Dr. Bashir Mahmud Ellias's Blog

Know Thyself


Leave a comment

মালহামা আরমাগেডান তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের পিলে চমকানো ভয়াবহতা

মালহামা’র  ভয়াবহতা  এবং  দীর্ঘমেয়াদী  ক্ষতিকর  যন্ত্রণাদায়ক  প্রভাব  নিয়া  আজকে  কিছু  আলোচনা  করব ।  বিশ্বনবী (সাঃ)  এই  যুদ্ধের  নাম  দিয়েছেন  মালহামা  অর্থাৎ  বড়  যুদ্ধ  বা  বিশাল  যুদ্ধ  বা  মহাযুদ্ধ ।  বাইবেল  এবং  তাওরাতে  ইহার  নাম  দেওয়া  হয়েছে  আরমাগেডন,  কারণ  সিরিয়ার  আরামগ  নামক  স্থান  থেকে  এটি  শুরু  হবে ।  যারা  ধর্ম  বিশ্বাস  করেন  না  তাদের  মতে   ইহার  নাম  হলো  তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধ  বা  পারমাণবিক  যুদ্ধ ।  মালহামা  কেনো  হবে  এবং  মালহামা  কেনো  খুব  শীঘ্রই  হওয়ার  সম্ভাবনা  আছে  এই  ব্যাপারে  কোনো  আলোচনা  করতে  চাই  না ।  কারণ  এই  ব্যাপারে  বিশেষজ্ঞদের  অনেক  বড়  বড়  গবেষণামূলক  প্রবন্ধ  আছে,  যাদের  দরকার  পড়ে  নিতে  পারেন ।  ভয়ঙ্কর  এই  যুদ্ধের  পরে  মানবজাতির  ৫  ভাগ  অথবা  ১০  ভাগ  হয়ত  বেঁচে  যাবেন  আর  বাকীরা  সবাই  কবরে  চলে  যাবেন ।  কারণ  ইহা  হবে  এটম  বোমা  হাইড্রোজেন  বোমার যুদ্ধ,  হাজার  হাজার  এটম বোমা  হাইড্রোজেন  বোমা  তাতে  নিক্ষেপ  করা  হবে ।   নুরনবী (সাঃ)  বলেছেন,  দুই  দলের  মধ্যে  এই  যুদ্ধ  হবে  এবং  দুই  দলের  ৯৯  ভাগ  লোক  তাতে  নিহত  হবে ।  এই  দুই  দল  হলো  একদিকে  এশিয়া  মানে  চীন  রাশিয়া  এবং  অন্য  দিকে  থাকবে  ইউরোপ-আমেরিকা ।  বাইবেলে  বলা  হয়েছে  ভালো  এবং  মন্দের  মধ্যে  এই  যুদ্ধ  হবে ।  বাস্তবেই  এশিয়া  হলো   ভালোর  দলে  আর  ইউরোপ-আমেরিকা  হলো  খারাপের  দল ।  ইউরোপ-আমেরিকা  হলো  ডাকাতের  দল, স্বৈরাচারের  দল । 

মূল  যুদ্ধটা  মানে  বোমা  বর্ষণ  বিশ  ত্রিশ  মিনিটের  মধ্যেই  শেষ  হয়ে  যাবে  যাতে  দুইশ  তিনশ  কোটি  মানুষের  নগদ  মৃত্যু  হবে ।  বোমার  নীচে  পড়ে  আগুনে  জ্বলেপুড়ে  বা  বিল্ডিংয়ের  নীচে  চাপা  পড়ে  যেই  মৃত্যুটা  হবে  তা  হবে  কিছুটা  আরামদায়ক,  কারণ  অল্পসময়ের  মধ্যে  মৃত্যু  হয়ে  যাবে ।  অন্যদিকে  যারা  বোমার  হাত  থেকে  বেঁচে  যাবে  তাদের  মৃত্যুটা  হবে  ভীষণ  যন্ত্রণাদায়ক  কষ্টদায়ক  নারকীয়  মৃত্যু ।  আল্লাহ  আমাদের  সবাইকে  হেফাজত  করুন,  আমিন ।  এমন  করুণ  মৃত্যু  আমার  শত্রুরও  যেন  না  হয় ।  সারা  দুনিয়ায়  এটম  বোমার  হাইড্রোজেন  বোমার  তেজস্ক্রিয়  ধোঁয়া  ছড়িয়ে  পড়বে  এবং  থাকবে  কয়েক  মাস  থেকে  বছর  পর্যন্ত ।  এই  ধোঁয়াগুলো  মেঘের  সমান  উচুতেঁ  উঠবে (mashroom  cloud) ।  ফলে  যে-সব  পাহাড়  পর্বত  মেঘের  চাইতে  উঁচু  তাতে  যারা  বসবাস  করবে  তারাই  কেবল  সেই  ধোঁয়ার  হাত  থেকে  রক্ষা  পাবে ।  এজন্য  নবী  করীম (সাঃ)  বলেছেন,  শেষ  যুগের  ঈমানদারগণ  গরু-ছাগল  নিয়ে  পাহাড  অথবা  নদী  এলাকায়  চলে  যাবে ।  এই  ধোঁয়াতে  নিঃশ্বাস  নিয়ে  মানুষ  ক্যানসার  নিউমোনিয়াসহ  মারাত্মক  মারাত্মক  রোগে  আক্রান্ত  হবে ।  বোমা  ছাড়াও  তারা  তৈরী  করে  রেখেছেন  করোনাভাইরাসের  চাইতেও  আরো  মারাত্মক  জীবাণু  যা  শত্রুদের  উপর  নিক্ষেপ  করবে ।   মানুষ  একসাথে  শরীরের  পাঁচ  দশ  জায়গায়  ক্যানসারে  আক্রান্ত  হবে ।  সুরা  দোখান  বা  ধোঁয়া  নামে  কোরআনে  একটি  সুরাই  আছে  যাতে  বলা  হয়েছে  একদিন  সারা  আসমান  ধোঁয়ায়  ঢেকে  যাবে  আর  তা  হবে  মানুষের  জন্য  এক  ভয়াবহ  যন্ত্রণাদায়ক  শাস্তি । 

দেখুন  কোরআনে  এটম  বোমা  বিস্ফোরণের  কথাকে  কোনো  গুরুত্বই  দেওয়া  হয়নি  বরং  গুরুত্ব  দিয়ে  বলা  হয়েছে  কেবল  এটম  বোমার  ধোঁয়ার  কথা ।  কারণ  বোমা  বিস্ফোরণের  চাইতে  বেশী  মানুষ  মরবে  ধোঁয়ার  কারণে  এবং  বোমা  বিস্ফোরণের  চাইতে  মানুষ  বেশী  কষ্ট  পাবে  শাস্তি  পাবে  ধোঁয়ার  কারণে ।  এই  ধোঁয়ার  কারণে  সূর্য  ঢেকে  যাবে  অনেক  দিনের  জন্য  এবং  পৃথিবীতে  সূর্যের  আলো  পেৌঁছবে  না  কয়েক  মাস ।  ফলে  পৃথিবীর  তাপমাত্রা  নেমে  যাবে  হিমাঙ্কের  নীচে (nuclear  winter),  সারা  দুনিয়ায়  বরফ  পড়ে  যাবে ।  পৃথিবীর  জলবায়ু  পাল্টে  যাবে,  বৃষ্টি  কমতে  কমতে  বন্ধ  হয়ে  যাবে  কয়েক  বছরের  জন্য ।  ফলে  সূর্যের  আলোর  অভাবে  এবং  বৃষ্টির  অভাবে  গাছপালা  এবং  জমির  ফসল  নষ্ট  হয়ে  যাবে  এবং  কয়েক  বছর  ফসল  উৎপাদন  কমতে  কমতে  একেবারে  বন্ধ  হয়ে  যাবে ।  এসবের  পাশাপাশি  চলতে  থাকলে  ধর্মীয়  এবং  অভাব-অনটনের  কারণে  খুনখারাবি  মারামারি  কাটাকাটি ।  এবার  চিন্তা  করুণ  একজন  মারাত্মক  ক্যানসার  রোগী  একজন  মারাত্মক  অসুস্থ  মানুষ  ডাক্তার  নাই  ঔষধ  নাই,  সাথে  আছে  ক্ষুধার  কষ্ট,  পিপাসার  কষ্ট,  প্রচণ্ড  শীতের  কষ্ট,  সাথে  আবার  শত্রুর  অত্যাচার । 

মাসের  পর  মাস  বছরের  পর  বছর  এমন  বিভৎস  নারকীয়  কষ্ট  ভোগ  করতে  করতে  মৃত্যুর  কোলে  ঢলে  পড়বেন  শত  শত  কোটি  বনী  আদম ।  রাশিয়া  এমন  বোমাও  তৈরী  করেছে  যা  সমুদ্রে  নিক্ষেপ  করলে  একশ  ফুট  উঁচু  ঢেউ  এসে  সবকিছু  ভাসিয়ে  নিয়ে  যাবে ।  হাজার  হাজার  এটম  বোমা  হাইড্রোজেন  বোমার  আঘাতে  ভূমিকম্প  হবে  অন্তত  লক্ষ  বার ।  এখনকার  এটম  বোমা  এতো  শক্তিশালী  যে,  ঢাকা-দিল্লী-লন্ডন-নিউ  ইয়র্কের  মতো  বড়  শহরকে  ধ্বংস  করতে  একটা  বোমাই  যথেষ্ট ।  রাশিয়ার  কাছে  এমন  মিসাইল  আছে  যার  একটির  ভিতরেই  বারটি  এটম  বোমা  থাকে,  যার  একটি  মারলেই  ফ্রান্স  বা  জার্মানীর  মতো  একটি  বড়  দেশ  মানচিত্র  থেকে  মুছে  যাবে ।  বিশেষজ্ঞদের  মতে,  মালহামার  পরে  বেশীর  পক্ষে  হয়ত  বিশ  পঞ্চাশ  কোটি  মানুষ  বেঁচে  থাকতে  পারে,  বাকী  সাতশ  আটশ  কোটি  সবাই  কবরে  চলে  যাবেন ।  বিশেষজ্ঞদের  মতে,  মালহামা  হবে  এমন  ভয়ঙ্কর  যুদ্ধ  যেমনটা  মানবজাতি  আগেও  কখনো  দেখেনি  এবং  পরেও  কখনো  দেখবে  না ।  এটম  বোমা  আছে  এমন  দেশগুলো  মালহামাতে  নিশ্চিহ্ন  হয়ে  যাবে  যেমন – আমেরিকা,  রাশিয়া,  ব্রিটেন,  ফ্রান্স,  চীন,  ভারত,  পাকিস্তান  ইত্যাদি  এবং  এদের  কাছাকাছি  অবস্থিত  দেশগুলি ।  মোটামুটি  আরব  দেশগুলো   এবং  তাদের  কাছাকাছি  কিছু  দেশ  ছাড়া  পৃথিবীর  বাকী  দেশগুলো  এমনভাবে  ধ্বংস  হবে  যে  সেগুলোতে  মানুষ  বসবাসের  উপযুক্ত  থাকবে  না ।  এসব  দেশেগুলোতে  যারা  বেঁচে  থাকবেন  তারা  জীবন  বাঁচাতে  মধ্যপ্রাচ্যের  দিকে  চলে  যাবেন ।  অনেকে  যুক্তি  দেখান  যে,  পারমাণবিক  যুদ্ধ  যেহেতু  অতীতে  কখনো  হয়নি,  কাজেই  সেই  যুদ্ধে  কেমন  ক্ষয়ক্ষতি  হবে  সেটা  নিশ্চিত  করে  বলা  যায়  না ।  যুক্তি  ঠিক  আছে  তবে  একশ  ভাগ  না  হলেও  নব্বই  ভাগ  নিশ্চিত  করে  বলা  যায় ।  কারণ  আমাদের  সামনে  আছে  জাপানের  হিরোশিমা  এবং  নাগাসাকীর  মডেল ।  দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধে  জাপানের  এই  দুটি  শহরে  এটম  বোমা  নিক্ষেপ  করা  হয়েছিল ।  জাপানে  যেই  ধরনের  এটম  বোমা  নিক্ষেপ  করা  হয়েছিল  এখনকার  এটম  বোমাগুলি  তার  চাইতে  এক  হাজার  থেকে  পঞ্চাশ  হাজার  গুণ  বেশী  শক্তিশালী ।  অন্যদিকে  দ্বিতীয়  বিশ্বযুদ্ধে  জাপানের  ঘটনাটি  ছিল  স্থানীয়  পর্যায়ের  আর  মালহামাতে  সেটি  হবে  বিশ্বব্যাপী । 

এবার  আসি  মালহামার  সময়  বাংলাদেশের  কি  অবস্থা  হবে  তার  আলোচনায় ।  বাংলাদেশে  কি  কোনো  এটম  বোমা  হাইড্রোজেন  বোমা  নিক্ষেপ  করা  হবে ?  উত্তর  হলো  ‘না’ ।  কারণ  বাংলাদেশ  পারমাণবিক  অস্ত্রধারী  আমেরিকা-রাশিয়া-চীন-ভারত-পাকিস্তান  সবার  সাথেই  বন্ধুত্বপূর্ন  সম্পর্ক  বজায়  রেখে  চলে ।  কাজেই  তাদের  কারো  এটম  বোমার  টার্গেটে  বাংলাদেশ  নাই ।  আমাদের  মনে  রাখতে  হবে  যে  এটম  বোমার  অধিকারী  দেশগুলো  কেবল  অন্য  এটম  বোমার  অধিকারী  দেশকেই  সাধারণত  টার্গেট  করে  থাকে ।  দ্বিতীয়  কথা  হলো  অন্য  দেশকে  টার্গেট  করে  নিক্ষেপ  করা  এটম  বোমা  যান্ত্রিক  ত্রুটির  কারণে  বা  অন্য  কোনো  ভাবে  বাংলাদেশে  এসে  পড়ার  সম্ভাবনা  আছে  কিনা ?  উত্তর  হলো  ‘না’ ।  কারণ  এটম  বোমা  সাধারণত  দুই  পদ্ধতিতে  নিক্ষেপ  করা  হয় (১)  আন্তঃমহাদেশীয়  ব্যালেস্টিক  ক্ষেপনাস্ত্রের  মাধ্যমে (ICBM) এবং  (২)  জঙ্গী  বিমানের  মাধ্যমে ।  প্রথমত  ক্ষেপনাস্ত্রগুলোতে  কমপিউটার  সেট  করা  থাকে  যেগুলো  তাকে  নির্দিষ্ট  স্থানে  চালিয়ে  নিয়ে  যায় । 

এদেরকে  চলার  পথ  দেখিয়ে  নিয়ে  যায়  মহাশূণ্যে  স্থাপিত  সামরিক  সেটেলাইট ।  সে-সব  সেটেলাইট  ধ্বংস  না  করে  এসব  মিসাইলকে  ভুল  পথে  নিয়ে  যাওয়া  সম্ভব  না ।  রাশিয়া  বর্তমানে  এমন  মিসাইল  তৈরী  করেছে  যেগুলো  সেটেলাইটের  সাহায্য  ছাড়াই  নির্দিষ্ট  গন্তব্যে  পেৌছাতে  পারে ।  তাছাড়া  এসব  মিসাইল  ঘণ্টায়  হাজার  হাজার  মাইল  গতিতে  ছুটে  যায়,  কাজেই  দূর  থেকে  কোনো  টেকনোলজির  মাধ্যমে  সেগুলোকে  ভূল  পথে  নিয়ে  যাওয়ার  কল্পনাই  করা  যায়  না ।  দ্বিতীয়তঃ  জঙ্গীবিমানের  মাধ্যমে  যে-সব  এটম  বোমা  নিক্ষেপ  করা  হবে  সেগুলো  একজন  পাইলট  চালিয়ে  নিয়ে  যাবেন ।  পাইলটকে  সরকার  যেখানে  বোমাবর্ষণের  হুকুম  দিবেন  সে  সেখানেই  বোমাবর্ষন  করবে ।  পাইলটকে  ঘুষ  দিয়ে  বা  অন্য  কোনো  উপায়ে   এক  জায়গার  বদলে  অন্য  জায়গায়  বোমাবর্ষণ  করার  আশা  করা  যায়  না ।  কাজেই  আমাদের  মৃত্যু  হবে  এটম  বোমার  আগুনে  নয়  বরং  এটম  বোমার  ধোঁয়ায়  যা  হবে  অনেক  বেশী  কষ্টদায়ক  যন্ত্রণাদায়ক  বিভীষিকাময় ।  আল্লাহ  আমাদের  সবাইকে  রক্ষা  করুন,  আমিন ।  – বশীর  মাহমুদ  ইলিয়াস


Leave a comment

করোনা  ভাইরাস  আপনার  শরীরে  হাজার  বার  ঢুকেও  আপনার  কোনো  ক্ষতি  করতে পারবে না

করোনা  ভাইরাস  আপনার  শরীরে  হাজার  বার  ঢুকেও  আপনার  কোনো  ক্ষতি  বা  আপনাকে  হত্যা  করতে  পারবে  না ।  চিকিৎসা  বিজ্ঞানীদের  মতে,  গাছের  মরা  ঢালেই  ব্যাঙের  ছাতা (ছত্রাক)  জন্মায়,  সুস্থ  ঢালে  কখনো  নয় ।   মানুষের  বেঁচে  থাকার  জন্য  এক  ধরনের  পরিবেশ  লাগে ।  মাছদের  বেঁচে  থাকার  জন্যও  এক  বিশেষ  ধরনের  পরিবেশ  লাগে ।  নর্দমার  যে  পোকা  তাকেও  কিন্তু  সেখান  থেকে  অন্য  পরিবেশে  নিয়ে  গেলে  সে  আর  বাঁচবে  না ।  তেমনিভাবে  করোনাভাইরাসেরও  বেঁচে  থাকার  জন্য  এবং  বংশবৃদ্ধির  জন্য  একটি  বিশেষ  ধরনের  পরিবেশ  দরকার  হয় ।  যার  শরীরে  করোনাভাইরাস  বসবাসের  উপযুক্ত  পরিবেশ  আছে  সেটি  কেবল  তার  শরীরেই  বংশবৃদ্ধির  মানে  রোগ  সৃষ্টির  চেষ্টা  করে  সফল  হবে ।  যার  শরীরে  করোনাভাইরাস  বসবাসের  উপযুক্ত  পরিবেশ  নাই,  সেটি  তার  শরীরে  হামলা  করবে  না  অথবা  হামলা  করলে  সে  নিজেই  ধ্বংস  হবে ।  এজন্য  দেখা  যায়  যে-কোনো  মহামারীতে তিন  ধরনের  ঘটনা  ঘটে –  কিছু  লোক  আক্রান্ত  হয়ে  মারা  যায়,  কিছু  লোক  আক্রান্ত  হয়ে  সুস্থ  হয়ে  উঠে  আর  কিছু  লোক  আক্রান্ত  হয়  না ।  কাজেই  কিছু  লোক  অনেক  সাবধান  থাকার  পরেও  আক্রান্ত  হবেন  আবার  কিছু  লোক  সাবধান  না  থেকেও  আক্রান্ত  হবেন  না ।  কাজেই  সাবধান  থাকা  ভালো  কিন্তু  বেশী  সাবধান  থাকলেই  যে  রক্ষা  পেয়ে  যাবেন  এমন  গ্যারান্টি  নাই ।  যার  শরীরে  ত্রুটি  বিচ্যুতি  আছে,  করোনা  ভাইরাস  বসবাসের  মতো  উপযুক্ত  পরিবেশ  আছে,  করোনা  ভাইরাস  তাকেই  আক্রমণ  করে  ক্ষতি  করার  চেষ্টা  করবে ।  এজন্য  যারা  এলোমেলো  খাওয়া-দাওয়া  করেছেন,  বেশী  পরিশ্রম  করেছেন  বা  বেশী  অলসতা  করেছেন,  প্রয়োজন  মতো  ঘুমান  নাই  অথবা  বেশী  ঘুমিয়েছেন,  এখন  থেকে  এসব  বদভ্যাস  ছাড়েন ।  ভারসাম্যপূর্ণ  খাবার  খান  অর্থাৎ  সব  ধরনের  খাবার  খাবেন,  কোনোটা  বেশী  খাবেন  না  আবার  কোনোটা  খাওয়া  একেবারে  ছেড়ে  দিবেন  না ।  পুষ্টি  বিজ্ঞানীরা  বলেন,  সুস্থ  থাকার  জন্য  রংধনু  খাবার  খেতে  হবে  অর্থাৎ  রঙধনুতে  যত  রঙ  থাকে  তত  রঙের  খাবার  খেতে  হবে ।  যেই  খাবারগুলো  রান্না  ছাড়া  খাওয়া  সম্ভব  সেগুলো  রান্না  ছাড়া  খাওয়ার  চেষ্টা  করুন ।  কেননা  রান্না  করলে  খাবারের  গুণাগুণ  কিছুটা  হলেও  নষ্ট  হয়ে  যায় ।  কয়েক  রকমের  তরকারি  এবং  শাক-সবজি  ব্লেন্ডারে  জুস  করে  খেতে  পারলে  সেটা  অনেক  উত্তম  গণ্য  হবে ।  পরিমাণ  মতো  পরিশ্রম  করবেন,  হাতে  কোনো  কাজ  না  থাকলে  ব্যায়াম  করবেন,  পরিমাণ  মতো  বিশ্রাম  করবেন  ঘুমাবেন ।  মাওলানা  সাঈদী  একবার  বলেছিলেন  যে,  আড়াই  মণ  ওজনের  বস্তা  নিয়ে  কাউকে  হাঁটতে  দেখলে  অসুখ-বিসুখ  বাপ  বাপ  ডাক  ছেড়ে  পালিয়ে  যায় ।  সাঈদী  সাহেবের  কথাটা  যে  কতো  বড়  একটা  সত্য  কথা  তা  যে-কোনো  ডাক্তার  মাত্রই  স্বীকার  করতে  বাধ্য ।

আসলে হোমিও ঔষধে মোটামুটি ৫ ভাগ থাকে এলকোহল, ৯৪ ভাগ থাকে পানি এবং ১ ভাগ থাকে ঔষধ । কাজেই মোটামুটি ২ থেকে ৫ ভাগ এলকোহলের সাথে যদি ৯৫ থেকে ৯৮ ভাগ অন্য পদার্থ মিশানো হয় তখন সেটি আর এলকোহল থাকে না । কাজেই যেই নেশার সৃষ্টি এবং কাণ্ডজ্ঞান লোপ পাওয়ার কারণে এলকোহল হারাম করা হয়েছে হোমিও ঔষধে তার কোনটাই নাই । এতে নেশাও হয় না জ্ঞান বুদ্ধিও নষ্ট হয় না । কাজেই হো্মিও ঔষধ হারাম হওয়ার কোনো কারণ নাই

674.  আমার আম্মুর বয়স চল্লিশ বছর। ওনার ডায়াবেটিস আছে। ওনার পুর শরীরে ভিবিন্ন জায়গায় এলার্জি নাকি দাদ এর মত অনেকগুলো বিষপুডা উঠেছে।উনি ডক্টর কাছেও গেছে বাট কোনো কাজ এ হচ্ছে না।এই বিচিগুলো অনেক চুলকায় আর চুলকালে ওই জায়গায় ব্যাথা হয়। আর দিন দিন বিছিগুলো বড হয়ে যাচ্ছে আর ওইসব জায়গার কালো হয়ে যাচ্ছে। ডক্টরজযে মলমটা দিয়েছিলো ওইটাতেও কোনো কাজ হচ্ছে নাহ।এখন আপনি যদি কোনো কিছু সাজেস্ট করেন অনেক বেশি উপকার হতো

Kali  iodatum   30

878.  গাড়ির  মেকানিকদের  অসুখ  বিসুখের  চিকিৎসায়  শ্রেষ্ট  হোমিওপ্যাথিক  ঔষধ  কোনটি ?

উত্তর :  গাড়ির  মেকানিক  বা  গ্রাম  অঞ্চলের  ট্রাক্টরের  মেকানিক  এরা  যেহেতু  সারাক্ষণ  ডিজেল-পেট্টোল-কেরোসিন  নাড়াচাড়া  করেন,  এজন্য  এদের  দেহমনে  Petroleum ঔষধটার  লক্ষণ  বেশী  দেখা  যায় ।  কাজেই  এই  ধরনের  পেশায়  নিয়োজিত  আছেন  জানতে  পারলে  প্রথমেই  দেখা  উচিত  তার  মধ্যে  পেট্টোলিয়ামের  লক্ষণ  আছে  কিনা,  থাকলে  সেটি  প্রেসক্রাইব  করা ।

৭৬৮.  ভাই,  আমার  আব্বা  দীর্ঘদীন  যাবত  ডায়াবেটিসে  ভোগছেন ।  তাকে  রোজ  তিন  বার  ইনসুলিন  ইনজেকশান  নিতে  হয় ।  আপনার  ডায়াবেটিসের  হোমিওপ্যাথিক   ফরমূলা  অনুযায়ী  ঔষধ  খেয়ে  অন্যান্য  অনেক  সমস্যার  উন্নতি  হলেও  ডায়াবেটিসের  কোনো  উন্নতি  হয়নি ।  দয়া  করে  আরো  কযেকটি  হোমিওপ্যাথিক  ঔষধ  লিখে  দিন  যাতে  তিনি  এই  ইনজেকশানের  কষ্ট  থেকে  মুক্তি  পেতে  পারেন ।  ধন্যবাদ

উত্তর :  Phosphoricum  acidum, Sanicula, Argentum  metallicum, Aceticum  acidum, Ferrum  iodatum, Apocynum  cannabinum, Natrum  sulphuricum  ঔষধগুলি  একটার  তিন  দিন  পর  আরেকটা  এভাবে  সিরিয়াল  মতো  ঘুরিয়ে  ফিরিয়ে  খান (৩০  বা  ২০০  শক্তিতে  এক  ফোটা  অথবা  ৫  বড়ি  করে) ।  সুগার  নরমালে  আসলে  ঔষধ  বন্ধ  রাখবেন ।  ডায়াবেটিসের  জটিল  কেইস  একজন  হোমিও  ডাক্তারের  সরাসরি  তত্ত্বাবধানে  চিকিৎসা  নেওয়া  ছাড়া  মুক্তির  আশা  নাই । 

Take homeopathic medicine Rhus toxicodendron 10M to destroy coronavirus, 1 drop or 5 pills two times daily for 3 or more days

vaccination is in the koran is an erroneous statement. conventional vaccines are more harmful than beneficial. Our Prophet (pbuh) declard that Allah has created cure for every illness. so we should search for the medicine not for the vaccine. Homeopathy also has some medicines which are made from virus and act like vaccine. they are more effective and safe than vaccine because they dont contain any living or dead virus but particles of virus. one of them is influenzinum which you can take as a vaccine for covid or other flu virus.

যারা  টিকা  নিয়েছেন  তারা  টিকার  ক্ষতি  থেকে  বাঁচতে  থুজা  অক্সিডেন্টালিস (Thuja  occidentalis)  নামক  হোমিও  ঔষধটি  ৩০  শক্তিতে  রোজ  ৩  বার  করে  অন্তত  ৩  দিন  খান  (  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি)  । 


Leave a comment

করোনাভাইরাস কভিডের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা

প্রশ্ন : করোনাভাইরাসের হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা সম্পর্কে জানতে চাই ।

উত্তর : আজ থেকে দুইশ বছর পূর্বে যখন হোমিওপ্যাথি (homeopathy) আবিষ্কৃত হয়েছিল তখন হোমিওপ্যাথি দ্রুত জনপ্রিয়তা পেয়েছিল মহামারী রোগের চিকিৎসায় হোমিওপ্যাথির অসাধারণ সফলতার কারণে । ইউরোপের দেশগুলোতে তখন কলেরা মহামারী শুরু হয়েছিল । ঐতিহাসিক নথিপত্রে দেখা যায় তখন এলোপ্যাথিক হাসপাতালগুলোতে কলেরা রোগীর মৃত্যুর হার ছিল ৯০% আর হোমিওপ্যাথিক হাসপাতারগুলোতে মৃত্যুর হার ছিল ৫% । সে যাক, বর্তমানে মহামারী আকারে সারা দুনিয়ায় ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস (coronavirus)  রোগের চিকিৎসার জন্য Arsenicum album এবং Bryonia alba নামক ঔষধ দুটি একটার পরে আরেকটা এভাবে ঘুরিয়ে ফিরিয়ে খান । এগুলো ৩০ বা ২০০ বা অন্য যে-কোনো শক্তিতে ১ ফোটা বা ৫টি বড়ি করে ৪ ঘণ্টা পরপর হিসাবে খেতে পারেন । ২ দিন বা ৩ দিন খাওয়াই যথেষ্ট হবে । তবে প্রয়োজন হলে আরো বেশী দিন খেতে পারেন । এই ঔষধ দুটি দোকানে পাওয়া না গেলে তার বদলে Phosphorus এবং Rhus toxicodendrum ঔষধ দুটি পূর্বের নিয়মে খেতে পারেন । জ্বর বেশী থাকলে মাথায় পানি ঢালবেন । তরল খাবার বেশী বেশী খাবেন । চিনি লেবু দিয়ে শরবত খেতে পারেন । সাধারণত এলোপ্যাথিক চিকিৎসা করলে করোনাভাইরাস চলে যাওয়ার পরেও অনেক দিন দুর্বলতা নিয়ে বিছানায় পড়ে থাকতে হয় । কিন্তু হোমিও চিকিৎসা করলে করোনাভাইরাস দ্রুত আরোগ্য হবে এবং রোগীর শারীরিক শক্তি সামর্থও সাথে সাথেই স্বাভাবিক পর্যায়ে চলে আসবে ।


প্রশ্ন : করোনাভাইরাসের হাত থেকে বাঁচার কোন উপায় (preventive) আছে কি না ?
উত্তর : করোনাভাইরাস বা যে-কোন সংক্রামক রোগ থেকে বাঁচার একমাত্র উপায় হলো আল্লাহ প্রদত্ত আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে (immunity) শক্তিশালী করা । আর ইমিউনিটিকে শক্তিশালী করার একমাত্র উপায় হলো সকল রোগে হোমিওপ্যাথিক ঔষধ খাওয়া এবং পাশাপাশি সারা বছর হোমিওপ্যাথিক ভিটামিনগুলো খাওয়ার অভ্যাস রাখা । হোমিওপ্যাথিক ঔষধ ছাড়া আর যত রকমের ঔষধ আছে, সেগুলোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া অত্যন্ত বেশী এবং এগুলো কোন না কোন ভাবে আমাদের ইমিউনিটির ক্ষতি করে থাকে । পক্ষান্তরে প্রতিটি হোমিও ঔষধই রোগ নিরাময়ের পাশাপাশি আমাদের রোগ প্রতিরোধ শক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে । যে-কোন রোগের টিকা নিয়ে কিছু সময়ের জন্য আপনি সেই রোগ থেকে বাঁচতে পারেন ঠিকই কিন্তু সে-সব টিকার কারণে তার চাইতে ও ভয়ংকর রোগে আক্রান্ত হতে পারেন । গবেষণায় দেখা গেছে টিকার কারণে মানুষ যে-সব ভয়াবহ রোগে আক্রান্ত হতে পারে তাদের মধ্যে আছে এনাফাইলেকটিক শক (Anaphylactic shock) বা হঠাৎ মৃত্যু, ক্যানসার, ডায়াবেটিস, এনসেফালোপ্যাথি (Encephalopathy) ব্রেনের ইনফেকশন, গুলেন বেরি সিনড্রোম (Guillain-Barré Syndrome), বুদ্ধিপ্রতিবন্দিত্ব (Autism), ডিমায়েলিনেটিং ডিজিজেজ অব সেন্ট্রাল নার্ভাস সিস্টেম, অপটিক নিউরাইটিস (Optic neuritis) দৃষ্টিশক্তির গোলমাল, মৃগীরোগ (Epilepsy), ট্রান্সভার্স মায়েলাইটিস (Transverse myelitis), হাঁপানি, কিডনী ড্যামেজ ইত্যাদি ইত্যাদি । কাজেই কোন রোগের জন্যই টিকা নেওয়াটা বুদ্ধিমানের কাজ নয় । আমার পরিবারের পাঁচ সদস্যের কেউই মশারী ব্যবহার করে না, চব্বিশ ঘণ্টাই আমাদেরকে মশায় কামড়াইতেছে । তারপরও কেবল মাত্র আমার ছোট মেয়েটি চিকনগুনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছিল, তা ও আবার হোমিও ঔষধ খাওয়ার কারণে তিন দিনেই জ্বর সেরে যায় । অন্য চারজনকে এখনও চিকনগুনিয়া আক্রমণ করতে পারে নাই । ইহার একমাত্র কারণ আমার পরিবারের সকলেই সকল রোগে হোমিও ঔষধ খেয়ে থাকে এবং সারা বছর ভিটামিন জাতীয় হোমিও ঔষধগুলো খেয়ে থাকে (যেমন- Calcarea phos, kali phos, ferrum phos, Carbo veg, Nux vomica, Alfalfa, Avena sativa ইত্যাদি ) । হোমিওপ্যাথিতে Influenzinum নামে একটি ঔষধ আছে যাহা প্রতি শুক্রবারে ১ ফোটা বা ৫টি বড়ি করে খেলে বার্ড ফ্লু, সোয়াইন ফ্লু, ডেঙ্গু, চিকনগুনিয়া, করোনাভাইরাস ইত্যাদি রোগ থেকে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা আছে (৩০ বা ২০০ শক্তিতে খেতে পারেন) ।  ইনফ্লুয়েঞ্জিনাম  ঔষধটি  পাওয়া  না  গেলে  Arsenicum  abum  ঔষধটি  একই  নিয়মে  খেতে  পারেন ।


প্রশ্ন : করোনাভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়ার পরে শারীরিক দুর্বলতা (weakness) থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য কি ঔষধ খেতে পারি ?
উত্তর : Picricum acidum 30 নামক হো্মিও ঔষধটি ৩ দিন সকালে খাবেন ১ ফোটা বা ৫টি বড়ি করে ।

Influenzinum :  take  this  homeopathic  medicine  as  a  vaccine  to  remain  safe  from  coronavirus,  one  time  after  one  week  interval.  Take  it  in  30,  200  or  in  any  other  potency,  in  one  drop  or  five  pills  dose.  If  this  medicine  is  not  available  you  can  take  Arsenicum  album  in  similar  rules.

Arsenicum  album  &  Bryonia  alba :  take  these  two  homeopathic  medicines  if  you  are  infected  by  coronavirus,  one  after  another  in  a  cyclical  way  with  4  hours  interval.  Take  these  in  30,  200  or  in  any  other  potency,  in  one  drop  or  five  pills  dose.  If  these  two  medicines  are  not  available  or  if  you  do  not  get  sufficient  benefit  you  can  take  Phosphorus  &  Rhus  toxicodendron  in  similar  rules.  if  you  do  not  get  sufficient  benefit  you  can  take  those  four  medicines  one  after  another  in  a  cyclical  way.

Antimonium tartaricum – for  difficult respiration with sleepiness.

Apis mellifica – for difficult respiration increase after lying.

Lachesis – for difficult respiration during or after sleep.

Bryonia  alba –  for difficult respiration increase after  movement.

Ipecac – for difficult respiration  with  vomiting  tendency.

Natrum  sulphuricum – for difficult respiration  of fat people or rainy  season

Medorrhinum – for difficult respiration  if decrease after lying  on  belly.

Causticum – for difficult respiration  of such patient who can not tolerate injustice.

Phosphorus – for difficult respiration  with  great love for drinking cold water.

Aconitum  napellus  – for difficult respiration  which started suddenly.

Lycopodium – for difficult respiration  if  increase  during  4pm to 8pm.

Arsenicum  album – for difficult respiration  if  increase  after  midnight  or  with  fear  of  death 

China officinalis, Picricum acidum etc – for difficult respiration  due to weakness or after suffering  from  diseases

নিউমোনিয়ার সেরা ঔষধ যেমন Bryonia  alba  তেমনি করোনাভাইরাসেরও সেরা ঔষধ এটি

করোনা থেকে বাঁচতে Arsenicum  album   এবং  Camphora  নামক হোমিও ঔষধ দুটো সব সময় পকেটে রাখবেন । হালকা অবস্থায় প্রথমটা এবং মারাত্মক অবস্থায় দ্বিতীয়টা রোজ দুইবেলা করে খেতে থাকুন । ৩০ বা অন্য যে-কোনো শক্তিতে ১ ফোটা অথবা ৫ বড়ি করে

করোনাভাইরাসের সহজ চিকিৎসা হলো যতদিন সর্দি-কাশি-জ্বর থাকবে Rhus  toxicodendron  নামক  হোমিও ঔষধটি খাবেন তিনবেলা করে আর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে Bryonia  alba   খাবেন তিনবেলা করে

শ্বাসকষ্টের  সাথে  বমিবমি  ভাব  থাকলে  Ipecac খেতে  হবে  

শয়ন করিলে যদি শ্বাসকষ্ট বেড়ে যায় তবে প্রথমেই চিন্তা করতে হবে Apis Mellifica   ঔষধটির কথা

ঘুমালেই  শ্বাসকষ্ট  বেড়ে  গেলে  শ্বাসকষ্ট নিয়ে ঘুম  ভেঙ্গে গেলে তার  ঔষধ  হলো  Lachesis

নড়াচড়া  বা  কাজ  করলে  শ্বাসকষ্ট  বেড়ে  গেলে  Bryonia  alba  খেতে  হবে

শ্বাসকষ্টের  সাথে  ঘুমঘুম  ভাব  থাকলে  Antimonium  tartaricum  খেতে  হবে

ভ্যাপসা আবহাওয়ায়, মোটা  যার  শরীরে  পানি  বেশী  তার  শ্বাসকষ্টে  Natrum  sulphuricum  খেতে  হবে

পেট নীচে দিয়ে শয়ন করলে শ্বাসকষ্ট কমলে অথবা ভোরবেলা শ্বাসকষ্ট বাড়লে Medorrhinum খেতে হবে

অন্যায় দেখলে সহ্য করতে পারে না এমন রোগীদের শ্বাসকষ্টে Causticum  খাওয়াতে হবে

ঠান্ডা পানি ভীষণ পছন্দ করে এমন রোগীদের শ্বাসকষ্টে Phosphorus খাওয়াতে হবে

হঠাৎ ভীষণ শ্বাসকষ্ট  শুরু  হলে  Aconitum  napellus  খেতে  হবে

বিকাল  ৪টা  থেকে  ৮টার  মধ্যে  শ্বাসকষ্ট  বৃদ্ধি  পেলে  Lycopodium  খেতে  হবে

মধ্যরাতের পরে শ্বাসকষ্ট বৃদ্ধি পেলে অথবা শ্বাসকষ্টের সাথে মৃত্যুর ভয় হলে Arsenicum  album খেতে হবে

রোগ ভোগের পরে দুর্বলতার কারণে শ্বাসকষ্ট হলে  Carbo veg, China, Picric acid, Nux vomica  ইত্যাদি খেতে হবে

হোমিও  ডাক্তারের  সিরিয়াল  না  পেলে  Rhus  toxicodendron,  Arsenicum  album,  Bryonia  alba,  Gelsemium  এই  চারটি  ঔষধ  ৬  ঘন্টা  পরপর  চক্রাকারে  ঘুরিয়ে  ফিরিয়ে  খেতে  থাকেন (৩০ বা যে-কোনো  শক্তিতে  ১ ফোটা বা ৫টি বড়ি করে)।  করোনাভাইরাস  আপনাকে  কবরে  শোয়ানো  তো  দূরের  কথা  বিছানাতেও  শোয়াতে  পারবে  না  ইনশায়াল্লাহ ।

হোমিও ডাক্তাররা করোনাভাইরাসের ভয়ে চেম্বারে রোগী দেখা বন্ধ করবেন না । মহাচিকিৎসা বিজ্ঞানী স্যামুয়েল হ্যানিম্যান মহামারীর ভয়ে কখনো চিকিৎসা বন্ধ করে দেন নাই বরং মহামারী আক্রান্ত মানুষের চিকিৎসা দিয়ে হোমিওপ্যাথিকে জনপ্রিয়তার শীর্ষে নিয়ে গিয়েছিলেন । যাদুকরী ক্ষমতাসম্পন্ন হোমিও ঔষধের সামনে করোনাভাইরাস কোনো রোগের মধ্যেই পড়ে না । করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হলে উচ্চ শক্তিতে দুই তিন বার Rhus toxicodendron খান, দুই দিনের মধ্যেই সুস্থ হয়ে যাবেন । বাংলাদেশের বর্তমান ভ্যাপসা আবহাওয়ার কথা বিবেচনা করলে আমার মতে Rhus toxicodendron ঔষধটি হবে করোনাভাইরাসের স্রেষ্ট ঔষধ । অবশ্য লক্ষণ সমষ্টি অন্য ঔষধের সাথে মিলে গেলে সেটিও খেতে পারেন ।

করোনাভাইরাসের ভয়ে বেঁহুশ হবেন না, পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রী-ভাই-বোন-পুত্র-কন্যা সবার সাথে মিলেমিশে চলেন । কাউকে বয়কট  করবেন  না,  কারো সাথে সম্পর্ক  ছিন্ন  করবেন  না  ।  এক ফোটা হোমিও ঔষধ খেলেই করোনা সেরে যায় । কারো করোনা হইলে হোমিও ডাক্তারদের চেম্বারে যান অথবা ফোন  দিয়ে  তাদের  পরামর্শ  মতো  ঔষধ  খান । Rhus tox  নামে একটা হোমিও ঔষধ আছে, এটি এক হাজার, দশ হাজার বা পঞ্চাশ হাজার বা অন্য যে-কোনো শক্তিতে কিনে ঘরে রাখেন । কারো মধ্যে সর্দি-কাশি-জ্বর-ডায়েরিয়া ইত্যাদি করোনা লক্ষণ দেখা গেলে ঔষধটা ১ ফোটা  অথবা  ৫ বড়ি করে রোজ দুইবেলা করে খেতে থাকেন, দুই তিন দিনের মধ্যেই সেরে যাবে । হাসপাতালে যাওয়া লাগবে না, বিছানাতেও শোয়া লাগবে না ।

Camphora :  এলোপ্যাথিক  ডাক্তারগণ  যেমন  মৃত্যুপথযাত্রী  কোনো  রোগীকে  বাঁচানোর  জন্য  শেষ  চেষ্টা  হিসাবে  কোরামিন  ইনজেকশান  বা  ওরাডেক্সন  ইনজেকশান  দেন,  হোমিও  ডাক্তারগণ  তেমন  অবস্থায়  রোগীকে  খাওয়ান  Camphora  নামক  হোমিও  ঔষধটি ।  এই  ধরনের  রোগীদের  যেহেতু  অনেক  সময়  ঔষধ  খাওয়ার  মতো  ক্ষমতা  থাকে  না,  তাই  এটি  জিহ্বার  উপরে  বা  ঠোটের  ভেতরে  রেখে  দিলেও  কাজ  হবে  অথবা  পানিতে  ভিজিয়ে  কয়েকটা  ঝাকিঁ  দিয়ে  নাকের  সামনে  ধরলেও  চলবে ।  নিঃশ্বাসের  সাথে  ঔষধের  দুয়েকটা  অণু-পরমাণূ  ভেতরে  গেলেই  কাজ  হবে ।  এই  হোমিওপ্যাথিক  ঔষধটা  কর্পুর  থেকে  তৈরী  করা  হয়  যা  আমাদের  দেশের  মুদি  দোকানে  কিনতে  পাওয়া  যায় ।  কাজেই  এই  হোমিও  ঔষধটা  যদি  আপনার  কাছে  না  থাকে  বা  আপনার  পক্ষে  সংগ্রহ  করা  সম্ভব  না  হয়,  তবে  এক  টুকরা  কর্পুর  হাতে  নিয়ে  একটি  কাঠের  উপর  বিশ  পঞ্চাশ  বার  ঘর্ষন  করে  সেটি  মৃত্যুপথযাত্রী  মানুষের ( বা  পশু-পাখির)  জিহ্বার  উপরে  বা  ঠোটের  ভেতরে  স্পর্শ  করান  অথবা  নাকের  সামনে  ধরুন,  ইনশায়াল্লাহ  সে  সুস্থ  হয়ে  উঠবে ।  হোমিও  ঔষধ  সাধারণত  ঘর্ষণের  মাধ্যমে  তৈরী  করা  হয় । 


Leave a comment

EMERGENCY MESSAGE The Malhama / Armageddon / Nuclear War is near

EMERGENCY MESSAGE
The Malhama/Armageddon/Nuclear War is near. Please prepare yourself. I know studying Akhir Zaman is important. But please prepare yourself. This is would be the first part of the hardest trials, many still to come. To continue, for the next trials, and to preserve the truth, you must survive the Malhama.5464 nuke
Gate for war:
– Shutting off diplomatic ties, US done that. No more Russian diplomatic channel in the US, and no more front and back door channel.
– Building up military at enemy border, US done that using Iranian, Crimean and North Korean pretext. Hoarding troops at Russian and Chinese border.
– Shutting off information from other continents, US done that, RT and Sputnik purge, also CNN taking control the opinion of US vassal states worldwide, by establishing local outlet.
– Economic sanctions, US done that.
– Nuclear weapons initiation, US and Russia done that.
– Citizens surveillance, US done that, by controlling social media. FB, Youtube, Google, etc, are complying with US DHS.
– State of Emergency, UK, Europe, US are on it, using the cause of terror attack.
– Thucydides Trap, forcing alliances, US done that with revolution all over the world, despite most is failing.
– The brinkmanship, US done that by creating Kurdistan in northern Iraq and attempt to do the same in northern Syria.
– Causus bellum, pretext to war Russia, is ongoing, the Russian meddling on democracy.
– Nuclear war drills, both Russia and US done that.
Western economic collapse will be outdone by war. We’ll never see the collapse, because they will force war in order for the people to accept collapse/default. The petrodollar is being buried as we speak. Russia and China are hoarding gold to survive collapse.
For now, I will not answer or discuss about the knowledge or Akhir Zaman or such on Islam. Rather to provide you update of evolving events, which I think will unfold in fast manner, one after the other.
Please, understand the clear and presence danger, avoid the beaches, get out of North America and Europe. Head to the mountain. Stock up food, water, warm clothes, and some gold/money.
Angkoso Nugroho / Novaya Zemlya


Leave a comment

Aplastic anemia is curable with homeopathic treatment

Aplastic anemia  is  curable  with  homeopathic  treatment

(এপ্লাস্টিক এনিমিয়া  হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসায়  ভালো  হয়)

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/

https://bashirmahmudellias.wordpress.com/

 

Dear  all,

Take  these   homeopathic  medicines  (as  a  cure  for  aplastic anemia)  according  to  my  direction.  I  am  optimistic  that  my  formula  will  give  a  full  cure  for  90%  of  aplastic anemia.  Although  few  cases  will  not  get  full  cure ;  still  they  will  get  ten  fold  better  result  than  any  other  healing  systems.  Yea,  it  is  better  to  take  all  homeopathic  medicines  in  empty  stomach ;  but  you  can  take  them  after  meal  if  you  forget.  You  can  take  these  homeopathic  medicines  along  with  other  allopathic  or  herbal  medicines (whether  they  may  be  tablet,  capsule  or  injection).  It  will  not  cause  any  trouble.  But  it  is  better  to  take  all  homeopathic  medicines  half  an  hour  before  or  after  other  medicines.  The  dose  of  adult  and  kids  are  same.  Try  to  buy  Germany  or  U.S.A.  made  medicines.

You  can  exclude  any  of  these  medicines  if  it  seems  causing  undesirable  side-effects (like  acidity,  vertigo,  pain,  vomiting  etc)  or  is  not  available  in  the  local  market.  Continue  rest  of  the  medicines  according  to  their  suggested  order  or  serial.  Do  not  change  my  recommendation  on  potency  and  dose,  but  you  can  take  the  nearest  potency  if  the  recommended  potency  is  not  available  in  the  local  market.  You  should  know  that  the  names  of  the  homeopathic  medicines  are  universal (that  means  they  could  be  found  with  the  same  name  in  every  country).  You  should  take  the  lowest  potency  first  and  try  to  increase  the  potency  gradually  in  the  next  round  if  possible.  In  some  rare  cases,  you  may  need  to  consult  a  homeopathic  specialist  to  be  able  to  use  more  precisely  selected  medicines (which  best  suit  with  your  physical  and  mental  make-up).  You  will  need  to  take  these  medicines  until  you  attain  a  full  cure  or  sufficient  improvement.

Many  people  are  writing  to  me  enquiring  how  to  collect  these  homeopathic  medicines.  These   homeopathic  medicines  are  actually  the  most  common  homeopathic  medicines.  You  can  buy  them  from  any  homeopathic  pharmacy.  As  far  as  I  know,  homeopathic  medicines  are  available  in  most  of  the  major  cities  in  the  world.  If  these  are  not  available  in  your  area,  then  you  can  collect  them  by  ordering  to  many  companies  over  e-mail.  In  this  regards,  these  following  three  links  may  greatly  help  you :-

  1. http://hpathy.com/homeopathy-pharmacies/
  2. http://www.hmedicine.com/homeopathic/single_remedies
  3. http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/01/great-homeopathic-dispensaries-in-dhaka.html

Rx

(1)  Avena sativa         Q/3x/6x/12x/30

(First  take  this  homeopathic  medicine  10  drops  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days  mixing  with  some  water.)

(2)  Arsenicum  album   3/6/12/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(3)  Lecithinum                3/6/12/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(4)  Medorrhinum            10M/50M

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  1  times  daily  for   01  day.)

(5)  Manganum aceticum        3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(6)  Thyroidinum               3x/6x/12x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  1  pill  2  times  daily  for   03  days.)

(7)  Calcarea  Phos          3x/6x/12x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(8)  Alfalfa                   Q/3x/6x/12x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  10  drops  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(9)  Zincum  metallicum  3x/6x/12x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   01  day.)

(10)  Urtica   urens      Q/3x/6x/12x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  5  drops  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days mixing  with  some  water.)

(11)  Cadmium  Sulfuratum   3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(12)  Ferrum  phos               3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(13)  Nitricum  Acidum         3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(14)  Carbo  vegitabilis       3/6/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(15)  Narum  sulphuricum     3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(16)  Calcarea  Fluorica          3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(17)  Avena sativa      Q/3x/6x/12x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  10  drops  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days mixing  with  some  water.)

(18)  Magnesia  carbonica  3x/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(19)  Kali  phosphorica         3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(20)  Sulphur                             30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(21)  Carbo  animalis       3x/6x/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(22)  Aurum  metallicum          30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(23)   Alfalfa                          Q/3x/6x

(Then  take  this  homeopathic  medicine  10  drops  or  10  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(24)   Nux  vomica           3x/6x/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(25)  China  officinalis         Q/3x/6x/30

(Then  take  this  homeopathic  medicine  5  drops  or  10  pills  2  times  daily  for   03  days.)

(26)   Thuja  occidentalis           30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  2  times  daily  for   03  days. Now  start  again  from  number  1  in  similar  rules.)

 

Dr. Bashir Mahmud Ellias

Author, Design specialist, Islamic  researcher,  Homeo consultant  R.  K.  Mission  road (3rd flr),  Gopibugh,  

P/O-Warri,  Thana-Sutrapore,

Dhaka, 

Bangladesh.

Mob :  +880-01916038527

E-mail : Bashirmahmudellias@hotmail.com

Website : http://bashirmahmudellias.blogspot.com

Beware  of  childhood  vaccine

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2008/10/beware-of-childhood-vaccine.html

Cancer  and  its  easy  treatment  in  homeopathy

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/10/cancer-and-its-perilous-treatment_31.html

Psychiatric  diseases  and  their  easy  cure  in  homeopathy

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/10/mental-patients-their-tradgedy.html

Heart  diseases  and  their  easiest  homeopathic  cure

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2010/02/cardiac-diseases-their-easy-cure.html

Damaged  Kidney  is  repairable  with  homeopathic  treatment

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/10/kidney-diseases-their-real-cause-and.html

Diabetes  can  never  be  cured  without  homeopathic  medicine

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/09/Chloasma-and-some-hard-talks.html

HEPATITIS  is  an  easily  curable  disease

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2008/11/hepatitis-is-not-incurable-disease.html

Pathological  tests  are  seriously  harmful

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2010/04/pathological-tests-are-seriously.html


Leave a comment

রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্প থেকে ফিরে ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী

উঁচুনিচু টিলার ফাঁক দিয়ে পূর্বাকাশে সূর্য যখন উঁকি দিচ্ছে তখন আমরা উখিয়ার কুতুপালং রোহিঙ্গা রিফিউজি ক্যাম্পের প্রবেশ পথে এসে থামলাম। কাদা-পানিতে থকথকে রাস্তায় পা রাখা মুশকিল। তার উপর শত শত মানুষের অবিরাম চলাচল, সামনে অগ্রসর হওয়া সহজ নয়। আমরা রাজশাহী থেকে উখিয়ায় পৌঁছেছি সন্ধ্যায়। রাতেই স্থানীয় মিলিটারি ক্যাম্পের কমান্ডিং অফিসারের সাথে সাক্ষাৎ করে রিলিফ সামগ্রী বিতরণের স্থান কাল সম্পর্কে পরামর্শ নেয়া হয়েছে। সেই মোতাবেক রাতেই আমাদের ত্রাণসমগ্রী ভর্তি বিশাল ট্রাকটি ক্যাম্পের মুখের কাছাকাছি জায়গায় রাখা হয়েছে। সকালে আমরা পৌঁছে ট্রাকটিকে আরো খানিকটা ভিতরে সুবিধাজনক স্থানে দাঁড় করালাম। ত্রিপল ঢাকা ট্রাক দেখে শত শত নারী পুরুষ শিশু বৃদ্ধ মুহুর্তে ট্রাকের আশেপাশে জমায়েত হয়। কিন্তু কোন কোলাহল, হৈ চৈ নেই। সবাই প্রায় নির্বাক ও বিধ্বস্ত। চারদিকে ঘুরে ফিরে দেখছি, পরিস্থিতি বুঝবার চেষ্টা করছি। এখানে কয়েক লাখ রোহিঙ্গা আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের পাশ কাটিয়ে অগণন মানুষ কাদাপানি মাড়িয়ে পিঁপড়ার সারির মত কোথায় যেন যাচ্ছে। তাদের বিমর্ষ, মলিন মুখচ্ছবি দেখে কোন কিছু আন্দাজ করা যায় না।Bangladesh-Myanmar-Rohingya-Refugees

আমাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণের কাজে সহায়তা করার জন্য আগে থেকেই স্থানীয় দু’জন যুবকের সাথে যোগাযোগ করা ছিল। তারা ফয়সল ও ইউসুফ। এরা দু’জনেই রোহিঙ্গা বিশেষজ্ঞ প্রফেসর মুহিবুল্লাহ ছিদ্দিকির চেনাজানা এবং এ এলাকার প্রভাবশালী ভদ্রলোক। তারা আগে ভাগেই এসে হাজির হয়েছিলেন। কাজের কৌশল নিয়ে তাদের সাথে কথা হল। আগের রাতেই তারা যাদের ত্রাণ দেয়া হবে, ঘুরে ঘুরে তাদের হাতে স্লিপ ধরিয়ে দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে স্থানীয় ভাষায় কথা বলে যারা স্লিপ পেয়েছে তাদের সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়াতে বলেন তারা। কথামত কাজ হয়। সাত আটটি দীর্ঘ সারি মুহুর্তে তৈরি হলো। সূর্য তখন টিলার মাথা ছেড়ে উপরে উঠে গেছে। আমাদের টিমের অন্যতম সদস্য ড. ইফতিখার ট্রাকের ত্রিপল খুলে ফেলার অনুমতি চাইলেন। আমি ইশারায় সম্মতি দিলাম। ড. ইফতিখার ট্রাকের কাছে গিয়ে ভলান্টিয়ারদের ত্রিপল সরিয়ে ফেলার হুকুম দিলেন। এ দিকে সারিবদ্ধ লোকদের মধ্যে একটু চাঞ্চল্য দেখা গেল, সবাই নড়ে চড়ে দাঁড়ায়। শিশু ও নারীদের একটিই সারি এবং তা দীর্ঘতম। কারো কোলে বাচ্চা, কারও একটা কোলে, আরো দুটো সাথে মায়ের কাপড় ধরে দাঁড়িয়ে। অন্য সারিগুলোতে বালক থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত নানান বয়সী মানুষ। এদের চোখে তখনো ক্লান্তি ও আতঙ্কের ছাপ। পরনের কাপড়ে কাঁদামাটি লেগে রয়েছে। চুল এলোমেলো। ফয়সালের কাছে জানলাম, এরা বিগত দুই-তিন দিন ধরে এখানে এসেছে, সকলেই পথচলার ধকলে কমবেশি ক্ষুধার্ত ও ক্লান্ত। আমি এসেই শুনেছি এই রিফিউজিদের মধ্যে অনেক গুণীমানি, আলেম-উলেমা, শিক্ষক, ব্যবসায়ী ও বিশিষ্ট লোকজন রয়েছেন। আমি মনে মনে এদের খুঁজতে থাকি, সারিগুলোতে নজর বুলাই। ইতোমধ্যে ট্রাক থেকে ত্রাণের প্যাকেট এনে আমার কাছে জমা করা শুরু হয়েছে। বিতরণের কাজ এখনি শুরু করতে হবে। লাইনে দাঁড়ানো লোকজনও উসখুশ করছে। এই মুহুর্তে আমি উচ্চস্বরে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানতে চাইলাম, যে এখানে কোন শিক্ষক, আলেম বা সমাজের মুরুব্বী কেউ আছেন কিনা। থাকলে সামনে এসে দাঁড়াতে অনুরোধ করলাম। বিভিন্ন লাইন থেকে একে একে ৫/৬ জন জয়ীফ লোক আমার সামনে এলেন। তারা সবাই বৃদ্ধ, পলিত কেশ, মুখে পাকা দাড়ি, চোখের কোণে কালি, বয়সের ভারে অনেকখানি কাবু হয়ে পড়েছেন। সবার মাথায় টুপি। যাকে সব থেকে প্রবীণ মনে হলো তার পরিচয় জানতে চাইলাম কাছে ডেকে। জানলাম তিনি ওপারের একটি মাদরাসার প্রিন্সিপাল। মাদরাসাটি কয়েকদিন আগে বৌদ্ধ ভিক্ষুরা পুড়িয়ে দেয়। ছাত্র ও ওস্তাদরা যে যেদিকে পারে পালিয়ে যায়। প্রিন্সিপালকে আপাদমস্তক আরেক নজর দেখে নিলাম। পরনে সাধারণ লুঙ্গি, গায়ে ঘামে ভেজা ময়লা পাঞ্জাবি, মাথায় টুপিটি ততোধিক ময়লা। আর যে আলেমগণ পাশে দাঁড়িয়ে; জানলাম তাদের একজন জুমআর খতিব, একজন মুয়াজ্জিন, বাকী দু’তিনজনও হক্কানী আলেম। এরা সবাই বিগত ২/৩ দিনের মধ্যে এসেছেন। এখনো অনেকে থাকার ঠিকানা খুঁজে নিতে পারেননি। অনেকটাই ভাসমান। ত্রাণ সামগ্রীও তেমন কিছু পাননি। খুব যে কষ্টে আছেন বুঝতে অসুবিধা হয় না।
আসার পথে কক্সবাজারের দোকান থেকে সুন্দর একটা জায়নামাজ কিনেছি। ইচ্ছা ছিল কোন একজন বিশিষ্ট আলেম, খতিব বা মুয়াজ্জিনকে এটা উপহার দেব। তার পরই রিলিফ বণ্টন শুরু করবো। উপস্থিত অন্যান্যের মধ্যে মাদরাসার প্রিন্সিপাল সাহেবকে অত্যন্ত পরহেজগার ও সম্মানীয় আলেম বলে প্রতীয়মান হলো। তাই তাকে উপযুক্ত মনে করে তার হাতে তাজিমের সাথে জায়নামাজটি তুলে দিয়ে বিতরণের কাজের বিসমিল্লাহ করলাম। মুখ দেখে মনে হলো জায়নামাজটি তাঁর খুব পছন্দ হয়েছে এবং তিনি খুশি হয়েছেন। সমবেত সকলের উদ্দেশ্যে সামান্য কয়েক বাক্য আশার বাণী শুনিয়ে শান্তি-শৃঙ্খলার সাথে ত্রাণ সামগ্রী নেয়ার অনুরোধ করলাম। আমার পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন ড. ইফতিখার। একটা ত্রাণ সামগ্রী ভর্তি ব্যাগ প্রিন্সিপাল সাহেবের হাতে ইফতিখার, আমি ও অন্য একজন মিলে তুলে দিলাম। ড. ইফতিখারের নির্দেশে দ্রুত ব্যাগ নামাতে থাকে ভলান্টিয়াররা। আর অন্য দু’জন স্লিপ দেখে দেখে ব্যাগ দিতে থাকে। ব্যাগের মধ্যে চাল ডাল চিনি সুজি মুড়ি চিড়া মগ, গ্লাস লাইটার সাবান মোমবাতি প্লাস্টিকের পট এবং মহিলা ও শিশুদের জন্য ২/৩ প্রস্ত করে কাপড় (পুরাতন) ইত্যাদি। ত্রাণের ব্যাগ হাতে দিতে দিতে দু’একজনের সাথে আমি দু’একটা কথা বলি। হাল হকিকত সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করি। ওদের জবাবে যা শুনলাম তা অত্যন্ত ভয়ঙ্কর ও বেদনাদায়ক। অধিকাংশই গভীর দুঃখ-বেদনার আঘাতে মুহ্যমান। কথা বলার ভাষাও যেন হারিয়ে ফেলেছেন। আমি মূলত বিপদগ্রস্ত ভাই বোনদের কিছু ত্রাণ দিয়ে সাহায্য করতে হৃদয়ের টানে এসেছি, কিন্তু এই সুবাদে সমাজবিজ্ঞানের একজন শিক্ষার্থী হিসেবে গণহত্যা ও গণ-দেশান্তরের নানাদিকও বুঝতে চাইলাম।
সাজানো ঘরবাড়ি ফেলে নিকটজনকে হারিয়ে তাদের বাকরুদ্ধ অবস্থা। মনে হয় বুকে অনেক কথা, বহু কষ্ট জমে আছে; কিন্তু ওরা এতোটাই মর্মাহত, ট্রমাটাইজড যে কমই কথা বলতে পারছে। বিশেষভাবে মহিলা, যাদের সাথে ২/৩ এমনকি চারটি শিশু সন্তান আছে- কিন্তু কোন পুরুষ সঙ্গী নেই স্বামী/পিতা হয় নিহত নয়তো নিখোঁজ- তারা খুবই ব্যাথাতুর এবং কিংকর্তব্যবিমূঢ় অবস্থায় তা বুঝতে অসুবিধা হয় না। যেমন প্রিন্সিপাল সাহেবের এখন থাকার কথা ছিল অফিস কক্ষে বা শ্রেণি কক্ষে, ভাগ্যের কী নির্মম পরিহাস! তাকে ময়লা কাপড় পরে দাঁড়াতে হয়েছে সাধারণ লোকদের রিলিফের সারিতে। শুনলাম দুশমনরা বহু আলেমকে, কোরানে হাফেজকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করেছে। তার মতো আরো অনেকেই আছেন যারা বিশিষ্ট মানুষ, সমাজে গণ্যমান্য লোক, বড় ব্যবসা-বাণিজ্য, টাকা-পয়সা প্রচুর ছিল। কিন্তু তারাও অনেকের মত দৌড়ের মধ্যে, আতঙ্কের মধ্যে ছিলেন। সেই ঘোর মনে হয় এখনও কাটেনি। কেউ স্বামীকে নিহত হতে দেখেছেন, কারও সন্তান চোখের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে ছটফট করতে করতে নিঃস্তব্ধ হয়ে গেছে। কেউ স্ত্রী/কন্যার সম্ভ্রমহানী প্রত্যক্ষ করেছেন। এরকম বহু বহুজন রক্তাক্ত প্রিয়জনের লাশ পিছনে রেখে নিরাপদ আশ্রয়ের সন্ধানে ঘর ছেড়েছেন। পাহাড়ে-বনে-জঙ্গলে আশ্রয় নিয়েছেন। মোটকথা, এখানে আগত সব মানুষই যে হতবিহ্বল, নাস্তানাবুদ অবস্থায় তা বুঝতে অসুবিধা হয় না।

আস্তে আস্তে আমাদের সামনে সারিবদ্ধ মানুষের সংখ্যা কমে আসে। এক সময় সারি শেষ হয়ে যায়। কিন্তু তখনো আশেপাশে বহু ব্যাকুল চোখ, আমাদের ঘিরে রেখেছে নির্বাক, নিশ্চুপ। আমাদের ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ বিনা ঝঞ্ঝাটে শেষ হলো। কিন্তু দেখলাম- বহু ক্ষুধার্ত শোকাতুর ক্ষুধার্ত ও কষ্টক্লিষ্ট চেহারার নারী শিশু ও পুরুষেরাÑ যাদের বেশিরভাগই বয়ঃবৃদ্ধ- আমার মুখের পানে তাকিয়ে আছেন। তারা কোন স্লিপ পাননি, তাই কপালে জোটেনি কোন রিলিফ সামগ্রী। তাদের হয়ত কোন খাবার নেই, অথবা রান্নার উপকরণ নেই। উপবাসে কাটছে দিন। তাঁরা অসহায় দৃষ্টিতে আমাদের দিকে তাকিয়েই আছেন। আমরা ওদের চোখের দিকে তাকাতে পারছিলাম না, কেননা তাদের বিহ্বল দৃষ্টি দেখে আমরাও আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েছিলাম। হঠাৎ যেন একটা অব্যাখ্যেয় বেদনাবোধ আমাকে আচ্ছন্ন করে ফেলে। সুন্দরভাবে রিলিফ বিতরণে আনন্দটুকু মুহুর্তে উবে গেল। হতাশ ও প্রত্যাশী মানুষের তুলনায় আমাদের সামগ্রী ও প্রয়াস কতটা যে সামান্য ও অকিঞ্চিতকর তা অনুভব করলাম। ওদের সকলের বেদনাবিধুর মুখের উপর দিয়ে একবার দৃষ্টি বুলিয়ে নিলাম ক্ষমা চাওয়ার ভঙ্গিতে। অনেকেই তখনো আমার মুখের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কিন্তু কোন কথা বলছে না। খেয়াল করলাম ট্রাকের অদূরেই মাটিতে পলিথিন শিট বিছিয়ে ২০/২৫ জন মহিলা, গৃহবধূ, চুপচাপ বসে আমাদের রিলিফ বিতরণ দেখছেন। তাদের সকলের পরনে কালো বোরকা, মুখে নেকাব- কেবল চোখ দু’টো খোলা। কারও কোলে, এপাশে ওপাশে শিশু সন্তান। তাদের মুখের অভিব্যক্তি বোঝা গেল না, তবে চোখের চাহুনিতে যে ব্যাকুলতা ফুটে উঠেছে, তাতেই মনে হলো হয়ত একটা কিছু বলতে চায়, পেতে চায় কিন্তু মুখ খুলছে না। এইসব নারী শিশুদের পাশে দেখি ৯/১০ বছর সুশ্রী চেহারা একটি বালক মলিন মুখে, উদাসচোখে আমার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। তার চেহারায় কিছুটা মঙ্গোলিয় আভাস, চোখ মুখ চুল ময়লা উসকু-খুশকু, হাটুতে হাতের এখানে ওখানে শুকনো কাদা লেগে রয়েছে। বোধকরি আমার দিকে তাকিয়ে মনে করছে, এই পাকা চুল গোঁফওয়ালা লোকটাই সব জিনিষপত্রের মালিক-মোখতার। কিন্তু আমার কাছে কিছু চাইবার সাহস তার নেই। ওর সম্পর্কে আমার মনে কৌতূহল জাগে। ইশারায় কাছে ডাকলাম। জানতে চাইলাম, কী খেয়েছো, এখানে কবে এসেছো, সঙ্গে কে আছে, কোথায় থাকছো কী নাম ইত্যাদি। বুঝলাম দিন দু’য়েক আগে এখানে পৌঁছেছে। যুৎসই কোন থাকার জায়গা পায়নি। তার মা মারা গেছে। সঙ্গে কিশোরী এক বোন রয়েছে, আর আছে প্রৌঢ় বাবা, তিনি খুবই অসুস্থ। তেমন খাদ্যখানা জোটেনি কাল থেকে। বাবাকে দেখাশুনার জন্য বড় বোনকে অদূরে কোন এক জায়গায় রেখে সে খাদ্যের সন্ধানে, কিছু পাওয়ার আশায় এসেছে। কিন্তু সে কোন স্লিপ পায়নি, ত্রাণও পায়নি। ওর নাম কাশিম। পিতার নাম আব্দুর রহমান। ওর পিতার নাম শোনামাত্র এক বিস্ময়কর অপত্যবোধ আমার মধ্যে মুহুর্তে জেগে উঠলো। আমার নামে এ বালকটির বাবার নাম। আমার পুত্রের মুখ মনে পড়ে গেল। পাশাপাশি দু’টি মুখচ্ছবি। মনে হল আমার পুত্র আল্লাহর মর্জিই বেশ আরামে স্বাচ্ছন্দ্যে দিন কাটায়। রোজ কত রকম খাবার খায় কিছু অপচয়ও করে আর এই ছেলেটি এক মুঠো খাদ্যের জন্য, অসুস্থ পিতা ও বড় বোনের খাবারের জন্য আমারই সামনে দাঁড়িয়েÑ অসহায়, হতাশ দৃষ্টিতে। আমার বুকের ভেতরটা বেদনায়, এক অদ্ভুত যন্ত্রণায় হু হু করে উঠে। কাশিমের মায়া ভরা মুখটা আমার দু’চোখ অনিরুদ্ধ অশ্রুতে ভিজিয়ে দিলো।

আমি পাশে দাঁড়ানো ড. ইফতিখারকে বললাম, দেয়ার মত আর কতটা ব্যাগ রয়েছে। তিনি অনুচ্চস্বরে জানালেন এখনো গুটি কয়েক ব্যাগ স্টক হিসেবে ট্রাকে রয়েছে। ড. ইফতিখার আমার সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় অর্থপূর্ণ চোখে তাকান। স্লিপের কথা জিজ্ঞাসা করলাম। বললেন, ফয়সালের হাতে এখনো কয়েকটি স্লিপ আছে। ফয়সালকে ডেকে দু’তিনটা স্লিপ নিলাম। একটা স্লিপ কাশিমের হাতে দিলাম। চোখের পলকে ওর চোখে মুখে একটা খুশির ঝিলিক লক্ষ করলাম। স্লিপ নয় যেন আসমানের চাঁদ হাতে পেয়েছে। আর ড. ইফতিখারের ইশারা পেয়ে একটা ব্যাগ নিয়ে হাজির হয় ভলান্টিয়ার। কাশিমের হাতে তুলে দিলাম ব্যাগটা। কৃতজ্ঞতায় আনন্দে ওর মুখচ্ছবি ক্ষণিকের জন্য বদলে গেল। ওর নিজের ওজনের সমান হবে ব্যাগটার ওজন। বহু কষ্টে তা মাথার উপর নিয়ে অবিলম্বে সে প্রস্থান করে। আমার মনের মধ্যে একটা ভিন্ন রকমের পরিতৃপ্তিবোধ কয়েক মুহুর্তের জন্য ঢেউ খেলে যায়। অদূরে দাঁড়িয়ে ড. ইফতিখার বিষয়টা সম্ভবত: লক্ষ করছিলেন। তিনি কাছে এসে কানে কানে বললেন, ভলান্টিয়ারদের জন্য আলাদা করে রাখা ব্যাগ ছাড়াও আরো কয়েকটা ব্যাগ আমাদের হাতে আছে। তাছাড়া অ-প্যাকেটকৃত কিছু সামগ্রী বস্তায় বস্তায় রয়েছে। আপনি ইচ্ছা করলে…। এই কথার মাঝে দু’জন কিশোরী, বয়স ১১/১২ বছর মত হবে আমার দৃষ্টি আকর্ষণ করে সামনে এসে দাঁড়ায়। ওরা সম্ভবত: কাশিমের বিষয়টা লক্ষ করেছে। তাই আমার উপর ভরসা করে কাছে আসবার সাহস করেছে। ওরা মাটির দিকে তাকিয়ে থাকে, চোখ তুলে দু’একবার তাকায়। ওদের মুখে ভাষা নেই, শুকনো ঠোঁট, কিন্তু চোখের ভাষা যেন তাদের অসীম দুঃখ-দুর্দশার এক মহাকাব্য মেলে ধরতে চাইছে। ওদের একজনের গায়ে যে পোষাক তা ময়লা আধভেজা, হাটু অবধি লম্বা। তার নিচে কাদা মাটিমাখা। ওদের একজনের না আঁচড়ানো এলোমেলো ময়লা চুলে আস্তে হাত রেখে নরম সুরে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার নাম কী? একটা নাম বলল, কিন্তু এখন আর মনে পড়ছে না। তার মুখের ভাষা দুর্বোধ্য- তবে ক্ষুধার্ত- কিছু সাহায্য চায়। তার মা-বাবা কোথায় জিজ্ঞাস করলাম। চোখ ছল ছল করে মেয়েটি জবাব দেয়, বাংলাদেশ সীমান্তের কাছে জঙ্গল থেকে নেমে আসা হাতির দল তাদের তাড়া করে এবং তার পিতাকে হাতি পিষে মেরে ফেলেছে। শুনে হতভম্ব হলাম। জানলাম, ওর মা ও ছোট ভাইবোনেরা আশেপাশেই রয়েছে। কিন্তু কেউ তাদের দিকে তাকায়নি, কিছু জোটেনি কপালে। তার হাতে একটা স্লিপ দিয়ে আমি ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে থাকা সেন্টু ও জার্জিসকে ইঙ্গিত করলাম। একটা ব্যাগ বালিকাটির হাতে তুলে দিলাম। খুশিতে আপ্লুত মেয়েটি জনতার ভিড়ের মধ্যে মিশে গেল। তার সাথের অন্য বালিকাটি তখনো অধঃবদনে পাথরের মূর্তির মত দাঁড়িয়ে রয়েছে। ওর গায়ের জামাটা বেশ দামি মনে হলো। হাতে কারুকাজ করা, চেহারাও উজ্জ্বল কিন্তু বিধ্বস্ত। কোন স্বচ্ছল পরিবারের সন্তান হবে তা মুখ দেখেই বোঝা যায়। কিন্তু কঠিন নিয়তি তাকে আজকে এখানে এনে দাঁড় করিয়েছে। দ্রুত মেয়েটির হাতে একটা স্লিপ দিলাম। লম্বা পায়ে ট্রাকের দিকে এগিয়ে গেল সে, একটা ব্যাগ হাতে নিয়ে জনারণ্যে মিলিয়ে গেল।
মাথার উপর তখন রোদ বাড়ন্ত, খোলা ট্রাকের উপর দাঁড়িয়ে জার্জিস ও আরো দু’জন। ওদের চোখ মুখ ঘামে ভিজে গেছে। কপালে চিপের পাশে ফোটা ফোটা ঘামে রোদ পড়ে চিকচিক করছে। শত শত প্যাকেট নামিয়ে দিতে গিয়ে ওরা দারুণ পরিশ্রম করেছে। কিন্তু কোন ক্লান্তি বা বিরক্তি তাদের চোখে মুখে দেখলাম না; বরং এইসব কাজ করতে পেরে এক ধরনের পরিতৃপ্তির ছাপ চেহারায়। এক ধরনের প্রসন্নতা ঘাম ময়লা ছাপিয়ে মুখম-ল উজ্জ্বলতর হয়ে উঠছে। তখন মনে হলে- ‘মানুষ মানুষের জন্যে’ কথাটা কতটা ঠিক। ওরা মানুষের জন্য, বিপন্ন মানবতার পক্ষে হাসিমুখে কাজ করছে, কোন কষ্ট অনুভব করছে না। অথচ ওরা সমাজের তেমন কেউকেটা নয়, কোন রাজনৈতিক দলের জানবাজ কর্মীও নয়, সুনামের জন্য লালায়িত নয়, কোন প্রকার লাভের প্রত্যাশী নয়- ওরা সমাজের সাধারণ যুবক। বিশ্ববিদ্যালয়ের পার্শ্ববর্তী গ্রামের অল্পশিক্ষিত, তবে বড় হৃদয়ের মানুষ। বিপন্ন, বিতাড়িত রোহিঙ্গা মুসলমানদের কথা শুনে তারা খুব ব্যথিত হয়েছে, সমবেদনায় মন বিগলিত হয়েছে। রোহিঙ্গাদের জন্য তাদের মধ্যে গভীর মমত্ববোধ, ভ্রাতৃত্ববোধ জাগ্রত হয়েছে। তাই ঘরে স্থির থাকতে পারেনি। বেরিয়ে এসেছে সাহায্য সামগ্রী সংগ্রহের জন্য, হাত লাগিয়েছে সংগৃহীত সামগ্রী গোছানোর কাজে। দিন নেই রাত নেই- ভ্যাপসা গরমকে উপেক্ষা করে কাজ করেছে। মহানবী (স.)-এর সাহাবীদের পরবর্তী যুগের বিখ্যাত তাবেঈ ‘আব্দুল্লাহ ইবনে মোবারক (রহ.)’-এর নামে প্রতিষ্ঠিত স্থানীয় মসজিদের নিচতলা দোতলায় স্তূপীকৃত চাল ডালের বস্তা, চিনির বস্তা, নানান সামগ্রী গোছানোর কাজ করছে। জমা হওয়া শত শত বস্তা কাপড় যাচাই বাছাই করা গাঁইট বাঁধার কাজ করেছে একাগ্র চিত্তে। ওদের সাথে কাজ করেছে সেন্টু, মিজান, মিঠু, ডন, তিতাস, তৌহিদ, রেজাউল করিম সাহেব ও আরও ৭/৮ জন কোরানে হাফেজ শিক্ষাক্রমে লিপ্ত কিশোর। মসজিদের ইমাম হাফেজ মওলানা রমজান আলী ও মুয়াজ্জিন হাফেজ হারুন সারাক্ষণ তদারকি করেছেন। তারও উপর দেখাশুনা করছেন স্বয়ং প্রফেসর মওলানা শামসুল আলম সাহেব। এই মসজিদের প্রতিষ্ঠাতা ও খতিব তিনি। আর এই যুবকেরা ৮/৯ দিন ধরে কাজ করেই ক্ষান্ত দেননি- বলতে গেলে খেয়ে না খেয়ে মালপত্রের সাথে চলে এসেছে কুতুপালংএ। প্রায় ৯০০ কিলোমিটার পথ পাড়ি দিয়ে এই কষ্টকর ও ঝুঁকিপূর্ণ ভ্রমণ যে কী বিষয় তা কেবল যারা যাতায়াত করেন তারাই জানেন। আমাদের সাথে রনি আসতে পারেনি। ওর একটা চাকরির ইন্টারভিউ ছিল। সে ফলিত পদার্থবিজ্ঞানে অনার্স মাস্টার্স ডিগ্রি করেছে ৬/৭ বছর আগে। কিন্তু এখনো কোন চাকরি জোটাতে পারেনি। খুব মনঃকষ্টে ভোগে। কিন্তু রোহিঙ্গাদের জন্য একটা কিছু দরকার শুনে সে গভীর আগ্রহ প্রকাশ করে। আর সবার আগে নিজের ভালো প্যান্ট-শার্ট জমা দিয়ে আমাদের ত্রাণ সংগ্রহের শুভ সূচনা করে। পরের ২/৩ দিনের মধ্যে নিয়ে আসে ১৪/১৫ বস্তা কাপড় ও কিছু নগদ টাকা। রনি এই টিমের সাথে আসতে চেয়েছিল, পারেনি বলে কষ্ট পেয়েছে। এরকম অতি অল্প সময়ে প্রায় দশ হাজার নগদ টাকা ও কয়েক বস্তা কাপড় সংগ্রহ করে আমার দু’জন ছাত্র-ছাত্রী রুমকি (বীরগঞ্জ) ও আলতাফ (নওগাঁ) তাঁদেরও আসার ইচ্ছা ছিল কিন্তু সম্ভব হয়ে উঠেনি। আমরা পথে থেকে বহুবার রনির ফোন কল পেয়েছি। কোথায় আছি, কেমন আছি জানতে চেয়েছে। তেমনি করে অনেকবার আমাদের খবরাখবর নিয়েছেন প্রফেসর মাহফুজ আখন্দ। রোহিঙ্গাদের ইতিহাস-সম্পর্কে বিশেষজ্ঞ তিনি। আর্থাইটিসের ব্যাথার কারণে রিলিফটিমের সঙ্গে আসতে পারেননি। অথচ তাঁর কাছেই আমি প্রথম উচ্চারণ করেছিলাম যে, রোহিঙ্গাদের জন্য একটা কিছু করা যায় কিনা। আর সঙ্গে সঙ্গে উৎসাহের সাথে সাড়া দিয়ে ছিলেন।
এদিকে সেই সাত সকাল থেকে অবিশ্রান্ত কাজ করছেন ড. ইফতিখার, কড়া রোদের মধ্যে দাঁড়িয়ে খেয়াল রাখছেন সব দিকে। যেন ক্ষুধা পিপাসা ভুলে গেছেন। চোখে মুখে বিরক্তি, ক্লান্তির লেশ মাত্র নেই। নজর রাখছেন সবার প্রতি। কোনো ব্যাগ কাদায় পড়ে গেল কিনা, শৃঙ্খলাভঙ্গ হলো কিনা, একজনের প্রাপ্য অন্য কেউ নিয়ে যাচ্ছে কিনা- একজন কমান্ডোর মত সব দিকে নজরদারি করছেন। এটা তার স্বভাবসিদ্ধ আচরণ, নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালনের সদিচ্ছা তাঁর মজ্জাগত। সব ক্লান্তি, বিরাগ, ক্ষুধাকে ভুলে তিনদিন ধরে কাজ করছেন একই তালে। মনে হয় তার এনার্জি অনিঃশেষ। আর আমার আশেপাশে প্রায় সারাক্ষণ থাকছে তৌহিদ। যেন আমার বিশ্বস্ত নিরাপত্তা রক্ষী। খেয়াল তার সবদিকে। কাউকে ব্যাগ কাঁধে উঠাতে সাহায্য করে। পিছন থেকে সামনে যেন কেউ এসে না পড়ে তা ঠেকায়, আবার মুহুর্তে আমার কাছে এসে দাঁড়ায়। ওর ধরণা আমি বয়সের কারণে যে কোন মুহুর্তে টলে পড়ে যেতে পারি- বা অন্য কোন সমস্যা হতে পারে। কেননা সে জানতো আমার শরীর ভালো নেই। রাজশাহী থেকে যাত্রার ২/৩ দিন আগে থেকেই আমার ব্লাড প্রেসার একটু বেশি নেমে যায়, -১১০/৬২ এমএম। শুভানুধ্যায়ীদের কেউ কেউ আমাকে সরাসরি নিষেধ করেন- দূর যাত্রায় যাবেন না। প্রফেসর মওলানা শামসুল আলম সাহেবও নিরুৎসাহিত করেছেন। বলেছেন, এই বয়সে রিস্ক না নেয়াই ভালো। সব কিছু অর্গানাইজ করেছেন, এখন ছেলেপিলেরা যাক পৌঁছে দিতে। তৌহিদও ছিল নিষেধকারীদের দলে। আমাকে নানাভাবে মানা করে। বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের অন্যতম সিনিয়র চিকিৎসক ডা. শামীম চৌধুরী সাহেবও প্রেসার দেখে খুব একটা উৎসাহিত করলেন না। কিন্তু আমাকে সিদ্ধান্তে অটল দেখে তৌহিদ স্থির করে যে, সে আমাদের সাথে যাবে। বলে, স্যারকে এভাবে ছাড়া যায় না, তার দেখভাল করার জন্য হলেও আমি যাব। তৌহিদ সমাজবিজ্ঞান অনার্স চতুর্থ বর্ষের ছাত্র। পাবনার নিভৃত গ্রামে বাড়ি। স্বচ্ছল পরিবারের ছেলে। অনেক রিলিফ সামগ্রী- জামা কাপড়চোপড়- সংগ্রহ করে দিয়েছে। আমার প্রতি তার গভীর অনুরাগ ও দায়িত্ববোধ দেখে অবাক হয়েছি। অথচ বেশি চিনতাম না। রিলিফ সামগ্রী বণ্টনের সময় অনেক লোকের ভিড়ের চাপে আমার সমস্যা হচ্ছে কিনা- সেজন্য কাছে কাছে থেকে আমাকে আগলে রাখছিল। খাওয়া দাওয়ার ঠিক নেই, বিরাম বিশ্রামের অবকাশ কম তবু এরা সকলে হাসি মুখে- ‘জীবন জীবনের জন্য’ এই প্রতীতি নিয়ে কাজ করে যায়।
(চলবে)


Leave a comment

মহানবী (সাঃ) আটশত ইহুদীকে হত্যা করেছিলেন অভিযোগের জবাব

অনেকেই জ্ঞাত আছেন দেওবন্দি পন্থী একজন আলেম সম্প্রতি ইসলাম ত্যাগ করে এদেশের নাস্তিকদের চিন্তার ও ইসলাম নিয়ে কটূক্তির খোরাক যোগাচ্ছেন। তিনি কুরআনে হাফেয, ১০ বছর ঢাকার একটি মসজিদে ইমামতি করেছেন। ধর্মের আড়ালে থেকে একটি কওমি মাদ্রাসায় মুহতামিম বা প্রিন্সিপালের দায়িত্বও পালন করেছেন। তার নিজের বক্তব্য থেকে স্পষ্ট যে, তিনি ছোটবেলা থেকেই ইসলামের নীতি ও আদর্শকে মন থেকে গ্রহণ করতে পারেন নি, কিন্তু পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিকতার চাপে নিজেকে এর থেকে মুক্তও করতে পারেন নি। তার অনিশ্চিত ভবিষ্যতের ভয় তাকে মুসলমান সেজে বছরের পর বছর মানুষকে ধোঁকা এবং প্রবঞ্চনা দিতে বাধ্য করেছে। তিনি নিজে খুব কাছ থেকে কওমি মাদ্রাসার অন্তরালে কচি-কমবয়সী ছাত্রদের উপর অমানবিক নির্যাতন, শিক্ষক কর্তৃক ছাত্রদের বলাৎকার এবং অনেকটা বন্দি জীবনযাপনের দৃশ্য অবলোকন করেছেন। তিনি নিজেও এসবের শিকার হয়েছেন বলে জানান তিনি।184029 madina

কওমি থেকে ইসলাম ত্যাগের ঘটনায় তিনিই প্রথম নন। এর আগেও বেশ কিছু হাফেয ইসলাম ত্যাগ করেছেন। বিতর্কিত ও যৌন উন্মাদনা সৃষ্টিকারী লেখিকা তসলিমা নাসরীন এবং নাস্তিকদের পেজ ও পোষ্টে এমন অনেক কওমি কাম নাস্তিকের দেখা মেলে। শিবির থেকে ইসলাম ত্যাগকারী আরেক ধোঁকাবাজ মুফাসসিল ইসলামের সাথে সম্প্রতি এক কওমি হাফেয যোগ দিয়েছেন। কাজেই মুসলমান বেশ ধারণ করে এমন প্রতারক যে মুফতি মাসুদ একা নন তা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে। হয়তো আপনার আমার অজান্তেই এমন অনেক ধোঁকাবাজ মুফতি সেজে আমাদের ধোঁকা দিচ্ছেন।

মুফতি মাসুদের দৃষ্টিতে ইসলাম একটি নিষ্ঠুর ধর্ম, কুরআন আল্লাহর বাণী হতে পারে না আর মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আল্লাহর নবী হতে পারেন না। কেননা, মুফতি মাসুদের মতে তিনি (নবী) অমুসলিম বিশেষ করে ইহুদিদের উপর অমানসিক ও বর্বর অত্যাচার করেছেন। আসুন দেখা যাক মুসলিমের ছদ্মবেশে মুফতি মাসুদের অভিযোগ এবং এবং আসল তথ্য বিশ্লেষণ করে দেখি আসলে তিনি সঠিক বলেছেন নাকি তার জানায় কোনও ত্রুটি রয়েছে।

উল্লেখ্য, কওমি মাদ্রাসা সমূহের সিলেবাসে মাত্র ৫/৬ বছরের মধ্যেই একজন ছাত্রকে দাওরা পাশি করিয়ে দেয়া হয়। যা কওমিদের সর্বোচ্চ সনদ। অধুনা বাংলাদেশ সরকার এদের এই সার্টিফিকেটকে মাস্টার্সের মান দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে। যেখানে ইসলামের একেকটি বিষয় বছরের বছরের পর অধ্যয়ন করেও খুব সামান্যই জানা সম্ভব হয়, সেখানে কি করে মাত্র ৫/৬ বছরে কওমির একজন ছাত্রকে ইসলামী জ্ঞানে পূর্ণাংগ বলে স্বীকৃতি দেয়া হয়? ইসলামী জ্ঞানের শাখা প্রশাখাগুলো ব্যাপক এবং এর জন্য প্রয়োজন সমগ্র জীবনের সাধনা ও তিতিক্ষা। কুরআন, ইলমুল কুরআন, হাদিস, ইলমূল হাদিস, ফিকহ, উসুলে ফিকহ, বালাগাত বা অলংকার শাস্ত্র, আরবি গ্রামার তথা নাহু ও সরফ, মানত্বেক বা তর্কশাস্ত্র, ইসলামের ইতিহাস, মাজহাব, সলফে সালেহীনগণের মতামত সম্বলিত ইসলামী জ্ঞান, তাসাউফ বা সূফীজম। ইসলামী জ্ঞানের এসব শাখায় আবার রয়েছে অসংখ্য প্রশাখা। একেজন ইসলামী চিন্তাবিদ সমগ্র জীবন অতিবাহিত করার পরও জ্ঞানের খুব সামান্যই সন্ধান পান।

জ্ঞান আবার রয়েছে দু ধরণেরঃ ইলমে জাহেরী বা শরিয়তের জ্ঞান এবং ইলমে হাক্বীক্বী বা প্রকৃত জ্ঞান। আর এ দুয়ের মিলনে হয় ইলমে মা’রেফত। যা একমাত্র আল্লাহ পাক তাঁর পছন্দের বান্দাদের দান করে থাকেন। আল্লাহর নবী মুসা আলাইহিস সালামের সাথে আল্লাহ পাক নিজে সরাসরি কথা বলতেন। এরপরও তিনি নিজেকে সবচে জ্ঞানী দাবী করার পর আল্লাহ পাক অসন্তুষ্ট হয়ে নবীকে দুই সমুদ্রের মিলনস্থলে গিয়ে তাঁর এক বান্দার সাথে সাক্ষাত করতে বললেন, যার কাছে ইলমে হাক্বীক্বত বা প্রকৃত জ্ঞান রয়েছে। সুরা কাহফের ৬৫ আয়াত থেকে পরবর্তী কয়েকটি আয়াতে এ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ রয়েছে। সেখানে একজন কওমি শিক্ষার্থী মাত্র ৬ বছরে কি ভাবে ইসলামের সর্বোচ্চ জ্ঞানে পারদর্শী বলে নিজেকে প্রকাশ করে? আলোচ্য মুফতি মাসুদের সেই ৬ বছরের লব্ধ জ্ঞান কি আসলেই যথেষ্ট ইসলামকে পরিপূর্ণ ভাবে জানার জন্য? নাকি এদেরকে ইসলামী শিক্ষার নামে ইসলামের সবগুলো বিষয়ে হালকা নাম-কা-ওয়াস্তে ধারণা দেয়া হয় মাত্র? আর এ কারণেই কুরআনে হাফেয এবং দাওরা পাশ করে মুসলিম বেশধারি হবার পরও মুফতি মাসুদের ইসলামী জ্ঞান ছিল একেবারেই প্রিমিটিভ পর্যায়ের!

আসুন তার অভিযোগগুলো ক্ষতিয়ে দেখি এবং প্রকৃত ইসলাম ও সমসাময়িক ইতিহাসের আলোকে সত্যিকার অর্থেই কি ঘটেছিলো ওই সময়ের আরবে তা জানার চেষ্টা করি। তার অভিযোগগুলো আল্লাহ ও নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বর্বর, নাউজুবিল্লাহ। নবী করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের চরিত্র নিয়েও তিনি অসত্য তথ্য দিয়েছে যা খুবই দুঃখজনক। তার অভিযোগের পক্ষে তিনি মদিনার কিছু ইহুদি গোত্রের কথা উল্লেখ করেছেন।

মদিনায় প্রধান তিনটি ইহুদি গোত্রের বসবাস ছিল। বনু নাজির, বনু কাইনুকা ও বনু কুরাইজা। এ তিনটি গোত্র এবং মদিনার অন্যান্য স্থানীয় গোত্রের সাথে হিজরতের পর মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের নেতৃত্বে মুসলমানদের কিছু চুক্তি হয়। যাকে ইতিহাসে মদিনার সনদ বলা হয় এবং ঐতিহাসিকগণ একে মেঘনা কার্টা হিসেবে অভিহিত করেন।

মদিনা সনদের শর্ত অনুযায়ী মদিনার মুসলমান, খৃষ্টান এবং ইহুদি গোত্রসমূহ যদি কখনো বহিঃশত্রু দ্বারা আক্রান্ত হয় তাহলে সবাই একযোগে শত্রুর মোকাবিলা করবে। আর এই তিন সম্মিলিত গোষ্ঠী কখনোই চুক্তির শর্ত ভংগ করে বাইরের কোনও গোত্রের সাথে চুক্তিবদ্ধ হতে পারবে না। বিশেষ করে বাইরের কোনও শত্রুকে কোনও ধরণের সাহায্য ও সহযোগিতা করতে পারবে না। করলে চুক্তি ভঙ্গের অভিযোগে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

হিজরতের পরপর মক্কার কুরাইশ কাফেরগণ মদিনা আক্রমণের কথা ভাবতে থাকে এবং এ উদ্দেশ্যে আবু সুফিয়ানের নেতৃত্বে একটি দল সিরিয়া থেকে বিপুল পরিমাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ সংগ্রহ করে উপকূল ধরে মক্কা ফিরে। বলা বাহুল্য, এ সময় মদিনা সনদের শর্ত ভংগ করে কিছু কিছু ইহুদি গোত্র মক্কার কুরাইশদের সাথে গোপনে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছিলো এবং তাদেরকে মদিনা আক্রমণের জন্য উৎসাহ দিচ্ছিল। মক্কার কুরাইশরা মদিনা আক্রমণ করলে সেসব ইহুদি গোত্র তাদেরকে আশ্রয় এবং তাদের সাথে যুদ্ধে যোগ দিয়ে মুসলমানদের চিরতরে নিঃশেষ করে দেবার নীলনকশা করতে থাকে। আবু সুফিয়ানের দলকে প্রতিরোধ করার মানসে মুসলমানদের একটি দল মদিনার পশ্চিমে রওয়ানা দিলে মক্কা থেকে আবু জাহেলের নেতৃত্বে প্রায় এক হাজার লোকের একটি বাহিনী মদিনার দিকে অগ্রসর হয় এবং এর ফলে বদর নামক স্থানে সংগঠিত হয় বদর যুদ্ধ।

এ যুদ্ধের পর নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার সেসব ইহুদি গোত্রের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেন যারা চুক্তির শর্ত ভংগ করে মক্কার কাফেরদের মদিনা আক্রমণে উৎসাহিত করেছিল। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল বনু নাজির ও বনু কাইনুকা গোত্র দুটি। মুসলমানদের আগমন টের পেয়েই তারা নতুন করে সন্ধির প্রস্তাব পাঠায়। নবীজী তাদেরকে ক্ষমা করে তাদের বিরুদ্ধে কোনও ধরনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা না নিয়ে মদিনা ত্যাগের জন্য আদেশ দেন। এদের কেউ কেউ ক্ষতিপূরণ দানের অঙ্গীকারে মদিনা থাকার অনুমিত পায়। আর কিছু গোত্র আদেশ অনুযায়ী মদিনা ছেড়ে চলে যায়। মদিনা থেকে ১৫০ কিমি দূরে খায়বার নামক স্থানে কিছু দল বসবাস শুরু করে। (খায়বারের ঘটনা আসছে পরে)।

উহুদের যুদ্ধের সময় ইহুদীদের ষড়যন্ত্র নতুন রূপ লাভ করে। তাদের উৎসাহ এবং প্ররোচনায় মক্কার কাফেরগণ মদিনার উপকণ্ঠে মাত্র ৩ কিমি দূরে উহুদ পাহারের পাদদেশে মুসলমানদের চিরতরে নির্মূল করার জন্য আসে। উহুদের ঘটনা সবাই জানেন। কাজেই আমি সেসব উল্লেখ করছি না। এবারও মদিনার ইহুদীদের ক্ষমা করে দেয়া হয় তবে ভবিষ্যতের জন্য সাবধান করে দেয়া হয়।

এর কিছুদিন পরই ইহুদীদের গোপন ষড়যন্ত্রের ফলে মক্কার কাফেরগণ আবারো মদিনা আক্রমণের জন্য আসে। হযরত সালমান ফারসী রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুর পরামর্শে এ সময় মদিনার দুদিকে খন্দক বা খাল খনন করে প্রতিরোধের ব্যবস্থা করা হয়। মদিনা তিন দিক থেকে ছিল পাহাড় ঘেরা যা প্রাকৃতিক ভাবেই ছিল নিরাপদ। ফলে পশ্চিম এবং উত্তর পশ্চিম দিকে খাল খনন করে মদিনাকে কাফেরদের আক্রমণ থেকে রক্ষা করা হয়। কাফেরগণ কর্তৃক মদিনা অবরোধের সময় ইহুদীদের কয়েকটি গোত্র প্রকাশ্যে কাফেরদের সাথে যোগ দেয়। এর মধ্যে ছিল বনু গাতাফান এবং বনু কুরাইজা। কাফের কর্তৃক দীর্ঘদিন অবরোধের ফলে মুসলমানদের অবস্থা খুব শোচনীয় রূপ ধারণ করে। নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে কায়মোনা বাক্যে আকুতি করে দোয়া করলে আল্লাহ পাক রাতের আঁধারে ঝড়, তুফান এবং প্রবল বর্ষণ প্রেরণ করেন। ফলে রাতের আঁধারেই কাফেরগণ তাদের তাবু ও মালামাল ফেলে রেখে পালিয়ে যায়।

খন্দক থেকে মদিনা ফিরলে জিব্রাইল আলাইহিস সালাম এসে খবর দেন মুসলমানগণ যেন যুদ্ধের পোশাক পরিত্যাগ না করেন। কেননা, চুক্তি ভংগকারী ইহুদি গোত্রসমূহকে এখনোই উচিৎ শিক্ষা দিতে হবে। এ লক্ষ্যে মুসলমানগণ বনু কাইনুজাকে অবরোধ করেন। প্রায় ৩ সপ্তাহ অবরোধের পর ইহুদীরা বিনা শর্তে আত্মসমর্পণ করে। নবী করীম সাল্ললাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তাদের বিরুদ্ধে ফায়সালা করতে চাইলে ইহুদিরা তাঁর ফায়সালা মানতে অস্বীকৃতি জানায় এবং তাদের স্বগোত্রীয় নেতা হযরত সা’দ বিন মুয়াজ রাদ্বিয়াল্লাহু আনহুকে মধ্যস্তা করার প্রস্তাব করে। সা’দ বিন মুয়াজ তাওরাত কিতাব অনুযায়ী এর ফায়সালা করেন। তাওরাতে চুক্তি ভংগ এবং আক্রমণের শাস্তির বিধানে বলা হয়েছে,

“যখন তোমরা কোনো শহর আক্রমণ করতে যাবে, তখন প্রথমে সেখানকার লোকদের শান্তির আবেদন জানাবে। যদি তারা তোমাদের প্রস্তাব স্বীকার করে এবং দরজা খুলে দেয়, তাহলে সেই শহরের সমস্ত লোকেরা তোমাদের ক্রীতদাসে পরিণত হবে এবং তোমাদের জন্য কাজ করতে বাধ্য হবে। কিন্তু যদি শহরের লোকেরা তোমাদের শান্তির প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে এবং তোমাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ করতে আসে তাহলে তোমরা অবশ্যই শহরটিকে চারদিক থেকে ঘিরে ফেলবে। এবং যখন শহরটিকে অধিগ্রহণ করতে প্রভু তোমাদের ঈশ্বর তোমাদের সাহায্য করবেন, তখন তোমরা অবশ্যই সেখানকার সমস্ত পুরুষদের হত্যা করবে। কিন্তু তোমরা তোমাদের নিজেদের জন্য স্ত্রীলোকদের, শিশুদের, গবাদিপশু ও শহরের যাবতীয় জিনিস নিতে পার। তোমরা এই সমস্ত জিনিসগুলি ব্যবহার করতে পার। প্রভু তোমাদের ঈশ্বর, তোমাদের এই জিনিসগুলি দিয়েছেন।” [–বাইবেল, ওল্ড টেস্টামেন্ট, দ্বিতীয় বিবরণ, ২০:১০-১৪]

ফলে হযরত সা’দ ওই গোত্রের সব পুরুষদের হত্যা, নারী ও শিশুদের দাস এবং সমস্ত সম্পদ মুসলমানদের মধ্যে বণ্টনের পক্ষে রায় দেন। সেখানে ইহুদি পুরুষের সংখ্যা ছিল প্রায় ৭০০। কোনও কোনও ঐতিহাসিকের মতে ৯০০। ইহুদীরা এর ফায়সালার ভার নবীজীর (সাঃ) হাতে ন্যস্ত করলে হয়তো এরা প্রাণে বেঁচে যেতো, এর পূর্বে যার অসংখ্য উদাহরণ রয়েছে যাতে বিশ্বনবী (সাঃ) পরাজিত ইহুদীদেরকে হত্যার বদলে মাতৃভূমি থেকে ধন-সম্পদসহ বহিষ্কারের শাস্তি দিয়েছিলেন । কাজেই মুফতি মাসুদের অভিযোগ সম্পূর্ণ অজ্ঞতাপ্রসূত। দাওরা পড়াশুনা করলেও আসলে তার ইসলামী জ্ঞান ছিল ভয়ংকর রকমে সীমিত। নাস্তিকদের প্ররোচনায় হয়তো সে এসব বুলি ইসলাম ও নবীর বিরুদ্ধে বলে বেড়াচ্ছে। [খায়বার এবং অন্যান্য অভিযোগের জবাব আসছে পরের পর্বে ইনশাআল্লাহ। সাথেই থাকুন আর এসব কথা কপি করে রাখুন যাতে নাস্তিক ও ইসলাম বিদ্বেষীদের মিথ্যাচারের জবাবে পোষ্ট করতে পারেন।


Leave a comment

আগামী দুই তিন বছরের মধ্যে ইমাম মাহদীর আবির্ভাবের সম্ভাবনা আছে

আগামী  দুই  তিন  বছরের  মধ্যে  ইমাম  মাহদীর  আবির্ভাবের  সম্ভাবনা  আছে-

ইমাম  আল  মাহদীর  আগমণী  সংবাদের  একটি  বিস্ময়কর  কিতাব  হইল  কিতাব  আল  ফিতান,  নুয়াইম  বিন  হাম্মাদের ।  তাহাতে  তোবাই  (রহঃ)  বর্ণনা  করেন  যে,  ভবিষ্যতে  বায়তুল্লায় (অর্থাৎ  কাবা  শরীফে)  আশ্রয়  নিবেন  একজন  আশ্রয়  প্রার্থী ।  সে  নিহত  হইবে ।  তারপর  প্রায়  তেত্রিশ  বছর  কাটিয়া  যাইবে ।  তারপর  আরেক  আশ্রয়প্রার্থী  কাবা  শরীফে  আশ্রয়  গ্রহন  করিবে ।  তুমি  যদি  তাহাকে  পাইয়া  যাও  তবে  তাহার  বিরুদ্ধে  যুদ্ধ  করিও  না ।  কেননা  যে  তাহার  বিরুদ্ধে  যুদ্ধ  করিবে,  সে  মাটির  নীচে  তলাইয়া  যাইবে ।  ১৯৭৯  সালের  কথা  আমরা  জানি,  সেই  বছর  এক  তরুণের  নেতৃত্বে  অনেক  লোক  কাবা  শরীফে  আশ্রয়  নিয়াছিল ।  পনের  দিন  ব্যাপী  অনেক  যুদ্ধ  হইয়াছিল,  অনেক  মানুষ  নিহত  হইয়াছিল ।  পরে  তাহারাও  নিহত  হইয়াছিল ।  হযরত  আবদুল্লাহ  ইবনে  আব্বাস (রাঃ)  বলিয়াছেন  যে,  হাদীসে  ব্যবহৃত  “বোরয়াহ”  শব্দের  অর্থ  কম-বেশী  তেত্রিশ  বছর ।   সেই  ১৯৭৯  সালের  পরে  এখন  ২০১৭  সাল ।  এখন  তেত্রিশ  থেকে  চল্লিশ  বছরের  মধ্যে  আর  কেউ  কাবা  শরীফে  আশ্রয়  নেন  নাই ।  কিন্তু  সময়  ঘনাইয়া  আসিয়াছে ।  ১৯৭৯  সাল  থেকে  হিসাব  করিলে  আগামী  দুই  তিন  বছরের  মধ্যে  এই  ঘটনা  ঘটিতে  পারে  বলিয়া  এই  হাদীস  থেকে  বুঝা  যায় ।  কিতাবুল  ফিতানের  ৯৩৫  নাম্বার  হাদীস  এটি,  তোবাই  বর্ণিত ।  এইগুলি  সাহাবায়ে  কেরাম  এবং  তাবেঈনদের  আছার,  হাদীসে  মওকুফ,  হাদীসে  মকতুহ ।  কিন্তু  এইগুলো  গায়েবের  সংবাদ  হিসাবে  কোন  না  কোন  ভাবে  তাহারা  রাসুলুল্লাহ (সাঃ)  এর  নিকট  থেকে  শুনেছেন  বলেই  বর্ণনা  করিয়াছেন ।  ইমাম  মাহদীর  আগমণের  একটি  প্রধান  আলামত  হইল,  তাহার  বিরুদ্ধে  যুদ্ধ  করতে  আসা  একটি  বিশাল  বাহিনী  ৭০  হাজার  সৈন্যবিশিষ্ট  আধুনিক  মারণাস্ত্রে  সজ্জিত  একটি  বিশাল  বাহিনীকে  মক্কা  এবং  মদীনার  মধ্যবর্তী  বাইদাহ  ময়দানে  মাটি  গ্রাস  করিয়া  নিবে ।  আল্লাহ  তাহাদেরকে  মাটির  নীচে  তলাইয়া  দিবেন ।  এই  ঘটনা  যখন  জানাজানি  হইবে  তখন  সিরিয়ার  মুসলমানগণ  ইমাম  মাহদীর  দলে  যোগদান  করিবেন,  ইরাকের  ওলি  আউলিয়াগণ  ইমাম  মাহদীর  হাতে  হাত  দিয়া  আনুগত্যের  শপথ  নিবেন ।  তখন  সারা  দুনিয়ায়  ইমাম  মাহদীর  আবির্ভাবের  কথা  ছড়াইয়া  পড়িবে ।  ইমাম  মাহদী  যখন  আগমণ  করিবেন  তখন  সারা  দুনিয়ায়  যোগ্যতাসম্পন্ন  কোন  নেতা  থাকিবেন  না ।  কোটি  কোটি  মানুষ  যাহার  কথায়  উঠাবসা  করে  এমন  যোগ্যতাসম্পন্ন  কোন  নেতাই  তখন  পৃথিবীতে  থাকিবে  না ।  আল্লাহ  তায়ালা  সমগ্র  মানবজাতির  অন্তরে  ইমাম  মাহদীর  প্রতি  ভালবাসা  ঢালিয়া  দিবেন ।  মানুষ  ইমাম  মাহদীকে  ছাড়া  আর  কিছুই  বুঝিবে  না ।
-অধ্যাপক  মুফতী  কাজী  ইব্রাহিমJesus-appears-to-the-disciples

ইমাম আল মাহাদীর আগমনের সংকেত! BY Mufti Kazi Ibrahim _ 25-08 – 2017  লেকচারের  অনুলিখন

বিজ্ঞানীদের  মতে,  আগামী  চার  থেকে  পাঁচ  বছরের  মধ্যে  সূর্য  পশ্চিম  দিক  থেকে  উদয়  হওয়া  শুরু  হবে ।  আর  পশ্চিম  দিক  থেকে  সূর্য  উঠা  শুরু  হইলে  পৃথিবীর  অনেক  কিছুই  ধ্বংস  হয়ে  যাবে ।  বিমান  যোগাযোগ,  মোবাইল,  ইন্টারনেট  ইত্যাদি  অনেক  কিছু  বন্ধ  হয়ে  যাবে ।  এই  ভয়াবহ  ঘটনা  দেখে  সমস্ত  কাফেররাই  মুসলমান  হয়ে  যাবে ।   কিন্তু  রাসুলুল্লাহ  (সাঃ)  বলেছেন,  সূর্য  পশ্চিম  দিক  থেকে  উঠার  পরে  কেউ  ঈমান  আনলে  সেটা  আল্লাহর  নিকট  গ্রহনযোগ্য  হবে  না ।  তেমনিভাবে  বলা  যায়,  যারা  পূর্বে  ঈমান  এনেছেন  কিন্তু  নামাজ,  রোজা,  হজ্জ,  যাকাত  ইত্যাদি  আমল  করেন  নাই,  তখন  এসব  আমল  শুরু  করলে  তা  আল্লাহর  নিকট  গ্রহনযোগ্য  হবে  না ।  কাজেই  এখনই  আমাদের  তওবাহ  করে  পুরোপুরিভাবে  আল্লাহর  আদেশ-নিষেধ  মেনে  জীবন  যাপন  শুরু  করা  উচিত । -অধ্যাপক  মুফতী  কাজী  ইব্রাহীম

প্রতিটি  আকাশচুম্বী  সুউচ্চ  অট্টালিকা  কিয়ামতের  মহাবিপদসংকেত  ঘোষণা  করিতেছে –

ঈমান  আনিবেন  না ?  ঈমান  কিভাবে  আনাইতে  হয়  আল্লাহ  জানেন !  ইহুদীকে  কিভাবে  মুসলমান  বানাইতে  হয়  আল্লাহ  জানেন ।  খ্রিষ্টানকে  কিভাবে  ঈমানদার  বানাতে  হয়  আল্লাহ  ভালোভাবে  জানেন ।  বেৌদ্ধ,  নাস্তিককে  কিভাবে  আস্তিক  বানাইতে  হয়  আল্লাহ  জানেন  কি  জানেন  না ?  ইমাম  মাহদী (আঃ)  আমার  মতো  এই  ছোট্ট  লাঠি  নিয়া  আসিবেন  না ।  সহিহ  হাদিস  আছে,  ‍‍”ইমাম  মাহদী  আসিবেন  না  সূর্যের  সাথে  সম্পর্কিত  মহাজাগতিক  ভয়ঙ্কর  নিদর্শন  ছাড়া” ।  সেটা  নিয়ে  আসিবেন,  সব  ঠান্ডা  হইয়া  যাইবে ।  সেটা  সূর্যের  পশ্চিম  দিক  থেকে  উদিত  হওয়ার  এই  ভয়াবহ  বিজ্ঞান  প্রযুক্তি  ধ্বংসকারী  বিপর্যয়  হইতে  পারে ।  ইমাম  মাহদীর (আঃ)  আত্মপ্রকাশের  এই  আটটি  ঘটনা  একেবারে  কাছাকাছি  হইবে ।  বিশেষ  বিশেষ  স্কলাররা  আশা  করিতেছেন  সেটা  ২০১৯  থেকে  ২০২৪  সালের  মধ্যে  ঘটিতে  পারে ।  নাও  ঘটিতে  পারে,  তবে  জোরালো  সম্ভাবনা   আছে  ঘটিতে  পারে,  জোরালো  সম্ভাবনা,  পরেও  ঘটিতে  পারে ।  কারণ  এটা  এলমে  তাকরির,  কাছাকাছি  সময়ে  পেৌছানোঁর  জ্ঞান,  সুনির্দিষ্ট  সময়ে  পেৌছাঁনোর  জ্ঞান  নয় ।  সুনির্দিষ্ট  সময়ে  পেৌছাঁর  জ্ঞান  আছে  একমাত্র  আল্লাহ  তায়ালার  কাছে ।  এই  পুরো  ঢাকা  নগরী  একটি  কেয়ামতের  আলামত ।  প্রতিটি  রাষ্ট্রের  রাজধানী  শহরগুলো  এক  একটি  কেয়ামতের  আলামত ।  (আরব  জাতি)  যাদের  পায়ে  এক  সময়  জুতা  ছিল  না,  শরীরে  পোষাক  ছিল  না,  ঘরে  খাওয়ার  মতো  খাদ্য  ছিল  না,  ছাগল-ভেড়া  চড়াইত,  তাহাদেরকে  দেখিবে  আকাশচুম্বী  সুউচ্চ  টাওয়ার  নির্মাণের  প্রতিযোগিতায়  মাতিয়া  উঠিবে ।

প্রত্যেকটা  চারতলা,  পাঁচতলা,  দশ,  বিশ,  পঞ্চাশ,  একশ,  দেড়শতলা  বিল্ডিংগুলি  কেয়ামতের  দশ  নাম্বার  মহাবিপদ  সংকেত  ঘোষণা  করিতেছে ।  যে  শুনিবার  সে  শুনে  আর  যে  বধির  সে  শুনিবে  কিভাবে ?  রাসুলুল্লাহ (সাঃ)  বলিয়াছেন,  পৃথিবীর  পূর্ব  দিকে,  পশ্চিম  দিকে  এবং  আরব  অঞ্চলের  বিরাট  এলাকা  মাটির  নিচে  চলিয়া  যাইবে ।  আমাদের  বাংলাদেশ,  ভারত,  ইন্দোনেশিয়া,  মালয়েশিয়া  এমন  বিরাট  এলাকা  মাটির  নীচে  তলাইয়া  যাইবে ।  এই  ধরনের  শাস্তি  সাধারণত  হইয়া  থাকে  যেৌন  অপরাধের  কারণে,  জিনা  ব্যভিচার  বৃদ্ধি  পাইলে ।  দশটি  মহাজাগতিক  দুর্ঘটনা  নিয়া  ইমাম  মাহদীরা  আসিবেন ।  সে  সব  বিপর্যয়ে  পড়িয়া  সমস্ত  শক্তিশালীরা  ধ্বংস  হইয়া  যাইবে ।  বিজ্ঞানীরা  দেখিয়াছেন,  পৃথিবীর  চাইতে  সাতগুণ  বড়  একটি  গ্রহ  পৃথিবীর  দিকে  ছুটিয়া  আসিতেছে ।  আগামী  তিন  চার  পাঁচ  বছরের  মধ্যে  ঘণ্টায়  দুই  তিন  লক্ষ  মাইল  বেগে  ছুটিয়া  আসিয়া  পৃথিবীর  বায়ুমণ্ডলে  ঢুকিয়া  ধাক্কা  দিবে ।  ধাক্কার  চোটে  পৃথিবী  থামিয়া  গিয়া  উল্টা  দিকে  ঘুরিতে  থাকিবে ।  তখন  থেকে  সূর্য  পশ্চিম  দিক  থেকে  উদিত  হইবে । সারা  দুনিয়া  ধোঁয়ায়  অন্ধকার  হইয়া  থাকিবে  চল্লিশ  দিন,  নিঃশ্বাস  নিতে  পারিবেন  না ।  সেইগুলি  পৃথিবীর  সাধারণ  ধোয়াঁ  হইবে  না,  বরং  হইবে  মহাজাগতিক  বিষাক্ত  ধোয়াঁ ।  কোরআন  বলিতেছে,  সেই  বিষাক্ত  ধোয়াঁ  খাইয়া  খাট্টা  নাস্তিকরা  পর্যন্ত  ঈমানদার  হইয়া  যাইবে ।  পবিত্র  কোরআনে  একটি  আস্ত  সুরাই  আছে  ধোঁয়া  নামে  “সুরা  দোখান” । ‍“তাহা  হইবে  ভীষণ  যন্ত্রণাদায়ক  শাস্তি” ।  সেই  ধোঁয়া  খাইয়া  এশিয়া  বলিবে  “আল্লাহ  বাঁচাও” ।  ইউরোপ  বলিবে  “আল্লাহ  বাঁচাও” ।  আমেরিকা  বলিবে  “আল্লাহ  বাঁচাও” ।  অস্ট্রেলিয়া  বলিবে  “আল্লাহ  বাঁচাও” ।  ইমাম  মাহদী (আঃ) কে  মানিবে  না !  ঈশা  (আঃ) কে  মানিবে  না !  কিভাবে  মানাইতে  হয়  আল্লাহ  জানেন ।  আল্লাহ  বলিবেন,  আমাকে  স্মরণ  করিবার  জন্য  তোমাদেরকে  সৃষ্টি  করিয়াছিলাম ।  কেন  আমাকে  ভুলিয়া  গেলে ?  এই  টেলিভিশনের  মায়া  এতো  সহজে  ছুটিবে  না ।  এজন্য  মাইর  খাওয়া  লাগিবে,  কঠিন  মাইর ।  তাই  একে  একে  দশটি  ভয়াবহ  মাইর  আসিতেছে । সুতরাং  এখন  থেকে  প্রতিটি  ঘরে  ঘরে  কেয়ামতের  এই  আলামতগুলি  নিয়া  আলোচনা  হওয়া  উচিত ।  ইমাম  মাহদী (আঃ),  হযরত  ঈশা (আঃ) এর  নেতৃত্বে  পৃথিবীতে  যেই  সোনালী  যুগ  আসিতেছে,  সেই  যুগ  যাহাতে  দেখিতে  পারি,  আল্লাহ  আমাদেরকে  তেৌফিক  দান  করুন,  আমিন ।

-অধ্যাপক  মুফতী  কাজী  ইব্রাহীম

কেয়ামত সম্পর্কে ভয়ংকর তথ্য দিলেন ,কাজী ইব্রাহীম He gave horrific information  লেকচারের  অনুলিখন
সামনে  ভয়াবহ  ভূমিকম্পের  সিরিজের  পর  সিরিজ  আরম্ভ  করা  হবে ।  সারা  পৃথিবীতে  একটা  বিল্ডিংও  পাওয়া  যাবে  না  বসবাসের  জন্য ।  বিল্ডিং  দেখলেই  মানুষ  ভয়ে  পালাবে,  না  জানি  আমার  উপরই  ভেঙ্গে  পড়ে  কিনা ।  আর  যদি  বিল্ডিংয়ে  থাকেন  তবে  সেটাই  হবে  আপনার  গোরস্তান ।  যেমন  নেপালে  যারা  বিল্ডিং  বানিয়েছিলেন,  বিল্ডিংটাই  এখন  তাদের  কবরস্থান  হয়েছে ।  এখন  ঘরবাড়ি  বানাইলে  মাটির  নীচে  বানাবেন ।  মাটির  নীচে  বানাইলে  হয়ত  একটু  বেঁচে  যেতে  পারেন ।  পৃথিবীতে  যে  এটমিক  যুদ্ধের  কথা  এখন  শোনা  যাইতেছে,  তাতে  মাটির  উপর  যা  থাকবে  সব  উড়িয়ে  নিয়ে  যাবে ।  নবীজির (সাঃ)  একটি  হাদিস  আছে,  “কেয়ামতের  আগে  তোমাদের  জন্য  মাটির  উপরের  চাইতে  মাটির  নীচের  অংশ  বেশী  ভালো  হবে” ।  কেয়ামতের  আগে  ঘরবাড়ি  প্লাস্টিক  দিয়ে  বানান  যাতে  ভূমিকম্পে  ভেঙ্গে  পড়লে  আপনার  কোন  ক্ষতি  না  হয় ।  আর  না  হয়  মাটির  নীচে  একতলা  দুইতলা  একটু  মজবুত  করে  বানান  যাতে  গোরস্থান  না  হয় ।  -অধ্যাপক  মুফতী  কাজী  ইব্রাহীম

যাদের  কাছে  দান  খয়রাত  করার  মতো  ধন-সম্পদ  আছে,  তাদের  উচিত  সেগুলো  তাড়াতাড়ি  দান  করে  ফেলা ।  কেননা  (শীঘ্রই) ইমাম  মাহদী  আসিতেছেন ।  তাঁহার  আমলে  পৃথিবীতে  কোনো  গরীব  মানুষ  থাকবে  না ।  তখন  আপনি  ইচ্ছে  করলেও  আপনার  ধন-সম্পদ  দান  করে  সওয়াব  অর্জনের  সুযোগ  পাবেন  না ।  এজন্য  নবীজি (সাঃ) বলেছেন, তখন একটি সিজদাকে সারা দুনিয়ার (সকল ধন  সম্পদ দান  করিয়া  দেওয়ার)  চাইতেও  বেশী  মূল্যবান  মনে  করা  হবে । -অধ্যাপক  মুফতী  কাজী  ইব্রাহীম

আমাকে  আমার  ছোট  ভাই  ইউসুফ  বলেছে,  তার  এক  বন্ধু  যে  মদীনা  ইউনিভার্সিটিতে  তার  সাথে  আরবী  সাহিত্য  নিয়ে  পড়াশোনা  করত ।  সে  হাফেজ্জী  হুজুরের (রহঃ)  খুব  ঘনিষ্ট  লোক  ছিল ।  সে  একবার  স্বপ্নে  দেখলো  যে,  হাফেজ্জী  হুজুর  স্বপ্নে  এসে  তাকে  বলছেন  যে  ২০১৯  সালে  ইমাম  মাহদীর (আঃ)  বয়স  চল্লিশ  হবে (অর্থাৎ  তাঁর  আত্মপ্রকাশের  সময়  হবে) ।  তো  আমার  ছোট  ভাই  আমাকে  এই  স্বপ্নের  ব্যাখ্যা  জিজ্ঞাসা  করলেন ।  আমি  বললাম,  এই  স্বপ্ন  তো  তার  একার  নয়,  পৃথিবীর  দুইশ  কোটি  মুসলমানই  এখন  এই  ধরনের  স্বপ্ন  দেখতেছে ।  আপনারা  হয়ত  এই  জগত  নিয়া  ভাবেন  না,  স্টাডি  করেন  না ।  কিন্তু  আমার  এমন  কোনো  দিন  যায়  না  যেদিন  আমি  এই  জগতে  প্রবেশ  করি  না ।  বিশেষ  করে  সারাবিশ্বের  স্কলারদের  সাথে  আমাদের  জ্ঞান  বিনিময়  হয়  নেটের  মাধ্যমে,  ঈশা  মাসিহ (আঃ)  এবং  ইমাম  মাহদী (আঃ)  সম্পর্কে ।  বিশ্বের  স্কলাররা  বলছেন  ২০২৪  সালের  মধ্যে  এমন  কিছু  ঘটে  যাবে,  দুয়েক  বছর  আগে  পরে  হতে  পারে ।  সুনির্দিষ্ট  তারিখ  একমাত্র  আল্লাহ  বলতে  পারবেন  কিন্তু  এটা  জানবেন  যে  আর  সময়  নাই,  একেবারে  হাতে  কাছে  এসে  পড়েছে ।-অধ্যাপক  মুফতী  কাজী  ইব্রাহীম

সামনে  ইনশায়াল্লাহ  মুসলমানদের  একটি  সুসময়  আসতেছে ।  তবে  সেই  সুসময়  আসার  আগে  কোটি  কোটি  মানুষ  বিদায়  হয়ে  যাবে ।  সামনে  তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধ  আসতেছে ।  সহীহ  মুসলিম  শরীফের  হাদীসে  বলা  হয়েছে,  তোমরা  রোমের  সাথে  শান্তিচুক্তি  করবে ।  রোমের  সবচেয়ে  বিশুদ্ধ  অনুবাদ  হলো  রাশিয়া ।  এরাই  আগে  ছিল  বাইজান্টাইন  খ্রিস্টান  সাম্রাজ্য  সোভিয়েত  ইউনিয়ন  এবং  পূর্ব  ইউরোপের  দেশগুলি ।  রাশিয়ার  কমুনিষ্ট  নাস্তিকরা  এখন  খ্রিষ্টান  ধর্মের  দিকে  ঝুকছে ।  আমেরিকা  যখন  জেরুজালেমকে  ইজরাঈলের  রাজধানী  ঘোষনা  করল  তুরষ্ক  তখন  আমেরিকা  এবং  ইউরোপকে  ছেড়ে  রাশিয়ার  দিকে  চলে  এসেছে ।  মুসলিম  তুরষ্ক  এবং  খ্রিষ্টান  রাশিয়া  এখন  একতাবদ্ধ  হয়েছে ।  ইহার  পরেই  আসতেছে  ভয়াবহ  তৃতীয়  বিশ্বযুদ্ধ ।  সহীহ  মুসলিমের  হাদীসে  বলা  হয়েছে,  সেই  যুদ্ধে  এতো  মানুষ  মরবে  এতো  সৈনিক  মরবে  যে  একটা  পাখি  তাদের  লাশের  উপর  দিয়ে  উড়তে  উড়তে  এক  সময়  ক্লান্ত  হয়ে  পড়ে  যাবে  কিন্তু  তারপরও  লাশের  স্তুপ  অতিক্রম  করতে  সক্ষম  হবে  না ।  এক  পিতার  একশ  পুত্র  যুদ্ধে  যাবে  কিন্তু  যুদ্ধের  শেষে  গুণে  দেখা  যাবে  মাত্র  একজন  বেঁচে  আছে,  নিরানব্বই  জন  শেষ ।  কাজেই  আমরা  কে  যে  ইমাম  মাহদীর  যুগ  পাবো  আর  কে  যে  পাবো  না  এটা  বলা  যায়  না ।  এমন  হাদীসও  আছে  যাতে  বলা  হয়েছে  সারা  পৃথিবীতে  একটি  ঘরও  পাওয়া  যাবে  না  বসবাস  করার  জন্য  এমন  ভয়াবহ  ভূমিকম্প  শুরু  হবে ।  সুতরাং  এখন  আমাদের  দুনিয়ার  চিন্তা  বাদ  দিয়ে  আখেরাতের ধান্ধায়  লেগে  থাকা  উচিত । -মাওলানা  কাজী  ইব্রাহীম

রোহিঙ্গা  মুসলমানদের  ভয়াবহ  অবস্থা  দেখে  ভাববেন  না  যে,  আমরা  তো  ভাল  আছি ।  জি  না,  আপনাদের  অবস্থাও  রোহিঙ্গাদের  মতো  করার  জন্য  সর্বাত্মক  চেষ্টা  চলতেছে ।  বলা  যায়  সারা  দুনিয়ার  মুসলমানদের  অবস্থাই  রোহিঙ্গাদের  মতো  করার  জন্য  আপ্রাণ  চেষ্টা  চলতেছে ।  স্বপ্নেও  ভাববেন  না  যে,  বার্মা  সরকার  নিজের  সাহসে  রোহিঙ্গাদের  উপর  গণহত্যা  চালাইতেছে ।  জি  না,  অনেক  বড়  বড়  শক্তি  রামদা  নিয়া  তাদের  পেছনে  দাঁড়াইয়া  আছে ।  বলতেছে  তোমরা  রোহিঙ্গা  মুসলমানদের  কচুকাটা  কর,  আমরা  আছি  তোমাদের  পেছনে ।   কাজেই  আমাদেরকে  ধ্বংসের  হাত  থেকে  বাঁচতে  হলে  নিজেদের  মধ্যে  ইস্পাতকঠিন  ঐক্য  গড়ে  তোলতে  হবে ।  যে  বুকের  উপর  হাত  বাধে  সেও  নবীজির (সাঃ)  হাদীস  অনুযায়ী  আমল  করতেছে  আর  যে  নাভির  উপর  হাত  বাধে  সেও  নবীজির (সাঃ)  হাদীসের  উপর  আমল  করতেছে ।  যে  জোরে  আমিন  বলে  সেও  নবীজির (সাঃ)  হাদীস  অনুযায়ী  আমল  করতেছে  আবার  যে  আস্তে  আমিন  বলে  সেও  কোরআনের  উপর  আমল  করতেছে ।  আমরা  সব  মুসলমানরাই  কিন্তু  জান্নাতে  যাওয়ার  ট্রেনে  চড়ে  বসেছি ।  কেউ  হয়ত  ফার্স  ক্লাসে  সিট  পেয়েছেন,  কেউ  সেকেন্ড  ক্লাসে,  কেউ  থার্ড  ক্লাসে,  কেউ  হয়ত  ইঞ্জিনে  বসেছেন,  কেউবা  সিট  না  পেয়ে  ছাদে  চড়েছেন ।  আবার  কেউ  কোথাও  জায়গা  না  পেয়ে  অতিকষ্টে  দুই  বগির  মাঝখানের  শিকল  ধরে  কোনোমতে  ঝুলে  আছেন ।  এভাবে  আমরা  সব  মুসলমানই  জান্নাতে  যাওয়ার  চেষ্টায়  আছি,  আমাদের  সবার  লক্ষ্য  কিন্তু  একটাই ।  সুতরাং  আমাদেরকে  ভাবতে  হবে  যে  বুকে  হাত  বাধে  সেও  আমার  ভাই,  যে  নাভীতে  হাত  বাধে  সেও  আমার  ভাই,  যে  জোরে  আমিন  বলে  সেও  আমার  ভাই,  যে  আস্তে  আমিন  বলে  সেও  আমার  ভাই ।  কাজেই  আসুন  আমরা  নিজেদের  মধ্যে  ভাতৃত্ববোধ  সৃষ্টি  করি  আর  এই  কাজের  সবচেয়ে  ভালো  পদ্ধতি  হলো  একজন  আরেকজনকে  ধরে  নিয়ে  ঘনঘন  চা  খাওয়াবেন । – আল্লামা  মোহাম্মদ  কাজী  ইব্রাহিম

রাসুলুল্লাহ (সাঃ)  কেয়ামত  পর্যন্ত  দুনিয়াতে  যা  কিছু  ঘটবে  তার  সবই  ভবিষ্যতবাণী  করে  গেছেন  এবং  তাঁর  সবগুলো  ভবিষ্যতবাণী  কিতাব  আল  ফিতান  নামক  গ্রন্থটিতে  সংরক্ষণ  করা  হয়েছে ।  এটা  একটা  আশ্চর্যজনক  কিতাব,  এটা  সবার  পড়া  উচিত ।  আমরা  অনেকেই  জানি  না  যে  নস্ট্রাডেমাস  যত  ভবিষ্যতবাণী  করে  গেছে  তার  সবই  এই  বই  থেকে  চুরি  করে  নেওয়া । -অধ্যাপক  মুফতি  মোহাম্মদ  কাজী  ইব্রাহীম

মধ্যপ্রাচ্যে  শিয়া  গ্রুপ  এবং  সুন্নী  গ্রুপ  বর্তমানে  যুদ্ধের  জন্য  মারমুখী  হয়ে  আছে । আল্লাহ  আমাদের  নবীজি (সাঃ)-কে  বলেছেন,  আপনার  উম্মতকে  সমস্ত  কাফেররা  মিলেও  ধ্বংস  করতে  পারবে  না  কিন্তু  তারা  নিজেরা  নিজেদেরকে  ধ্বংস  করতে  পারবে ।  এখন  এমন  এক  যুদ্ধ  আসতেছে  সামনে  অচিরেই  অল্প  কিছু  দিনের  মধ্যেই  যেই  যুদ্ধের  আগমণ  বাংলাদেশ  ইণ্ডিয়া  পাকিস্তান  আফগানিস্তান  সিরিয়া  গোটা  মুসলিম  জাহানে  ছড়িয়ে  পড়বে ।  দুই  ব্লক,  এই  দুই  ব্লক  হওয়ার  কারণে  সুযোগ  নিবে  বিজাতিরা ।  আরবরা  নিশ্চিহ্ন  হয়ে  যাবে ।  এমন  এক  ফিতনাহ (যুদ্ধ)  আসতেছে  যা  আরবদেরকে  সাফ  করে  ফেলবে ।  এমন  এক  অন্ধ  ফিতনাহ  নির্বিচার  গণহত্যা  আসতেছে  যা  এই  উম্মতের  একজনকেও  ছাড়বে  না  যাকে  একটা  লাথি  দিবে  না ।  সবাই  মাইর  খাবেন,  সামনে  আসতেছে ।  ফিতনাহর  লাথি  তো  ভয়াবহ,  ফিতনাহর  লাথি  খেয়ে  কোটি  কোটি  মুসলমান  মারা  পড়বে ।  প্রিয়  ভাইয়েরা,  এই  জন্য  তাড়াতাড়ি  নেক  আমল  করেন ।  বর্তমান  পরিস্থিতি  বলতেছে  ইমাম  মাহদী  আসতেছেন ।  উনার  আবির্ভাবের  সময়  হয়েছে ।  কিন্তু  তার  আগে  ভয়াবহ  সব  বিশ্ববিপর্যয়  তৈরী  হয়ে  যুদ্ধবিগ্রহ  হয়ে  পৃথিবীর  জনসংখ্যা  বহু  বহু  অংশে  কমে  যাবে ।  এজন্য  এই  ভয়াবহ  অবস্থায়  তরুণরা  মৃত্যু  আসবে  রেডি  থাকবা  সবসময়  তওবাহ  করে  ইস্তেগফার  করে ।  আমি  বিস্ময়করভাবে  আশ্চর্যজনকভাবে  দেখতে  পাচ্ছি  হঠাৎ  করে  শতকরা  ৮০  ভাগ  তরুণরা  হঠাৎ  ওয়াজ  মাহফিলমুখী,  মসজিদমুখী,  ইসলামমুখী  হয়ে  গেছে ।  ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়ের  একজন  অধ্যাপক  বলেছেন  ঢাকা  বিশ্ববিদ্যালয়  নাকি  এক  মাদ্রাসায়  পরিণত  হয়েছে ।  হ্যাঁ,  এই  তরুণ  সমাজের  মাধ্যমেই  আল্লাহ  আগামীতে  ইসলামকে  মানবজাতির  সামনে  তুলে  ধরবেন । -অধ্যাপক  মাওলানা  কাজী  ইব্রাহিম

মুফতি কাজী ইব্রাহীম সাহেবের আজকের ওয়াজ স্থান _ দত্তগ্রাম,টাঙাইল লেকচারের  শ্রুতিলিখন

আমাকে  আমার  ছোট  ভাই  ইউসুফ  বলেছে,  তার  এক  বন্ধু  যে  মদীনা  ইউনিভার্সিটিতে  তার  সাথে  আরবী  সাহিত্য  নিয়ে  পড়াশোনা  করত ।  সে  হাফেজ্জী  হুজুরের (রহঃ)  খুব  ঘনিষ্ট  লোক  ছিল ।  সে  একবার  স্বপ্নে  দেখলো  যে,  হাফেজ্জী  হুজুর  স্বপ্নে  এসে  তাকে  বলছেন  যে  ২০১৯  সালে  ইমাম  মাহদীর (আঃ)  বয়স  চল্লিশ  হবে (অর্থাৎ  তাঁর  আত্মপ্রকাশের  সময়  হবে) ।  তো  আমার  ছোট  ভাই  আমাকে  এই  স্বপ্নের  ব্যাখ্যা  জিজ্ঞাসা  করলেন ।  আমি  বললাম,  এই  স্বপ্ন  তো  তার  একার  নয়,  পৃথিবীর  দুইশ  কোটি  মুসলমানই  এখন  এই  ধরনের  স্বপ্ন  দেখতেছে ।  আপনারা  হয়ত  এই  জগত  নিয়া  ভাবেন  না,  স্টাডি  করেন  না ।  কিন্তু  আমার  এমন  কোনো  দিন  যায়  না  যেদিন  আমি  এই  জগতে  প্রবেশ  করি  না ।  বিশেষ  করে  সারাবিশ্বের  স্কলারদের  সাথে  আমাদের  জ্ঞান  বিনিময়  হয়  নেটের  মাধ্যমে,  ঈশা  মাসিহ (আঃ)  এবং  ইমাম  মাহদী (আঃ)  সম্পর্কে ।  বিশ্বের  স্কলাররা  বলছেন  ২০২৪  সালের  মধ্যে  এমন  কিছু  ঘটে  যাবে,  দুয়েক  বছর  আগে  পরে  হতে  পারে ।  সুনির্দিষ্ট  তারিখ  একমাত্র  আল্লাহ  বলতে  পারবেন  কিন্তু  এটা  জানবেন  যে  আর  সময়  নাই,  একেবারে  হাতে  কাছে  এসে  পড়েছে ।-অধ্যাপক  মুফতী  কাজী  ইব্রাহীম


Leave a comment

মুসলমানদেরকে ভারতীয় হিন্দুদের ঘৃণার কারণ এবং সমাধান

প্রশ্ন : ভারতীয় হিন্দুরা সেখানকার মুসলমানদেরকে ভীষণ ঘৃণা করে এবং বলকান দেশসমূহের অর্থোডক্স খ্রিষ্টানরাও সেখানকার মুসলমানদেরকে তীব্র ঘৃণা করে । ইহার কি কোন সমাধান আছে ?

উত্তর : ভারতীয় মুসলমানদের অবস্থা একেবারেই শোচনীয় । ইহার চাইতে মানানসই আর কোন শব্দ আমার জানা নাই । তাহাদের মধ্যে আলেম-ওলামা আছেন, আমি জানি না তাহাদের কি উপদেশ দিবো ? কারণ আমি মনে করি এখন অনেক দেরি হইয়া গিয়াছে, যদিও বিষয়টি খুবই দুঃখজনক । একই অবস্থা বলকান দেশসমূহের মুসলমানদেরও । মনে হয় যেন ভারতে এবং বলকানে ইসলাম আসিয়াছিল জালেম হিসাবে । অন্যায় যুদ্ধ চাপাইয়া দিয়াছিল হিন্দু ভারতের বিরুদ্ধে, অন্যায় যুদ্ধ চাপাইয়া দিয়াছিল অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে । অথচ ইসলাম তো কোনো জুলুম অত্যাচারকে সমর্থন করে না । কিন্তু বিপরীতে মুসলমানদের প্রতিক্রিয়া দেখা যায় দম্ভ গেৌরবের সাথে । আমরা অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বিরুদ্ধে তুকী উসমানী সুলতানদের লাগামহীন যুদ্ধের জন্য গর্বিত ! আমরা বলকান দেশসমূহের অর্থোডক্স খ্রিষ্টানদের বিশাল সংখ্যায় হত্যা করিয়াছি, তাহাদের নারীদেরকে ক্রীতদাসী বানাইয়াছি, তাহাদের পুত্রদেরকে ছিনাইয়া নিয়া জোরপূর্বক ইসলামে দীক্ষিত করিয়াছি, আমরা তাহাদের সবচাইতে বড় গীর্জা হাগিয়া সোফিয়া দখল করিয়া মসজিদে রূপান্তরিত করিয়াছি, ওহ ! কি অসাধারণ মানুষ আমরা !! একই ঘটনা ঘটিয়াছে ভারতে । হিন্দুরা তো আপনাদেরকে ভারতে আসার এবং শাসন করিবার জন্য আমন্ত্রণ জানায় নাই ! হিন্দু ভারতের বিরুদ্ধে তাহারা অন্যায় জিহাদ চালাইয়াছে এবং জোরপূর্বক ভারতে তাহাদের শাসন কায়েম করিয়াছে ।

আপনারা কি মনে করেন হিন্দুরা আপনাদেরকে ভালবাসিবে ? আপনারা কি মনে করেন অর্থোডক্স খ্রিস্টানরা আপনাদেরকে ভালবাসিবে যখন আপনি তাহাদের উপর জুলুম অত্যাচার করিয়াছেন ? এখন এই পরিস্থিতির পরিবর্তনের জন্য প্রথমে মুসলিম আলেম-ওলামাগণকে জুলুম-অত্যাচারের নিন্দা করিতে হইবে এবং মুসলিম শাসনের জন্য হিন্দু ভারতের নিকট ক্ষমা প্রার্থনা করিতে হইবে । কারণ ইসলামের সাথে জুলুম-অত্যাচারের কোন সম্পর্ক নাই । এই ঘটনা এখন বলকান দেশগুলোতে ঘটিতেছে । আলহামদুলিল্লাহ, আমি নিজে সেখানে এই ধরনের কিছু কর্মকান্ড চালাইয়াছি এবং তাহার ভালো ফলাফল পাইয়াছি । কিন্তু আমি ভারতে তেমন কোন পদক্ষেপ দেখিতেছি না যে, ভারতীয় মুসলমানগণ জাগ্রত হইতেছেন । তাহারা বরং মুসলিম শাসকদের জুলুম-অত্যাচারকে সমর্থন করিয়া ভারতে ইসলামকে একটি জুলুমবাজ ধর্ম হিসাবে স্বীকার করিয়া নিতেছেন । ফলে হিন্দুদের প্রতিক্রিয়া ছিল স্বাভাবিক, তাহারা ইসলামকে ঘৃণা করে । কাজেই আলেম-ওলামাগণ যদি হিন্দু ভারতে মুসলিম শাসনকে অন্যায় হিসাবে স্বীকার করিয়া নেন এবং এজন্য ক্ষমা প্রার্থনা করেন, তবে তাহা একটি মূল্যবান কাজ হইবে । দ্বিতীয় কথা হইল, আপনি যদি এমন কোন জাতির মধ্যে বসবাস করেন যাহাদের কাহারো গরুর মাংস খাওয়ার অনুমতি নাই, ইহাই তাহাদের ধর্ম ।

যদিও আমার ধর্মে গরুর মাংস খাওয়ার অনুমতি আছে, তথাপি আমার জ্ঞান-বুদ্ধি, নূন্যতম কাণ্ডজ্ঞান বলে যে, আমি আপনাদের ধর্মীয় আবেগ-অনুভূতির প্রতি সম্মান দেখাইয়া গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকিব । কিন্তু ভারতীয় মুসলমানগন তাহা করেন নাই । ব্রিটিশ ভারতে যখন খেলাফত আন্দোলন শুরু হইল মোহন দাস গান্ধী আসিয়া খেলাফত আন্দোলনের নেতা মাওলানা আবদুল বারীকে বলিলেন যে, এক শর্তে আমি আপনাদের খেলাফত আন্দোলনকে সমর্থন করিতে পারি যদি আপনারা ভারতে গরু হত্যাকে সমর্থন না করেন । মাওলানা আবদুল বারী গান্ধীকে আন্দোলনে শরীক করিবার সুযোগকে কাজে লাগাইবার জন্য তাহার প্রস্তাবে রাজী হইয়াছিলেন । কিন্তু আমি হইলে অন্যভাবে জবাব দিতাম । আমি গান্ধীকে বলিতাম যে, আমাদের কাছে আপনাকে দাবী করিতে হইবে না, আমাদের সাথে আপনাকে চুক্তি করিতে হইবে না । আমরা আপনাদের ধর্মীয় অনুভূতির প্রতি সম্মান প্রদর্শন পূর্বক স্বেচ্ছায় গরুর মাংস খাওয়া থেকে বিরত থাকিব । আর আপনি যদি খেলাফত আন্দোলনে শরীক হন তাহা হইবে আপনার সততা এবং আন্তরিকতা । কিন্তু মুসলমানরা তাহা করে নাই । এখন জাহাজ চলিয়া গিয়াছে, মুসলমানগণ জাহাজ উঠিতে পারে নাই । এখন মুসলমানরা কি করিবে ? তাহাদের জন্য কি কোন আশা নাই ? এখন কি করিতে হইবে ? এখন তাহারা যদি এমন এক শ্রেণীর আলেম-ওলামা তৈরী করিতে পারে যাহারা কোরআনের আলোতে দেখিতে সক্ষম, যাহারা নামাজে এভাবে দাঁড়াইতে হইবে, এভাবে কাপড় পরিধান করিতে হইবে ইত্যাদি আলতু ফালতু ফেরকাবাজি ত্যাগ করিতে সক্ষম । দেওবন্দি-বেরেলভী ইদুঁর-বিড়াল খেলা বাদ দিয়া মুসলমানদেরকে ঐক্যবদ্ধ করিতে পারে এমন এক শ্রেণীর আলেম-লামা তৈরী করিতে পারে, তবে ভারতীয় মুসলমানদের জন্য এখনও আশা আছে । এখানে ব্রিটিশদের ভারত ত্যাগ এবং ভারত-পাকিস্তানের সৃষ্টির প্রসঙ্গ তুলিবেন না, সেটা ভিন্ন গল্প ।

মূল- আল্লামা ইমরান নযর হোসেন

অনুবাদ- বশীর মাহমুদ ইলিয়াস

DAJJAL AND DIGITAL MONEY লেকচারের অনুবাদ


4 Comments

স্নায়ু রোগের হোমিওপ্যাথিক প্রেসক্রিপশান ১১

৫৯১.  sir ami civil engr.noton job Brain Surgery__0203e dokeci R age thekei sound e voy chilo R sound kane khob lagto ja sojjo kora kothin.ekhon ami je khane kaj kori sekhane pile work choltece jate onek sobdo ja ami sojjo korte pari na,kane tola dei R sound er kace gele mone hoy amar hearing mone hoy sound er karone kome jabe.somadhan chai

উত্তর : Opium  200 ঔষধটি  একদিন  খাবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫  বড়ি ।

৫৯২.  আমি জাহিদ । আমি এক জন ডিপ্লোমা ফার্মাসিস্ট এবং আমি বায়োকেমিস্টি তে বি,এস,সি ফাইনাল ইয়ার এ। আমি ডি, এইচ, এম, এস. কোর্সে ভর্তি হতে ইচ্ছুক। আর ডি,এইস, এম,এস রা কি নামের আগে Dr. লিখতে পারবে?????

উত্তর :  হ্যাঁ,  আপনি  স্বাধীনভাবে  ডাক্তারীও  করতে  পারবেন  এবং  নামের  আগে  ডাঃ  ও  লিখতে  পারবেন ।

৫৯৩.  আসসালামু আলাইকুম । হোমিওপ্যাথীতে অর্ধেক মাথাব্যথা  বা  মাইগ্রেনের ব্যাথা দূর করার কোন ঔষধ আছে, স্হায়ী ভাবে নির্মূল করার বা তা না হলে সাময়িকের জন্য???

উত্তর : হ্যাঁ,  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় প্রায়ই মাইগ্রেন স্থায়ীভাবে নিরাময় করা সম্ভব হয় । শারীরিক-মানসিক  যে-কোন  রোগ  হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসার  মাধ্যমে  সবচেয়ে  কম  খরচে,  সবচেয়ে  কম  সময়ে  এবং  রোগীকে  সবচেয়ে  কম  কষ্ট  দিয়ে  নিরাময়  করা  যায়।  কিন্তু  হোমিওপ্যাথিতে  একজন  রোগীকে  সঠিক  ঔষধটি  দেওয়ার  জন্য  রোগ  এবং  রোগী  সম্পর্কে  অনেক  বিস্তারিত  জানতে  হয়।  যেমন-  রোগের  মাত্রা  কখন  কখন / কি  করলে  বাড়ে-কমে ?  রোগটি  হওয়ার  কারণ  কি (শারীরিক-মানসিক  আঘাত,  আজে-বাজে  চিকিৎসা,  টিকা  নেওয়া,  টেনশান,  ভয়  ইত্যাদি  ইত্যাদি) ?  রোগীর  মন-মানসিকতা  কেমন ?  কি  ধরণের  খাবার-পানীয়  সে  বেশী  পছন্দ / অপছন্দ  করে ?  ক্ষুধা  কেমন ?  পিপাসা  কেমন ?  ঘুম  কেমন ?  স্মরণশক্তি  কেমন ?  বুদ্ধি  কেমন ?  পায়খানা-প্রস্রাব  কেমন   ?  ঘামের  অবস্থা  কেমন ?  কি  কি  জিনিসকে  সে  ভয়  করে ?  কি  ধরণের  স্বপ্ন  দেখে ?  রোগীর  মধ্যে  অদ্ভূত / ব্যতিক্রমধর্মী  কি  কি  বিষয়  আছে ?  রোগের  অবস্থান  কোন  দিক  থেকে  কোন  দিকে  যায় ?  রোগীর  পেশা  কি ?  অতীতে  কি  কি  রোগ  হয়েছিল ?  পিতা-মাতা-স্বামী-স্ত্রীর  কি  কি  রোগ  আছে ?  শীতকাল / গ্রীষ্মকাল  কোনটি  ভালো  লাগে ?  হার্টের  এবং  চোখের  কোন  সমস্যা  আছে  কি  না ?  শরীরের  কোথাও  জ্বালা-পোড়া  আছে  কি  না ?  কি  কি  রোগে  বেশী  আক্রান্ত  হন ?  ইত্যাদি  ইত্যাদি ।  কাজেই  যখনই  কোনো  হোমিও  ডাক্তারের  চেম্বারে  যাবেন  নিজের  সম্পর্কে  যতটা  সম্ভব  বিস্তারিত  তথ্য  জানাবেন।  অন্যথায়  আপনার  জন্য  সঠিক  ঔষধটি  নিবার্র্চন  করা  সম্ভব  হবে  না।

৫৯৪.  আসসালামু আলাইকুম, আমি ২৩ বছরের যুবক। আমার সমস্যাটা হচ্ছে আমার গায়ের মাংস অতিরিক্ত নরম। যে নরম টা একটা বাচ্চা মানুষেরও হয়না। এমনকি মেয়ের মানুষেরও হয়না। এতে করে আমার আত্মবিশ্বাসে অনেক ঘাটতি তৈরি হচ্ছে প্রতিনিয়ত। এইরকম অস্বাভাবিক নরম শরীর অন্য কারো দেখিনি আমি। পুরুষ মানুষ হয়েও এত নরম শরীর আমার জন্য অনেক প্রবলেমের কারণ। তাই আমি চাচ্ছিলাম আমার শরীরের মাংস যাতে রাফ এন্ড টাফ হয়। মানে শক্তপোক্ত হয়। এজন্য আমি খেলে উপকার হবে?

উত্তর :  Calcarea  carb  50M ঔষধটি  একদিন  খাবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫  বড়ি ।  প্রয়োজন  মনে  করলে  তিন  মাস  পরে  আরেকবার  খেতে  পারেন ।

৫৯৫.  আচ্ছালামুআলাইকুম,স্যার বাচ্ছার বয়স তিন বছর,উপরের দাত পড়েছে তিন মাস হয়েছে এখনো দাত উঠছে না,আপনার কাছে পরামর্শ চাই।

উত্তর :  Calcarea  carb  10M ঔষধটি  একদিন  খাওয়াবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫  বড়ি ।

৫৩৫.  অল্পতে হাফিয়ে উঠি।চোখ ,পায়ের গোড়ালিতে ব্যথা আছে ।শরীরের ঘাড়ের জয়েন্ট সহ সব জয়েন্ট এ কট কট আওয়াজ হয়।শরীরে জ্বর লাগে হুট হাট।শরীর হাত ঘাড় কামড়ায়।ক্লান্ত লাগে ।অসুখের নাম কী বলতে পারবেন ???ওষুধ না অসুখের নাম।কিডনি প্রবলেম কীনা ভয় করছে ।হলে ঠিক করা কী সম্ভব ???

উত্তর :  না,  এটা  কিডনীর  কোনো  সমস্যা  নয় ।  এটা  অপুষ্টিজনিত  শারীরিক  দুর্বলতা ।  শরীরে  পানি  না  জমলে  অথবা  প্রস্রাবের  সাথে  রক্ত  না  গেলে  কিডনী  রোগ  হিসাবে সন্দেহ  করার  দরকার  নাই ।

 

  1. আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লা স্যার আমার বয়স ২১ উচ্চতা ৫”৭,ওজন ৬৩ কেজি আমার দৃষ্টি শক্তি কমে গেছে। দুরের জিনিস দেখি না। ডাক্তার -50 ডিগ্রী চশমা ব্যবহার করতে বলছে। কাজ করার কারণে অনেকক্ষণ মোবাইল ও কম্পিউটার পর্দায় চোখ রাখতে হয়। প্রায় ৬ বছর ধরে মোবাইল চালাই। চোখের সমস্যার সম্ভাব্য কারণ অতিরিক্ত মোবাইল চালানো। 1.রুচি স্বাভাবিক 2. টয়লেট স্বাভাবিক 3.ঘুম দেরিতে আসে ১২টার পর (৭ ঘন্টা ঘুম হয়) 4.গরম বেশি লাগে। 5.খাবার কম খেলে টয়লেট হয় না । 6.মাঝে মাঝে শরীর দূর্বল লাগে। স্যার মেহেরবাণী করে ঔষধ সাজেস্ট করেন যাতে দৃষ্টি শক্তি ঠিক হয়।

উত্তর :  Calcarea  phos  6x ঔষধটি  সকালে  ৫টি  এবং  রাতে  ৫টি  বড়ি  করে  খেতে  পারেন  ১  মাস  ।

 

২৩৪.  স্যার আমার লিঙ্গের ভিতরে প্রচুর পরিমানে সুর সুরি এবং মুত্রানালির ভিতরে থেকে প্রসাবের আগে ও পরে ডিমের লালার মত বের হয় সবচেয় জটিল বিষয় হলো প্রসেব থেকে একধরনের রেনু ও লাম্বা জিবানু বের হয় আমার লিঙ্গের মুন্ডুর নিচে আচিলার মত একধরনের বিচি আছে যেটা অনেক সময় ভিতরে কুট কুট করে কামড়ায়, তারপর একাত্রে অনেক গুলো বিচি উঠে চুলকায় তারপর গাঁ হয়, আবার শুকাইয়া যায় কিন্তু আচিলা গুলো থেকে যায় দুমাস তিনমাস পর পর হয়,এ্যালার্জির সমস্যা আছে এবং হাতে পায়ে কালো কালো গোলাকার দাগ উঠেছে সেই দাগ গুলো হঠাৎ করে চুলকায়ই ও  ফুলে উঠে চর্মের ঔষাধ খেয়েছি ভাল হয়েছি কিন্তু দাগ থেকে গেছে আর এ্যলার্জির ঔষাধ ও অনেক খেয়েছি, টেষ্টে সিফলিস গনোরিয়া কিছু ধরা পরে নাই তারপর ও জিম্যাক্স 500 mg খেয়েছি কিন্তু আগের মতই হারবাল ও বহুবার খেয়েছি?

উত্তর :  Echinacea  angustifolia  3x ঔষধটি  রোজ  রাতে  ৫  ফোটা  করে  খাবেন  এক  মাস,  আধা  গ্লাস  পানির  সাথে  মিশিয়ে ।

  1. জনাব,আমার লিঙ্গের বাম দিকের গোড়ায় চীন চীন করে বেথা করে এবং এই বেথা রানের চিপায় ও করে এবং পা সিন সিন করে এবং এই বেথা মেরুদণ্ড হয়ে মাজে মাজে কোমরে এবং মাজে মাজে পিঠে বেথা করে । অনেক্ষন বসে থেকে দাঁড়ালে বা পায়ের গোড়ালি বেথা করে। রোগের মাত্রা সন্ধ্যার থেকে বাড়ে এবং বসলে বাড়ে। আগে খুব কম্পিউটার চালাতাম এর পর থেকে এই প্রব্লেম তা পাচ্ছি। ইদানিং অল্পতে রাগ হয়। তেমন কোনো টেনশন নেই। সব ধরণের খাবার পানি ভালো লাগে। কানে একটা ইনফেকশন আছে তবে এখন কম আর মাজে এমজে পাইলস এর সমস্যা হয়। রাতে ঘুমটা কম। এক সময় টাইফয়েড হয়েছিল তখন থেকেই ঘুম কম। ঘামে তেমন কোনো গন্ধ নেই এবং ঘাম স্বাভাবিক। পিপাসা নরমাল। শরণ শক্তি ভালো।পায়খানা প্রসাব নরমাল কিন্তু ঘুম কম হওয়াতে শরীর তা একটু কোষা এবং মাজে মাজে জ্বালাপোড়া করে। স্বপ্ন খুব একটা দেখিনা কিন্তু যদি দেখি সেটা সাভাবিক।শীতকাল ভালো লাগে। একটু সর্ধির প্রকোপ আছে। পিত মাতার হার্ট ডায়বেটিস ছিল কিন্তু আমার নেই। আল্লাহর রহমতে হার্ট ভালো। আমার রোগটি লিঙ্গের গোড়ার বাম পাশে চীন চীন করে বেথা করে এবং রানের চিপা হয়ে পা দুই পা ই সিন সিন করে কিন্তু বাম পা বেশি। অনেক্ষন বসে থেকে দাঁড়ালে বাম পায়ের গোড়ালি বেথা করে। বেথা মেরুদণ্ড হয়ে ওপরে উঠে এবং কোমর এবং পিঠ বেথা করে এবং কোমর মাজে মাজে ধরে থাকে। বাম পায়ের চিপা মেরুদণ্ড মাজে মাজে টান টান লাগে। টাইফয়েড এর পর থেকে হাত পা জেলা পড়া করা এবং বায়ুচরা আছে।

উত্তর :  Sulphur 6 ঔষধটি সকালে ৫ বড়ি এবং Nux vomica 6 ঔষধটি রাতে ৫ বড়ি করে ১ মাস খান ।

২৩৪.  স্যার আমার লিঙ্গের ভিতরে প্রচুর পরিমানে সুর সুরি এবং মুত্রানালির ভিতরে থেকে প্রসাবের আগে ও পরে ডিমের লালার মত বের হয় সবচেয় জটিল বিষয় হলো প্রসেব থেকে একধরনের রেনু ও লাম্বা জিবানু বের হয় আমার লিঙ্গের মুন্ডুর নিচে আচিলার মত একধরনের বিচি আছে যেটা অনেক সময় ভিতরে কুট কুট করে কামড়ায়, তারপর একাত্রে অনেক গুলো বিচি উঠে চুলকায় তারপর গাঁ হয়, আবার শুকাইয়া যায় কিন্তু আচিলা গুলো থেকে যায় দুমাস তিনমাস পর পর হয়,এ্যালার্জির সমস্যা আছে এবং হাতে পায়ে কালো কালো গোলাকার দাগ উঠেছে সেই দাগ গুলো হঠাৎ করে চুলকায়ই ও  ফুলে উঠে চর্মের ঔষাধ খেয়েছি ভাল হয়েছি কিন্তু দাগ থেকে গেছে আর এ্যলার্জির ঔষাধ ও অনেক খেয়েছি, টেষ্টে সিফলিস গনোরিয়া কিছু ধরা পরে নাই তারপর ও জিম্যাক্স 500 mg খেয়েছি কিন্তু আগের মতই হারবাল ও বহুবার খেয়েছি?

উত্তর :  Echinacea  angustifolia  3x ঔষধটি  রোজ  রাতে  ৫  ফোটা  করে  খাবেন  এক  মাস,  আধা  গ্লাস  পানির  সাথে  মিশিয়ে ।

  1. জনাব,আমার লিঙ্গের বাম দিকের গোড়ায় চীন চীন করে বেথা করে এবং এই বেথা রানের চিপায় ও করে এবং পা সিন সিন করে এবং এই বেথা মেরুদণ্ড হয়ে মাজে মাজে কোমরে এবং মাজে মাজে পিঠে বেথা করে । অনেক্ষন বসে থেকে দাঁড়ালে বা পায়ের গোড়ালি বেথা করে। রোগের মাত্রা সন্ধ্যার থেকে বাড়ে এবং বসলে বাড়ে। আগে খুব কম্পিউটার চালাতাম এর পর থেকে এই প্রব্লেম তা পাচ্ছি। ইদানিং অল্পতে রাগ হয়। তেমন কোনো টেনশন নেই। সব ধরণের খাবার পানি ভালো লাগে। কানে একটা ইনফেকশন আছে তবে এখন কম আর মাজে এমজে পাইলস এর সমস্যা হয়। রাতে ঘুমটা কম। এক সময় টাইফয়েড হয়েছিল তখন থেকেই ঘুম কম। ঘামে তেমন কোনো গন্ধ নেই এবং ঘাম স্বাভাবিক। পিপাসা নরমাল। শরণ শক্তি ভালো।পায়খানা প্রসাব নরমাল কিন্তু ঘুম কম হওয়াতে শরীর তা একটু কোষা এবং মাজে মাজে জ্বালাপোড়া করে। স্বপ্ন খুব একটা দেখিনা কিন্তু যদি দেখি সেটা সাভাবিক।শীতকাল ভালো লাগে। একটু সর্ধির প্রকোপ আছে। পিত মাতার হার্ট ডায়বেটিস ছিল কিন্তু আমার নেই। আল্লাহর রহমতে হার্ট ভালো। আমার রোগটি লিঙ্গের গোড়ার বাম পাশে চীন চীন করে বেথা করে এবং রানের চিপা হয়ে পা দুই পা ই সিন সিন করে কিন্তু বাম পা বেশি। অনেক্ষন বসে থেকে দাঁড়ালে বাম পায়ের গোড়ালি বেথা করে। বেথা মেরুদণ্ড হয়ে ওপরে উঠে এবং কোমর এবং পিঠ বেথা করে এবং কোমর মাজে মাজে ধরে থাকে। বাম পায়ের চিপা মেরুদণ্ড মাজে মাজে টান টান লাগে। টাইফয়েড এর পর থেকে হাত পা জেলা পড়া করা এবং বায়ুচরা আছে।

উত্তর :  Sulphur 6 ঔষধটি সকালে ৫ বড়ি এবং Nux vomica 6 ঔষধটি রাতে ৫ বড়ি করে ১ মাস খান ।

৬৫৮.  স্যার আসসালামু আলাইকুম! আশা করি ভালো আছেন। আমার বোনের বয়স ১৯ বছর। ওর সমস্যা হলো, মুখে ব্রণ  ‍(acne) ওঠে ছোট গোটার মত অনেকগুলো। ওগুলো টিপ দিলে গলে গিয়ে ভিতর থেকে চাউলের মত সাদা কি যেন বের হয়, আর ঐখানে কাল দাগ হয়ে যায়। এই জন্যে একটা হোমিও ডাক্তার: Berberis Aquifolium ওষুধ লিখে দিয়েছেন( অলিভ ওয়েলের সাথে মিশিয়ে) গোসলের আধা ঘণ্টা আগে ব্যাবহার করতে বলেছেন। এখন এই ওষুধটা ব্যাবহার করা বা নির্বাচন করা কি ঠিক হয়েছে? নাকি অন্য ওষুধ ব্যাবহার করতে হবে? অনুগ্রহ করে জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন!

উত্তর :  Kali  bromatum 6  ঔষধটা    রোজ  রাতে  ১  ফোটা  বা  ৫  বড়ি  করে  ১৫  দিন  খান ।

৬৫৮.  স্যার আসসালামু আলাইকুম! আশা করি ভালো আছেন। আমার বোনের বয়স ১৯ বছর। ওর সমস্যা হলো, মুখে ব্রণ  ‍(acne) ওঠে ছোট গোটার মত অনেকগুলো। ওগুলো টিপ দিলে গলে গিয়ে ভিতর থেকে চাউলের মত সাদা কি যেন বের হয়, আর ঐখানে কাল দাগ হয়ে যায়। এই জন্যে একটা হোমিও ডাক্তার: Berberis Aquifolium ওষুধ লিখে দিয়েছেন( অলিভ ওয়েলের সাথে মিশিয়ে) গোসলের আধা ঘণ্টা আগে ব্যাবহার করতে বলেছেন। এখন এই ওষুধটা ব্যাবহার করা বা নির্বাচন করা কি ঠিক হয়েছে? নাকি অন্য ওষুধ ব্যাবহার করতে হবে? অনুগ্রহ করে জানালে উপকৃত হব। আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন!

উত্তর :  Kali  bromatum 6  ঔষধটা    রোজ  রাতে  ১  ফোটা  বা  ৫  বড়ি  করে  ১৫  দিন  খান ।

  1. Thank u sir.sakala amar likoria bara.rata basis hay na.ata amar biya r por ak bar d n c hay tar por thaka bara.r ha sami sahbas halao bara.biyar aga masikar samasa sil anak alopathic khaisi.akhon homio alomina osud khala likora kama but Sara na.Ami calcaria carb ar rogi sir.Ami D. h.m.s karAsi.Ami anak ragi.kaw kiso balla Mona kast pai basi.Ami akta job kari collage a.rich food like kari.pipasa rata basi hay posrabar por.paykhana ,posrab val.Ami voy pai rog k Allah k.sit kal val lagA .chokha durar jinis japsa Dakhi.amar ojon77.akhon gom val i hay.3mas aga gomar samassa hay.takhan matha,hat o payar talu jala pora karta

উত্তর :  Kali  carbonicum  200  ঔষধটি  একদিন  খাবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি ।

৬২৭.  আমার স্ত্রী,বয়স ৩০ বছর।বর্তমানে সাত মাসের গর্ভবতী দেড় মাস ধরে হাত পা ফোলা, প্রসাব পরীক্ষা করা হয়েছে কোন সমস্যা নেই। সহবাস করলে ডিমের সাদা অংশের মত বের হয়,যেখানে লাগে সেখানেই চুলকায় ।বর্তমানে ইজি ডেলিবারীর জন্য কেলি ফস ১২ চার বড়ি দুবার আর পালসেটিলা২০০ মাসে তিন দিন খাচ্ছে। হাত পা ফোলার জন্য আলোপ্যাথি ঔষধ এন্টিবায়োটিক ঔষধ খেয়েছে কমে নি আপনার পরামর্শ কামনা করছি।

উত্তর ঃ  বেলিস  পিরেনিস (Bellis  perennis  Q),  আলফালফা (Alfalfa  Q)  এবং  আর্টিকা  ইউরেন্স  (Urtica  urens  Q)  ঔষধগুলো  সাতদিন  সাতদিন  করে  একটার  পর  আরেকটা  এভাবে  ঘুরিয়ে  ফিরিয়ে  খাওয়াবেন,  ১০  ফোটা   করে  রোজ  ২  বেলা  হিসাবে  আধা  গ্লাস  পানির  সাথে  মিশিয়ে ।

  1. আমার মাথায় গত এক সপ্তাহ আগে একটা ফুঁড়া হইছে। এটা এখন পাকছে কিন্তু মুখ হচ্ছে না।

ফুঁড়ারর চামড়ার উপরিভাগ টা শক্ত। কিন্তু এটা ভিতরে পেকে টুলটুলে হয়ে আছে। কিভাবে এটার মুখ বের করা যাবে।

যদি একটু সাজেকশন দিতেন খুবই উপকৃত হতাম।

উত্তর :  Hepar  Sulph  6 ঔষধটা  ৫  বড়ি  করে  রোজ  ৪  বার  করে  খাবেন  ৩  দিন ।

 

  1. Gymnema sylvestra কোন ধরনের ঔষধ বলবেন কি ?

উত্তর :  এটা  সাধারণত  ডায়াবেটিসের  চিকিৎসায়  ব্যবহৃত  হয় ।

৫৬৩.  Assalamu Alaikum, Amar ammur age 68. Goto 4 mash jabot hatur bathai vugchen. Onak allopathic doctor dakheyao kaj hochcha na. tai apnr homeopathy treatmenter promorsho chaiche. Bam pa ta batha , hatla batha bara jai, hatu aktu fulao gacha.

  1. স্যার আমার বড় ভাই আজ কয়েক দিন হল কুয়েত আসছে, বয়স ৩৬ হবে তার বতমান সমস্যা হল ঘুম হয় না বিমান হতে নামার পর একন পয্ন্ত ভাল ঘুম হয় না,ঘুমের ঔষধ দিয়া ঘুম পারাইতাছি, ঘুম আসলে প্রসাবের বেগ আসে, ঘুম ভেংগে যায়, একবার ঘুম ভাংলে আর ঘুম আসে না, হাত পা ঠান্ডা থাকে,। মনে হয় পাগল হয়ে যাবে দিনে ঘুমানোর চেস্টা করলে বলে মাথায় কিযে বেয়ে উঠে,আর ঘুমাতে পারে না শরিল দূর্বল ডোলে socuied tendency আছে মনে করে উপর হতে লাফ দেয়, আগে সইদি ছিল চলে আসছে, এখন কি ঔষধ দেওয়া যায়, দয়া করে বলবেন অনেক টাকা খরচ করে নিয়া আসছি যদি দেশে চলে যা, আমার কাছে ঔষধ আছে, কোন ঔষধ দিবো ১০ দিন কোন ঘুম নাই যায় হয় ঘুমের টেবলেট খাওয়ানোর পর হয়

উত্তর : Ignatia  amara  অথবা  Natrum  muriaticum অথবা  Calcarea  phosphorica ঔষধগুলোর  যে-কোনটা  আপনার  কাছে  থাকলে  এক  ফোটা  খাইয়ে  দেন,  আশা  করি  ঠিক  হয়ে  যাবে ।

  1. Assalamu Alaikum, Amar ammur age 68. Goto 4 mash jabot hatur bathai vugchen. Onak allopathic doctor dakheyao kaj hochcha na. tai apnr homeopathy treatmenter promorsho chaiche. Bam pa ta batha , hatla batha bara jai, hatu aktu fulao gacha.

উত্তর ‍ঃ  Bryonia  alba  200  এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটা একদিন খাবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি বড়ি  ।  প্রয়োজনে  কয়েক  দিন  পরপর  রিপিট  করে  দেখতে  পারেন ।

৬৭৫.  প্রিয় ডাত্তার সাহেব, প্রায় তিন মাস আগে আমার অবসাদগ্রস্ততা,কম ঘুমের সম্যসা ও দ্রুত বীর্যপাত এর সমস্যা নিয়ে একজন হোমিপাথি ডাঃ দেখাই। ওনার ওষুধ সব শেষ শুধু শেষ ডোজ বাকি মানে ৮ নং বোতল। সবই তরল ঔষধ। ওনার ঔষধগুলোর নাম পড়তে পারছি না। আমি ঔষধ দুই টিউব করে খেতাম। কিন্তু তেমন কোন পরিবর্তন চোখে পড়ছে না। আমি প্রেসক্রিপশন ছবি শেয়ার করলাম। পরামর্শ দিলে খুবই উপকৃত হব।

উত্তর :  আলফালফা (Alfalfa  Q),  এভেনা সেটাইভা (Avena sativa  Q),  উহিমবিনাম (Yohimbinum Q) ইত্যাদি ঔষধগুলো সাতদিন সাতদিন করে একটার পর আরেকটা করে নিয়মিত দৈনিক খাবেন । ২০ ফোটা করে দুইবেলা আধা  গ্লাস  পানির  সাথে  মিশিয়ে ।

৫৬৪.  ভাই নাসারন্ধ্র জাম থাকে নাকের তালুতে । গলায় কি বসে থাকে গলা ভারি মনে হয় ডোকগিলতে ব্যাথা হয় অনেক দিন পযন্ত থাইরয়েড় এর সমস্যা আছে থাইরক্স দুইটা করে খাচ্চি

উত্তর :  Calcarea  carbonica  50M ঔষধটি  ১  ফোটা  বা  ৫টি  বড়ি  খাবেন  ১  দিন ।

৪৫৩.  Basir vi, Meyer age 4. Rate 3/4 bar bed e urin tag kore , samadhan deben.

  1. বয়স ৫০ বছর, সোরিয়াসিস সমস্ত শরীরে, আইস ওঠে, বেশি চুলকাইলে রক্ত বের হয়, প্রায় ১১ বছর এ সমস্যা। ক্রীম মেখে নিয়ন্ত্রনে রাখা হয়েছে। লবন ও মিষ্টি প্রিয়, গরম অসহ্য অথচ গোসলে অনিহা, অতিরিক্ত ঘুম, ক্ষুধা স্বাভাবিক। কী ওষুধ প্রয়োগ করা ভাল হবে, দয়া করে পরামর্শ দিন।

উত্তর ‍ঃ  Phosphorus  200  এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটা একদিন খাবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি বড়ি  ।

  1. আসসালামু আলাইকুম স্যার । স্যার আমার বড় ভাই এর পথ চলতে চলতে বা কোন কাজে ব্যস্ত থাকার সময় অথবা শুয়ে আছে , ঠিক এমতাবস্তায় শ্বাস নিতে কষ্ট অনুভুত হয় । শরীর হালকা লাগা বুকে হালকা চাপ অনুভুত। প্রচন্ড অস্থিরতা , কি করলে ভালো লাগবে বুজতে না পারা । রুগি ঐ সময় নিজের মৃত্য হতে যাচ্ছে এটি অনুভব করে । আবার পঁাচ মিনিট পর ভাল লাগা । শরীরে লাল আঁচিল , ঘাড়ে আছিল বেশি । রোগি একজন উকিল । বয়স ৩৫ । উচ্ছতা ৫ ফুট ৩ ইন্সী । গায়ের রং সেম বর্ন । সাস্থ ভালো । দয়া করে আমাকে উপদেশ দিন হোমিও কি ঔষধ এবং কত পাওয়ার খাওয়ালে দ্রুত ভালো হবে । আমি আপনার কাছে কৃতঙ্গ হবো ।

উত্তর ‍ঃ  Aconitum  napellus  30  এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটা  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি বড়ি  খান ।  প্রয়োজনে  কয়েক  মিনিট  পরপর  কয়েকবার  রিপিট  করে  দেখতে  পারেন ।

  1. Sir Prosaber Rastay pathor hoise …Treatment ta ki janale upokar hoto.

উত্তর ‍ঃ  Urtica  urens  Q ঔষধটি  ১০  ফোটা  করে  আধা  গ্লাস  পানিতে  মিশিয়ে  রোজ  দুইবার  করে  ২  মাস  খান।

৭৬৮.  অামি অাপনার এফবি বন্ধূ ৷ ফ্যান ও বলতে পারেন ৷ অাপনার লেখা থেকেই অাপনার অাপনার প্রতি অামার বিশ্বাসটা জন্মায় ৷ অামি মাদ্রাসার ছাত্র ছিলাম ৷ যাই হউক ৷ অামি এক সমস্যায় অনেক দিন ধরে ৷ প্রায় ৭/৮ বছর ৷ ইদানিং একটূ বেড়ে যাচ্ছে ৷ সেটা হল অামার বাম পাশের অন্ডকোষের ভিতরে অনেক গুলা নরম রগ অনূভব করি ৷ যেন মনে হয় এই রগ গুলার ভিতরে পানি বা তরল পদার্থ জাতীয় কোন কিছূ ৷ অধিকাংশ সময় ঝুলে থাকে ৷ কোন কোন সময় অাবার উপরের দিকে উঠে যায় , তখন মনে হয় একদম সূস্থ ৷ ডান পাশের টা টিক অাছে ৷ এমনিতে কোন ব্যথা অনূভব করিনা ৷ অনেকে বলে এটা নাকি একশীরা ৷ এল্যোপাথি ডাঃ দেখাইছি বলে যে এটা নাকি ভেরিকোসেল ৷ হোমিও ট্রীটমেন্ট ও নিয়েছি অনেক দিন ৷ ব্যথা কমে গেছে অার হয়না কিন্তূ অন্ডকোষ ফোলা ৷ এর কারনে অামার লিঙ্গের ত্রুটি অার যৌনতার দিক দিয়ে ও অামি দুর্বলতা অনূভব করি ৷ অবিবাহিত ৷ বয়স ২৩ ৷ মেহেরবানি করে যদি অাপনি একটা ট্রিটমেন্ট দেন অাপনার প্রতি অামি কৃতজ্ঞ তাকব ৷

উত্তর :  Sanguinaria  Canadensis 200  ঔষধটি  প্রতি  শুক্রবারে  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি  করে  খাবেন  ২  মাস ।

  1. স্যারআমার একটা সমস্যা আমার কৃত্রিম মৌথুনের খুব ইচ্ছা এবং তা সপ্তাহে ২-১ দিন হয়, শরীর দ্রুর্বল থাকে, বয়স ২৫, চুল পাকে, কোমর ব্যথা, বসে থাকলে, রাতে শুয়ে থাকলে বেশী অনুভব হয়। আমার এই ব্যথা আমি আরো ৭-৮ বছর আগে ১২-১৪ হাত লম্বা নারিকেল গাছ থেকে পরে ব্যথা পেয়েছি তারপর ভাল হইছিল, ভাল হওয়ার ২-৩ বছর পর আবার শুরু হইছে।দয়া করে মিডিসিন সাজেশন দেন।ধন্যবাদ

উত্তর ঃ  বেলিস  পিরেনিস (Bellis  perennis  Q),  আলফালফা (Alfalfa  Q)  এবং  এভেনা  স্যাটাইভা  (Avena  sativa  Q)  ঔষধগুলো  সাতদিন  সাতদিন  করে  একটার  পর  আরেকটা  এভাবে  ঘুরিয়ে  ফিরিয়ে  খাবেন,  ১০  ফোটা   করে  রোজ  ২  বেলা  হিসাবে  আধা  গ্লাস  পানির  সাথে  মিশিয়ে ।

৪৫৩.  Which homeo medicine block Estrogen hormone??

Answer :  Natrum  muriaticum.

  1. মহিলার বয়স ৩৫/৪০ কয়েক মাস ধরে মাসিক বন্ধ অশোকা গ্যাপি,আ মাদার খেতে দিয়েছি কিন্তু মাসিক হচ্ছে না,আপনার পরার্মশ চাই।

উত্তর :  Pulsatilla  pratensis  Q ঔষধটি  ২০  ফোটা  করে  রোজ  ২  বেলা  করে  খেতে  দেন,  আধা  গ্লাস  পানির  সাথে  মিশিয়ে ।

  1. আমি অপেরাসান হয়েছিলাম ১.৫ বছর আগে। কমরের। ডিস্ক ৪ ও ৫ চেপে গিয়াচিল।সেজন্য পা অবশ হয়ে জেত। এখন আর পা অবশ হয় না। কিন্তু বাথা জায় না। কি করব সার।

pain killer khay.and use malom volijil jeel.

স্যার দয়া করে সাজাসান দেবেন। আমি একজন ব্যাংক অফিসার।

উত্তর ঃ Ruta  graviolens  6  ঔষধটি  ১  ফোটা  বা  ৫  বড়ি  করে  রোজ  ৩  বেলা  করে  ৬  মাস  খান,  ঠিক  হয়ে  যাবে ।

  1. আগে থেকে আমার হাত পা সব সময় ঠান্ডাথাকে সবসময় শিত লাগে সাধারন কোন সমস্যাতে খুব জোরে বুক দুপদুপ করে এমনকি কেউ জোরে কথা বল্লেও বুক কাপে খুব জোরে কারো সাথে সাধারন বাভে কোনও বাড়াবাড়ি করলেও আমার পুরো সরির কাপে বুকদুপদুপকরে আমি অস্হির হয়ে যাই আমাকে দয়া করে একটা সমাধান দিবেন

উত্তর :  Ambra  grisea  10M ঔষধটি  ১  দিন  খাবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি ।

৫৪৬.  Respected Sir, Please tell me the best remedy for sinus tachicardia. Iam suffering from this,please help me.

Answer :  Crategus oxyacantha Q  take  this  homeopathic  medicine  10  drop  2  times  daily  for  1  month  mixing  with  some  water.

  1. নাম: মেহেদি বয়স 40 প্রায় 22 বছর ধরে যৌন সমস্যা রোগি দখতে উচু লম্বা মোটা ঠান্ডা সহ্য হয়না সরাবছর সর্দি লেগেই থাকে ঘামও প্রচুর ঘুম খুব বেশি সবসময় শরীরে দুর্বলতা লাগে বংশগত কোন ইতিহাস পাইনি যখন 13 বছর তখন শরীরে অনেক দাউদ হয়েছিল তখন এ্যালোপাথি চিকিৎসায় আরোগ্য হয় সম্ভত এর পর থেকেই যৌন দুর্বতা কি মেডিসিন হতে পারে

উত্তর :  Calcarea  carbonica  50M ঔষধটি  ১  ফোটা  বা  ৫টি  বড়ি  খাবেন  ১  দিন ।

  1. আমারনয় বছরের একটি মেয়ে আছে। মেয়ে টি জন্মের পর থেকে সুস্থ ছিল । তেমন কোন সমস্যা ছিলো না । ২০১১ সালে মেয়েটির ০৪ বছর বয়সের সময় ভাইরাস জ্বর হয় । আমি দোকান থেকে এন্টিবায়োটিক কিনে এক চামচ খাওয়াতেই ওর আমেষা শুরু হয়ে যায় । পরবর্তীতে চার দিন হাসপাতাল/ ক্লিনিকে চিকিৎসার পর আমেষা ভালো হয় । আমাদের বংশের সবারই গ্যাসের সমস্যা আছে । আমার এবং আমার স্ত্রী দুজনেরই রক্ত ও পজেটিভ । এখন সমস্যা হলো মেয়েটি নিয়মিত টয়লেট করে না । ইসুবগুল প্রতিদিন খাওয়াই, শাক সব্জী খাওয়াই । কাজ না হলে সাপোজিটরি দিয়ে টয়লেট করাই । পায়খানা নিয়মিত না করালে শক্ত হয়ে যায় । বেশী শক্ত হলে পায়খানার রাস্তা ফেটে গিয়ে রক্ত আসে । ২০১৩ সালে তার হাফ ক্লোনোস্কপি করিয়েছি । কোন সমস্যা পাওয়া যায়নি। আর সে ভাত খেতে এক দেড় ঘন্টা সময় নেয় । খাওয়ার সময় বোঝা যায় সে খাবারে স্বাদ পায় না। মুখে ভাত নিয়ে বসে থাকে । স্থানীয় একজন হোমিও ডাক্তারের কাছে প্রায় ২/৩ মাস চিকিৎসা করিয়েছি । তিনি কঊঘঞ/ইগ এর ঔষধ দিয়েছিলেন । কিন্তু তেমন কোন কাজ হয়নি । তার মতে মেয়েটির আমেষার সমস্যা আছে । দয়া করে একটি ব্যবস্থাপত্র দিবেন ।

উত্তর :  Phosphorus  200 ঔষধটি  একদিন  খাওয়াবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি ।

  1. আমারমায়ের এ্যাজমা/ হাঁপানি / শ্বাসকষ্টের সমস্যা।শীতকালে এই চার-পাঁচ মাস অনেক বেশি হয়।সামান্য ঠান্ডা লাগলে, কিছুক্ষণ হাটলে বা একটু কষ্টের কাজ করলে দম লাগে।গায়ের তাপমাত্রা সবসময় বেশি থাকে।শীতের সময় ও হঠাৎ করে গা ঘেমে যায়।যখন গা ঘেমে যায় তখন গলার কাছে সাঁ সাঁ করে আর তখন শ্বাসকষ্ট হয় আর বুকের বামপাশে জ্বালা করে।আর শ্বাসকষ্টের সময় গলা দিয়ে পিঠ দিয়ে ব্যাথা করে।আর অল্প ঠান্ডা বা ধুলাবালিতে ঘনঘন হাঁচি লাগে এবং শ্বাসকষ্ট হয়।মায়ের এলার্জি ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যা আছে অনেক।যার ফলে ঘনঘন হাঁচি লাগে।

উত্তর :  Calcarea  carb  50M ঔষধটি  একদিন  খাবেন  ১  ফোটা  অথবা  ৫  বড়ি ।  আপনার  আম্মা  যখন  সুস্থ  থাকে  তখন  খাওয়াবেন ।  যখন  শ্বাসকষ্ট  থাকে  তখন  খাওয়াবেন  না ।

৩৪৫.  আমার ছেলের বয়স ৭ বছর ।
‌তার সমস্যা হলো- প্রায় সময় রাতে ঘুম থেকে উঠে হাউ মাউ করে আব্বাগো আম্মাগো করে কান্না কাটি করে এবং ভয়ে গলা জড়িয়ে ধরে। জিজ্ঞাসা করলে অমুক আমার এটা নিয়ে গেছে ওটা নিয়ে গেছে । রাস্তা শুকিয়ে গেছে । ভুতে ভয় দেখাচ্ছে । নানা রকম কথা বলে । কিছুক্ষন পরে জিজ্ঞাসা করলে আর কিছু বলতে পারেনা । প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় , দোয়া কালাম পড়ে ফুক দেওয়া হয় তার পরেও । কি করব স্যার ,দয়া করে একটা উপায় বলে দিন।

উত্তর ঃ Peonia  200  এই হোমিওপ্যাথিক ঔষধটা মাত্র একদিন খাবেন  ১  ফোটা  অথবা ৫টি বড়ি ।

৩৪২.  Dear Sir, আমার পরিচিত একজন Liver Cirrhosis-এ আক্রান্ত বয়স আনুমানিক ৫০ বছর। হোমিওপ্যাথি ঔষধে কি এটা সারানো সম্ভব?

উত্তর :  হ্যাঁ,  হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসায়  অধিকাংশ  ক্ষেত্রে  লিভার  সিরোসিস  আরোগ্য  হয়

 

৭৩৫.  স্যার,  আমার  ডান  কানের  শ্রবণশক্তি  নষ্ট  হয়ে  গেছে ।  ইএনটি  স্পেশালিষ্টরা  নানা  রকমের  টেস্ট  করে  বলেছেন  কানের  ভেতরে  মারাত্মক  ধরনের  ছত্রাক (Otomycosis)  আক্রমণ  করেছে ।  ডাক্তাররা  বলেছেন  এই  রোগ  ভালো  হবে  না ।  কানে  শোনার  মেশিন  ইউজ  করতে  বলেছেন ।  সমস্যার  মধ্যে  আছে  কানে  সারাক্ষণ  জি  জি  শব্দ  আর  চুলকানি ।  সাধারণত  রোদে  গেলে  চুলকানি  বেড়ে  যায় ।  আমার  নাকের  মাঝ  খানের  হাড়  বাঁকা,  এজন্য  মাথা  সব  সময়  জাম  হয়ে  থাকে ।  দয়া  করে  একটি  প্রেসক্রিপশান  দিবেন ।

উত্তর ঃ  Aurum  metallicum  50M ঔষধটি  একদিন  মাত্র  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি  খাবেন ।  এক  মাসের  মধ্যে  নিরাময়  না  হলে  সরাসরি  কোন  হোমিও  ডাক্তারের  সাথে  যোগাযোগ  করবেন ।

 

  1. আসসালামু আলাইকুম, আমি দিনাজপুর থেকে বলছি। বয়স 30 । আমার অন্ডকোষের বাইরের দিকে ছোট্ট ছোট্ট বুটের মতন অনেকগুলো দানা উঠেছে চার/পাঁচ বছর থেকে। ওগুলো চুলকায় না বা ব‍্যাথা করে না । বেশ কয়েকদিন আগে একটি দানা ফেটে সাদা আঠার মতন বের হয়েছিল। কিন্তু সচারচর পুঁজ মনে হয়নি ওগুলো । এ সমস‍্যার সমাধান হোমিওপ‍্যাথিতে আছে কি । এলোপ‍্যাথিক ডঃ অপারেশন করতে বলেছেন । আপনার সুচিন্তিত্ব মতামত / চিকিৎসা যদি থাকে পরামর্শ দিলে উপকৃত হব।

উত্তর :  Calcarea  fluoricum  6  ঔষধটি  সকালে  ৫  বড়ি  এবং  রাতে  ৫  বড়ি  হিসাবে  ১  মাস  খান ।

  1. আমার চাচী, বয়স-৪৬, গৃহিণী। তার সমস্যা হল- মাথার বামপাশে প্রচন্ড ব্যাথা, মাথার তালুতেও ব্যাথা হয়, যখন ব্যাথা হয় তখন কপালের দুই পাশের শিরা ফুলে যায় ও ব্যাথা করে। মাথা ব্যাথা হলে চেপে ধরলে আরাম লাগে। গরমে মাথা ব্যাথা বেশি হয়। ঘুম হয় না বললেই চলে আর ঘুম না হলেই মাথা ব্যাথা বাড়ে। অন্যান্য সমস্যা- (১)প্রায়ই ঠান্ডা লেগে থাকে, ঠান্ডা বুকে জমে থাকে কিন্তু নাক দিয়ে পানি বের হয় না। ডাক্তার আগে বলেছিলো সাইনসাইটিস এর সমস্যা আছে। (২) একটু হাটলে বা সিড়ি দিয়ে উঠলে বুকে ব্যাথা হয় ও প্রেসার বেড়ে যায়। (৩) মাথা, হাত ও পায়ের তালু সবসময় গরম থাকে আর জালাপোড়া করে। অভ্যাস – প্রচুর পরিমানে পান খাওয়ার অভ্যাস। বংশগত রোগ- তার বাবার হাপানির সমস্যা ছিল আর মায়ের বাতের সমস্যা ছিল।

উত্তর ঃ  Silicea  50M ঔষধটি  একদিন  মাত্র  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি  খাবেন ।  এক  মাসের  মধ্যে  নিরাময়  না  হলে  সরাসরি  কোন  হোমিও  ডাক্তারের  সাথে  যোগাযোগ  করবেন ।

 

  1. ভাইয়া, আমার ছোট ছেলের বয়স ২ বছর ৩ মাস। কথা বললে সাড়া দেয়, হাসে। কিন্তু বসতে পারেনা আবার হাটতে পারেনা, কথা বলতেও পারেনা। যখন হাসে তখন মনে হয়, সুস্থ ছেলে। সে কথা বলতে চায়, হাটতে চায় তবে কোনটাই পারেনা। পরামর্শ দিলে খুশি হতাম।

উত্তর :  Calcarea  carb  200 এবং Natrum  muriaticum  200  ।  এই  ঔষধগুলোর  একটি  প্রতি  মাসের  এক  তারিখে  খাওয়াবেন  ৫  বড়ি  এবং  অন্যটি  প্রতি  মাসের  পনের  তারিখে  খাওয়াবেন  ৫  বড়ি ।  এভাবে  তিন  মাস  খাওয়ান ।

৫৬৪.  ভাই,  আলট্রাসনোগ্রামে  আমার  লিভারে  চর্বি (fatty  liver)  জমার  রিপোর্ট  এসেছে ।  এ  থেকে  মুক্তির  একটি  পরামর্শ  দেন ।

উত্তর :  Phytolacca  berry  1x   ঔষধটি  রোজ  রাতে  ১  বড়ি  করে  খান  ২  মাস ।

৬৭৫.  স্যার আমার পেটে প্রচুর গ্যাস জমা হয়। পেট সবসময় ভরা ভরা থাকে, খুব অসস্থি লাগে, সকালে খেলে দুপুর,রাত খেতে পারি না।পেট ফুলে ভঅরে থাকে। বাল্যকালে চর্মরোগ ছিল, বর্ত্মানেও কিছু চুলকানি আছে। হোমিও ঔষধ কয়েকবার খেয়েছি, কিন্তু উপকার পাচ্ছি না। আপনি যদি দয়া করে কিছু বলেন, এখন আমি কি করতে পারি। আর হ্যা, পায়খানা হলে ভালো লাগে। কিন্তু পায়খানা পরিস্কার হয় না। ধরা যায় কোষ্ঠকাঠিন্য। এরকম ম্নে হয় যে যদি প্রচুর পায়খানা হত ও পচুর গ্যাস বের হতো তাহলে ভালো ন লাগতো।

উত্তর :  Sulphur 6 ঔষধটি সকালে ৫ বড়ি এবং Nux vomica 6 ঔষধটি রাতে ৫ বড়ি করে ১ মাস খান । এক  মাসের  মধ্যে  নিরাময়  না  হলে  সরাসরি  কোন  ডাক্তারের  সাথে  যোগাযোগ  করবেন ।

৭৮৫.  স্যার, আমি বহুদিন থেকে হাটু ব্যাথার সমস্যায় ভুগছি, দয়াকরে সমাধান দিন। আমার বয়স ৩২ বছর। প্রায় ১১ বছর আগে আমি বাইক থেকে পড়ে গিয়ে ডান হাটুতে প্রচন্ড ব্যাথা পেয়ে ছিলাম, তখন ডাক্তার দেখিয়েছিলাম তিনি মুল সমস্যা বুঝতে পারেন নাই। এভাবে বহুদিন ব্যাথায় ভুগি। কিছুদিন আগে MRI করে জানিতে পারি হাটুতে আঘাত লাগার সময় টিবিয়ার লিগামেন্টে টান লেগে লিগামেন্টের গোড়ার হাড়ের অংশ বিচ্ছিন্ন হয় এবং হাড়ের ভাংগা অংটি মুল স্থান থেকে কিছুটা ডিসপ্লেস হয়ে হাল্কা জোড়া লেগে আছে। সুনেছি হোমিও হাড়ের সঠিক চিকিৎসা আছে। খুব বিপদেএ মধ্যে আছি। আপনার মুল্যবান পরামর্শ কামনা করি। দয়াকরে জানাবেন।

উত্তর ঃ  Ruta  graviolens  6  ঔষধটি  ১  ফোটা  বা  ৫  বড়ি  করে  রোজ  ২  বেলা  করে  ১  মাস  খান,  ঠিক  হয়ে  যাবে  আশা  করি ।

৬৭৫.  স্যার,আমার স্ত্রীর বয়স ২৩ বছর।ওর মুখে ও দুই চোখের নিচে ব্রণের মত দানা দানা বের হয়েছে কিন্তু সেগুলো ব্রণ নয়।কারন ঐগুলা কখনো পাকে না এবং চাপ দিলে ভিতর থেকে কিছু বের ও হয়না।রৌদ্রে গেলে দানাগুলো বেশি হয় আর দানাগুলো প্রায় সময় চুলকায়।ওর এই সমস্যাটা প্রায় ২ বছর যাবৎ।আমার স্ত্রীর এলার্জি আছে এবং পাইলসের সমস্যা ও আছে।বাথরুম মোটামুটি ক্লিয়ার হয়।আমার স্ত্রীর মুখের এই সমস্যার জন্য ৪-৫ হোমিওপেতিক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু কোন সমাধান হয়নি। এরপর এ্যালোপেতিক ডাক্তার দেখিয়েছি কিন্তু ডাক্তার বলছে এগুলো স্কিন টিউমার।এগুলো কোন ঔষধে কাজ হবে না।লেজার দিয়ে ওঠাতে হবে।আর হোমিওপেতিক ডাক্তাররা কেউ বলেনি যে লেজার ব্যবহার করতে হবে।সবাই ঔষধ দিয়েছিল এবং বলেছিল যে ভাল হয়ে যাবে। প্রতিটা ঔষধ এক মাসের মত করে খাইছে কিন্তু কোন কাজ হয়নি।এমতবস্থায় কি ঔষধ খেলে বা কি করলে এটি ভাল হবে জানালে খুবই উপকৃত হবো স্যার।

উত্তর ‍ঃ  Urtica  urens  Q  ঔষধটি  ১০  ফোটা  করে  রোজ  দুইবেলা  হিসাবে  ১  মাস  খেয়ে  দেখতে  পারেন,  আধা  গ্লাস  পানির  সাথে  মিশিয়ে ।

৬৪৩.  Assalamu alaikum via amar ek petient heroin charte chacce ami avena q dilr koto din lagte pare Cere delei betha jala pora akhan theke somadhan kivabe and koto din lagte pare ????plz janaben

উত্তর :  যতদিন  সমস্যা  দূর  না  হচ্ছে  ততদিন  তো  খেয়ে  যেতে  হবে ।  এভেনা  স্যাটাইভার  ফাঁকে  ফাঁকে  লক্ষণ  অনুযায়ী  অন্যান্য  ঔষধও  খাওয়াতে  পারেন ।

৫৭৪.  গতকাল বিকেল থেকে আমার বুকের বাম পার্শ্বে হালকা চাপ চাপ ব্যাথা অনুভূত হচ্ছে। ব্লাড প্রেসার বাম হাতে ১২০/৯০ এবং ডান হাতে ১১০/৭০। হার্টবিট রেট ৮০ থেকে ৯০ / ১০০ থাকছে। হালকা মাথা ব্যাথাও আছে। বুকের ব্যাথাটা পিঠের দিকেও কিছুটা অনুভূত হচ্ছে। আমি এলোপ্যাথি বিশ্বাস করি না। তাই আপনার শরণাপন্ন হলাম। আশা করি আপনার মূল্যবান পরামর্শ পাব।

উত্তর :  এক  মাস খাওয়া দাওয়া অর্ধেক কমিয়ে দেন, ঠিক হয়ে যাবে ।  এ  যুগের  ডাক্তারদের  দেখতে  দেখতে  ভুলেই  যাই  যে,  রোগীকে  বিনা  ঔষধে  সুস্থ  করার  চেষ্টা  করাও  ডাক্তারের  প্রথম  কর্তব্য ।

৫৩২.  স্যার আমি হোমিও ১ম বর্ষের ছাত্র, আমি আপনার সব পোস্ট ও ইউটিউব এ ফলো করি আপনাকে।
স্যার অনেকে মাদার ব্যবহার নিয়ে আপত্তি করেন এই বেপারে আপনি কি বলবেন???

 

উত্তর :  মাদার  টিংচার  নিয়ে  হোমিও  ডাক্তারদের মধ্যে  দুইটি  মত  আছে ।  একদল  ইহাকে  হোমিওপ্যাথিক  ঔষধ  মনে  করেন  অন্য  দল  ইহাকে  হোমিওপ্যাথিক  ঔষধ  মনে  করেন  না ।   সাধারণত মাদার টিংচার এবং বায়োক্যামিক ঔষধগুলো হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা বিজ্ঞানীরা এলোপ্যাথিক স্টাইলে অর্থাৎ স্থূল  মাত্রায় খাওয়াতে দ্বিধা করতেন না । যেহেতু  অনেক  বিজ্ঞানীরা  মাদার  টিংচার  ব্যবহার  করেছেন,  কাজেই  আমাদের  ব্যবহার  করতে  কোন  বাধা  দেখি  না ।

 

 

৬৪৩.  উত্তরা  হোমিওপ্যাথিক  মেডিক্যাল  কলেজের  ঠিকানা  কেউ  বলতে  পারেন ? কলেজের  ফোন  নাম্বার  জানেন ?

উত্তর :  উত্তরা  হোমিওপ্যাথিক  মেডিক্যাল  কলেজের  ভাইস প্রিন্সিপ্যাল ফারুক মজুমদারকে  মোবাইল  করতে  পারেন  ০১৭১৫০২৮৮২১

 

৭৪৩.  হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসায় কোন রোগ যদি ভাল হয়
তাহলে সেটা পুনরায় দেখা দেওয়ার সম্বাবনা আছে ?

উত্তর :  সাধারণত  জটিল  রোগের  হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসা  করলে  সেটি  আর  ফিরে  আসে  না ।  কিন্তু  রোগের  বাহ্যিক  কারণ  যদি  দূর  না  করেন  তবে  সেটা  পুণরায়  ফিরে  আসতে  পারে ।  যেমন – সিমেন্টের  কোম্পানিতে  কাজ  করার  কারণে  যদি  আপনার  ব্রংকাইটিস  হয়  আর  রোগমুক্তির  পরেও  যদি  আপনি  সিমেন্ট  কোম্পানির  কাজ  চালাইয়া  যান  তবে  ব্রঙ্কাইটিসে  আবার  আক্রান্ত  হয়ার  সম্ভাবনা  আছে ।

৭৬৪.  স্যার  আপনার  অনলাইন  প্রেসক্রিপশানগুলো  একত্রে  কোথায়  পাওয়া  যাবে ?

উত্তর :  http://www.mediafire.com/file/at0i61is0h1jfs4/01__Emergency__Homeopathic__Treatment_-_Bashir__Mahmud__Ellias.pdf         এই  লিংক  থেকে  সবগুলো  একত্রে  ডাউনলোড  করে  নিতে  পারেন ।

  1. আমার একটা রুগি বয়স ২৬ বছর।অতিরিক্ত হস্ত করার কারনে অনেক গুলা সমস্যায় পডেছে। রুগি অবিবাহিত। ১. বির্য্য পাতলা২. কোন প্রকার চবি বা গান দেখলে শরীল নাপাক হয।পেনিসের গোডা চিকন আগামোটা।পেনিস খুব দূর্বল।পেনিসের বিতরে ব্যথা করে।পায়খানা কষ্। আমি তাকে selenum 200 দিলাম।২ডোজ।৪০ দিন পর selenum 1m.২ডোজ।এখন selenum 10m চলে।কিচুটা ভালো হইছে।তার পরে কি Lyco 10m demu??পরামর্শ দেন।

উত্তর :  Staphisagria  200  ঔষধটি  ১  মাত্রা  খেতে  দেন  অর্থাৎ  ১  ফোটা  বা  ৫টি  বড়ি ।

  1. আমার বয়স 65,আমার সমস্যা বলতেছি, দয়া করে একটু তাড়াতাড়ি এর প্রতিকার বললে ভালো হতো,শ্বাসকষ্ট, হাঁটতে লাগলে বুকে অনেক ব্যথা করে,এমনকি নিঃশ্বাস নিতে অনেক কষ্ট হয়, বুক জাম হয়ে থাকে,মাজা এবং ২ পায়ের গিট অনেক ব্যথা করে,কিডনীতে টিওমার দেখা দিয়েছে, হাডের সমস্যা আছে, অনেক কাশি হয়, অনেক চিকিৎসা করছি প্রতিকার পাইনি,

উত্তর : Phytolacca  berry  1x ঔষধটি  রোজ  সকালে  এবং  রাতে  ১  বড়ি  হিসাবে  ৩  মাস  খান ।

৫৬৭.  শ্রদ্ধেয় ডাক্তার সাহেব, নিম্নে আমার রোগ ও শারীরিক সমস্যার বর্ননা দিলাম। অনুগ্রহ করে একটি ব্যাবস্থাপত্র দিবেন
1) Hepatitis B infection since 1993
2) Fatty liver Grade 1
3) Indigestion, abdominal pain , frequent diarrhoea, stool with mucous.
4) Hyper acidity, severe epigastric pain. ( 2/3 times in a month )
5) Hypertension
6) Hypothyroidism
7) High blood cholesterol
Moderate to severe left sided chest pain. ( Several episodes in a month)
9) Vertigo and weakness.

 

উত্তর ঃ  Psorinum  200  ঔষধটি  একদিন  মাত্র  ১  ফোটা  অথবা  ৫টি  বড়ি  খাবেন ।

  1. Sir “obsession” somporke janan plz. Thanks

উত্তর :  অবসেশান  হলো  কুসংস্কার  বা  ভ্রান্ত  বিশ্বাস ।  যখন  মানুষ  এমন  কিছু  বিশ্বাস  করে  যার  পেছনে  কোন  যুক্তিসঙ্গত  বা  বিজ্ঞানসম্মত  ব্যাখ্যা  নাই ।  যেমন-  আমি  বিমানে  ভ্রমণ  করলে  একসিডেন্ট  হতে  পারে  কাজেই  আমি  জীবনেও  বিমানে  চড়ব  না ।

৬৫৭.  স্যার জানার জন্য বলছি, Hematohidrosis রোগের জন্য হোমিও মেডিসিন কি হতে পারে ?

উত্তর :  ঘামের  সাথে  রক্তক্ষরণ  হওয়ার  রোগে  লক্ষণ  অনুযায়ী  ক্রোটেলাস,  ল্যাকেসিস,  আর্সেনিক,  ফসফরাস  ইত্যাদি  ঔষধ  প্রয়োগ  করতে  পারেন ।

এক  মাসের  মধ্যে  নিরাময়  না  হলে  সরাসরি  কোন  হোমিও  ডাক্তারের  সাথে  যোগাযোগ  করবেন ।

  1. pl suggest some good medicines for bronchial asthma with right side nose polyp as i am in a very bad condition taking steroids also

Answer :  Aurum  metallicum  50M  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills  only  one  day.

 

  1. Dear Sir Salamwalekum, My name is G Ahmad (25) from New Delhi. At the time of Treatment Dr found (epidydimal tail). Now Testicle swelling almost OK. But the mean issue is, I have observed sperm is not come out. So what can be reason behind that. Please suggest me, what should i do now? Please help me out..

Answer :  Calcarea  fluoricum  6  take  this  homeopathic  medicine  5  pills  2  times  daily  for  3  months.

  1. typhoid jor a kaponi dia jor asa r gham dia cera jai, sate left sided headache… kon med asta pare,,leftside a fira soila matha varhoa thake…46yrs old women

উত্তর :  Baptisia  tinctora  200  ঔষধটি  সকালে  ১  ফোটা  বা  ৫  বড়ি  এবং  রাতে  ১  ফোটা  বা  ৫  বড়ি  খাওয়াবেন ।  প্রয়োজন  হলে  ৩  দিন  পরে  আরেকবার  খাওয়াতে  পারেন ।  সাত  দিনের  মধ্যে  নিরাময়  না  হলে  সরাসরি  কোন  হোমিও  ডাক্তারের  সাথে  যোগাযোগ  করবেন ।

 

  1. # মহিলা বয়স ৫৫ সমস্যা :১ আমার বুকের ভিতর কি জানি করে। কোনো কিছু ভাল লাগেনা। ২ হাত পায়ের তালু প্রচুর জ্বলে, মাথার তালু ও জ্বলে। # পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ৩/ রোদ অসহ্য ৪/ চাপা সভাবের। ৫/ ঝাল প্রিয় ৬/ কারো তেরা কথা সহ্য হয় না, আবার জগরা ও করে না। ৭/ গরম খাবার প্রিয়। ইদানীং ঠান্ডা পানি খাওয়ার ইচ্ছে। ৮/রান্নার চোলার সামনে বসলে জালাযন্ত্রনা বৃদ্ধি। ৯/ঘুম কম হই। ১০/ কোলোস্ট্রলের মাত্রা বেশি (অনেক আগে টেস্ট করছিলাম ৫ মাস আগে)। মাঝে মাঝে প্রসার ও বাড়ে। ১১/ লবন প্রিয় না। ১২/ গেস্টিকের ও সমস্যা আছে। hydrasty khacche sokal bikal. কি ঔশধ দেবো ?

উত্তর :  Phosphorus  200  ঔষধটি  ১  মাত্রা  খেতে  দেন  অর্থাৎ  ১  ফোটা  বা  ৫টি  বড়ি ।