Dr. Bashir Mahmud Ellias's Blog

Know Thyself


1 Comment

যে-কোন মুহূর্তে শুরু হবে মালহামা/আরমাগেডন/৩য় বিশ্বযুদ্ধ শায়খ ইমরান নজর হোসেন

যে-কোন মুহূর্তে শুরু হবে মালহামা/ আরমাগেডন/ ৩য় বিশ্বযুদ্ধ
মহানবীর (সাঃ) ভবিষ্য‍ৎবাণীকৃত মালহামা (মহাযুদ্ধ) এখন নাকের ডগায় আসিয়া পড়িয়াছে । অথচ আমরা কোরআন না পড়িবার কারণে হালুয়া রুটি খাইতেছি আর নাক ডাকিয়া ঘুমাইতেছি । কোরআন পড়া কোন জরুরি কাজ নয় । ছেলেকে অক্সফোর্ডে পাঠাইয়াছি কমপিউটার সাইন্স পড়িবার জন্য । সেটা বেশী জরুরি । এই হইল এখন মোহাম্মদ (সাঃ)-এর উম্মাতের অবস্থা । মালহামাকে (মহাযুদ্ধ) তাহারা বলে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ । কিন্তু ইহা প্রথম বিশ্বযুদ্ধ বা দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের মতো হইবে না । ইহা হইবে পারমাণবিক যুদ্ধ, হাজার হাজার এটম বোমা ইহাতে বিস্ফারিত হইবে । ইহার তুলনায় প্রথম বিশ্বযুদ্ধ এবং দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধকে মনে হইবে চিনাবাদামের মতো । সেই তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ এখন নাকের ডগায় আসিয়া পড়িয়াছি । খুব সম্ভবতঃ নভেম্বরের ৪ তারিখের পূর্বেই তাহা শুরু হইবে । কারণ ট্রাম্প তাহাদের (যায়োনিষ্টদের) জন্য হুমকি হইয়া দাঁড়াইতে পারে । যখনই পাকিস্তানে কোন শক্ত মেরুদন্ডের শাসক ক্ষমতাশীন হইয়াছে তাহারা (যায়োনিষ্টরা) তাহাকে হত্যা করিয়াছে । যখনই আমেরিকায় কোন যোগ্যতাসম্পন্ন শাসক ক্ষমতাশীন হইয়াছে তাহারা (যায়োনিষ্টরা) তাহাকে হত্যা করিয়াছে । এজন্য তাহারা কেনেডীকে হত্যা করিয়াছে (তাহাদের নির্দেশ মতো চলিতে অস্বীকার করিবার কারণে) । ব্রিটিশ জনগণ এখন আর ব্রিটেনের সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে না । আমেরিকার জনগণও এখন আর আমেরিকান সরকারকে নিয়ন্ত্রণ করে না । কাজেই ট্রাম্প যদিও মাঝে মাঝে বোকার মতো কথা বলে কিন্তু সে প্রমাণ করিয়াছে যে তাহার স্বাধীনভাবে চিন্তা করিবার শক্তি আছে । সে কাহারো ইশারায় চলে না । ডোনাল্ড ট্রাম্প বলিয়াছেন যে, আমি একজন ব্যবসায়ী । রাশিয়ার সাথে আমরা অযথা শত্রুতা করিব আর এই সুযোগে রাশিয়ার সাথে আমাদের ব্যবসা-বাণিজ্য একচেটিয়া চীন দখল করিয়া নিবে তাহা হইতে পারে না । কাজেই তাহারা (যায়োনিষ্টরা) যাহা করিবার নভেম্বরের ৪ তারিখের পূর্বেই করিয়া ফেলিবে । কেননা সেদিন আমেরিকায় প্রেসিডেন্ট নির্বাচন ।
6575%2B%2Bnuke.jpg

 

আল্লাহকে ধন্যবাদ যে রাশিয়া তাহাদের ভয়ে ভীত নহে । আল্লাহকে ধন্যবাদ যে চীন তাহাদের ভয়ে ভীত নহে । আল্লাহকে হাজার বার ধন্যবাদ যে রাশিয়া তাহাদের ভয়ে ভীত নয় । আল্লাহকে হাজার বার ধন্যবাদ যে চীন তাহাদের ভয়ে ভীত নয় । মুসলমান হওয়ার একটি সুবিধা এই যে, মুসলমান কখনও মরিতে ভয় পায় না । মুসলমানরা কোটি কোটিতে মরিতে রাজী, তারপরও আমরা চাই জালেমরা যেন ধুলায় মিশিয়া যায় । পৃথিবীতে যেনো পুণরায় সত্য এবং ন্যায় প্রতিষ্টিত হয় । মালহামা নাকের ডগায় আসিয়া পড়িয়াছে অথচ আলেম-ওলামাদের মুখে কিছুই শোনা যায় না । আমরা এখনও হালুয়া রুটি খাইতেছি আর নাক ডাকিয়া ঘুমাইতেছি । এই হইল মোহাম্মাদ (সাঃ)-এর উম্মাতের অবস্থা ! তাহারা চিনাবাদাম নিয়া মরনপণ জিহাদ করিতেছে ।

মূল – আল্লামা ইমরান নজর হোসেন
অনুবাদ – বশীর মাহমুদ ইলিয়াস

তিন মাসের খাবার পানি সংগ্রহ করিয়া রাখুন
রাসুলাল্লাহ (সাঃ) আমাদেরকে জানাইয়াছেন যে, একটি ভয়ঙ্কর মহাযুদ্ধ সংঘটিত হইবে যাহাতে যুদ্ধরত সৈন্যদের শতকরা ৯৯ জন নিহত হইবে । প্রচলিত গতানুগতিক যুদ্ধে কখনও শতকরা ৯৯ জন নিহত হয় নাই, ইতিহাসে এমন কোন যুদ্ধ সংঘটিত হয় নাই । সুতরাং যেই যুদ্ধটি আসিতেছে তাহা এমন যুদ্ধ হইবে যাহার সাথে মানবজাতি কখনও পরিচিত নয় । আমরা বলি ইহা হইবে পারমাণবিক যুদ্ধ অর্থাৎ ইহাতে ব্যাপক গণবিধ্বংসী অস্ত্রশস্ত্র ব্যবহার করা হইবে । একমাত্র এই ধরনের যুদ্ধেই দুই পক্ষের শতকরা ৯৯ ভাগ লোকের মৃত্যুর সম্ভাবনা আছে । যাহারা আমার এই ইন্টারভিউ শুনিতেছেন তাহারা সাবধান থাকিবেন, তাহাদেরকে সচেতন করা আমাদের কর্তব্য । এমন একটি যুদ্ধে সাধারণত খাবার, পানি এবং জ্বালানির সরবরাহ ব্যবস্থা ধ্বংস হইয়া যাইবে । বড় বড় শহরগুলোতে যাহারা বসবাস করেন তাহারা যুদ্ধের পরে দেখিতে পাইবেন অরাজকতা, লুটপাট, ডাকাতি, খুনাখুনি । ইহা হইবে পারমাণবিক যুদ্ধে বাঁচিয়া যাওয়া মানুষদের জীবন বাঁচানোর চেষ্টার কারণে । সুতরাং আপনাদেরকে বড় বড় শহরগুলো ত্যাগ করিয়া গ্রাম অঞ্চলে চলিয়া যাওয়ার জন্য প্রস্তুত থাকিতে হইবে । দ্বিতীয় কথা হইল আমাদের নিজের এবং স্ত্রী ও সন্তানদের জন্য পর্যাপ্ত খাবার, পানি এবং জ্বালানি যেমন মোমবাতি সংগ্রহ করিয়া রাখা উচিত । আমার মতে অন্তত তিন মাস জীবন ধারণের মতো মওজুত থাকা উচিত । আমি কয়েক দিন আগে মার্কেটে গিয়া খাবার কেনাকাটা শুরু করিয়াছি বিশেষত কৌটাজাত খাবার । পানির ব্যাপারে আমাদেরকে পার্থক্য নির্ণয় করিতে হইবে, কোনটা পান করিবার জন্য এবং কোনটা রান্নাবান্না আর শৌচক্রিয়ার পানি । পান করিবার পানি সাধারণত প্লাস্টিকের বোতলের পরিবর্তে বরং কাচেঁর বোতলে সংরক্ষন করা উচিত । আমরা জানি না পারমাণবিক যুদ্ধ সংঘটিত হইলে পারমাণবিক রেডিয়েশানে প্লাষ্টিকের বোতলের কি অবস্থা হয় । তবে কাঁচের বোতল রক্ষা পাইবে বলিয়া আমরা আশা করিতে পারি । বড় বড় বোতলে পানি সংরক্ষণের চাইতে ছোট ছোট বোতলে পানি মওজুত করা উচিত । কেননা একটি বড় বোতল ভাঙিয়া গেলে আপনি দশ বিশ লিটার পানি হারাইয়া ফেলিবেন । পানির বোতলগুলি এমন জায়গায় সংরক্ষন করা উচিত যাহাতে বিল্ডিং ভাঙিয়া পড়িলেও বোতলগুলি অক্ষত থাকে । আমাদের আরো গুদামজাত করা উচিত খাবার, পানি, জ্বালানী আমার মতে অন্তত তিন মাসের প্রয়োজন পূরণ করিবার মতো পারমাণবিক যুদ্ধ সংঘঠিত হওয়ার সময় । আমি ভাবিতেছিলাম সম্ভবতঃ আগামী এক বছর বা কিছুটা কম বেশী সময়ের মধ্যে যুদ্ধটি সংঘটিত হইতে পারে । কিন্তু আমি সতর্ক করিতে চাই যে যুদ্ধটি তাহার চাইতেও কম সময়ে সংঘটিত হইতে পারে । আমরা যখন কোন ভবিষ্যতবাণী করি তখন সব সময়ই আশা করি তাহা সত্য না হউক । তাহা মিথ্যা প্রমাণিত হইলে আমরা বরং খুশী হইব । কিন্তু যাহারা আমাদের কথা শোনেন এবং আমাদের মতামতকে শ্রদ্ধা করেন তাহাদেরকে বলিতেছি যে যুদ্ধটি এক বছর অতিক্রমের পূর্বেই সংঘটিত হওয়ার সম্ভাবনা আছে । পারমাণবিক যুদ্ধের পরে কি ঘটিবে তাহাও গুরুত্বপূর্ণ । ইহা কেবল পারমাণবিক যুদ্ধ থেকে আত্মরক্ষার বিষয় নয়, ইহা বরং পারমাণবিক যুদ্ধের পরবর্তী প্রধান ঘটনাটিও গুরুত্বপূর্ণ । মরিস, আপনার ইন্টারভিউর মাধ্যমে আমি মানুষকে সাবধান করিতে পারিতেছি যাহা অন্যথায় মানুষ জানিতে পারিত না । ইসলামী আখেরী জামানা বিদ্যা আমাদেরকে জানাইয়াছে যে মহাযুদ্ধের পরে কন্সট্যান্টিনোপোল বিজিত হইবে । ইহা ঠিক যে খ্রীষ্টানদের আখেরী জামানা বিদ্যাতেও মহাযুদ্ধের পরে কন্সট্যান্টিনোপোল বিজয়ের কথা আছে, কিন্তু ততটা নিশ্চিতভাবে নয় যতটা ইসলামী আখেরী জামানা বিদ্যাতে আছে । কন্সট্যান্টিনোপোল বিজয়ের সময় সেখানে অবশ্যই গৃহযুদ্ধ চলিতে থাকিবে । কারণ তুরষ্কে গৃহযুদ্ধ ছাড়া কখনও কন্সট্যান্টিনোপোল জয় করা সম্ভব নয় । কাজেই আমাদের বিশেষত রাশিয়ার নীতি এমন ভাবে পরিবর্তন করিতে হইবে যাহাতে আপনারা তুরষ্কের সংখ্যাগরিষ্ট জনগণের মতামতকে উত্তেজিত করা যাইবে না । সংখ্যাগরিষ্ট তুর্কী জনগণের মনোভাব যায়োনিষ্ট ন্যাটো বিরোধী । এই ব্যাপারে আমি রাশিয়ান সরকারকে সতর্ক করিয়াছি । আমি জানি না কখন দেখিতে পাইব রাশিয়ান সরকারের এমন নীতি গ্রহনের উদ্যোগ যে, তুরষ্কের সমস্ত মানুষের মনোভাবকে বিরুপভাবাপন্ন করা হইবে না । কেননা সেক্ষেত্রে তুর্কী জাতীয়তাবাদ মাথাচাড়া দিয়া উঠিবে এবং জাতীয়তাবাদীরা নেতৃত্বে চলিয়া আসিতে পারে । তুরষ্ক কর্তৃক রাশিয়ার জঙ্গী বিমান গুলি করিয়া ভূপাতিত করিবার প্রেক্ষাপটে বর্তমানে কন্সট্যান্টিনোপল বিজয়ের সম্ভাবনা উজ্জ্বলভাবে দৃষ্টিগোচর হইতেছে । মরিস ঃ শায়খ ইমরান, রাশিয়ান সরকারের মনোভাব আপনার আকাঙ্খার সাথে সাদৃশ্যশীল মনে হইতেছে । সম্প্রতি তাহারা জানাইয়াছে যে, তাহারা তুরষ্কের জনগণকে নিজেদের শত্রু মনে করে না ।
মূল – আল্লামা ইমরান নজর হোসেন
অনুবাদ – বশীর মাহমুদ ইলিয়াস
Sheikh Imran Hosein Expects The Nuclear War In 1 Year লেকচারের অনুবাদ