার টাকার কারণে সম্মান প্রদর্শন করল, তার ঈমানের দুই-তৃতীয়াংশই ধবংস হয়ে গেল। (মুয়াত্তা)
☼ যে ব্যক্তি চিকিৎসা বিজ্ঞান আয়ত্ত না করে ডাক্তারী করবে, (দুর্ঘটনার জন্য) সে দায়ী থাকবে। (ইবনে মাজাহ )
☼ নিশ্চয় কালিজিরার মধ্যে মৃত্যু ব্যতিত সকল রোগের ঔষধ রয়েছে। – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা হিংসা থেকে দূরে থাক। কেননা, হিংসা মানুষের পূণ্যসমূহকে এমনভাবে ধবংস করে দেয়, আগুন যেভাবে লাকড়িকে ধবংস করে থাকে । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ প্রকৃত মুসলমান এক পেটে খায় আর কাফের সাত পেটে খায় । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম নামাযের হিসাব নেওয়া হবে। নামাযে যাকে সঠিক পাওয়া যাবে সে মুক্তি পাবে আর যাকে ত্রুটিপূর্ণ পাওয়া যাবে সে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে। – – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ যে ব্যক্তি পূর্ণ বিশ্বাস ও এতেকাফের সহিত (রমজানের শবে) ক্বদরের রাত্রে আল্লাহর নৈকট্য লাভের উদ্দেশ্যে ইবাদত করবে, আল্লাহ তা’আলা তার জীবনের সমস্ত গুনাহ মাফ করে দেবেন । – (আল হাদীস)
☼ চোগলখোর বেহেশতে প্রবেশ করতে পারবে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি জুমু’আর দিন গোসল করে পবিত্র হয়ে মাথায় তেল দিয়ে, সুগন্ধি লাগিয়ে জুমু’আর নামায আদায় করতে যাবে এবং মসজিদে গিয়ে কাউকে তার স্থান থেকে না সরিয়ে যেখানে খালি জায়গা আছে সেখানেই বসবে এবং যতটুকু নামায ভাগ্য হয় পড়বে, অতঃপর ইমামের খুতবা পাঠের সময় তা চুপ করে শুনবে; তার গত জুমু’আ থেকে এ জুমু’আ পযর্ন্ত যত গুনাহ হয়েছে তার সবই মাফ হয়ে যাবে। -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ কাউকে লড়াইয়ে পরাস্থ করতে পারা বীরত্বেব লক্ষণ নয়, বরং প্রকৃত বীর সেই ব্যক্তি যে ক্রোধের সময় নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা অনুমান থেকে দুরে থাক। কেননা, অধিকাংশ অনুমান হলো নির্জলা মিথ্যা। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ পরনিন্দাকারী বেহেশতে প্রবেশ করিবে না । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ মৃত্যুই শ্রেষ্ট উপদেশ দাতা আর ধনী হওয়ার জন্য আল্লাহর উপর ভরসাই যথেষ্ট। – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ তোমাদের সত্রীদের ওপর তোমাদের যেমন অধিকার রয়েছে তেমনি তোমাদের ওপরও তোমাদের সত্রীদের অধিকার রয়েছে। (আল হাদীস)
☼ যে ব্যক্তি অত্যাচারিতের সাহায্যার্থে অগ্রসর হবে না, তাকে কবরের মধ্যে একশত আগুনের বেত মারা হবে। – আল হাদীস
☼ তোমরা তোমাদের প্রভুর ইবাদত করবে, পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করবে, রমযানের রোজা রাখবে, কাবা শরীফে হজ্জ পালন করবে, স্বেচছায় নিজেদের সমপদের যাকাত দেবে, তবেই তোমরা তোমাদের প্রতিপালকের জান্নাতে প্রবেশ করতে পারবে। – আল হাদীস
☼ কারো মিথ্যাবাদী হওয়ার জন্য এতটুকুই যথেষ্ট যে, সে যা কিছু শোনে তা-ই বলে বেড়ায় । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি তীরান্দাজী শিখে তা ছেড়ে দিল সে আমাদের কেউ নয় । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ সব মুসলমান পরস্পর ভাই ভাই । আমার পরে তোমরা কাফের হয়ে যেও না যাতে একে অপরকে হত্যা করতে থাকবে। (আল হাদীস)
☼ মায়ের পায়ের নীচে সন্তানের বেহেশত। (আল হাদীস)
☼ প্রত্যেক ব্যক্তিকে তাহার সামাজিক অবস্থান অনুসারে সম্মান করিবে। (মেশকাত)
☼ ন্যায়বিচারক কেয়ামতের দিন এমন একটি মুহূর্তের সম্মুখীন হবে যখন সে আফসোস করবে যে, দুজনের মধ্যে একটি মাত্র খোরমা সংক্রানত ঝগড়া মেটাতেও না যাওয়াই ভাল ছিল। – ইবনে মাজাহ
☼ যে ব্যক্তি নামাজকে রক্ষা করল, কেয়ামতের দিন তা তার জন্যে জ্যোতি ও দলিল হবে এবং মুক্তির কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি নামাজকে সংরক্ষণ করল না, সেটি তার জন্য জ্যোতি ও দলিল হবে না এবং মুক্তির কারণও হবে না । বরং কেয়ামতের দিন সে কারুন, ফেরাউন, হামান ও উবাই ইবনে খালফের সাথী হবে। – (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ শরীফ)
☼ যারা জমির সীমানা চুরি করে তাদের প্রতি আল্লাহ পাক অভিসমপাত করেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি কোন মুসলমানের গোপন দোষ অনুসন্ধান করে, আল্লাহ তার গোপন দোষ অনুসন্ধান করেন । আর আল্লাহ যার দোষ অনুসন্ধান করেন তিনি তাকে লাঞ্ছিত করে ছাড়েন । এমনকি সে যদি ঘরের ভেতরে লুকিয়েও থাকে । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ যে ব্যক্তি কারো স্ত্রীকে (তার স্বামীর বিরুদ্ধে) ক্ষেপিয়ে তোলে অথবা কারো ভৃত্যকে (তার মনিবের বিরুদ্ধে) উত্তেজিত করে তোলে, সে আমাদের দলভুক্ত নয় । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমাদের কেউ যখন নামাযে দাড়ায় তখন সে যেন সামনের দিকে থুথু না ফেলে। কেননা, যতক্ষণ সে তার জায়নামাযে থাকে, ততক্ষণ সে আল্লাহর সাথে গোপন আলাপে লিপ্ত থাকে । -(মেশকাত)
☼ লোকেরা যেন কোন অবস্থায়ই জুমু’আর নামায ত্যাগ না করে, অন্যথায় তাদের আত্মার ওপর মোহর এঁটে দেওয়া হবে। ফলে তারা ভীষণ অলসতার মধ্যে নিপতিত থাকবে। – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি কোন মোমিনকে হত্যার ব্যাপারে সামান্য কথার মাধ্যমেও সাহায্য করল, সে মহান আল্লাহর সাথে সাক্ষাতের সময় তার কপালে লেখা থাকবে ঃ “আল্লাহর রহমত থেকে বঞ্চিত”। – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ দোয়া ব্যতিত ভাগ্য পরিবর্তিত হয় না এবং আত্মীয়দের সাথে সদ্ব্যবহার ছাড়া দীর্ঘায়ু লাভ হয় না । নিশ্চয়ই মানুষ তার পাপের কারণেই জীবিকা থেকে বঞ্চিত হয় । (উবনে মাজাহ)
☼ লজ্জা এবং ঈমান ওতপ্রোতভাবে জড়িত। যখন এদের একটিকে উঠিয়ে নেয়া হয় তখন অন্যটিও উঠিয়ে নেয়া হয় । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ ধর্মপরায়ন্তার মাত্রা অনুসারে মানুষের পরীক্ষা হয়ে থাকে । কেউ যদি ধর্মভীরুতায় মজবুত হয় তার পরীক্ষাও কঠিন হয়ে থাকে আর ধর্মভীরুতায় দুর্বল হলে সে অনুসারেই পরীক্ষা হয়ে থাকে । এভাবে মানুষের জীবনে বিপদ ও পরীক্ষা সর্বদা লেগেই থাকে । পরিশেষে তার অবস্থা এমন হয়ে যায় যে, সে জমিনের বুকে ঘুরে বেড়ায় অথচ তার ঘাড়ে কোন পাপ থাকে না । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ যে ব্যক্তি মানুষের নিকট কৃতজ্ঞ নয়, সে আল্লাহর নিকটও কৃতজ্ঞ নয় । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ পাঁচ ওয়াক্ত নামায, এক জুমু’আ হতে অন্য জুমু’আ এবং এক রমজান হতে অন্য রমজান তার মধ্যবর্তী সময়ে কৃত পাপের মার্জনাকারী হয়ে থাকে যদি কবীরা গুনাহ্ থেকে বেঁচে থাকা যায় । -(মেশকাত)
☼ জ্ঞানের বিপদ হইল বিস্মৃতি এবং অপাত্রে জ্ঞান দান করা জ্ঞান ধবংস করার নামান-র। (মেশকাত)
☼ মুসলমান কখনও একই গর্তে দু’বার দংশিত হতে পারে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ প্রত্যেক নবী এমন মো’জেজা পেয়েছেন যা দর্শনে তৎকালীন জাতি ঈমান এনেছে। আর আমি যে মো’জেজা পেয়েছি তা হলো আল্লাহ্ প্রদত্ত ওহী (পবিত্র কোরআন)। কাজেই আমি আশা করি সমস্ত নবীদের অনুসারী অপেক্ষা আমার অনুসারী অধিক হবে। (আল হাদিস)
☼ আল্লাহর নিকট সবচেয়ে ঘৃণিত লোক হচেছ বদমেজাজী এবং ঝগড়াটে লোক। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি এশার নামায জামাতে পড়বে তাকে অর্ধেক রাত্রের সওয়াব এবং যে ব্যক্তি এশা ও ফজর দুই ওয়াক্তের নামায জামাতে পড়বে তাকে সারা রাত্র নামায পড়ার সওয়াব দেওয়া হবে। – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ জান্নাতবাসীগণ প্রত্যেকে সত্তর রকমের অলঙ্কারে শোভিত থাকবে। প্রত্যেকে প্রতি ঘন্টায় সত্তর রকমের রঙ ধারণ করবে। জান্নাতবাসী নর-নারীরা তাদের মুখমন্ডলে একে অন্যের মুখ, বুক ও উরুদেশ দেখতে পাবে। তারা ক্কফ বা থুতু ফেলবে না , নাক ঝারবে না । তাদের বগল ও নাভীর নিচে পশম গজাবে না । দিন দিন তাদের সৌন্দর্য বৃদ্ধি পেতে থাকবে। প্রত্যেক পুরুষ পানাহার ও সঙ্গমে শত পুরুষের সমান শক্তিশালী হবে। স্বামী-সত্রীরূপে তারা প্রত্যেকে সঙ্গম সুখ উপভোগ করবে। হুরদের সহিত যতই সঙ্গম করা হবে তাদেরকে ততই নতুন কুমারী মনে হবে। – আল হাদীস
☼ হে আসমা ! কোনো মেয়ে প্রাপ্ত বয়স্ক হলে তার মুখমন্ডল ও হাতের কব্জি পযর্ন্ত ব্যতিত অন্য কোন অঙ্গ প্রদর্শন করা বৈধ নয় । -(আবু দাউদ শরীফ)
☼ যদি ছোট শিশু এবং মহিলাদের খেয়াল না হতো তবে আমি এশার নামাযে মশগুল হয়ে যেতাম এবং খাদেমদেরকে নির্দেশ দিতাম যারা জামাতে উপস্থিত হয়নি তাদের ধন-সমপদ এবং তাদেরকেসহ তাদের বাড়ি-ঘর যেন জ্বালিয়ে দেওয়া হয় । — আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ আমার ইচেছ হয় অনেকগুলো কাঠ জড়ো করে আযান দেওয়ার আদেশ দেই এবং অন্য কাউকে ইমাম নিযুক্ত করে নিজে মহল্লায় গিয়ে যারা জামাতে উপস্থিত হয়নি তাদের বাড়ি-ঘর জ্বালিয়ে দেই । – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি তার উত্তরাধিকারীকে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত করবে, কেয়ামতের দিন আল্লাহ তাকে বেহেশত থেকে বঞ্চিত রাখবেন । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি কোরআন পড়তে শুরু করে এবং শেষ করার পূর্বেই মারা যায়, তবে একজন ফেরেশতা কবরে এসে তাকে কোরআন পড়াতে থাকে । আল্লাহ পাকের সাথে সাক্ষাতের পূবেই সমগ্র কোরআন তার মুখস্ত হয়ে যাবে। -(আল হাদিস)
☼ তোমাদেব কেউ কসম খেতে চাইলে সে যেন কেবল আল্লাহর নামে কসম খায় । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ পৃথিবীটা যদি আল্লাহর দৃষ্টিতে একটা মশার ডানারও সমান মূল্যবান হতো, তাহলে কোন বেঈমানকেই তিনি এ থেকে এক মুঠো পানিও পান করতে দিতেন না । (তিরমিযী , মুসনাদে আহমদ)
☼ আল্লাহ যার কল্যাণ কামনা করেন, তাকে ধর্মীয় জ্ঞান দান করেন । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ যদি কেয়ামত শুরু হয়ে যায় আর তোমাদের কারো হাতে একটি গাছের চারা থাকে, এই চারাটি রোপন করার মত সময় যদি তার হাতে থাকে তবে সে যেন চারাটি অবশ্যই রোপন করে নেয় । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ পৃথিবীটা ঈমানদারের জন্য জেলখানা এবং বেঈমানের জন্য বেহেশতস্বরূপ। – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ দুনিয়াতে এমন ভাবে থাক যেন তুমি একজন বিদেশী পথিক। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা যদি এমন কোন ব্যক্তিকে দেখ যাকে সম্পদে নিরাসক্তি এবং অল্প কথার গুণ দেওয়া হয়েছে, তাহলে তার সান্নিধ্যে যাও । কারণ তাঁর নিকট প্রজ্ঞাপূর্ণ জ্ঞান অবতীর্ন করা হয়ে থাকে । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে সব পুরুষ মেয়েদের বেশ ধারণ করে এবং যে সব নারী পুরুষের বেশ ধারণ করে, আল্লাহ তাদের প্রতি লানৎ বর্ষন করেন । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি অলসতার কারণে তিন জুমু’আর নামায ত্যাগ করবে, আল্লাহ তার অনতরে মোহর মেরে দেন । — আল হাদীস (তিরমিযী শরীফ)
☼ হে লোক সকল ! তোমাদের প্রভু এক, তোমাদের পিতা এক, তোমরা সবাই আদম (আঃ)-এর সন্তান এবং আদম (আঃ)-কে মাটি থেকে সৃষ্টি করা হয়েছে। তোমাদের মধ্যে সবচেয়ে বেশী সম্মানী ঐ ব্যক্তি যে সবচেয়ে বেশী আল্লাহ্‌ভীরু। কোনো আরবের কোনো অনারবের ওপর আল্লাহ্‌ভীরুতা ব্যতিত কোন শ্রেষ্টত্ব নেই । (আল হাদীস)
☼ সপ্তাহের দিনগুলোর মধ্যে জুমু’আর দিনের মর্যাদা সর্বাধিক। এই দিনেই হযরত আদম (আঃ)-কে সৃষ্টি করা হয়েছিল, এই দিনেই তাঁকে জান্নাতে স্থান দেওয়া হয়েছিল, এই দিনেই তাঁকে জান্নাত থেকে দুনিয়াতে পাঠানো হয়েছিল এবং এই দিনেই কেয়ামত সংগঠিত হবে। – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি মৃত্যুকে বেশী পরিমাণে স্মরণ করে সে কখনও অন্যকে হিংসা করবে না এবং আনন্দ-ফূর্তি কম করবে। – আল হাদীস
☼ হে আমার প্রিয় দোস্ত ! আপনি সৃষ্টি না হলে আমি এই জগৎ সংসার সৃষ্টি করতাম না । -(হাদীসে কুদসী)
☼ যে ব্যক্তি নামায আদায় করে না, ইসলামে তার কোনো অংশ নেই । (আল হাদীস)
☼ তোমরা ভিক্ষুককে এমন জিনিস খেতে দিয়ো না, যা তোমরা নিজেরা খেতে পারো না । – আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ দশ শ্রেণীর লোকের লাশ কবরে পঁচবে না ; যথা- (১) শহীদ , (২) হকপন্তুী আলেম , (৩) ধর্মযোদ্ধা , (৪) কোরআনে হাফেজ , (৫) মোয়াজ্জিন , (৬) ন্যায়পরায়ন শাসক , (৭) প্রসবকালীন মৃত্যুবরণকারী মহিলা , (৮) অন্যায়ভাবে নিহত ব্যক্তি , (৯) জুমু’আর দিন বা রাত্রে মৃতুবরণকারী ব্যক্তি এবং (১০) আরাফাতের দিনে মৃত্যুবরণকারী ব্যক্তি। – (আল হাদিস)
☼ যে ব্যক্তি বিনা বেতনে সাত বছর পযর্ন্ত আজান দিবে, সে বিনা হিসাবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি অন্যায়ভাবে সামান্য জমিও দখল করবে, কিয়ামতের দিন সাত স্থর মাটি পর্যন- সেই জমি তার গলায় ঝুলিয়ে দেয়া হবে। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ রোজাদার ব্যক্তি দুটি আনন্দ লাভ করবে। একটি আনন্দ হলো ইফ্‌তারের মুহূর্তে এবং অপরটি হলো তার প্রভুর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় । – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি জ্যোতিষীদের নিকট গমণ করে এবং ভবিষ্যৎ জানতে চায়, তার চল্লিশ দিনের নামায কবুল করা হয় না । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ আল্লাহ্ মৃত্যুর ফেরেশতাকে জিজ্ঞাসা করেন, তুমি আমার বান্দার সন্তানের প্রাণ হরণ করেছো এবং তুমি তার নয়নমনি ও কলিজার টুকরাকে কেড়ে নিয়েছো ? ফেরেশতা বলেন, জ্বি হ্যাঁ। আল্লাহ জিজ্ঞাসা করেন, সে কি বলেছে ? ফেরেশতা বলেন, সে আপনার প্রশংসা করেছে এবং ইন্নালিল্লাহ বলেছে। তখন আল্লাহ পাক বলেন, আমার বান্দার জন্য জান্নাতে একটি মহল তৈরী করো এবং তার নাম রাখ ‘বায়তুল হাম্দ’। – আল হাদীস
☼ সাবধান ! ধর্মের ব্যাপারে বাড়াবাড়ি করো না । তোমাদের পূর্ববর্তী অনেক জাতি একারণে ধ্বংস হয়ে গেছে। (আল হাদীস)
☼ দু’জন মুসলমান পরস্পর অস্ত্র ধারণ করিলে নিহত ব্যক্তি এবং হত্যাকারী উভয়েই জাহান্নামে যাবে। (বোখারী+মুসলিম)
☼ যে ব্যক্তি জানা সত্ত্বেও কোন অত্যাচারী লোকের সাহায্যে এগিয়ে গেল, সে ইসলাম থেকে বের হয়ে গেল। – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি মানুষকে অসন্তুষ্ট করে আল্লাহকে সন্তুষ্ট করতে চাইবে, মানুষের উৎপাত থেকে রক্ষার জন্য আল্লাহই তার পক্ষে যথেষ্ট হয়ে যাবেন । আর যে ব্যক্তি আল্লাহকে অসন্তুষ্ট করে মানুষকে খুশী রাখতে চাইবে, আল্লাহ তাকে মানুষের হাতেই ছেড়ে দিবেন । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আমার উম্মতের যে সব মহিলা সেলোয়ার পরিধান করে, আল্লাহ তাদের উপর রহম করুন । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ একজন মোমিনকে অন্যায়ভাবে হত্যা করার চাইতে পৃথিবীটা ধবংস হয়ে যাওয়া আল্লাহর নিকট অনেক হাল্কা বিষয় । – আল হাদীস (ইবনে মাজাহ শরীফ ‍ঃ)
☼ যে সব লোক যাকাত দিতে অস্বীকার করবে আল্লাহ তাদের ভয়ঙ্কর ক্ষুধা ও দুর্ভিক্ষে নিপতিত করে দিবেন । — আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমরা মানত করো না । কারণ, মানত ভাগ্যের কোন পরিবর্তন করতে পাবে না । ইহার দ্বারা কেবল কৃপণ ব্যক্তির কাছ থেকে কিছু বের করে নেয়া হয়ে থাকে । – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ ‍ঃ)
☼ মুয়াজ্জিন আমানতদার আর ইমাম জিম্মাদার। – আল হাদীস
☼ তোমাকে যদি টুকরা টুকরাও করা হয় কিংবা আগুনে জ্বালান হয়, তথাপি তুমি আল্লাহর সাথে কাউকে শরীক করবে না আর ইচছাকৃত ভাবে কখনও ফরজ নামাজ ত্যাগ করবে না । যে ব্যক্তি ইচছাকৃত ভাবে ফরজ নামাজ ত্যাগ করে তার ওপর আল্লাহর কোনো দ্বায়-দ্বায়িত্ব থাকে না । আর তুমি মদ্য পান করবে না কেননা শরাব হলো সকল অপকর্মের চাবিকাঠি। -(ইবনে মাজাহ শরীফ)
☼ জুমু’আর দিনে এমন একটি সময় আছে যখন কোনো মুসলমান আল্লাহর নিকট যা কিছু প্রার্থনা করবে তাই কবুল হবে। -(- আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ))
☼ ইমাম মাহদীর আবির্ভাব সম্পর্কে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই । তিনি হযরত ফাতেমার (রাঃ) বংশধরদের মধ্য থেকে আত্মপ্রকাশ করবেন । (আল মুসতাদরাক)
☼ যে ব্যক্তি নিজের খেয়াল-খুশী অনুসারে কোরআনের ব্যাখ্যা করে, সে যেন জাহান্নামে নিজের ঠিকানা খুঁজে নেয় । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ তোমরা স্বপ্নের কথা জ্ঞানী ব্যক্তি অথবা আপনজন ছাড়া অন্য কারো নিকট বলবে না । – আল হাদীস (তিরমিযী)
☼ আমার উম্মতের বিপর্যয়ের কালে যে ব্যক্তি আমার আদর্শকে আকড়ে থাকবে, তার জন্য রয়েছে একশ’ শহীদের সমান পুরষ্কার। – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ জান্নাতের মধ্যে রাইয়ান নামক একটি দরজা রয়েছে। কেয়ামতের দিন এই দরজা দিয়ে কেবল মাত্র রোজাদার লোকেরাই প্রবেশ করতে পারবে। তাদের ব্যতিত অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে ঢুকতে পারবে না । ঘোষণা করা হবে, রোজাদার লোকেরা কোথায় ? তখন তারা ওঠে দাঁড়াবে। তাদের প্রবেশের পরই দরজা বন্ধ করে দেয়া হবে যাতে অন্য কেউ এ দরজা দিয়ে ঢুকতে না পারে। – আল হাদীস
☼ মহান আল্লাহ বলেন ঃ যে ব্যক্তি আমার কোন বন্ধুর (আউলিয়া) সাথে শত্রুতা পোষণ করে, আমি তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করি। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ আরব উপদ্বীপে একই সাথে দুটি ধর্মের সহ-অবস্থান হতে পারে না । আমি অবশ্যই ইহুদী আর খ্রীস্টানদেরকে আরব উপদ্বীপ হতে বিতাড়িত করে দিব। মুসলমান ভিন্ন কাউকে এখানে থাকতে দিব না । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ ঐ ব্যক্তি প্রকৃত মুসলমান নহে যে পেট ভরে খায় এবং তাহার প্রতিবেশী অনাহারে থাকে । (মেশকাত)
☼ আমার উম্মত ততদিন পযর্ন্ত নিরাপদ থাকবে যতদিন পযর্ন্ত তারা মক্কার যথাযোগ্য সম্মান করবে। যখন তারা ইহার ব্যতিক্রম করবে, তখন তারা ধ্বংস হয়ে যাবে। – আল হাদীস
☼ কেয়ামতের দিন যখন সকল মানুষ নিজ নিজ কবর থেকে হাশরের ময়দানের দিকে যাওয়ার জন্য উঠবে, তখন সবার আগে আমি কবর থেকে উঠব। কেয়ামতের দিন সবার আগে আমি মহান আল্লাহ পাকের সিজদায় মাথা নত করব। সুপারিশ করার অনুমতি সর্ব প্রথম আমাকে প্রদান করা হবে এবং সর্ব প্রথম আমি-ই বেহেশতে প্রবেশকারী হব। (আল হাদীস)
☼ আল্লাহ পাক একজন পূণ্যবান মুসলমানের উসিলায় তার প্রতিবেশী একশ’ পরিবারের উপর থেকে বালা-মুসিবত সরিয়ে রাখেন । – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ জান্নাতবাসীগণ সেখানে আহার করবে, পান করবে কিন্তু তারা থুতু ফেলবে না, মলমুত্র ত্যাগ করবে না এবং তাদের নাক হতে শ্লেষ্মা ঝরবে না । ঢেকুর এবং মেশকের ন্যায় সুগন্ধি ঘামের সাথে নিঃশেষ হয়ে যাবে। আল্লাহর প্রশংসা এবং স্মরণ তাদের অনতরে এমন ভাবে চালু করে দেওয়া হবে যেমন ভাবে শ্বাস্থপ্রশ্বাস বিরতিহীন ভাবে চলতে থাকে । – আল হাদীস – আল হাদীস (মুসলিম শরীফ)
☼ অট্রহাসি শয়তানের পক্ষ থেকে আর মুচকি হাসি আল্লাহর পক্ষ থেকে । – আল হাদীস – আল হাদীস (তিবরানী)
☼ আমি কি তোমাদের এমন ব্যক্তির কথা শোনাব না যে জাহান্নামের জন্য নিষিদ্ধ এবং জাহান্নাম যার জন্য নিষিদ্ধ ? প্রত্যেক সাদাসিদে, ভদ্র, মিশুক এবং বিনয়ী ব্যক্তি। – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ আল্লাহ পাক জালিমকে প্রশ্রয় এবং সুযোগ দিয়ে থাকেন । শেষে যখন তাকে পাকড়াও করেন তখন আর কোন রেহাই দেন না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ ক্রীতদাস, নারী, শিশু এবং অসুস্থ লোক – এই চার ব্যক্তি ব্যতিত প্রত্যেক মুসলমানের ওপর জুমু’আর নামায জামাতের সাথে আদায় করা ফরজ এবং আল্লাহর হক। — আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি মানুষের জিজ্ঞাসা করা সকল প্রশ্নেরই উত্তর দিতে থাকে, সেও এক ধরনের পাগল ছাড়া কিছু নয় । -(কবীর)
☼ জুমু’আর রাতের মর্যাদা শবে ক্বদর অপেক্ষাও বেশী। — আল হাদীস (মুসনাদে আহমদ)
☼ মদীনা আমার হিজরত স’ল, মদীনা আমার শয়ন স’ল, এখান থেকেই আমার পুনরুত্থান হবে। আমার উম্মতের কর্তব্য আমার প্রতিবেশীদের নিরাপত্তা ও সম্মান করা যতদিন পযর্ন্ত তারা কবীরা গুনাহ থেকে দূরে থাকে । আমি তাদের সম্মান, সুরক্ষা এবং সুপারিশকারী হবো। যে তাদের হেফাজত ও সম্মান করবে না তাকে দোযখের ‘জীনাতুল জিবাল’ থেকে রক্ত ও পূঁজ পান করানো হবে। – আল হাদীস
☼ মানুষ জীবনকে ভালবাসে অথচ তার জন্য মৃত্যুই উত্তম । দুনিয়া থেকে মানুষের মৃত্যুর দৃষ্টানত হলো মাতৃগর্ভের সংকীর্ণ পরিসর হতে আরাম-আয়েশপূর্ণ পৃথিবীতে আগমণের মতো। -(আল হাদিস)
☼ মহিলারা তাদের নিম্নাঙ্গের কাপড়কে (পায়ের গীড়ার) আধহাত নীচে ঝুলিয়ে পড়বে। হযরত উম্মে সালামা (রাঃ) বললেন, তাহলে তো তাদের পা অনাবৃত হয়ে পড়বে। তখন রাসুলুল্লাহ (দঃ) বললেন, তাহলে একহাত ঝুলিয়ে পড়বে। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি বাজার থেকে ক্রয়কৃত পণ্য নিজে বহন করে নিয়ে আসে, সে অহংকার থেকে মুক্ত। – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ আমার পরবর্তী যুগে পুরুষদের জন্য নারী অপেক্ষা অধিক ক্ষতিকর কোন বিষয় বাকী থাকবে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ নবী করিম (দঃ) এর নিকট মহাপাপ সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বললেন – কাহাকেও আল্লাহর সমতুল্য জ্ঞান করা, মাতাপিতার অবাধ্য আচরণ করা, কাহাকেও হত্যা করা এবং মিথ্যা সাক্ষ্য দেওয়া। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ সাত প্রকার মহাসর্বনাশা পাপ তোমরা বর্জন করে চলবে – ১। কথা ও কাজে আল্লাহর সাথে অংশীদার সাব্যস্থ করা, ২। যাদু করা , ৩। অবৈধভাবে মানুষ হত্যা করা , ৪। সুদ খাওয়া , ৫। এতীমের সম্পদ আত্মসাৎ করা , ৬। জেহাদের ময়দান থেকে পলায়ন করা এবং ৭। সতী নারীর উপর ব্যভিচারের অপবাদ দেওয়া। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি মদীনাবাসীদের বিরুদ্ধে চক্রান- করবে, সে এমনভাবে ধবংস প্রাপ্ত হবে লবণ যেভাবে পানিতে বিলুপ্ত হয় । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমাদের কারো দীর্ঘ প্রবাস যাপনের পর রাত্রিবেলা নিজ গৃহে প্রবেশ করা সমীচিন নয় । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ এই দুনিয়ায় যার দুইটি চেহারা হয়, কেয়ামতের দিন তার জিহ্বাটি হবে আগুনের তৈরী। (মেশকাত শরীফ)
☼ যে ব্যক্তি নিজের ধন-সম্পদ রক্ষা করিতে গিয়া নিহত হয়, সে শহীদ। – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ জুমু’আর দিনই সবচেয়ে বেশী মর্যাদাপূর্ণ দিন । এই দিনেই কেয়ামতের অনুষ্টানের জন্য সিঙ্গায় ফুঁক দেওয়া হবে। তোমরা এইদিনে আমার প্রতি বেশী পরিমাণে দুরুদ পাঠ করবে। তোমরা ঐদিন যখন দুরুদ পাঠ করবে সঙ্গে সঙ্গে তা আমার সামনে পেশ করা হবে। সাহাবায়ে কেরাম জিজ্ঞাসা করলেন, ইয়া রাসুলাল্লাহ (দঃ) ! আপনার সামনে কিরূপে পেশ করা হবে ? মৃত্যুর পর তো আপনার হাড় পযর্ন্ত থাকবে না । রাসুলে করীম (দঃ) বললেন, আল্লাহ পাক মাটির জন্য নবীদের শরীর হজম করাকে হারাম করে রেখেছেন । -(আবু দাউদ শরীফ)
☼ কেয়ামতের লক্ষণ হইল – জ্ঞানের চর্চা উঠে যাবে, মূর্খতা বৃদ্ধি পাবে, মদ্যপান শুরু হবে, ব্যভিচার বৃদ্ধি পাবে, এমনকি তা আর গোপন বিষয় থাকবে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যার কোন মাল চুরি যায় সে নির্দোষ মানুষকে অপবাদ দিতে শুরু করে। শেষ পর্যন- সে নিজেই চোরের চেয়ে বড় অপরাধী বনে যায় । – আল হাদীস (বায়হাকী শরীফ ‍ঃ)
☼ নবী করীম (দঃ) শিশু-কিশোরদের নিকট দিয়ে যাতায়াতের সময় তাদেরকে সালাম দিতেন । – আল হাদীস (মেশকাত শরীফ)
☼ কেউ যদি বিবাদ মীমাংসার উদ্দেশ্যে এক পক্ষের নামে অন্য পক্ষের নিকট কোন ভাল কথাকে অতিরঞ্জিত করে বলে থাকে তবে সে মিথ্যাবাদীরূপে গণ্য হবে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ তোমাদের মধ্যে কেউ যখন মারা যায় তখন প্রতিদিন তাকে জান্নাতে বা জাহান্নামে তার ঠিকানা দেখানো হয়ে থাকে । যদি সে জান্নাতী হয় তবে জান্নাত দেখানো হয় আর যদি জাহান্নামী হয় তবে জাহান্নাম দেখানো হয় এবং বলা হয় যে, এটা তোমার স্থায়ী ঠিকানা । প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা এরূপ প্রদর্শনী কেয়ামত পযর্ন্ত চলতে থাকবে। – আল হাদীস
☼ যে ব্যক্তি স্বপ্নে আমাকে দেখিবে সে সত্যই আমাকে দেখিবে। কারণ, শয়তান আমার আকৃতি ধারণ করিতে পারে না । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ যে ব্যক্তি নিজ বংশের পরিবর্তে অন্যের বংশকে নিজের বলে প্রচার করে তার ওপর আল্লাহর, ফেরেশতাদের এবং সমগ্র মানবজাতির অভিশমপাত। (আল হাদীস)
☼ আল্লাহর নিকট ঈদুল ফিতর এবং ঈদুল আযহা অপেক্ষাও জুমু’আর দিন অধিক মর্যাদাপূর্ণ। -(ইবনে মাজাহ শরীফ)
☼ মানুষের অন-রে কৃপণতা এবং ঈমান কখনও একসাথে থাকতে পাবে না । – আল হাদীস (আবু দাউদ শরীফ ‍ঃ)
☼ ভাল স্বপ্ন আল্লাহর পক্ষ থেকে এবং দুঃস্বপ্ন শয়তানের পক্ষ থেকে দেখান হয়ে থাকে । – আল হাদীস (বোখারী শরীফ ‍ঃ)
☼ে য ব্যক্তি কারো প্রেমে পড়ে তা গোপন রাখল এবং নিজের সৎচরিত্র বজায় রেখে মৃত্যুবরণ করল, সে শহীদের মর্যাদা পাবে। (কানযুল উম্মাল)