Dr. Bashir Mahmud Ellias's Blog

Know Thyself


Leave a comment

Foetus Malposition and its magical cure

Foetus Malposition (ঔষধে গভর্স্থ শিশুর পজিশান ঠিক) : পালসেটিলা (Pulsatilla pratensis) ঔষধটি যে গর্ভস্থ ভ্রুণের অবস্থানকে পরিবর্তন করতে পারে; বিষয়টি প্রথম লক্ষ্য করেন ফিলাডেলফিয়ার ডাঃ বেথমান। একবার এক প্রসব যন্ত্রণাকাতর রোগীর জন্য তাকে ডাকা হলে তিনি গিয়ে দেখলেন- প্রচণ্ড ব্যথা থাকলেও পর্দা তখনও ছিন্ন হয়নি এবং জরায়ু মুখ সামান্য খুলেছে। পরীক্ষা করে তিনি দেখলেন, শিশুর কাঁধ জরায়ু মুখের দিকে অবস্থান করছে (shoulder presentation)। প্রসবকার্যটি দ্রুত হওয়ার আশা নেই মনে করে তিনি রোগিনীকে একমাত্রা পালসেটিলা খাওয়ান। কয়েক মিনিট পর ভদ্রমহিলা পেটে ব্যথা অনুভব করলেন এবং তার মনে হলো পেটের মধ্যে কিছু একটা মোচড় দিয়ে ঘুরে গেলো যাতে তিনি ভীত হয়ে পড়লেন। কিছুক্ষন শান্ত থাকার পর প্রসব ব্যথা নিয়মিতভাবে পুণরায় শুরু হয় এবং দ্বিতীয়বার পরীক্ষায় ডাঃ বেথমান মহা বিস্ময়ের সাথে লক্ষ্য করেন যে, ভ্রুণের মাথা যথাযথ অবস্থানে (cephalic presentation) এসে গেছে এবং একটু পরে সম্পূর্ণ স্বাভাবিকভাবে প্রসবকারয্য সম্পন্ন হয়। তিনি বছর পাঁচেক পূর্বে ঠিক একই পরিস্থিতিতে একই পদক্ষেপ নিয়ে একই রকম ফল পেয়েছিলেন। বিষয়টি তিনি স্থানীয় হোমিওপ্যাথিক মেডিকেল গেজেটে বিস্তারিত লিখে পাঠান।

মহিলাদের জীবনে সবচেয়ে বিপজ্জনক সময় হলো সন্তান প্রসব কাল এবং গভর্স্থ সন্তানের পজিশন যদি ঠিক না থাকে (অর্থাৎ মাথা যদি নীচের দিকে না থাকে), তবে তাদের বিপদের আর কোন সীমা থাকে না। এক্ষেত্রে গভবর্তী মাতা এবং তার পেটের শিশু দুজনেরই মৃত্যুর সম্ভাবনা বেড়ে যায়। বাচ্চার পজিশান ঠিক না থাকলে নরমাল ডেলিভারি হয় না এবং ডাক্তাররা জীবন বাচাঁতে অপারেশন করে ডেলিভারি করেন। কিন্তু অপারেশান করলে তার জন্য সারাজীবনই নানা রকম ভোগান্তি পোহাতে হয়। তাছাড়া অপারেশানের জায়গায় আবার হারনিয়া হয় এবং হারনিয়া সারাতে আবার কয়েকবার অপারেশান করতে হয়। অথচ পালসেটিলা খুব সহজেই ইত্যাকার হুজ্জত থেকে হবু মায়েদের রক্ষা করতে পারে। পালসেটিলার ব্রিচ, ভার্টেক্স, ট্রাঙ্ক, ফিট, ক্রশ, শোলডার প্রভৃতি অনাকাঙ্খিত অবস্থানকে (mal-presentation) পরিবর্তন করার ক্ষমতার ওপর সবচেয়ে বেশী গবেষণা করেছেন বোষ্টনের ডাঃ মার্সি বি. জ্যাকসন। তিনি এই সম্পর্কিত প্রায় তিন শতাধিক ক্লিনিক্যাল অবজারবেশন লিপিবদ্ধ করে গেছেন। এছাড়াও ডাঃ ডডি, ডাঃ উডওয়ার্ড, ডাঃ মার্টিন, ডাঃ ক্যানিয়ন, ডাঃ ক্যান্ট, ডাঃ বেইলি, ডাঃ বাটলার প্রভৃতি অনেকে তাদের অভিজ্ঞতার কথা লিখে গেছেন। তাদের বর্ণিত অধিকাংশ কেইসে পালসেটিলা ব্যবহৃত হয়েছে ৩০ শক্তিতে এবং প্রতি মাত্রা (৫-১০টি বড়ি) আধাঘণ্টা থেকে কয়েক ঘণ্টা পরপর হিসেবে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে ৬ অথবা ২০০ শক্তি এবং পঞ্চাশ সহস্রতমিক শক্তিকরণ পদ্ধতিতেও ব্যবহৃত হয়েছে। অধিকাংশ ক্ষেত্রে এক বা দুই মাত্রার পর ভ্রুণের পজিশন ঠিক হয়ে গেছে।
অন্যদিকে ভ্রুণের অবস্থান ঠিক হতে কয়েক মিনিট থেকে এক সপ্তাহর মতো লেগে গেছে। বিষয়টি নির্ভর করে প্রসবকালের নৈকট্যের উপর ভিত্তি করে। প্রসবকাল যত নিকটবর্তী; ভ্রুণের অবস্থান তত দ্রুত কারেক্ট হয়ে থাকে। তবে কাঙ্খিত প্রসবকাল কয়েক মাস দূরে থাকতেও পালসেটিলার সাহায্যে ভ্রুণের মেলপ্রেজেনটেশন ঠিক করা যায়; এতে গর্ভপাতের কোন আশঙ্কা নেই। যদিও মূলত অনিয়মিত বা অপরযাপ্ত প্রসব ব্যথাকে নিয়মিত এবং বেগবান করা এবং প্রসবকাযর্কে তাড়াতাড়ি সম্পন্ন করার জন্যই পালসেটিলা ঔষধটি ব্যবহৃত হয়। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, ভ্রুণের মেল-প্রেজেনটেশন ঠিক করার জন্যও রোগীর সামগ্রিক মনো-দৈহিক (constitutional symptoms) লক্ষণ সমষ্টির উপর ভিত্তি করে ঔষধ সিলেকশন করা উচিত এবং টোটাল সিম্পটমের ভিত্তিতে নিরবাচিত যে-কোন ঔষধের দ্বারাই ভ্রুণের এলোমেলো পজিশান ঠিক করা যায়; তথাপি এক্ষেত্রে পালসেটিলাকে বলা যায় একেবারে স্প্যাসিফিক।


Leave a comment

Dysmenorrhea, menstrual cramp, painful mense

Dysmenorrhoea  and  its  homeopathic  treatment 

Self  treatment  scheme  for  Painful  menses

মাসিকের  ব্যথা  এবং  তার  হোমিওপ্যাথিক  চিকিৎসা

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/

https://bashirmahmudellias.wordpress.com/

https://www.facebook.com/drBashirmahmudellias

http://www.scribd.com/search

Dear  all,

 

Take  these   homeopathic  medicines  (as  a  cure  for  dysmenorrhea/ dysmenorrhoea/ Painful menstruation)  according  to  my  direction.  I  am  optimistic  that  my  formula  will  give  a  full  cure  for  99%  of  dysmenorrhoea.  Although  few  cases  will  not  get  full  cure ;  still  they  will  get  ten  fold  better  result  than  any  other  healing  systems.  Yea,  it  is  better  to  take  all  homeopathic  medicines  in  empty  stomach ;  but  you  can  take  them  after  meal  if  you  forget.  You  can  take  these  homeopathic  medicines  along  with  other  allopathic  or  herbal  medicines (whether  they  may  be  tablet,  capsule  or  injection).  It  will  not  cause  any  trouble.  But  it  is  better  to  take  all  homeopathic  medicines  half  an  hour  before  or  after  other  medicines.  The  dose  of  adult  and  kids  are  same.  Try  to  buy  Germany  or  U.S.A.  made  medicines.

 

You  can  exclude  any  of  these  medicines  if  it  seems  don’t  helping  you  or  causing  undesirable  side-effects (like  acidity,  vertigo,  pain,  vomiting  etc)  or  is  not  available  in  the  local  market.  Continue  rest  of  the  medicines  according  to  their  suggested  order  or  serial.  Do  not  change  my  recommendation  on  potency  and  dose,  but  you  can  take  the  nearest  potency  if  the  recommended  potency  is  not  available  in  the  local  market.  You  should  know  that  the  names  of  the  homeopathic  medicines  are  universal (that  means  they  could  be  found  with  the  same  name  in  every  country).  You  should  take  the  lowest  potency  first  and  try  to  increase  the  potency  gradually  in  the  next  round  if  possible.  In  some  rare  cases,  you  may  need  to  consult  a  homeopathic  specialist  to  be  able  to  use  more  precisely  selected  medicines (which  best  suit  with  your  physical  and  mental  make-up).  You  will  need  to  take  these  medicines  untill  you  attain  a  full  cure  or  sufficient  improvement. (N.B. – I  shall  appreciate  if  you  translate  this  formula  in  your  mother  tongue  and  propagate  through  journal, blog,  youtube  etc  as  a  service  to  the  mankind.)

 

 

Many  people  are  writing  to  me  enquiring  how  to  collect  these  homeopathic  medicines.  These   homeopathic  medicines  are  actually  the  most  common  homeo  medicines.  You  can  buy  them  from  any  homeopathic  pharmacy.  As  far  as  I  know,  homeopathic  medicines  are  available  in  most  of  the  major  cities  in  the  world.  If  these  are  not  available  in  your  area,  then  you  can  collect  them  by  ordering  to  many  companies  over  e-mail.  In  this  regards,  these  following  three  links  may  greatly  help  you :-

 

1.  http://hpathy.com/homeopathy-pharmacies/

2.  http://www.hmedicine.com/homeopathic/single_remedies

3.  http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/01/great-homeopathic-dispensaries-in-dhaka.html

 

 

 

Rx

 

(1)  Thuja  occidentalis                      30/200/1M/10M

(Take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5 pills   01  time  daily  for  1  day. )

(2)  Actea  Racemosa / Cimicifuga          3/6/12/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop or 5 pills  02  times  daily  for  1  week.)

(3)  Medorrhinum                              30/200/1M/10M

(Take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5 pills   01  time  daily  for  1  day. )

(4)   Magnasia  Phosphorica                 3/6/12/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop or  5 pills   02  times  daily  for  7  days.)

(5)  Sulphur                                         3/6/12/30/200

(Then  take  this  homeopathic  medicine  1  drop  or  5  pills   02  times  daily  for  1  week.  Now  start  taking  from  no. 1  medicine  in  similar  rules  if  necessary.)

 

 

Dr. Bashir Mahmud Ellias

                                          Author, Design specialist, Islamic  researcher,  Homeo consultant

79/2f  R.  K.  Mission  road,

Gopibugh,   Dhaka, 

Bangladesh.

Mob :  +880-01916038527

E-mail : Bashirmahmudellias@hotmail.com

Website : http://bashirmahmudellias.blogspot.com

Website : https://bashirmahmudellias.wordpress.com

 

 

Beware  of  childhood  vaccine

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2008/10/beware-of-childhood-vaccine.html

Cancer  and  its  easy  treatment  in  homeopathy

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/10/cancer-and-its-perilous-treatment_31.html

Psychiatric  diseases  and  their  easy  cure  in  homeopathy

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/10/mental-patients-their-tradgedy.html

Heart  diseases  and  their  easiest  homeopathic  cure

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2010/02/cardiac-diseases-their-easy-cure.html

Damaged  Kidney  is  repairable  with  homeopathic  treatment

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/10/kidney-diseases-their-real-cause-and.html

Diabetes  can  never  be  cured  without  homeopathic  medicine

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2009/09/Chloasma-and-some-hard-talks.html

HEPATITIS  is  an  easily  curable  disease

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2008/11/hepatitis-is-not-incurable-disease.html

Pathological  tests  are  seriously  harmful

http://bashirmahmudellias.blogspot.com/2010/04/pathological-tests-are-seriously.html

 

Dysmenorrhea, menstrual cramp, painful mense (ব্যথাযুক্ত মাসিক) ‍ঃ- সাধারণত মেয়েদের মাসিক স্রাবের সময় ব্যথা হওয়াকে সাইকোটিক মায়াজম (sycotic miasm) ঘটিত রোগ বলে বিজ্ঞানীরা ঘোষণা করেছেন। তাই এই রোগের চিকিৎসার জন্য প্রথমেই এন্টি-সাইকোটিক ঔষধ প্রয়োগ করতে হবে। মেডোরিনাম এবং থুজা হলো দুটি সেরা এন্টি-সাইকোটিক ঔষধ।
Medorrhinum : অতীতে যাদের গনোরিয়া হয়েছিল অথবা যাদের পিতা-মাতা-স্বামীর গনোরিয়া ছিল, তাদেরকে মেডোরিনাম না খাইয়ে অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাসিকের ব্যথা স্থায়ীভাবে সারানো যায় না। মেডোরিনামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো পেট নীচের দিকে দিয়ে ঘুমায়, চকোলেট-কমলা খুবই পছন্দ করে, অন্ধকারে ভয় পায়, গতকালের ঘটনাকে মনে হয় অনেক বছর আগের ঘটনা, সব কাজে তাড়াহুড়া করে ইত্যাদি ইত্যাদি। ঔষধটি ২০০ শক্তিতে বিশ দিন পরপর একমাত্রা করে খাওয়া উচিত এবং প্রয়োজন হলে পরবতীতে শক্তি বাড়িয়ে খাওয়া যেতে পারে।
Thuja occidentalis : যে-কোন টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, পোলিও, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়ার কারণে ব্যথাযুক্ত মাসিকের রোগ হলে সেক্ষেত্রে থুজা একটি অতুলনীয় ঔষধ। থুজার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ‘উপর থেকে পড়ে যাওয়ার’ স্বপ্ন দেখে, শরীরে আঁচিল বা মেঞ্জ হওয়া, বর্ষাকালে বা ভ্যাপসা আবহাওয়ার সময় রোগের মাত্রা বৃদ্ধি পায়, বদহজম, কোষ্টকাঠিন্য, হাত-পা ছড়িয়ে রাখলে রোগের মাত্রা বেড়ে যায় ইত্যাদি ইত্যাদি । ঔষধটি অবশ্যই ৫/৬ মাত্রা খাওয়াতে হবে। এটি ২০০ শক্তিতে দশ দিন পরপর একমাত্রা করে খাওয়া উচিত।
Lapis albus : ল্যাপিস ঔষধটিও ডিসমেনোরিয়ার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ বিশেষত যাদের যৌনাঙ্গে চুলকানি ও রাক্ষুসে ক্ষুধার লক্ষণ আছে।
Actea racemosa : একটিয়া রেসি মাসিকের ব্যথার আরেকটি প্রধান ঔষধ।


Leave a comment

Dysentery and its treatment

Dysentery (আমাশয়) ঃ- সাধারণত পায়খানার সাথে আম বা মিউকাস যাওয়াকে আমাশয় বলা হয়। তবে ইহার সাথে বমি, আমাশয়ের চিকিৎসাতেও লক্ষণ মিলিয়ে ঔষধ খেতে হবে। রোগের নাম (সাধারণ আমাশয়, রক্ত আমাশয়, পুরনো আমাশয় ইত্যাদি) চিন্তা করে ঔষধ খেলে কোন উপকার হবে না।

Mercurius solubilis : সাধারণ আমাশয়ে প্রথমেই আমাদেরকে মারক সল ঔষধটির কথা স্মরণ করতে হবে। মারক সলের প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানার করার পরে রোগীর মধ্যে একটি তৃপ্তির ভাব আছে, সে আরাম পায়।
Mercurius corrosivus : পক্ষান্তরে রক্ত আমাশয়ের ক্ষেত্রে মারক কর ঔষধটি খেতে হবে।
Ipecac : আমাশয়ের সাথে যদি বমিবমি ভাব থাকে, তবে ইপিকাক ঔষধটি খেতে থাকুন।
Nux vomica : অনেক রকম ঔষধ খাওয়ার পরও যদি আমাশয় ভালো না হয়, তবে নাক্স ভমিকা খেতে থাকুন। নাক্স ভমিকার প্রধান লক্ষণ হলো রোগী পায়খানা করার পরেও কোন আরাম পায় না। মনে হয় কিছু পায়খানা এখনও রয়ে গেছে ; মনে হয় আরো কিছুক্ষণ বসে কোথানি দিলে আরাম লাগত।
Belladonna : যদি শরীর গরম থাকে, শরীরে জ্বালাপোড়া থাকে, পায়খানার সাথে টকটকে লাল তাজা রক্ত যায়, ছুড়ি মারার মতো পেট ব্যথা থাকে, তবে এই ধরণের আমাশয়ে বেলেডোনা খেতে হবে।
Cantharis : পায়খানার রাস্তায় যদি আগুনের মতো জ্বালাপোড়া থাকে, তবে ক্যান্থারিস খেতে হবে।
Colchicum : কলচিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো হেমন্তকালের আমাশয়, পায়ের পেশীতে খিল ধরা, খাবার দেখলে-খাবারের কথা চিন্তা করলে-খাবারের গন্ধ পেলেও বমি বমি ভাব হয়, সাংঘাতিক কোথানি ইত্যাদি ইত্যাদি।
Colocynthis : আমাশয়ের সাথে যদি পেটে ছুরি মারার মতো মারাত্মক ব্যথা থাকে এবং সেই ব্যথা যদি পেটে চাপ দিলে কমে, তবে তাতে কোলোসিন্থ খেতে হবে। সাধারণত ঝগড়াঝাটি, অপমান ইত্যাদি ঘটনার পরে কোলোসিন্থের লক্ষণ এসে থাকে।
Dioscorea : আমাশয়ের সাথে যদি পেটে ছুরি মারার মতো মারাত্মক ব্যথা থাকে এবং সেই ব্যথা যদি পেটে চাপ দিলে বেড়ে যায়, তবে তাতে ডায়োস্কোরিয়া খেতে হবে। সাধারণত ঝগড়াঝাটি, অপমান ইত্যাদি ঘটনার পরে কোলোসিন্থের লক্ষণ এসে থাকে।
Ipecacuanha : আমাশয়ের সাথে যদি বমিবমি ভাব থাকে এবং জিহবা পরিষ্কার থাকে, তবে ইপিকাক প্রযোজ্য।


Leave a comment

Diarrhoea, cholera and its easy homeopathic cure

Diarrhoea, cholera (ডায়েরিয়া, পাতলা পায়খানা, পেট নামা) ঃ- ডায়েরিয়ার চিকিৎসাতেও লক্ষণ মিলিয়ে ঔষধ খেতে হবে। রোগের নাম (ডায়েরিয়া, কলেরা, উদরাময়, এশিয়াটিক কলেরা, পেট নামা, আমাশয়, ফুড পয়জনিং ইত্যাদি) চিন্তা করে ঔষধ খেলে কোন উপকার হবে না।
Croton Tiglium : পায়খানা যদি বন্দুকের গুলির ন্যায় ভীষণ দ্রুতগতিতে বের হয়, তবে ক্রোটন টিগ ঔষধটি খেতে থাকুন। সাধারণত একে বলা হয় হাঁসের ন্যায় পায়খানা (goose stool), কেননা হাঁসের পায়খানা খুব স্পীডে বের হয়। পায়খানা থাকে হলদে রঙের এবং খুবই পাতলা আর সাথে বমিবমিভাব ও বমি থাকতে পারে। কিছু খেলে বা পান করলে ডায়েরিয়া বেড়ে যায়। ঔষধটি প্রতিবার পায়খানায় যাওয়ার সাথে একবার করে খেতে থাকুন।
Elaterium : ইলেটেরিয়ামের পাতলা পায়খানাও খুবই হাই স্পীডে বের হয় কিন্তু সেটি তীরের মতো সোজাভাবে বের না হয়ে বরং চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে। সাধারণত বোমা বিস্ফোরণ ঘটলে যেমন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, অনেকটা তেমনই ধরণের। ইহার পায়খানার রঙ হয় হালকা সবুজ এবং সাথে দুরবলতা, শীতবোধ, হাই তোলা ইত্যাদি থাকে।
Gratiola officinalis : গ্রেটিওলার পাতলা পায়খানাও খুবই হাই স্পীডে বের হয় কিন্তু এতে পায়খানার রঙ থাকে হলদে এবং পেটের ভেতরে ঠাণ্ডা ঠাণ্ডা বোধ হয়। পায়খানার সাথে রক্ত, ভয়ঙ্কর পেট ব্যথা, হাত-পায়ে কাঁপুনি, খিঁচুনি, মেজাজ বিগড়ে যাওয়া ইত্যাদি থাকতে (যা ভয়ঙ্কর এশিয়াটিক কলেরা রোগে) দেখা যায়।
Jatropha curcas : জেট্রোফার পাতলা পায়খানাও খুব স্পীডে বের হয় তবে পেটের ভেতরে গড়গড় গড়গড় শব্দ হতে থাকে। সাথে পেট ব্যথা, হঠাৎ পায়খানার বেগ হওয়া, ভীষণ দুরবলতা, পানি খেলে সাথে সাথে বমি হওয়া, খিচুঁনি, প্রস্রাব বন্ধ হওয়া, অজ্ঞান হওয়া ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।
Cinchona / China officinalis : পাতলা পায়খানার সাথে যদি প্রচুর বাতাস বের হয়, তবে এমন ডায়েরিয়াতে চায়না হলো শ্রেষ্ট ঔষধ। চায়নার ডায়েরিয়াতে কোন পেট ব্যথা থাকে না এবং রোগী খুব তাড়াতাড়ি দুরবল হয়ে পড়ে। ফল-ফ্রুট খাওয়ার কারণে ডায়েরিয়া হলে তাতে চায়না প্রযোজ্য। শরীর থেকে প্রয়োজনীয় তরল পদার্থ বের হয়ে যাওয়ার কারণে দুবর্লতা/ রক্তশূণ্যতা দেখা দিলে চায়না খাওয়াতে হবে। চায়নাকে বলা হয় হোমিওপ্যাথিক স্যালাইন (O.R.S.)।
Pulsatilla pratensis : তেল-চর্বি জাতীয় খাবার খেয়ে ডায়েরিয়া হলে পালসেটিলা খান।
Argentum nitricum : পরীক্ষা, ইন্টারভিউ, জনসভায় ভাষণ দেওয়া ইত্যাদি অনুষ্টানের আগে টেনশান বা মানসিক উত্তেজনার কারণে ডায়েরিয়া শুরু হলে আরজেনটাম নাইট্রিকাম খান। এতে পায়খানার রঙ থাকে সবুজ এবং দেখতে চাবানো ঘাসের মতো। কেনডী বা মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ডায়েরিয়া হলে এটি খেতে হবে।
Arsenicum Album : আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অস্থিরতা, অসহ্য ব্যথা, পিপাসা প্রচুর কিন্তু পানি পান করে অল্প, পায়খানা করে অল্প কিন্তু দুরবল হয় তুলনামূলকভাবে অনেক বেশী, পায়খানা খুবই দুগন্ধযুক্ত, পায়খানার রাস্তায় জ্বালাপোড়া ইত্যাদি ইত্যাদি । পচাঁ, বাসি, বিষাক্ত খাবার খেয়ে ডায়েরিয়া হলে প্রথমেই আসের্র্নিকের কথা চিন্তা করতে হবে। কারণ আর্সেনিক হলো ফুড পয়জনিংয়ের শ্রেষ্ট ঔষধ।
Veratrum album : ভিরেট্রাম এলবাম হলো মারাত্মক ডায়েরিয়া বা কলেরার এক নাম্বার ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগী প্রচুর পরিমাণে ঠান্ডা পানি খেতে চায়, মারাত্মক ধরনের পেট ব্যথা, সাথে বমিবমি ভাব, বমি করা, শরীরে বিশেষত কপালে ঠান্ডা ঘাম দেখা দেয় ইত্যাদি লক্ষণ থাকে।
Rheum officinale : রিউমের প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানা থেকে টক গন্ধ আসা অ র্র্র্থাৎ এসিডিক ধরণের গন্ধ আসে এবং কাজ করলে বা ব্যায়াম করলে ডায়েরিয়া বেড়ে যায়।
Podophyllum peltatum : পডোফাইলামের প্রধান লক্ষণ হলো পিত্তযুক্ত পাতলা পায়খানা অথাৎ পায়খানা থেকে তিতা তিতা গন্ধ আসে। রোগী যে পরিমাণে খায়, পায়খানা করে তার ডাবল। শিশুর পিতা-মাতা অবাক হয়ে যান যে, এতো পায়খানা আসে কোথা থেকে ? বিশেষত শিশুদের দাঁত ওঠার সময় যে ডায়েরিয়া হয়, তাতে পডোফাইলাম খুবই উপকার করে থাকে। Phosphorous : ডায়েরিয়া বা কলেরার চরম অবস্থায় অনেক সময় ফসফরাস প্রযোজ্য হয়। যখন পায়খানার রাস্তা একেবারে খুলে যায়, তাতে কোন নিয়ন্ত্রণ থাকে না, কখন পায়খানা বেরিয়ে গেছে রোগীও জানে না, এরকম অবস্থায় ফসফরাস খেতে হবে।
Phosphoricum acidum : ফসফরিক এসিডের প্রধান লক্ষণ হলো একেবারে পানির মতো পাতলা পায়খানা করে প্রচুর পরিমাণে এবং দিন-রাতে পঞ্চাশ বার পাতলা পায়খানা করেও শরীরে কোন দুরবলতা আসে না।


Leave a comment

Depression and homeopathy

Depression (বিষন্নতা, হতাশা) : দীর্ঘদিন মন খারাপ থাকাকে বিষন্নতা বলা হয়। সাধারণত আপনজনের বিচ্ছেদ, ঘনিষ্ট কারো মৃত্যু, প্রেমে ব্যর্থতা, চাকরি হারানো, ব্যবসায়ে লোকসান, আশাভঙ্গ, অতীতের অপরাধের অনুশোচনা, বেশী বেশী লবণ খাওয়া, হতাশা, কঠিন কোন রোগে ভোগা, পারিবারিক অশান্তি, কোন ঔষধের কুফল, শৈশবে পাওয়া মানুষের দুর্ব্যবহার প্রভৃতি কারণে মানুষ বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়। বিষন্নতায় আক্রান্ত হলে মানুষ অসহায় বোধ করতে থাকে, কাঁদতে ইচ্ছে করে, নিরিবিলি থাকতে চায়, নিঃসঙ্গ থাকলে কেঁদে কেঁদে বুক ভাসায়, আত্মহত্যা করতে ইচ্ছে হয়, কেউ কেউ আত্মহত্যা করে ফেলে, ক্ষুধা কমে যায়, মাথা ব্যথা হয় বেশী বেশী, বুক ধরফড়ানি, নিদ্রাহীনতা, পুরোপুরি পাগল হয়ে যাওয়া প্রভৃতি সমস্যা দেখা দেয়।

Aurum metallicum : অরাম মেট হলো হোমিওপ্যাথিতে বিষন্নতার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। বিশেষত মারাত্মক ধরণের বিষন্নতা যাতে মানুষের মধ্যে আত্মহত্যার নেশা চেপে যায়, তাতে অরাম মেট ভালো কাজ করে। সে ভাবে সে পৃথিবীতে বসবাসের অনুপযুক্ত এবং আত্মহত্যা করতে আনন্দ পায়। স্বর্ণ থেকে প্রস্তুত করা এই ঔষধটি আত্মহত্যা ঠেকানোর একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। সাধারণত স্বর্ণ মানুষকে আত্মহত্যা করতে উৎসাহিত করে; যেমন মেয়েরা স্বর্ণের অলঙ্কার ব্যবহার করে বেশী আর এই কারণে তারা আত্মহত্যাও করে বেশী। কেননা স্বর্ণ তাদের চামড়া দিয়ে অল্প অল্প করে শরীরে ঢুকে থাকে। পক্ষান্তরে স্বর্ণকে শক্তিকৃত করে তৈরী করা ঔষধ অরাম মেট মানুষের আত্মহত্যা করার ইচ্ছাকে নষ্ট করে দেয়।
Arsenicum album : আর্সেনিকের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো উৎকন্ঠা, অস্থিরতা, জ্বালাপোড়া ভাব, খুঁতখুঁতে স্বভাব, কাজে কর্মে একবারে নিখুঁত (perfectionistic), মৃত্যুকে ভয় পায় আবার আত্মহত্যা করতেও চায়, রাত ১টা থেকে ২টা পযর্ন্ত বিষন্নতা বেড়ে যায়, অজানা অমঙ্গলের ভয়, মনে হয় মানুষ খুন করেছে এমন টেনশান করতে থাকে, মনে হয় এখনই পুলিশ এসে তাকে গ্রেফতার করবে ইত্যাদি ইত্যাদি।
Causticum : যারা অন্যের দুঃখ-কষ্ট দেখতে সহ্য করতে পারেন না, প্রতিবাদী স্বভাবের, অন্যায়ের প্রতিবাদ না করে থাকতে পারেন না, ভুলো মন, দরজা লাগানো হয়েছে কিনা কিংবা চুলা নেভানো হয়েছে কিনা বারবার পরীক্ষা করেন, এই ধরনের লোকদের বিষন্নতায় কষ্টিকাম প্রযোজ্য।
Cimicifuga : সিমিসিফিউগার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গোমড়ামুখ, দুঃখবোধ, নিদ্রাহীনতা, ভয় পায় সে মনে হয় পাগল হয়ে যাবে, কেউ আঘাত করবে অথবা প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার ভয় করে, মনে হয় সবকিছুকে একটি কালো পর্দা ঢেকে দিয়েছে ইত্যাদি।
Ignatia amara : অল্প সময় বা অল্প কয়েকদিন পূর্বে বড় ধরণের মানসিক আঘাত পাওয়ার কারণে বিষন্নতার সৃষ্টি হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কোন কারণ ছাড়াই হাসে-কাদে, কিছুক্ষণ পরপর দীর্ঘশ্বাস ফেলে, হাই তোলে, গলার মধ্যে একটা চাকার মতো কিছু আটকে আছে মনে হওয়া, নিদ্রাহীনতা, মাথাব্যথা, পেটের মধ্যে খামচে ধরা ব্যথা ইত্যাদি।
Natrum muriaticum : পক্ষান্তরে মানসিক আঘাত পাওয়ার পরে অনেক দিন কেটে গেলে তাতে নেট্রাম মিউর ঔষধটি প্রযোজ্য। সাধারণত খুবই সেনসেটিভ, সান্ত্বনা দিলে উল্টো আরো ক্ষেপে যায়, লবণ জাতীয় খাবার বেশী খায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে তাতে নেট্রাম মিউর ভালো কাজ করে।
Kali phosphoricum : সাধারণত কঠোর পরিশ্রমের কারণে, অতিরিক্ত মানসিক পরিশ্রমের ফলে, দীর্ঘদিন শোক-দুঃখ-আবেগ-উত্তেজনায় ভোগার কারণে বিষন্নতার সৃষ্টি হলে তাতে ক্যালি ফস ঔষধটি সুফল দিবে। কোন কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, মানসিক পরিশ্রমে মাথাব্যথা, প্রচুর ঘামানো, সহজে সর্দি লাগা, রক্তশূণ্যতা, নিদ্রাহীনতা, বদহজম প্রভৃতি সমস্যা একসাথে দেখা দিলে তাতে ক্যালি ফস প্রযোজ্য।
Natrum carbonicum : সাধারণত নম্র-ভদ্র-শান্তিপ্রিয়-পরোপকারী স্বভাবের লোকদের ক্ষেত্রে এই ঔষধটি প্রযোজ্য, যারা ঝগড়া-ঝাটিকে ভয় পায়। কোন কারণে এরা কষ্ট পেলে সেটি মনের মধ্যে চেপে রাখে এবং বিষন্নতায় ভোগতে থাকে। এরা বিষন্নতায় আক্রান্ত হলে বসে বসে বিরহের গান শুনতে থাকে। এই ধরণের লোকদের ক্ষেত্রে নেট্রাম কার্ব হলো বিষন্নতার শ্রেষ্ট ঔষধ।


Leave a comment

Dengue fever and its magical medicine

Dengue fever (ডেঙ্গু জ্বর) : ডেঙ্গু জ্বরের প্রধান লক্ষণ হলো তিনটি ‍ঃ জ্বর, চামড়ার নীচে লালচে দাগ (rash) পড়া এবং শরীর ব্যথা। জ্বরের তাপ থাকে খুব বেশী (১০৩ থেকে ১০৫ ডিগ্রি ফারেনহাইট)। মাংস, হাড় এবং জয়েন্টে এমন প্রচণ্ড ব্যথা থাকে যে, মনে হবে কেউ যেন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে তার হাড়গুলো ভেঙ্গে গুড়ো করে দিয়েছে। আর এই কারণে ডেঙ্গু জ্বরের আরেক নাম হলো হাড়ভাঙ্গা জ্বর (Bone breaker)। তাছাড়া অধিকাংশ ক্ষেত্রে সাংঘাতিক মাথা ব্যথা এবং প্রচণ্ড বমি থাকে। চামড়ার নীচে ছোট ছোট লালচে দাগ পড়ে। ভীষণ দুর্বলতা, গলা ব্যথা, হাত-পায়ে পানি নামা ইত্যাদি থাকতে পারে।
ডেঙ্গু জ্বরের দুটি পরযায় আছে যার মাঝখানে জ্বরের বিরতি থাকে একদিন। ডেঙ্গু জ্বরের দ্বিতীয় পর্যায় হলো রক্তক্ষরণযুক্ত (hemorrhagic fever) জ্বর। এসময় চামড়ার নীচে রক্তক্ষরণ হওয়ার কারণে লালচে দাগ পড়ে, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যায়, নাড়ির গতি ক্ষীণ হয়ে পড়ে, শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, রোগী অজ্ঞান হয়ে পড়ে, পায়খানা-প্রস্রাব-বমির সাথে রক্ত যায় এবং রোগী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এই জন্য চামড়ার নীচে রক্তক্ষরণ হওয়া মাত্রই রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে প্রেরণ করা উচিত। এই জ্বর সাধারণত ৫ থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে যায়, তবে রোগীর স্বাভাবিক স্বাস্থ্য ফিরে পেতে প্রায় এক মাস লেগে যায়।
চিকিৎসাঃ- ডেঙ্গু জ্বরের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ হলো ইউপেটোরিয়াম পারফোলিয়েটাম (Eupatorium perfoliatum)। এই হোমিও ঔষধটি এমন একটি গাছের রস থেকে তৈরী করা হয়, যেই গাছের আঞ্চলিক নাম হলো বোনসেট (Bone set) বা হাড় জোড়া লাগানো। এখানে লক্ষ্য করার মতো একটি ইন্টারেস্টিং ব্যাপার এই যে, জ্বরের নাম হাড়ভাঙ্গা এবং তার ঔষধি গাছটির নাম হাড়জোড়া। ঔষধটি একই সঙ্গে ডেঙ্গু জ্বরের ঔষধ এবং ডেঙ্গু জ্বরের টিকা বা প্রতিষেধক (Vaccine) হিসাবে কাজ করে। ডেঙ্গু জ্বরের লক্ষণ যদি অন্য কোন ঔষধের সাথে মিলে যায়, তবে সেটিই সেবন করুন। বিস্তারিত অধ্যায়ে দেখুন।


Leave a comment

Dandruff and its real cure

Dandruff (মাথার খুসকি) : মাথার খুসকি কি জিনিস তা পরিষ্কার করে বলার প্রয়োজন নাই। কেননা টিভিতে শ্যাম্পুর বিজ্ঞাপন দেখতে দেখতে নিশ্চয় বিষয়টি সবারই জানা হয়ে গেছে। শ্যাম্পু কোম্পানি যতই দাবী করুক যে, তাদের শ্যাম্পুতে খুসকি পরিষ্কার হয়ে যাবে; আসলে তা মিথ্যে কথা। তবে শ্যাম্পুতে খুসকি সাফ না হলেও চুল সাফ হয়ে যে টাক পড়ে যায়, এতে কোন সন্দেহ নাই। আমাদের সমাজে যত লোকের মাথায় টাক পড়েছে, নিরানব্বই ভাগ ক্ষেত্রেই তার জন্য দায়ী হলো অতিরিক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার। অথচ এলোপ্যাথিক চর্মরোগ বিশেষজ্ঞরা খুসকির রোগী পেলেই একটা না একটা শ্যাম্পু ধরিয়ে দেন, যা সত্যিই দুঃখজনক।

Thuja occidentalis : খুসকির একটি মূল কারণ হলো টিকা (বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, পোলিও, হেপাটাইটিস, এটিএস ইত্যাদি) নেওয়া। টিকা নিলে কেবল খুসকিই হয় না বরং অধিকাংশ ক্ষেত্রে চুল পাতলা হয়ে যায় এবং পাতলা হতে হতে টাক পড়ে যায়। কাজেই কোন টিকা নেওয়ার দুয়েক মাস থেকে দুয়েক বছরের মধ্যে খুসকি দেখা দিলে প্রথমেই থুজা নামক ঔষধটি খেতে হবে। বিশেষ করে খুসকির সাথে যাদের শরীরে আঁচিলও আছে, তাদের প্রথমেই সপ্তাহে একমাত্রা করে কয়েক মাত্রা খুজা খেয়ে নেওয়া উচিত।

Arsenicum album : মাথার চামড়া শুকনা, খস্‌খসে, স্পর্শ করলে ব্যথা লাগে, বেশ গরম, রাতের বেলা ভীষণ চুলকায় ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে আর্সেনিক খেতে হবে।
Kali sulp : ক্যালি সালফ খুসকির একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। এমনকি যদি তাতে পূঁজও থাকে। খুসকির মতো মরা চামড়া উঠে এমন যে-কোন চর্মরোগেও এটি প্রয়োগ করতে পারেন।
Sanicula : স্যানিকিউলা ঔষধটি মাথার পাশাপাশি চোখের পাতা এবং দাড়ির খুসকিও দূর করতে পারে। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অকাল বার্ধক্য, প্রচুর খেয়েও দিন দিন শুকিয়ে যায়, পায়ের তালুতে জ্বালাপোড়া, পা থেকে দুর্গন্ধযুক্ত ঘাম বের হয় ইত্যাদি।
Sepia : সিপিয়া খুসকির একটি ভালো ঔষধ বিশেষত যদি মাথার চামড়া ভেজাভেজা এবং ঘিয়ের মতো আঠালো হয়। সিপিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো তলপেটে বল বা চাকার মতো কিছু একটা আছে মনে হয়, রোগী তলপেটের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ পায়খানার রাস্তা দিয়ে বেরিয়ে যাবে এই ভয়ে দুই পা দিয়ে চেপে ধরে রাখে, সর্বদা শীতে কাঁপতে থাকে, দুধ সহ্য হয় না, ঘনঘন গর্ভপাত হয়, স্বামী-সন্তান-চাকরি-বাকরির প্রতি আকর্ষণ কমে যায়।
Sulphur : খুসকির একটি সেরা ঔষধ হলো সালফার যদি তাতে অত্যধিক চুলকানী এবং জ্বালাপোড়া থাকে। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিত। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো সকাল ১১টার দিকে ভীষণ খিদে পাওয়া, গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু-পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, রোগ বিছানার গরমে বৃদ্ধি পায়, ছেড়া-নোংরা তেনা দেখেও আনন্দিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
Mezereum : মেজেরিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথার থেকে মোটা মোটা চামড়ার মতো চলটা উঠতে থাকে, এগুলোর নীচে আবার পূঁজ জমে থাকে, চুল আঠা দিয়ে জট লেগে থাকে, পূঁজ থেকে এক সময় দুর্গন্ধ ছড়াতে থাকে, চুলকানীর জন্য রাতের ঘুম হারাম হয়ে যায় ইত্যাদি।
Graphites : গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার খুসকি সারিয়ে দেবে।
Oleander : ওলিয়েন্ডার চুলের খুসকির একটি উৎকৃষ্ট ঔষধ। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মাথায় ভীষণ চুলকানি, চুলকানির পরে হুল ফোটানোর মতো ব্যথা, স্তন্যদানের পর শরীরে কাঁপুনি, চোখ তেড়া করে তাকালে মাথা ব্যথা ভালো হয়ে যায়, উদাসীনতা ইত্যাদি।
Natrum muriaticum : চুলের লাইন বরাবর খুসকি বা এই রকম ছাল ওঠা জাতীয় যে-কোন চর্মরোগে নেট্রাম মিউর প্রযোজ্য। ইহার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো মুখ সাদাটে এবং ফোলা ফোলা, বেশী বেশী লবণ বা লবণযুক্ত খাবার খায়, কথা শিখতে বা পড়াশোনা শিখতে দেরী হয়, ঋতুস্রাবে রক্তক্ষরণ হয় খুবই অল্প, পা মোটা কিন্তু ঘাড় চিকন ইত্যাদি।


Leave a comment

Baby’s Crying

Crying of babies (শিশুদের কান্নাকাটি) ঃ- শিশুদের কান্নার চাইতে অধিকতর হৃদয়বিদারক কোন বিষয় আছে বলে আমার জানা নাই। এমনকি মহানবী (দঃ) কখনও মসজিদে শিশুদের কান্না শোনলে নামায পযর্ন্ত সংক্ষিপ্ত করে ফেলতেন। কেননা তিনি মনে করতেন, এক্ষেত্রে নামায দীর্ঘ করলে কান্নারত শিশুর পিতা-মাতার মানসিক প্রশান্তি নষ্ট হবে। অসহায় এবং বাকশক্তিহীন এই শিশুরা তাদের দুঃখ-কষ্ট-অসুবিধার কথা কান্নার মাধ্যমে জানাতে চেষ্টা করে; কান্নাই তাদের ভাষা।
সে যাক, বাহ্যত কোন কারণ ছাড়াই যদি শিশুরা কান্নাকাটি করে তবে আপনি নিশ্চিত থাকতে পারেন যে, তার পেটব্যথা হচ্ছে। ক্যালশিয়াম জাতীয় খাবার পেটে গ্যাস বা এসিডের উৎপাদন বৃদ্ধিতে সাহায্য করে থাকে। শিশুরা যেহেতু দুধ বেশি বেশি খায় এবং দুধে যেহেতু প্রচুর ক্যালশিয়াম আছে ; কাজেই ধরে নিতে পারেন শিশুদের পেটে এসিডিটি বা গ্যাসের সমস্যা থাকবেই। শিশুরা দিনে-রাতে যে-কোন সময়ে অকারণে কান্নাকাটি করলে বা খুব মেজাজ দেখালে Nux vomica দুয়েকটি বড়ি খাইয়ে দিন ; সাথে সাথে কান্নাকাটি বন্ধ হয়ে যাবে। যদি কান্নাকাটি বন্ধ করে আপনার বাচ্চা মুহূর্তের মধ্যে ঘুমিয়ে পড়ে তবে ভয় পাবেন না ! কারণ নাক্স ভমিকা আসলে ঘুমের জন্যও একটি ভালো ঔষধ। সাধারণত শিশুর মেজাজ কড়া না হলে নাক্সে কাজ হয় না ; কেননা নাক্স হলো প্রধানতঃ বদমেজাজি লোকদের ঔষধ।

এক্ষেত্রে Colocynthis (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা কমে) এবং Dioscorea (যদি পেটে চাপ দিলে ব্যথা বাড়ে) ঔষধ দুটির যে-কোনটি কিছুক্ষণ পরপর খাওয়াতে থাকুন। হ্যাঁ, শিশু যদি খুবই ছোট হয় যেমন দুয়েক দিন থেকে দু’য়েক মাস বয়স, তাদেরকে ঔষধ না খাইয়ে বরং তাদের মাকে খাওয়ানোই যথেষ্ট (যদি তারা বুকের দুধ খায়)। প্রয়োজনে পানিতে গলিয়ে খাওয়াতে পারেন।
যে-সব শিশুরা সারাদিন ভালো থাকে কিন্তু রাতে খুব কান্নাকাটি করে তাদেরকে Jalapa নামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান।
পক্ষান্তরে যে-সব শিশুরা সারাদিন কান্নাকাটি করে কিন্তু রাতে চুপচাপ থাকে তাদেরকে Lycopodium নামক ঔষধটি কয়েকবার খাওয়ান।
শিশুদের কান্নাকাটির আরেকটি কারণ থাকতে পারে পায়খানার রাস্তায় সুতাকৃমির উৎপাত। এজন্য পায়খানার রাস্তা যতটা সম্ভব ফাঁক করে দেখতে পারেন সুতাকৃমি দেখা যায় কিনা অথবা পায়খানা করে সময় খেয়াল রাখবেন পায়খানার সাথে কোন ধরনের কৃমি যায় কিনা । কৃমি পাওয়া গেলে Teucrium নামক ঔষধ দুটির যে-কোনটি রোজ দুইবেলা করে তিনদিন খাওয়ান।
অনেক শিশু ঘুমের ভেতরে গোঙাতে থাকে এবং চীৎকার করতে থাকে, এদেরকে Calcarea Carbonica নামক ঔষধটি (শক্তি ২০০) এক মাত্রা খাওয়ান। শিশু একটু বড় হলে এবং স্বাস্থ্য ভালো থাকলে ১০০০ (1M) অথবা ১০,০০০ (10M) শক্তিতে একমাত্রা খাওয়াতে পারেন।

শিশুদের কান্নাকাটি এবং বদমেজাজের একটি বড় কারণ হলো টিকা (vaccine) নেওয়া। সাধারণত বিসিজি, ডিপিটি, এটিএস, হাম, পোলিও, হেপাটাইটিস ইত্যাদি টীকা নেওয়ার কারণে শিশুদের কান্নাকাটি করার রোগ হয়। তারা দিনে-রাতে, কারণে-অকারণে কাঁদতে থাকে, কাঁদতে কাঁদতে বাড়ির সবার ঘুম হারাম করে ফেলে। এজন্য Thuja occidentalis নামক ঔষধটি সপ্তায় এক মাত্রা করে ছয় সপ্তাহ খাওয়ান। থুজাতে পুরোপুরি না সারলে বিকল্প হিসেবে Silicea, Vaccininum, Sulphur ইত্যাদি নামক ঔষধগুলোও খাওয়াতে পারেন।


Leave a comment

Cough and its homeopathic cure

Cough (কাশি) : কাশির চিকিৎসাতেও লক্ষণ মিলিয়ে ঔষধ খেতে হবে। কাশির নাম (কি হাঁপানি, ব্রংকাইটিস, সর্দিকাশি নাকি হুপিং কাশি ইত্যাদি) চিন্তা করে ঔষধ খেলে কোন উপকার হবে না।

Aconitum napellus :- যে-কোন ধরনের কাশি হউক না কেন, যদি প্রথম থেকেই মারাত্মক আকারে দেখা দেয় অথবা কাশি শুরু হওয়ার দু’চার ঘণ্টার মধ্যে সেটি ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করে, তবে একোনাইট হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। একোনাইটের রোগকে তুলনা করা যায় ঝড়-তুফান্তটর্নেডোর সাথে- অতীব প্রচণ্ড কিন্তু ক্ষণস্থায়ী। কাশিও যদি তেমনি হঠাৎ করে মারাত্মক আকারে শুরু হয়, তবে একোনাইট সেবন করুন। কাশির উৎপাত এত বেশী হয় যে তাতে রোগী মৃত্যুর ভয়ে কাতর হয়ে পড়ে।
Bryonia alba : ব্রায়োনিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগীর ঠোট-জিহ্বা-গলা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে এবং প্রচুর পানি পিপাসা থাকে এবং রোগী অনেকক্ষণ পরপর একসাথে প্রচুর ঠান্ডা পানি পান করে। রোগী অন্ধকার এবং নড়াচড়া অপছন্দ করে ; কারণ এতে তার কষ্ট বৃদ্ধি পায়। কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয় অর্থাৎ পায়খানা শক্ত হয়ে যায়। রোগীর মেজাজ খুবই বিগড়ে থাকে এবং সে একলা থাকতে পছন্দ করে। কাশি দিলে মনে হয় মাথা এবং বুক টুকরো টুকরো হয়ে ছিঁড়ে যাবে।
Antimonium tartaricum : এন্টিম টার্টের কাশির প্রধান লক্ষণ হলো কাশির আওয়াজ শুনলে মনে হয় বুকের ভেতর প্রচুর কফ জমেছে কিন্তু কাশলে কোন কফ বের হয় না। রেগে গেলে অথবা খাওয়া-দাওয়া করলে কাশি বেড়ে যায়। জিহ্বায় সাদা রঙের মোটা সতর পড়বে, শরীরের ভেতরে কাঁপুনি, ঘুমঘুম ভাব এবং সাথে পেটের কোন না কোন সমস্যা থাকবেই। কাশতে কাশতে শিশুরা বমি করে দেয় এবং বমি করার পর সে কিছুক্ষণের জন্য আরাম পায়। শ্বাস নিতে কষ্ট হওয়ার কারণে নাকের পাখা দ্রুত উঠানামা করতে থাকে।
Sambucus nigra : শুকনো অথবা বুকে গড়গড়ানি শব্দযুক্ত কাশি উভয়টিতে স্যাম্বুকাস প্রযোজ্য হতে পারে। কাশির সাথে শ্বাসকষ্ট দেখা দেয়, দমবন্ধ অবস্থায় রোগী হঠাৎ ঘুম থেকে জেগে ওঠে, কাশির চোটে মুখের রঙ নীল হয়ে যায়, শোয়া থেকে উঠে বসে যায়, খুব কষ্ট করে টেনে টেনে দম নিতে চেষ্টা করে, দম নিতে পারে কিন্তু দম ছাড়তে পারে না। কাশির দমকা এক সময় চলে যায় কিন্তু কিছুক্ষণ পরপর আবার ফিরে আসে। ঘুমের মধ্যে শরীর শুকনা থাকে কিন্তু ঘুম থেকে জেগে ওঠার পর প্রচণ্ড ঘামতে থাকে। বিছানায় শুয়ে থাকলে, ঘুমিয়ে থাকলে, মধ্যরাতে, মধ্যরাতের পরে, ভোর ২-৩ টার দিকে, ঠান্ডা বাতাসে, ভয় পেলে বা আবেগপ্রবন হলে কাশি বৃদ্ধি পায়।
Arnica montana : বুকে বা অন্য কোথাও আঘাত পাওয়ার কারণে যদি কাশি দেখা দেয়, তবে আর্নিকা হলো তার এক নাম্বার ঔষধ। কাশি দিলে যদি বুকে বা গলায় ব্যথা পাওয়া যায়, তবে এমন কাশিতে আর্নিকা খেতে ভুলবেন না। অনেক সময় দেখবেন, শিশুরা কাশির সময় বা কাশির আগে-পরে কাদতে থাকে। ইহার মানে হলো কাশির সময় সে বুকে বা গলায় প্রচণ্ড ব্যথা পায়। এরকম কাশিতে আর্নিকা দিতে হবে। আর্নিকার কাশিতে গলায় সুড়সুড়ি হয়, শিশু রেগে গেলে কাশতে শুরু করে।
Causticum : কষ্টিকামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায়, সকাল বেলা গলা ভাঙ্গা, বুকে প্রচুর কফ কিন্তু সেগুলো উঠানো যায় না, যেটুকু কফ উঠে তাও আবার ফেলতে পারে না বরং খেয়ে ফেলে, পেটে বা শরীরের বিভিন্ন স্থানে জ্বালাপোড়া করে, কাশি ঠান্ডা পানি খেলে কমে যায়, কাশি দিলে প্রস্রাব বেরিয়ে যায় ইত্যাদি। ইহার মানসিক লক্ষণ হলো অন্যের দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে পারে না।
Rumex crispus : রিউমেক্স-এর কাশির প্রধান লক্ষণ হলো ইহা ঠাণ্ডা বাতাসে বৃদ্ধি পায়। গলার নীচের দিকে বা বুকের উপরের দিকে ভেতরে এক ধরণের সুড়ঁসুড়িঁ থেকে কাশির উৎপত্তি হয়। ঠান্ডা বাতাস নাক-মুখ দিয়ে ঢুকলেও কাশি হয় আবার শরীর থেকে কাপড়-চোপড় খুলে ফেললেও কাশি হয় অর্থাৎ শরীরে ঠান্ডা বাতাস লাগলেও কাশি শুরু হয়। লেপ-কম্বল-চাদর দিয়ে মাথাসহ সারা শরীর ঢেকে ফেললে এবং গরম বাতাসে নিঃশ্বাস নিলেই কেবল কাশি বন্ধ হয়। গলায় বা বুকে চাপ দিলে কাশি বেড়ে যায়। কথা বললে, লম্বা শ্বাস নিলে, ঘনঘন ছোট ছোট শ্বাস নিলে কিংবা খাওয়ার সময় এবং খাওয়ার পরে কাশি বেড়ে যায়।
Kali muriaticum : কাশির কারণে যদি চোখের কোন সমস্যা হয়, তবে ক্যালি মিউর খেতে হবে। যেমন কাশির সময় চোখের সামনে আলো দেখা, চোখ তার গর্ত থেকে বের হয়ে পড়বে- দেখতে এমন মনে হওয়া, কাশির সময় চোখে ব্যথা লাগা, চোখে গরম লাগা ইত্যাদি ইত্যাদি। তাছাড়া কফের রঙ যদি খুবই সাদা হয়, সেক্ষেত্রেও ক্যালি মিউর প্রযোজ্য।
Drosera rotundifolia : ড্রসেরার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গলার মধ্যে সাংঘাতিকভাবে সুড়সুড় করতে থাকে, কাশতে কাশতে দমবন্ধ না হওয়া এবং বমি না হওয়া পযর্ন্ত কাশি থামতে চায় না, কাশির সময় বুকে প্রচণ্ড ব্যথা হওয়ার কারণে শিশুরা দুহাতে বুক চেপে ধরে, কাশি মধ্য রাতে বৃদ্ধি পায় এবং শুয়ে থাকলে বৃদ্ধি পায়, কাশতে কাশতে মুখ নীল হয়ে যায়, দিন্তরাতে অন্তত দশ-পনের বার কাশির দমকা উঠে। ড্রসেরাকে ঘনঘন খাওয়াতে হ্যানিম্যান নিষেধ করেছেন। কেননা তাতে কাশি বেড়ে গিয়ে বিপদ ডেকে আনতে পারে।
Hepar sulph : হিপার সালফের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো ঠান্ডা এবং শুকনা বাতাসে কাশি বৃদ্ধি পায়, ঠান্ডা পানি পান করলে বৃদ্ধি পায়, মধ্যরাতে এবং সকালের দিকে বৃদ্ধি পায়। হালকা থেকে মারাত্মক যে-কোন কাশিতে হিপার উপযুক্ত। কিন্তু শুকনা কাশি অর্থাৎ যে কাশিতে বুকে কোন কফ জমে নাই, তাতে হিপার দিয়ে কোন লাভ নাই।
Ignatia : ইগ্নেশিয়া হলো অদ্ভূত সব লক্ষণের ঔষধ। যেমনকানের শো শো শব্দ গান শুনলে কমে যায়, পাইলসের ব্যথা হাটলে কমে যায়, গলা ব্যথা ঢোক গেলার সময় কমে যায়, মাথা ব্যথা মাথা নীচু করলে কমে যায় ইত্যাদি। যত কাশে তত কাশি বেড়ে যায়- এই লক্ষণ থাকলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রয়োগ করতে হবে। সাধারণত শোক, দুঃখ, বিরহ, বিচ্ছেদ, প্রেমে ব্যর্থতা, আপনজনের মৃত্যু ইত্যাদি কারণে যে-কোন রোগ হলে তাতে ইগ্নেশিয়া প্রযোজ্য।
Ipecac : ইপিকাকের প্রধান লক্ষণ হলো বমি বিম ভাব এবং পরিষ্কার জিহ্বা। হালকা কাশি থেকে নিউমোনিয়া, হুপিং কাশি এবং হাঁপানির মতো মারাত্মক কাশিতেও ইপিকাক দিতে পারেন যদি উপরোক্ত লক্ষণ দুইটি কারো মধ্যে বিদ্যমান থাকে।
Kali bichrom : ক্যালি বাইক্রম হলো হোমিওপ্যাথিতে নাক-কান্তগলার একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো (নাকের শ্লেষ্মা, বমি,) কফ খুবই আঠালো হয় এবং কোন কাঠিতে (বা আঙুলে) লাগিয়ে টানলে রশির মতো লম্বা হয়ে যায়। এই লক্ষণটি পাওয়া গেলে যে-কোন ধরণের কাশি বা অন্য যে-কোন রোগে ক্যালি বাইক্রোম খাওয়ালে সেরে যাবে।
Kali carb : কালি কার্বের প্রধান লক্ষণ হলো কাশি ভোর ৩টা থেকে ৫টার দিকে বৃদ্ধি পায়, কাশির সময় বুকে সূই ফোটানোর মতো ব্যথা হয়, সামনের দিকে কাত হলে অর্থাৎ হাঁটুর ওপর মাথা রেখে বসলে ভাল লাগে, চোখের ওপরের পাতা ফোলা, কোমরে ব্যথা, প্রচুর ঘাম হয় ইত্যাদি।
Spongia tosta : স্পঞ্জিয়া ঔষধটি শুকনা কাশিতে প্রযোজ্য। সাধারণত গলার ভিতরটা শুকিয়ে কাঠ হয়ে থাকে। কাশি দিলে ড্রামের মতো আওয়াজ হয়। মারাত্মক কাশি, শ্বাস নেওয়ার সময় অসুবিধা হয়, হিসহিস শব্দ হয়। মিষ্টি খেলে, ঠান্ডা পানি পানে, ধূমপানে, মাথা নীচু করে শুইলে, মাঝরাতের পূর্বে এবং ঠান্ডা শুকনা বাতাসে কাশি বৃদ্ধি পায়। পক্ষান্তরে গরম পানি বা গরম খাবারে কাশির মাত্রা কমে যায়। হৃদরোগের সাথে সম্পর্কিত কাশিতে এটি বেশী ফলপ্রদ।
Sticta pulmonaria : স্টিকটার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো শুকনা কাশি, বিকালে এবং রাতে বৃদ্ধি পায়, ঘুমাতেও পারে না এবং শুইতেও পারে না, বসে থাকতে হয়, বুকের ওপর মনে হয় ভারী একটি পাথর চেপে আছে, নাকের গোড়া মনে হয় কেউ চেপে ধরেছে, বিরতিহীন হাচিঁ, প্রচণ্ড মাথা ব্যথা ইত্যাদি।
Cuprum met : ভয়ঙ্কর কাশি, একবার কাশি উঠলে অনেকক্ষণ পযর্ন্ত থাকে, কাশি শেষ হলে রোগী দুর্বল হয়ে মরার মতো হয়ে পড়ে, দিনে-রাতে অনেকবার কাশির দমকা উঠে, কাশতে কাশতে (ধনুষ্টংকারের মতো) শরীর বাঁকা হয়ে যায় ইত্যাদি হলো কিউপ্রামের প্রধান প্রধান লক্ষণ।
Mephitis : হুপিং কাশির মতো মারাত্মক কাশিতে মেফিটিস ব্যবহৃত হয়, যাতে অল্পতেই রোগীদের দম বন্ধ হয়ে আসে। উচ্চস্বরে পড়াশোনা করলে, কথা বললে, কিছু পান করলে কাশি বৃদ্ধি পায়। কাশির সময় বুকের ভেতর শো শো আওয়াজ হয়, সারারাত কাশি হয়, একটু পরপর ফিরে আসে। একটি অদ্ভূত লক্ষণ হলো এদের শরীরে গরমবোধ এত বেশী যে, বরফের মতো ঠান্ডা পানি দিয়ে গোসল করলেও তাদের কোন অসুবিধা হয় না ; বরং আরাম লাগে।


Leave a comment

Constipation or hard stool and their easy homeopathic cure

Constipation (কোষ্টকাঠিন্য, শক্ত পায়খানা) ঃ- কোষ্টকাঠিন্য বলতে কেবল শক্ত পায়খানাকে বুঝায় না ; নরম পায়খানাও যদি বের করতে কষ্ট হয়, তাকেও কোষ্টকাঠিন্য বলা হয়। কোষ্টকাঠিন্য কোন রোগ নয় বরং এটি শরীরের ভেতরকার অন্যকোন মারাত্মক রোগের একটি লক্ষণ মাত্র। তবে দীর্ঘদিন কোষ্টকাঠিন্য চলতে থাকলে পাইলস, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাস্ট্রিক আলসার, হৃদরোগ, হজমশক্তির দুর্বলতা, পেট ফাঁপা, দুর্বলতা, মেদভুঁড়ি, মাথা ব্যথা, স্মরণশক্তি কমে যাওয়া, শরীরে এবং নিঃশ্বাসে দুর্গন্ধ, বিষন্নতাসহ নানা রকমের মারাত্মক রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। কোষ্টকাঠিন্য হওয়ার সবচেয়ে বড় কারণ হলো পায়খানার বেগ হওয়ার পরেও পায়খানা না করে তাকে চেপে রাখা। চেয়ারে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে থাকাও কোষ্টকাঠিন্য হওয়ার আরেকটা বড় কারণ। এজন্য প্রতিদিন একটি নির্দিষ্ট সময়ে (সকালে বা রাতে) পায়খানা করার অভ্যাস গড়ে তোলা উচিত। যাদের কোষ্টকাঠিন্যের সমস্যা আছে তাদের শাক-সবজি, চাল কুমড়া, মিষ্টি কুমড়া, লাউ, ফল-মুল ইত্যাদি খাবার বেশী বেশী খাওয়া উচিত।
Sulphur : কোষ্টকাঠিন্যের সবচেয়ে সেরা ঔষধ হলো সালফার। এই কারণে রোগীর মধ্যে অন্য কোন ঔষধের লক্ষণ না থাকলে অবশ্যই তার চিকিৎসা প্রথমে সালফার দিয়ে শুরু করা উচিত। এটি সাধারণত কবি-সাহিত্যিক-লেখক-বুদ্ধিজীবি-গবেষক-বিজ্ঞানী ইত্যাদি পেশার লোকদের অর্থাৎ সৃজনশীল ব্যক্তিদের বেলায় ভালো কাজ করে। সালফারের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো গোসল করা অপছন্দ করে, গরম লাগে বেশী, শরীরে চুলকানী বেশী, হাতের তালু-পায়ের তালু-মাথার তালুতে জ্বালাপোড়া, মাথা গরম কিন্তু পা ঠান্ডা, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার দিকে কোন খেয়াল নাই, ছেড়া-নোংরা তেনা দেখেও আনন্দিত হয় ইত্যাদি ইত্যাদি।
Lac defloratum : এটি কোষ্টকাঠিন্যের একটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানা করার সময় প্রসব ব্যথার মতো মারাত্মক ব্যথা হওয়া, পায়খানার বেগ হয় না, পায়খানার রাস্তা ছিড়ে যায়, পায়খানা হয় শুকনো এবং বড় বড় সাইজে।
Natrum muriaticum : অধিকাংশ ক্ষেত্রে কোষ্টকাঠিন্যের একটি মুল কারণ হয়ে থাকে নাড়িভূড়ির দেওয়ালের শুষ্কতা (dryness of the bowel) আর এই কারণে নেট্রাম মিউর ঔষধটি কোষ্টকাঠিন্যের একটি অমুল্য ঔষধ। কেননা খাবার লবণ থেকে তৈরী করা এই ঔষধটি শরীরের সকল স্থানে পানির ভারসাম্য আনতে সাহায্য করে থাকে। তাছাড়া যাদের বেশী বেশী লবণ খাওয়ার অভ্যাস আছে এবং যাদের মুখে ব্রণ হয় প্রচুর, তাদের কোষ্টকাঠিন্যসহ যে-কোন রোগে নেট্রাম মিউর যাদুর মতো কাজ করবে। এমনিভাবে Magnesia muriatica এবং Ammonium muriaticum ঔষধ দুইটিও কোষ্টকাঠিন্যের শ্রেষ্ট ঔষধ।
Nux vomica : হোমিওপ্যাথিতে কোষ্টকাঠিন্যের জন্য সবচেয়ে বেশী ব্যবহৃত ঔষধ হলো নাক্স ভমিকা। দিনরাতের বেশীর ভাগ সময় শুয়ে-বসে কাটায়, ভয়ঙ্কর বদমেজাজী, শীতকাতর, কথার বিরোধীতা সহ্য করতে পারে না ইত্যাদি লক্ষণ থাকলে এটি ভালো কাজ করে। বিশেষত যারা দীর্ঘদিন পায়খানা নরম করার এলোপ্যাথিক ঔষধ খেয়েছেন, তাদের ক্ষেত্রে এটি বেশী প্রযোজ্য। (* অনেক হোমিও বিজ্ঞানী কোষ্টকাঠিন্য এবং পাইলসের রোগীদেরকে সকালে সালফার এবং সন্ধ্যায় নাক্স ভমিকা- এভাবে খেতে দিতেন। কেননা এই দুটি ঔষধ একে অন্যকে সাহায্য করে।)
Alumina : এলুমিনার প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানা নরম কিন্তু বের করতে কষ্ট হয়। কখনও পায়খানার বেগ থাকে আবার নাও থাকতে পারে। শিশুদের কোষ্টকাঠিন্যের ক্ষেত্রে এটি ভালো কাজ করে যখন মুখ শুকিয়ে থাকে, পায়খানার রাসতা লাল হয়ে যায়, ব্যথায় চীৎকার করতে থাকে, পায়খানা করার সময় বসার সিট অথবা সামনে যা থাকে তাকে খুব শক্ত করে ধরে এবং পায়খানার সময় রক্ত পড়ে।
Bryonia Alba : ব্রায়োনিয়ার প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানা হবে বড় বড় লম্বা লম্বা সাইজে, শুকনা, শক্ত এবং দেখতে পোড়াপোড়া। কোন কোন চিকিৎসা বিজ্ঞানীর মতে, শিশুদের, বদমেজাজী লোকদের এবং বাতের রোগীদের কোষ্টকাঠিন্যে এটি সবচেয়ে ভালো কাজ করে। যদি গলা শুকিয়ে থাকে এবং প্রচুর পানি পিপাসা থাকে, তবে ব্রায়োনিয়া প্রয়োগ করতে হবে। অনেক চিকিৎসা বিজ্ঞানী আবার ব্রায়োনিয়া এবং নাক্স ভমিকা ঔষধ দুটিকে অদল-বদল করে ব্যবহার করে দারুণ ফল পেতেন।
Opium : কোষ্টকাঠিন্যের ক্ষেত্রে অপিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো পায়খানার বেগই হয় না, এমনকি সাতদিন্তপনেরদিনেও পায়খানার বেগ হয় না। পায়খানা হয় ছাগলের লাদির মতো ছোট ছোট, গোল গোল, কালো, শক্ত শক্ত। যদি আঙুল দিয়ে কারো পায়খানা বের করতে হয়, তবে এমন ক্ষেত্রে অপিয়াম ঔষধটির কথা সর্ব প্রথম চিনতা করা উচিত।
Plumbum metallicum : ইহার পায়খানাও ছাগলের লাদির মতো ছোট ছোট, শক্ত শক্ত কিন্তু এতে অল্প হলেও পায়খানার বেগ থাকে। পায়খানা বের করতে প্রসব ব্যথার মতো মারাত্মক ব্যথা লাগে। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো পেট ব্যথা যাতে মনে হয় কেউ যেন পেটের নাড়িভূড়িকে সুতা দিয়ে বেধে পিঠের দিকে টানতেছে।
Hydrastis canadensis : হাইড্রাস্টিস ক্যান কোষ্টকাঠিন্যের একটি সেরা ঔষধ। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো হলদে রঙের পায়খানা এবং উপরের পেটে খালিখালি ভাব।
Graphites : গ্র্যাফাইটিসের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো অলসতা, দিনদিন কেবল মোটা হওয়া, মাসিকের রক্তক্ষরণ খুবই কম হওয়া, চর্মরোগ বেশী হওয়া এবং তা থেকে মধুর মতো আঠালো তরল পদার্থ বের হওয়া, ঘনঘন মাথাব্যথা হওয়া, নাক থেকে রক্তক্ষরণ হওয়া, আলো অসহ্য লাগা ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে গ্র্যাফাইটিস তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।
Platinum metallicum : প্লাটিনামকে বলা হয় ভ্রমণকারী এবং পর্যটকদের কোষ্টকাঠিন্যের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ। কাজেই বলা যায়, আমাদের প্রাত্যাহিক জীবন যাপন প্রণালীতে কোন পরিবর্তনের কারণে যদি কোষ্টকাঠিন্য দেখা দেয়, তবে অবশ্যই প্লাটিনাম খাওয়া উচিত।
Silicea : যদি এমন হয় যে পায়খানা অর্ধেকটা বের হওয়ার পরে আবার পুণরায় ভিতরে ঢুকে যায়, তবে এই ধরণের কোষ্টকাঠিন্যে সিলিশিয়া খাওয়াতে হবে। সিলিশিয়ার প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো শরীর বা মনের জোর কমে যাওয়া, আঙুলের মাথায় শুকনা শুকনা লাগা, আলো অসহ্য লাগা, ঘনঘন মাথা ব্যথা হওয়া, চোখ থেকে পানি পড়া, মুখের স্বাদ নষ্ট হওয়া, মাংস্তচর্বি জাতীয় খাবার অপছন্দ করা, আঙুলের মাথা অথবা গলায় আলপিন দিয়ে খোচা দেওয়ার মতো ব্যথা, পাতলা চুল, অপুষ্টি ইত্যাদি।
Aloe socotrina : শক্ত এমনকি ছাগলের লেদির মতো পায়খানা। শিশুরা চেষ্টা করেও পায়খানা বের করতে পারে না। পায়খানার করার কথা বললে শিশুরা (ব্যথার কথা মনে করে) কাদতে শুরু করে। ইহার প্রধান লক্ষণ হলো ঘুমের মধ্যে গোলাকার বলের মতো শক্ত শক্ত পায়খানা শিশুদের অজানে-ই বেরিয়ে যায় এবং বিছানায় পড়ে থাকে।
Lycopodium clavatum : লাইকোপোডিয়ামের প্রধান প্রধান লক্ষণ হলো রোগের মাত্রা বিকাল ৪-৮টার সময় বৃদ্ধি পায়, এদের রোগ ডান পাশে বেশী হয়, রোগ ডান পাশ থেকে বাম পাশে যায়, এদের পেটে প্রচুর গ্যাস হয়, এদের সারা বৎসর প্রস্রাবের বা হজমের সমস্যা লেগেই থাকে, এদের দেখতে তাদের বয়সের চাইতেও বেশী বয়ষ্ক মনে হয়, স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ কিন্তু ব্রেন খুব ভালো, এরা খুবই সেনসিটিভ এমনকি ধন্যবাদ দিলেও কেদে ফেলে ইত্যাদি ইত্যাদি। উপরের লক্ষণগুলোর দু’তিনটিও যদি কোন রোগীর মধ্যে থাকে, তবে লাইকোপোডিয়াম তার কোষ্টকাঠিন্য সারিয়ে দেবে।
Arnica montana : ব্যথা পাওয়া বা আঘাত পাওয়ার পরে কোষ্টকাঠিন্য দেখা দিলে আর্নিকা খেতে হবে।
Conium maculatum : শক্ত পায়খানা ত্যাগ করার পর যদি কেউ দুর্বল-ক্লানত হয়ে একেবারে বিছানায় শুয়ে পড়তে বাধ্য হয়, তবে এক্ষেত্রে কোনায়াম হলো তার কোষ্টকাঠিন্যের ঔষধ।
Collinsonia canadensis : কলিনসোনিয়া কোষ্টকাঠিন্যের একটি শ্রেষ্ট ঔষধ যদি সাথে পেট ব্যথা, পেট ফাঁপা এবং পাইলস থাকে।
Carbo animalis : এই ঔষধের প্রধান লক্ষণ হলো রোগী মনে করে পায়খানা হবে কিন্তু পায়খানা করতে গেলে শুধু বাতাস বের হয়।
Ambra grisea : যে-সব শিশু খুবই লাজুক, কেউ সামনে থাকলে পায়খানা করতে পারে না, তাদের কোষ্টকাঠিন্যে এমব্রা গ্রিসিয়া খাওয়ান।